নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখার ভুবনে পলাশমিঞা ছিল এবং যতদিন বাংলায় মানুষ কথা বলবে ততদিন পলাশমিঞা সুর ছন্দে হাসবে\'\' স্বত্বাধিকারি মোহাম্মাদ আব্দুলহাক www.bookorebook.com

পলাশমিঞা

আমি এক কাল্পনিক চরিত্র

পলাশমিঞা › বিস্তারিত পোস্টঃ

“চাঁদের বুড়ি”

২০ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:০৫

বাল্যকালে শুনেছিলাম চাঁদের দেশ দেখতে খুবই সুন্দর। কতো সুন্দর তা দেখার জন্য এক কিশোরি মনে মনে স্থিরসিধ্যান্ত করেছিল। সমস্যা হল মাটির মানুষ বাতাসে ভাসতে বা উড়তে পারে না, কিন্তু চাঁদের দেশে যেতে হলে উড়তে হয়।

পরীদের ডানা আছে এবং অনায়াসে উড়ে ওরা যে কোনো গ্রহে যেতে পারে। কিশোরির ডানা নেই এবং শিমুলের তুলার মত বাতাসে ভাসতে পারে না জেনেও চাঁদের দেশে যেতে চায়।

বাগানের এক পাশে হাজার বছরের বুড়া শিমুল গাছ একটা আছে। অনেক বড় গাছ। ওর নানা ওকে খুব আদর করতেন। একদিন অ্যাডভেঞ্চার বই পড়ছিল। বিশাল একটা গাছে নায়িকার নানা নায়িকার জন্য তরুঘর বানিয়েছিলেন। কিশোরি ওর নানাকে বললে তরুরাজ শিমুল গাছে ওর নানা ওকে একটা তরুঘর বানিয়ে দিয়েছিলেন।

এক বিকেলে সিড়ি বেয়ে তরুঘরে উঠে পা ঝুলিয়ে বসে ভাবছিল কেমন করে চাঁদের দেশে যাওয়া যায়। ত্রিসন্ধ্যা ঘনালে শিমুলগাছ হেলে দুলে বলল, ‘চাঁদের দেশে যেতে চাও নাকি?’

কিশোরি চমকে চারপাশে তাকিয়ে ভয়ে ভয়ে জানতে চাইল, ‘কে কোথা থেকে কথা বলছ?’

শিমুল গাছ হেলে দুলে বলল, ‘আমি শিমুল গাছ।’

কিশোরি অবাক হলেও হাঁফ ছেড়ে বলল, ‘জােনা তরুরাজ! আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম ভূতনাথ আমার সাথে কথা বলছি।’

‘ভয় নেই আমি তোমার নানার সাথেও গল্প করতাম। অনেক দিন হয় নানাকে দেখি না। নানা এখন কোথায়?’ শিমুল গাছ জানতে চাইল।

‘নানীজানকে নিয়ে সুন্দরবন গিয়েছেন। ইনিয়ে বিনিয়ে কতো মিনতি করলাম তবুও আমাকে সাথে নেননি।’ কিশোরি গাল ফুলিয়ে বলল।

‘তুমিও অ্যাডভেঞ্চারে যেতে চাও নাকি?’ শিমুল গাছ হেসে বলল।

‘হ্যাঁ।’ বলে কিশোরি চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘ইস, চাঁদ দেখতে কতো সুন্দর।’

‘জানো ইন্দুমতী, তুমি চাইলে আমার তুলায় বসে চাঁদের দেশে যেতে পারবে।’ শিমুল গাছ বলল।

‘সত্যি!’

‘হ্যাঁ।’

‘আমাকে তুলা দেবে, আমি চাঁদের দেশে যেতে চাই।’

‘দেব তবে শর্ত আছে।’

‘কি শর্ত? তাড়াতাড়ি বল।’ কিশোরি উত্তেজিত হয়ে বলল।

‘আমার তুলা দিয়ে সুতা বানিয়ে, আমার ফুল দিয়ে বরণমালা গেঁেথ বরের গলে পরিয়ে বরণ করার প্রতিজ্ঞা করলে; আমি তোমাকে যথেষ্ট তুলা দেব।’ শিমুল গাছ বলল।

