নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অযথা ক্যাচাল পছন্দ না, তাই তালগাছবাদীরা দূরে থাকুন

মহান পংকজ

দার্শনিক, বাস্তববাদী

মহান পংকজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিন্দু ধর্ম মত ও পথ ০৪ কৃষ্ণ করলে লীলাখেলা আর আমরা করলে দোষ!!

২০ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:০৬

অনেকদিন ধরেই দেখছি সবাই কথায় কথায় নিজের দোষ ঢাকতে একটা উপমা দিচ্ছে যে কৃষ্ণ করতে পারে সে ঈশ্বর বলে কিন্তু আমরা করলে দোষ কি?? সত্যি ই তো ঈশ্বর অবশ্যই খারাপ কোন কাজ করবেনা। আর ভাল কাজ করলে তা আমরা করলে দোষ কোথায়? অবশ্যই করব হাজার বার করব। কিন্তু কথা হচ্ছে কি করছে এবং কেন করেছে তা জেনে তো করা উচিত। নইলে তো কাজের কোন মুল্য থাকবেনা। যেহেতু হিন্দু ধর্ম নিয়ে সিরিজ আকারে লিখছি তাই এটা ও লিখার ইচ্ছা ছিল তবে তা এখন না কয়েকটা পোষ্ট এর পরে কিন্তু আজ একজনের পোষ্ট ও তদানুযায়ী কয়েকজনের কমেন্ট দেখে আর পারলামনা। আসুন দেখা যাক কৃষ্ণ কে ও উনি এমন কি করেছে?

যেহেতু এটি একটি সিরিজ পোষ্ট তাই আমি অনুরোধ করব আমার আগের পর্বগুলো একটু নজর বুলাতে নইলে অনেকের ই কথাগুলো বুঝতে একটু সমস্যা ও হতে পারে। যাই হোক

কৃষ্ণ কে?

ঈশ্বর হচ্ছেন সেই নিরাকার ব্রক্ষ্ম, যার কোন আকার নেই, রুপ নেই, বর্ণ নেই তিনি সৃষ্টির পূর্ব থেকে মহাপ্রলয় এর পরেও বর্তমান থাকবেন। তিনিই আমাদের প্রকৃত আরাধ্য, কিন্তু সেই নিরাকার ব্রক্ষ্মকে কল্পনা করে আরাধনা করে ধর্মকর্ম করা আগের যুগে সহজ হলেও ধীরে ধীরে মানুষের মাঝে পাপ বেড়ে যাওয়াতে তাদের মনে শুভ জিনিসগুলো ক্ষয় হয়ে যায়। তাই তখনকার যুগে মুনি ঋষিরা ও সাধারণ মানুষেরা যা যা পারতেন তা আমাদের কাছে শুধুই রুপকথা ছাড়া আর কিছুই মনে হয়না। ঈশ্বর এক কিন্তু তিনি বহু রুপ ধারণ করতে পারেন। তাই বিভিন্ন সময়ে তিনি বিভিন্ন রুপে পৃথিবীতে অবতার নামে এসেছেন যেমন রাম,বলরাম, কৃষ্ণ,পরশুরাম, নৃসিংহ অবতার প্রভৃতি। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে অর্থাৎ পূর্ণ অংশে পৃথিবীতে আসেন না সাধারণত, একবার এসেছিলেন রাম এর নামে আবার এসেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ এর অবতারে। তবে শ্রীকৃষ্ণ এর অবতারে তিনি সর্বোচ্চ অংশে আসেন। ভক্তদের মতে তিনি ও রাধা দুজনে মিলে পূর্ণ অংশে আসেন। এবং পৃথিবীতে এসে পূর্বের অনেক নিয়ম কানুন মানুষের জন্য অসুবিধা হওয়াতে তিনি সব কিছুর সংক্ষিপ্ত ও সহজ উপায়ে বিশ্লেষন ও পথের অবতারণা করেন। যা গীতাতে অন্তর্ভুক্ত। তাই শ্রীকৃষ্ণকে ঈশ্বর মানা হয়। অথবা ব্যাপারটা এমনভাবেও দেখা যায় ব্রক্ষ্ম হচ্ছে একটা পদ, যেমন প্রধান শিক্ষকের পদ সেখানে পদাধিকার বলে যে বসবেন সেই যেমন প্রধান শিক্ষক হবেন ঠিক তেমনি শ্রীকৃষ্ণ, ঈশ্বর রুপে অধিষ্ঠিত আছেন নিরাকার ব্রক্ষ্মের সাকার রুপে তার ভক্তদের মাঝে। কেউ যদি বলে কৃষ্ণ না শিব ই আমার ঈশ্বর কোন সমস্যা নেই। যেহেতু শ্রীচৈতন্য দেবের মতে কলিতে কৃষ্ণনাম ও নামকীর্তন ছাড়া মুক্তি নাই, তাই শ্রীকৃষ্ণ কেই ঈশ্বর ধরা হয়। এখন আসা যাক কৃষ্ণের সাথে রাধা ও তার সখীদের কি সম্পর্ক ও কেন..



