![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-তুমি একটা উন্মাদ!
দাতের ফাকে চেপে কথাটা বের করল অর্থী।
আমি কিছু না বলে আমার বিখ্যাত মুচকি হাসিটা দিলাম। একসময় নাকি এই হাসি দেখেই আমার প্রেমে পটেছিল অর্থী। আজ যদি তা ওকে কিছুটা স্বস্তি দেয় সে চেষ্টাতেই হাসি।
আমাকে হাসতে দেখে খেকিয়ে উঠল ও,
-হাসবেনা, খবরদার বলছি হাসবে না! একদম ঠোট স্টাপলার করে দেবো।
আমি ঠোট সোজা করে ফেললাম। এই মেয়ের কথায় ওজন আছে। হাসতে থাকলে কি করে বসে লোকে ভরা এই রেস্টুরেন্টে কে জানে!
-এখন তুমি কি করবে? এই দুর্মূল্যের বাজারে এভাবে চাকরি ছেড়ে দিলে আরেকটা চাকরি পাবে কতদিন, মাস, বছর পর? খবর আছে দুনিয়ার কি অবস্থা?
-দেখ দুনিয়ার অবস্থা তো আমি কোনকালেই দেখি না। দুনিয়ার দায়িত্ব আমার কাধে না। ওটা যিনি বানিয়েছেন তিনিই দেখবেন। আমি আমার শান্তিটা দেখতে পারলেই হবে।
ফুসে উঠল অর্থী,
-আর আমার শান্তি? বাবা যে আমার বিয়ে দেয়ার জন্যে উঠে পরে লেগেছেন? বলেছেন বিয়ে না করলে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেবে সেটা?
শ্রাগ করলাম,
-যাও, গ্রামের মুক্ত পরিবেশে কিছুদিন ঘুরে বেড়াও, ভাল লাগবে। মাটির মানুষ আমরা, মাটির কাছে ফিরলেই শান্তি পাই।
-রাখ তোমার মাটি! মাটি সিঙ্গাড়ার সাথে তোমার পেটে ঢুকাবো।
-আরে শোন, তোমাকে গ্রামে পাঠালে দুদিন পরেই আঙ্কেল তোমার অভাবে দুনিয়া আধার দেখবে। তখন তোমাকে গিয়ে হাতপা বেধে নিয়ে আসবে। বিয়ের ঝামেলা শেষ, বুঝেছ?
- তোমার মাথা বুঝেছি। আমি পরীক্ষার কথা বলে বাবাকে বুঝিয়ে রেখেছি। আর তিন মাস, এরপর পড়াশোনা শেষ। বাবাও আর কথা শুনবে না।
সিঙ্গাড়ায়্ কামড় দিয়ে বললাম,
-হুম, বুঝলাম।
এবার অন্য সুরে শুরু করল অর্থী,
-দেখ, তুমি চাকরিটায় থাকলে তখন বাবাকে তোমার কথা বলতে পারব। বাবা হয়ত মেনেও নেবে। কিন্তু তুমি যদি এখন এভাবে বেকার হয়ে যাও, তোমার কি মনে হয় কেউ তোমাকে চাকরি দেবে এর মাঝে?
-মনে হয় না।
কান চুলকে বললাম আমি।
-তাহলেই বুঝো। প্লিজ বাবু, চাকরিটা ছেড়ো না।
আমি চায়ের কাপে শেষ চুমুক দিয়ে পানির গ্লাসটা অর্থীর হাতের নাগালের বাইরে সরালাম। টেবিলে বিলটা রাখতে রাখতে বললাম,
-দেখ এভাবে যদি শান্ত হয়ে আমাকে আগে বলতে তাহলে সমস্যা হতো না। তুমি তো সবসময় বলেছ আঙ্কেলের আরো ভাল কোয়ালিফিকেশন চাই পাত্রের। তাই আমি ভেবেছি এইটা ছেড়ে কিছুদিন ঘুরে একটা ভাল চাকরি যোগাড়ের চেষ্টা করব।
চোখ ছোট করে তাকাল ও,
-কতদিন লাগবে তোমার ভাল চাকরি পেতে?
-সেটা তো তুমিই ভাল জানো। আফটার অল তুমি দুনিয়ার খোজখবর রাখো বলে কথা।
বাক্য শেষ করার আগেই আমি দরজার দিকে রওনা দিলাম। দস্যি মেয়ে নাহলে জানি কি করে বসতো!
অফিসে এসে রিসিপশনে সাইন করে নিজের রুমে চলে এলাম লিফটে করে। শিফট শুরু হতে আর আধঘণ্টা বাকি। আগের শিফটের নাজমুল আমাকে দেখে চওড়া একটা হাসি দিল। আমি প্রত্যুত্তরে হেসে জানতে চাইলাম,
-কি অবস্থা নাজমুল, কাজ কেমন হচ্ছে?