‘আমাকে ইন্দুমতী ডাকলে কেন? আমার নাম তো রোহিণী।’ রোহিণী অবাক হয়ে বলল।

‘তা আমি জানি। জানো, তোমাকে যে ভালোবাসে তাকে আমি তারাপীড় ডাকি।’ বলে শিমুল গাছ হেলতে দুলতে লাগল।

‘তরুরাজ, এ সব তুমি কি বলছো?’ রোহিণী অবাক হয়ে বলল।

‘সুখবাসরে সব জানবে। এখন বল আমার তুলা দিয়ে সুতা বানিয়ে, আমার ফুল দিয়ে বরণমালা গেঁথে তারাপীড়ের গলে পরাবে কি না?’ শিমুল গাছ শান্ত সুরে বলল।

‘নিশ্চয়ই।’ বলে রোহিণী খুশি মনে রাজি হল এবং গাছ থেকে নেেম ঘরে যেয়ে সাজগুঁজ করে একটা চরকা নিয়ে এল।

শিমুল গাছ গা ঝাড়া দিলে যথেষ্ট তুলা ঝরে সাদা মেঘের আকার ধারণ করল। রোহিণী তাতে উঠে বসলে শিমুল গাছ হেলতে দুলতে লাগল এবং বলল, ‘তারাপীড়ের সাথে দেখা হলে আমার শুভেচ্ছা বলবে। মনানন্দে এবং নিরাপত্তার সাথে চাঁদের দেশ ভ্রমণ করে আস।’

‘ধন্যবাদ তরুরাজ। তারাপীড়ের সাথে দেখা হলে, বরণমালা পরিয়ে বরণ করব তাকে তোমার শুভেচ্ছা জানাব।’ উত্তেজিক কণ্ঠে বলে রোহিণী চরকা ঘুরিয়ে সুতা বানাতে লাগল এবং পূর্ণমাসে চাঁদের দেশে এসে দেখে কোথাও জনমানব নেই।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:০৯

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: :-B

২| ২০ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:০৯

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: মিঞাবাই, কি খপোড়? :-B

২০ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:১১

পলাশমিঞা বলেছেন: ভালাছ, আপনের খবর কিতা?

একটু পরে কাজে যাবো। একটু খেয়াল রাখবেন বুড়ির দিকে :P

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:১৫

সৈয়দ ইবনে রহমত বলেছেন: বুড়ির দিকে খেয়াল রাখার দরকার কি? তার চেয়ে বুড়ি একলা বসে সুতা কাটুক।

Click This Link

৪| ২০ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:২১

অহোরাত্র বলেছেন: চাঁদের বুড়ি বুঝি এককালের প্রতারিত কিশোরী! উনার হিস্টরি জানা ছিল না।

এ তল্লাটেও নাকি এক চরকা কাটা চাঁদের বুড়ি ছিল। তাঁকে তো আর দেখা যায় না।

৫| ২০ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:২৫

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: আমিও বালা আচি। আইচ্চা খিয়াল রাকপো। :#)

৬| ২১ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৫:৪৮

এস এ মেহেদী বলেছেন: অনেকদিন পরে কবির লেখা পড়লাম।
অনেক ভালো লাগলো।
http://prothom-aloblog.com/posts/3/102619
সময় হলে একটু পাঠ করবেন।
ভালো থাকুন কবি।

৭| ২১ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৬:০০

নিমা বলেছেন: ছোট বেলা চাঁদের দিকে তাকিয়ে চাঁদের বুড়িকে খুজতাম আর বলতাম তোমার পরে আমি হবো চাঁদের বুড়ি :):):)

লেখায় অনেক প্লাস

৮| ২১ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:১৩

রাজসোহান বলেছেন: + :)

৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৫২

শায়মা বলেছেন: রোহিনী কি এখনও চরকা ঘুরিয়ে সুতা কাঁটছে?

২৮ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:১৪

পলাশমিঞা বলেছেন: এখনো শুরু করেছি, চাঁদে গিয়েছে মাত্র।

কেমন আছেন কবিনী?

১০| ২৮ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:৪৭

চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন: কেমন আছেন ??

২৮ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:১৪

পলাশমিঞা বলেছেন: বড়াপা আমি ভালো আছি, আপনি কেমন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.