আগের পোষ্টে বলছি যে ঈশ্বর হচ্ছে পরমাত্মা আর মানুষের মাঝে আত্মা, আত্মা পরমাত্মার একটি ক্ষুদ্র অংশ হিসেবে পৃথিবীতে আসে এবং আবার পরমাত্মাতে মিলিত হওয়াই এর চুড়ান্ত লক্ষ্য। এবং পরমাত্মাও চায় আত্মা আবার আসুক এই দুই এর মাঝে যে আকর্ষণ একেই বলে প্রেম। প্রেমের মিলন শরীরে না, ঐ দুইয়ের মিলনে ই প্রকৃত প্রেমের মিলন। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে যে অন্যান্য দেবতাদের যেমনটা বাবা বলে সম্বোধন করা হয়, শ্রীকৃষ্ণকে কিন্তু তা করা হয়না তাকে সখা বা বন্ধু হিসেবে ডাকা হয়, তার কাছে প্রেম নিবেদন করা হয়, কিন্তু কিসের প্রেম? হ্যা আত্মার প্রেম। তাই এই প্রেম নারী পুরুষ সবাই করতে পারে। এই বিষয় নিয়ে নারদ ভক্তিসূত্র তে কিছু কথা পেয়েছি, তার কিছু কিছু কথা তুলে ধরছি...

"যেহেতু এটি (পরম প্রেমভক্তি) নিরোধরুপী, সুতরাং এটি কামনাযুক্ত হয়না"।৭।। এখানে নিরোধ বলতে বুঝিয়েছেন "প্রকৃতপক্ষে, সকল পার্থিব(লৌকিক) এবং ধার্মিক (বৈদিক) কর্ম ত্যাগকেই নিরোধ বলা হয়"।৮।। আবার বলেছেন "ঈশ্বরে অনন্যতা (আন্তরিকতা ও একক ভাবে ভক্তি), এবং তার (ভক্তির) বিপরীত বা বিরুদ্ধ সকল বিষয়ে উদাসীনতাকেও নিরোধ বলা হয়"। ৯।।

এখানে একটা জিনিস দেখা যায় প্রকৃত ভক্তের সাধনার জন্য শুধুই ভক্তির দরকার হয়, তার বেদের জ্ঞান, লৌকিক জ্ঞান কিছুর ই প্রয়োজন হয়না। শুধু ভক্তির মাধ্যমেই ভক্ত তার ঈশ্বরকে নামিয়ে আনতে পারে। কিন্তু ভক্তি কেমন হতে হবে??