-ভাল ভাই। আপনি যে প্রোগ্রামটা বানিয়ে দিয়েছেন সেটা আজ প্রায় দুঘণ্টা সময় কমিয়ে দিয়েছে।
-বাহ! ভালো তো।
-আপনি একটা জিনিয়াস ভাই!
-সেটা তো আমি জানিই।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললাম,
-তোমার আম্মা না ভর্তি আছে সাত তলায়?
-জি ভাই।
-তাহলে তুমি যাও, আমি শিফট টেক ওভার করছি।
হাসি আরও চওড়া হল ওর,
-ধন্যবাদ ভাই। আমি কাল আপনাকে কাভার করে দেব।
-দরকার নেই, কাল আর আমাকে দেখবে না।
অবাক সুরে জানতে চাইল নাজমুল,
-কেন ভাই? কাল আসবেন না?
-আর কোনদিনই আসবো না। আজকেই রিজাইন করছি।
-সেকি ভাই, কেন?
কিছু না বলে মুচকি হাসলাম। অর্থীর সাথে সেই হাসির কাজ না হলেও নাজমুলের সাথে হল। ও আর কোন প্রশ্ন না করে ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে গেল।
আমি ওয়ার্কস্টেশনে বসে সারাদিনের কাজের উপর নজর বুলিয়ে নিলাম। আজ রোগী বেশ কমই ভর্তি হয়েছে। তারমানে রাতে সবার সাথে গল্পগুজব করার চান্স পাওয়া যাবে। খুশি হলাম মনে মনে। দ্রুত কাজ কমিয়ে আনতে মন দিলাম। কীবোর্ডে উড়ে চলল আঙ্গুল।
দরজায় নকের শব্দে ঘোর ভাঙল আমার। ঘড়িতে দেখলাম প্রায় একটা বাজে। বললাম,
-আসুন।
দরজা ঠেলে উঁকি দিল কাকা,
-ভাতিজা, সব লাগায় দিসি। স্যারেরা গেসেগা।
আমি হেসে বললাম,
-আচ্ছা কাকা, তুমি যাও। আমি এই আধঘণ্টা পর আসছি।
স্ক্রিনে মুখ নামাতে গিয়ে দেখলাম কাকা এখনও দাঁড়িয়ে আছে।
-কিছু বলবা কাকা?
-হুনলাম তুমি নাকি চাকরি ছাইড়া দিবা?
-কাকা, এই দুনিয়ায় কোন জিনিসই চিরস্থায়ী না। সবই একসময় ছাড়তে হয়। সেই তুলনায় চাকরি তো কোন জিনিসই না।
-আইচ্ছা।
-এখন যাও, কাজ শেষ করতে দাও।
স্ক্রিনে নজর ফেরালাম আমি, দরজাটা আস্তে করে চাপিয়ে বেরিয়ে গেল কাকা।
কাকা হাসপাতালের জায়গা আর বিল্ডিং এর মালিকপক্ষের নাইটগার্ড। এই চাকরিটায় আছি প্রায় ছয়মাস ধরে। অদ্ভুত হলেও সত্যি যে এই ছয়মাসের প্রতিটা দিনই আমি নাইটশিফটে ডিউটি করি। অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রথমে ক্ষেপে উঠেছিল আমি কেন শিফট চেঞ্জ করিনা তা নিয়ে, পরে ভুজংভাজং দিয়ে বুঝিয়েছি অনেক কিছু। নাজমুল ছেলেটা বিয়ে করেছে চাকরিতে ঢুকার মাস দেড়েক আগে। এই সময়ে সে যদি রাতে ডিউটি করে বেরায়, ওর বউ ওকে পিটিয়ে এই হাসপাতালেই ভর্তি করে যাবে। আরেকজন আছে সবুজ, সে দুর্বল একটা মানুষ। তাকে দিনের বেলাতেই ঝিমাতে দেখা যায়, নাইটডিউটি করতে দিলে সে তো ঘুমিয়েই রাত পার করে দেবে। শেষমেশ এতো বুঝ পেয়ে আর পকেটে কয়েকটা নোট ঢুকার পর আমার রাতের শিফট পার্মানেন্ট হয়ে যায়। এরকম বেশ কয়েকজনের রাতের ডিউটি প্রায় পার্মানেন্ট। হারুন ভাই, নেওয়াজ ভাই, ডাঃ ইব্রাহীম ভাই, রিসিপশনের মেহের ভাই আর কাকা। রাতের শিফটে কাজ করা