১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমি আপনার বক্তব্যের সাথে একমত।
আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে সরকারী চাকুরীই যেহেতু মোক্ষ, তাই যে কোন প্রার্থীই সরকারী চাকুরীর জন্য ৩০ বছর পর্যন্ত চেষ্টা করতেই থাকে, করতেই থাকে। তারপর যখন সরকারী বা ভালো একটা বেসরকারী চাকুরী না পায়, তখন চেষ্টা করে কিছু একটা করতে। অথচ, ততদিনে অনেকগুলো বছর কেটে গেছে। এই সরকারীর লোভে পড়ে এতদিন অপেক্ষা না করে যদি আরো ৫ বছর আগেই এই 'কিছু একটা' সে শুরু করতো, তাহলে এই পাঁচ বছর সে এগিয়েই থাকতো। যে সময়টা আসলে স্বর্ণ সময়।

এখন যদি এটা ৩৫ বছর হয়, তাহলে ওই অপেক্ষাটা ৩৫ বছর পর্যন্ত হবে। ফলাফল, আরো সময় নষ্ট। বর্তমানে সেশন জ্যাম না থাকায় প্রায় ২২ বছরেই একজন ছেলে বা মেয়ে গ্রাজুয়েশন শেষ করে ফেলে। তাই ৩০ বছর হওয়াটাই অতিরিক্ত।

দ্বিতীয়ত, আমার এক ফ্রেন্ড ৩০তম বিসিএসএ কাস্টমসে জয়েন করার পর খুব বিষণ্ন মনে বলছিল- এই ৩০ বছর বয়সে এসে আমি যদি জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা শুরু করি, তাহলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা শুরু করবো কবে?

এইটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ফেইসবুকে একটা ছবির কোলাজ দেখলাম, যেখানে উপরের সারিতে জাস্টিন ট্রুডো, ইমানুয়েল ম্যাঁখো, জাসিন্দা আর্ডেন এর ছবি আর নিচের সারিতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও এবং এরশাদের ছবি দিয়ে ক্যাপশান দেওয়া: উন্নত দেশে যুবকরা দেশ চালায় , বৃদ্ধদের দেয় পেনশন আর আমাদের দেশে বৃদ্ধরা দেশ চালায়, যুবকদের দেয় টেনশন।

আর কিছু বলার দরকার নেই মনে হয়।

২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: চাকুরীতে আবেদনের বয়স ৩৫ দিয়ে কি হবে তার চেয়ে কোটা তুলে দিলে মেধাবিরা একটু হলেও চান্স পাবে।

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

ক্স বলেছেন: গ্র্যাজুয়েশন করার পর একজন তরুণ অন্তত তিনটা জেনারেল বিসিএসে বসার সুযোগ পায়। কোনটাতে হয়তবা রিটেনে ফেল করে, কোনটায় ভাইবায় আটকে যায়, কিন্তু তিনটাতেই কেউ যদি ফেল করে, সাধারণত তার আর পাস করার আশা থাকেনা। করলেও তার হার ৫-১০% এ নেমে আসে। বিপরীতে অহেতুক প্রতিযোগিতা বাড়ে এবং অহেতুক জ্ঞান ভান্ডারে তরুণদের মাথা ভারি হয়ে থাকে। তাই বেটার হয় যদি সরকারী চাকুরির বয়েস কমিয়ে ২৮ বছরে নামিয়ে আনা যায় - দেশ ও জাতির মঙ্গল ছাড়া অমঙ্গল হবেনা তাতে।

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হকারদের মতো বেশ কিছূদিন দেখলাম প্রেসক্লাবের সামনে বসে বসে ৩৫ ৫৩ জপেছে!
যদিও পিকে তত্ত্বে এক গালে হাসিনা আরেক গালে বঙ্গবন্ধু ট্যাগ নিয়েই বসেছিল তারপরও পরে পুলীশ উঠীয়ে দিয়েছে!

অর্থহীন আবেগ আর বস্তাপঁচা মোসাহেবী দিয়ে চেষ্টা করেছীল সরকারের মন গলাতে!

সরকারীর চেয়ে বেসরকারীতেই কিন্তু কর্মজীবির সংখ্যা বেশি।
তবে বয়স সীমার বদলে বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্টদের জন্য বয়েসর বাঁধা একেবারেই না থাকাই মনে হয় শ্রেয়!
ক্লারিক্যাল পোষ্ট ছাড়া ক্রিয়েটিভ পোষ্টের জন্য বিশেষত এই সুবিধা রাখা যেতে পারে। তাতে মনে হয় আখৈরে জাতির ভালই হবে।

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

শামচুল হক বলেছেন: সরকারি চাকুরি না করলেই কি জীবন বৃথা? কেন, প্রাইভেট কম্পানী তে চাকুরী করে কি দিন যায় না? আমার দেখা একজন প্রাইভেট কম্পানী এর কর্মকর্তার বেতন ৪ লাখ টাকা। আরো একজন মাত্র ৭ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২.৫ লাখ টাকা বেতন পান।

ভাই অকাল কুষ্মান্ড, চার কোটি বেকারের মাঝে প্রাইভেট ফার্মে ৪লাখ টাকা বেতন পেতে কয়জনকে দেখেছেন। হাতে গোনা দুইচারজনকে দেখেই আপনি বাংলাদেশের চারকোটি বেকারের সমস্যা সমাধান করে ফেল্লেন?

যাদের সরকারী চাকুরির বয়স পার হয়েছে এরকম লক্ষ লক্ষ বেকার প্রাইভেট ফার্মে ধর্না দিয়েও চাকরী পাচ্ছে না।

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

শামচুল হক বলেছেন: দেশের মেধা তো বাইরে যাচ্ছে দেশে সুযোগ না পেয়ে। দেশের অযোগ্য লোক যখন উপর লেবেলে বসে থাকে তখন তার চেয়ে বেশি যোগ্যতার লোক দেখলেইু নিয়োগ দিতে দেয় না। আবার নিয়োগ দিলেও কাজ করতে দেয় না। ৩৫০০০ হাজার বিদেশি কাজ করে সেটা কর্মকর্তারা মেনে নেয় কিন্তু ঐ যোগ্যতার বাংলাদেশি লোক নিয়োগ দিয়ে দেখেন তাকে চোর চোট্টা বানিয়ে কাজের অযোগ্য করে ছেড়ে দিবে। আপনি এই দেশে চোর ধরতে গিয়ে দেখেন উল্টো আপনাকে চোর বানিয়ে ছেড়ে দেবে। আমি শুধু চোখ কান খোলাই রাখি না অনেক কিছু দেখেই কথাগুলো বলছি।