মহর্ষি নারদ তার ভক্তিসূত্রতে আরো বলেছেন,"ঈশ্বরের কাছে সকল কর্ম সমর্পণ এবং মুহুর্ত কালের জন্যেও ঈশ্বর বিস্মরণ হলে অত্যন্ত ব্যাকুল হওয়াকেই ভক্তি বলে"১৯।। "যেমন ব্রজগোপীদের প্রেমভক্তি"।২১।।"ঈশ্বরজ্ঞান ব্যাতীত প্রেমভক্তি ব্যভিচারী প্রেমের সমান"২৩।।"(প্রিয়তমের)এইরুপ ব্যাভিচারী প্রেমের সুখে সুখী হওয়া যায় না"।২৪।।

আমরা জানি ভক্তির জন্য নারদ বিখ্যাত, এবং নারদ ই বলছেন প্রেমভক্তি করতে হলে ঈশ্বরজ্ঞানে করতে হবে নইলে সেটা প্রেমভক্তি হয় না। তাহলে আমরা যা করি বর্তমানে আজকে হাই হ্যালো কালকে মোবাইলে ফোন পরেরদিন মোবাইলে কিস........ এগুলো কি ধর্মের দৃষ্টিতে প্রেম? আমাকে কি মেয়ে ঈশ্বরজ্ঞানে প্রেম করছে? আমি কি এমন কেউ?? না না না তাহলে ধর্মের দৃষ্টিতে তো এগুলো প্রেমই না ব্যাভিচারী শুধুমাত্র। আর ও খেয়াল করলে দেখা যাবে রাধা, তার সখীগণ কিন্তু শ্রীকৃষ্ণকে কখনও সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখেনাই। ঈশ্বরজ্ঞানে ভক্তি সহ প্রেম করেছে। আমরা এখন ও শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলার নাম শুনলে মনে মনে পুলকিত হই সেখানে কিন্তু এক সখী মৃত্যুর পরে গিয়েছিল কেননা তার বাসা থেকে তাকে বাইরে বের হতে দেয়নাই, তাকে বেধে রাখা হয়েছিল, যদি তারা সাধারণ মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে আসতেন তাহলে এইসব কিভাবে সম্ভব ছিল?? শুধুমাত্রই সম্ভব যদি ঈশ্বরজ্ঞানে প্রেমভক্তি করা যায়। প্রতিটি প্রাণীর ই প্রথম স্বামী বা প্রভু হচ্ছে ঈশ্বর তারপর অন্য কেউ। এজন্য অনেকটা কৌতুক করে বলা হয় মেয়েদের প্রথম স্বামী শ্রীকৃষ্ণ পরের স্বামী তার জামাই।

আর শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার অনেক কথাই অতিরঞ্জিত করা হয়েছে তৎকালীন কবিদের দ্বারা যেমন চন্ডীদাশ, কেননা মহাভারত, গীতায় শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে এত কথা থাকলেও রাধার কথা উল্লেখ নেই। শুধুমাত্র ব্রক্ষ্মবৈর্বত পুরাণে রাধার কথা পাওয়া যায়। কিন্তু মানের দিকে পুরাণের মান অনেক নিচে অর্থাৎ বিশ্বস্ততার দিক থেকে। তবুও সেখানে কিন্তু তাকে ঈশ্বর রুপে দেখানো হয়েছে। আর ও সেখানে এই সব কিছুর ই কারণ ও তৈরীকার্য বিস্তারিত ভাবে লেখা হয়েছে। তাই যারা সেখানের কিছু অংশের উদ্ধৃতি দেয় তাদের অনুরোধ করব, সম্পূর্ণ পড়ে দেখুন।

তাই নিজেকে কৃষ্ণের সাথে তুলনা না দেওয়াটাই ভালো হবে কেননা দুই প্রেম একরকম জিনিস নয়। আর আম আর কৃষ্ণ ও একরকম নই। তাহলে কিসের তুলনা?

তাই সব কথার শেষে কিছু কথা না বলে পারছিনা, প্রায় ই আমরা এই কথার সন্মুখীন হই কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করিনা কারণ আমরা নিজের ধর্ম সম্পর্কেই ভালমত জানিনা(যদিও আমি নির্দিষ্ট কোন ধর্মে বিশ্বাষ করিনা) তাই প্রথমে নিজের ধর্মটাকে জানুন এর কথাগুলা বিচার করুন। তারপর যে ভুল করে তাদের সংশোধন করুন।

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৩২

নষ্ট কবি বলেছেন: এক গুরুদেবজী এমন এমন সব পোষ্ট দেয় আর কমেন্ট ও করতে দেয়না-একবার ভুল ধরেছিলাম বলে আমাকে ব্লক করেছিলো...