মানুষগুলোর মধ্যে অদ্ভুত একটা আত্মার টান সৃষ্টি হয়। এরা নিজেরাও জানেনা কখন এই টান, কিভাবে হয়। হয়তো কয়েকজন একটা সিগারেট ভাগ করে খাওয়া, কেউ বাড়ি থেকে বানানো পিঠা এনে হাতে তুলে দেয়া, চা বানিয়ে সবাইকে ডেকে ডেকে দেয়া এসব ছোট ছোট সব কাজের মাঝেই সৃষ্টি হয় এই টান। বড় অদ্ভুত লাগে অন্যসবার কাছে এই সম্পর্ক। ভাবে একজন টেকনিক্যাল অফিসার, একজন ডাক্তার, একজন দারোয়ান, ওয়ার্ডবয় কিভাবে এতো সহজে মেলামেশা করে! আমরা রাতের পেঁচারা সেসব শুনে কেবল মুচকি হাসি। জবাব দেই না।
কাজ শেষ করে আড়মোড়া ভাংলাম। তারপর লিফটে উঠে দেখি সদানিশ্চুপ বদরুল বসে আছে। লিফটম্যান ও। কিছু না বলে গ্রাউন্ডফ্লোরের বাটনে চাপ দিয়ে দিল। নিচে নেমে দেখি কাকা দরজা কায়দা করে খুলে রেখেছে। ক্যামেরার আওতার বাইরে এসে দেয়ালে হেলান দিয়ে রাতের প্রথম সিগারেটটা ধরালাম। অন্যদিন হলে এতক্ষনে অর্থীর মেসেজের বন্যা বইত ফোনে। আজ কোন বার্তা নেই প্রিয়তমার। আর কখনও আসবে নাকি কে জানে! মেয়েটা আমাকে ভালোবাসলেও আমাকে কতটুকু বুঝে সেটা সন্দেহ হয় মাঝেমাঝে। ও কি জানে না আমি কতটা স্বাধীনচেতা? এভাবে নিয়মের শেকলে আমাকে বন্দী করার চেষ্টা কেন! যেটা আমার ভাললাগেনা আমি করিনা, আমাকে সেটা করতে বাধ্য করলে কারই ভাল হয়না বরং ধুকে মরতে বসি আমি। না, আসলেই কি ও আমাকে বুঝে?
গেটে আওয়াজ হল। উঁকি দিল নেওয়াজ ভাই। অন্ধকারে সিগারেটের আগুন দেখে বলল,
-আফসার নাকি?
-জি ভাই। আসেন।
সিগারেটটা বাড়িয়ে দিলাম। নেওয়াজ ভাই আমার থেকে বয়সে বেশি বড় হবেনা। হাসপাতালের এই একটা মানুষের সাথে প্রায় বন্ধুর মত সম্পর্ক। রোজ রোজ তিনি এইসময় ভাবিকে নিয়ে বিভিন্ন গল্পের ঝুলি নিয়ে বসতেন, অনেকক্ষণ পর গল্প শেষ করে অবাক হয়ে বলতেন,
-আরেহ! আমিই তো শুধু বকর বকর করছি! তুমি তো কিছুই বলছ না?
-আরে ভাই, গল্প তো করবেন আপনিই। আপনাদেরই তো সময়, আমাদের ব্যাচেলরদের আবার কিসের গল্প! আপনি ভাবির রূপে মুদ্ধ করা সংসারের গল্প করবেন, ছোট ছোট বাচ্চার স্বপ্নের গল্প বলবেন। আর আমরা হা হয়ে শুনব।
কিছু না বলে তখন লাজুক হাসবেন তিনি। লজ্জা ঢাকতে তাড়া দেবে, আরে বেটা বিড়ি ধরা, অক্সিজেন লাগবো। আর আমি হাহা করে হেসে উঠবো।
আজ তিনি কিছুই বলছেন না। বোধহয় বদ নাজমুলটা যাওয়ার সময় আমার রিজাইন করার কথা বলে গেছে। অবশেষে মুখ খুললেন তিনি,
-তুমি আসলেই ছেড়ে দিবা নাকি?
-হ্যা ভাই।
-আমি তো ভাবছিলাম তুমি মজা করসিলা, সেই যে প্রথম যেদিন বলছিলা ছয়মাস পর চাকরি ছেড়ে দিবা...
-ভাই শুনেন, মানুষের মুখের কথার মূল্য অনেক। এর মুল্য যে কত বেশি তা কল্পনা করতেও ভয় হয়। আমি সেটা মনে রাখার চেষ্টা করি। তাই কখনও এমন কোন কথা মজা করে বলিনা।
-তুমি এক আজিব জিনিস আফসার!