রাগে গা জ্বলতে থাকে-আপনার পোষ্ট পড়ে একটু শান্ত আসল...

যাই হোক...

যারা এটা বলে তারা আসলে সব ঘটনার বাহ্যিক দিকটাই দেখে -ভেতরের দিকটা দেখেনা-
এ সম্পর্কে একটা ঘটনা বলি-
একবার কিছু লোক এক ঋষি্র আশ্রমে গিয়ে দেখেন ঋষি মদ খাচ্ছে
তখন লোক গুলো ঐ খানের জমিদারের কানে গিয়ে ঋষির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে.
জমিদার নিজে তদন্ত করতে আসলে দেখেন ঋষি এখনো মদ খাচ্ছেন-
তখন ঋষিকে ভৎসনা করেন মদ খাও্যার জন্য
তখন ঋষি দেখান যে তাঁর মদের পাত্রে দুধ।
যেটা বাকিরা দেখেছিলো তা ছিলো চোখের ভুল।

২০ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:০৩

মহান পংকজ বলেছেন: গুরুদেবজীর নিক নেম টা দারুণ লাগে। প্রথমে ভাবছিলাম উনার লেখা কিন্তু পরে দেখলাম উনার লেখা না । আর ১০ টা সত্য কথার মধ্যে একটা বড় মিথ্যা কথা ঢুকিয়ে দিলেও তা বুঝা যায়না। উনি তেমন কাজটাই করেছেন। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কে উনি ধর্মগ্রন্থ বানিয়ে ফেলেছেন। যাইহোক দুইটা পোষ্টে ক্ষুদ্র মন্তব্য করেছি। আর এই লেখাটা অনেকদিন ধরেই অর্ধেক করে বসে ছিলাম কিন্তু কালকে উনার লেখা দেখে বাকীটা শেষ করলাম। আসলে আমদের ধর্মে অনেক ঘটনা বা গল্প কালের স্রোতে ধর্ম হিসেবে ঢুকে পরেছে। হয়তো তখন তা গল্পাকারে বুঝানো হয়েছিল এখন তা মানুষ ধর্ম মানে। কিন্তু কথার অর্থটা ধরা হয়না। ধন্যবাদ

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৪০

নষ্ট কবি বলেছেন: হুম এটা ঠিক যে ইতিহাস ঘাটলে কৃষ্ণ দুইজন পাওয়া যায়।
এক জন শ্রীকৃষ্ণ আরেক জন ডাকাত কৃষ্ণ

আমি থিসিস করতে গিয়ে অনেক পুরানো একটা থিসিসে এটা দেখেছিলাম।
মহাভারত সহ অন্যান্য গ্রন্থে শ্রীকৃষ্ণের সন্গিনী রাধার উল্লেখ না পাওয়ার কারণ ও হয়তো এটা
মহাভারতেই আছে শ্রীকৃষ্ণের প্রধান স্ত্রির নাম রুক্ষিনী
এছাড়া ও শ্রীকৃষ্ণের আরো ৩২০০ স্ত্রী ছিল
একবার নারদ মূনি কৃষ্ণ কে পরীক্ষা করতে আসেন কিভাবে কৃষ্ণ এত স্ত্রী সামলান??
তিনি মথুরায় গিয়ে অবাক হয়ে দেখেন ৩২০০ কক্ষ তৈরি করে ৩২০০ স্ত্রীকে সস্বম্মানে রাখা হয়েছে
এবং প্রতিটি কক্ষে একজন করে কৃষ্ণ

২০ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:০৮

মহান পংকজ বলেছেন: এমন একটা ঘটনার বিবরণ কিন্তু রাসলীলার সময় ও পাওয়া যায়, কৃষ্ণ যখন সবার সাথে রাসমন্ডলে বিরাজমান, তখন তিনি সবার সাথে একক ভাবে ছিলেন। যেমন তিনি রাধার সাথে ছিলেন তেমনি তার সখীদের প্রত্যেকের সাথে ছিলেন। বর্তমানে অনেক মহাজ্ঞানী যাকে group sex হিসেবে মনে করতে পারেন। কিন্তু তা না ব্যাপার টা ছিল প্রত্যেকের ঈশ্বর প্রত্যেকের মন মত। আমি আমার ঈশ্বরকে যেভাবে কল্পনা করব তিনি সেভাবেই আসবেন।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৪২

নষ্ট কবি বলেছেন: আমি উপরের কথাটা ভাগবতে পড়েছিলাম

২০ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:১১

মহান পংকজ বলেছেন: দুঃখিত, ভাগবত মনে হয় এখনও পড়িনাই।তবে কিছু কিছু ঘটনা বা বিবরণ অন্য বই হতে পড়েছি। কিন্তু বেদ টা সম্পূর্ণ পড়া দরকার। আপনার কাছে কি লিংক আছে বেদের (বাংলাতে)?

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:০৭

নষ্ট কবি বলেছেন: আইনস্টাইন সাহেব আপনি হয়তো জানেন না শ্রীকৃষ্ণ যখন রাধা দেবীর সাথে লীলা সংকীর্তন করেছিলেন তখন তিনি ছিলেন ৮ বছর বয়েসী- মতান্তরে ১২ বছর বয়েসী-একটা বারো বছরের বালক প্রেম ইবা কি বুঝে পরকীয়া ই বা কি বুঝে???

ভাগবৎ পড়েন বুঝবেন-এই প্রেম কতটা স্বর্গীয়।
বর্তমানের আধুনিক কবিরা এই ঐশ্বরিক প্রেমকে কতইনা হেয় করে।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৩৩

স্পুতনিক বলেছেন: আপনি লিখেছেনঃ ব্যাপারটা এমনভাবেও দেখা যায় ব্রক্ষ্ম হচ্ছে একটা পদ, যেমন প্রধান শিক্ষকের পদ সেখানে পদাধিকার বলে যে বসবেন সেই যেমন প্রধান শিক্ষক হবেন
১) তো প্রধান শিক্ষককে কে বা কাহারা নির্বাচনকরে?
২) কাহাদের মধ্য থেকে প্রধান শিক্ষক নির্বাচন করা হয়(প্রার্থির য্যোগ্যতা কি কি)?
৩) কি মেয়াদে নির্বাচন করা হয়?
**************************************************
Sex বা যৌন ক্রিয়া হল জীব বা পশুর বংশ বিস্তারের অন্যতম বৈশিষ্ট:
প্রশ্ন:
১) ঈশ্বর বা ভগবান রা কেন জীব বা পশুর মত যৌন ক্রিয়া করবে? অথবা ঈশ্বর বা ভগবান রা কেন জীব বা পশুর মত অতি নিম্নশ্রেনীর দোষ থেকে মুক্ত নয়??
২)কৃষ্ণের কতজন স্ত্রী ছিল?? যদি রাধা ব্রহ্মা একটি অংশ হয় তাহলে অবশিষ্ট ৬০,০০০+ জন স্ত্রীও ব্রহ্মা কি ছিল?

২০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৪৩

মহান পংকজ বলেছেন: হ্যা ব্রক্ষ্ম হচ্ছে নিরাকার, যেহেতু মানুষের মাঝে এখন অশিক্ষা আর অজ্ঞানতা বেশী তাই সঠিক ভাবে ঈশ্বরকে অনুভব করা সম্ভব নয় তাই কৃষ্ণকেই সেই নিরাকার ব্রক্ষ্মের সাকার রুপ ধরা হয়। কিন্তু কথা সেই একটাই কৃষ্ণের মাধ্যমে সেই নিরাকার ব্রক্ষ্মকেই আরাধনা করা হচ্ছে। এখানে বিভিন্ন ব্যাক্তি নাই যে নির্বাচন বা যোগ্যতা দেখা হয়। বা মেয়াদ আছে ওপরেও বলেছি, কৃষ্ণ কেন আপনি যদি গণেশকেও পুজা করে থাকেন তাহলে তাকেই ঈশ্বর মেনে পুজা করতে হবে । যদি দুজনকে মানেন তাহলে ধর্ম করা হবেনা।