সিগারেটে টান দিয়ে ধোঁয়া উড়িয়ে বললাম,
-দুনিয়াটাই আজিব ভাই।
সিগারেটটা পা দিয়ে মাড়িয়ে দিয়ে আমার অফিসে রওনা হলাম। বেশ কিছুক্ষণ কাজ করার পর দেখি ভোরের আলো ফুটছে। রিজাইন লেটারটা টাইপ করলাম। খামটা ভাজ করে বুকপকেটে রেখে দিলাম। লিফটে বদরুলকে দেখলাম না নামার সময়, বোধহয় রেস্ট নিতে গিয়েছে। আমি হাসপাতালের বাইরের গাছটার গোড়ায় ইট দিয়ে বাধানো জায়গাটায় বসলাম।খানিক দূরে কোথাও বোধহয় আগুন লেগেছে। দমকলের ঘণ্টা শুনতে পাচ্ছি। অন্ধকারের মাঝে ভোরের আলো ছাড়াও লালচে আভা দেখতে পারছি।
হঠাৎ নেমে এল রাতের বাকি পেঁচারা। সবাই অনুরোধ করতে লাগলো নানাভাবে। আমি কথা ঘুরিয়ে পাশ কাটানোর চেষ্টা করলাম। হারুন ভাই ক্ষেপে উঠল,
-শালা চাকরি ছেড়ে করবিটা কি? কিছু একটা তো করতে হয়!
-ভাই রেস্ট নিবো কিছুদিন, এরপর চুটিয়ে যা খুশি তাই করবো, যেখানে খুশি সেখানে যাবো। স্বর্গে যেতে চাইলে স্বর্গে, নরকে যেতে চাইলে নরকে... কাপুরুষের মতো মাথা ঝুকিয়ে ইচ্ছেগুলোকে মরতে দিব না।
আমার কথা কিছুক্ষণের জন্যে চুপ করিয়ে দিল সবাইকে। তারপর আবার শুরু করতে যাচ্ছিল ওরা। কিন্তু আমাকে বাচিয়ে দিয়ে কয়েকটা এম্বুলেন্স রোগী নিয়ে হাজির হল। বোধহয় আগুন লেগেছে যে, সেখানকার রোগী। সবাই যার যার কাজে দৌড়লো। রয়ে গেলাম আমি একা।
আমার ডিউটির সময় শেষ। ফোনের মেসেজ রিংটোন বেজে উঠতে বের করলাম। দেখি অর্থীর মেসেজ,’তুমি যদি চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে থাকো তাহলে আমার সাথে আগামী তিনমাসে কোন যোগাযোগ করবে না, তোমার ইচ্ছেমত যা খুশি করে বেড়াও। আমি শান্তিতে আমার পরীক্ষা দেই। এরপর চাকরি পাও আর না পাও আমার সামনে হাজির হবে, যদি আমাকে নিয়ে আমার বাবার সামনে যাওয়ার সাহস করতে পারো। নয়তো আর কখনোই তোমার মুখ দেখাবে না। ‘
কিছু রিপ্লাই না করে হেসে ফোনটা পকেটে ফেরত পাঠালাম।
বেশ জোরে বাতাস বইছে, বাতাসে ঝড়ের গন্ধ পাচ্ছি। একটা সিগারেট ধরিয়ে ধ্বংস দেখতে লাগলাম। মানুষ কত কিই না করে ক্ষণিকের এই দুনিয়ায় সম্পদের জন্য। সম্পদের পিছনে ছুটতে ছুটতে এরা জীবনকে অনুভব করতেই ভুলে যায়। আমার তাদের মতো হওয়ার ইচ্ছে নেই বিন্দুমাত্রও।
মেইলবক্সে রিজাইন লেটারের খামটা ছেড়ে দিলাম, বরাবর এমডি। এবার তিনটে মাস চুটিয়ে জীবনের সাধ নিবো। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক বন্ধুর সাথে যোগাযোগ হয়েছে। ওর ফার্মে একটা বড় পোস্টে আমাকে জয়েন করার অফার দিয়েছে, সেইসাথে শেয়ারের ভাগও। আমি রাজি হয়েছি এক শর্তেই, এখন জয়েন করতে পারবো না, আমাকে মাস তিনেক সময় দিতে হবে। ও রাজি হয়েছে। অর্থীকে নিয়ে তারপর হবু শ্বশুরমশাই এর সামনে দাড়ানো নিয়েই যা ভয় এখন। ভাবতেই গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। ধুর! সময়েরটা সময়ে দেখা যাবে। এখন চুটিয়ে বাঁচার পালা।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১৩
বিষাক্ত অর্কিড বলেছেন: ধইন্যা।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ভাল লাগা