১. ভগবানের কাজটাকে সাধারণ মানুষের মত শরীরের জৈবিক ক্রিয়ার মত করে দেখছেন কেন। উপরে কিন্তু বারবার বলা হয়েছে যেটা ছিল সেটা শরীরের মিলন না আত্মার সাথে পরমাত্মার মিলন
২. আমার জানামতে কৃষ্ণের স্ত্রী ছিল১৬,১০৮ জন, তখন কেউ যদি কৃষ্ণকে তার স্বামী বলে গ্রহণ করে সে তো আর অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারছেনা, তাই একত্রে ১৬০০০ মেয়েকে সে স্ত্রী রুপে গ্রহণ করে তাদের আবদার অনুযায়ী কিন্তু প্রধানত তার স্ত্রী ছিল ১ জন রুক্ষিণী।

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৪৭

স্পুতনিক বলেছেন: @নষ্ট কবি, ঈশ্বরের আবার বয়স কি?? ঈশ্বরের জন্মই বা হয় কি ভারে? ৮ বা ১২ বছরের যে বালক নারীর সৈন্ধয্য, যৌন ক্রিয়া বোঝে, আর সে ন্যায় অন্যায় বোঝেনা??!!!

২০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৫১

মহান পংকজ বলেছেন: ঈশ্বর যখন মানব রুপে পৃথিবীতে আসেন তখন তাকে অবতার বলা হয়, আর অবতার রুপে আসলেও তিনি যদিও অনেক ক্ষমতার অধিকারী থাকেন তবুও তিনি সাধারণ মানুষের মত জীবন যাপন করেন। তাই তো তিনি মানুষের মত খাওয়া দাওয়া করতেন, বিবাহ করেছেন, রাজকার্য করেছেন। আর প্রেম মানে কি শুধুই সেক্স???

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৫৫

নষ্ট কবি বলেছেন: শ্রীকৃষ্ণ জন্মে ছিলেন মানুষ হিসেবে-তাই তাঁকে ছোট থেকে বড় হতে হয়েছিলো-আর তাঁকে মৃত্যু ও বরণ করতে হয়েছিলো।

শ্রীকৃষ্ণ হলেন বিষ্ণুর অবতার- অবতার জিনিসটা কি সেটা না বুঝলে আভ্যাটার / অবতার সিনেমাটা দেইখেন

বিষ্ণু র অংশ শ্রীকৃষ্ণ -মানুষ হিসেবে এসেছিলেন পৃথিবীতে
আর হত্যা করেছিলেন অত্যাচারী কংস কে
এরপর তিনি দেবত্ব পরিহার করে সাধারণ মানুষের মত গুরুর কাছে পড়াশোনা শুরু করেন এবং যৌবনে বিয়ে করেন রুক্ষিনী কে
আর তিনি দেবত্ব প্রাপ্ত হবার পর ( জন্ম হবার পর থেকে ) কংশ কে মারার আগ পর্যন্ত অনেক কাহিনী করেছেন- ভাগবৎ পড়েন জানতে পারবেন।

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:২০

বাদ দেন বলেছেন: এইসব রুপকথা প্রেমকাহিনী এগুলো গপ্প হিসেবে থাকলেই ভাল, কিন্তু বাস্তব জীবনে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কইরা সিজোফ্রনিয়া আক্রান্ত হইয়া উলটা পালটা কথা না বলাই ভাল ।

অবতার বুঝতে আভ্যাটার =p~ =p~ =p~ =p~ দানিকেন শুনলে নাচতে আরম্ভ করব ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:০০

মহান পংকজ বলেছেন: আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে বিশ্বাস, আপনি কৃষ্ণে বিশ্বাস করেন তো তাকে ডেকে ডেকে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন, সেটা নিজের ব্যাপার। ধর্ম জিনিসটাই ব্যক্তিগত, সেটা রাজনৈতিক বা জোর করে বিশ্বাস করাতে হবে এমন না। কিন্তু কষ্ট লাগে যখন সবাই বলে কৃষ্ণ করলে......... আরে ভাই আপনি কি ঈশ্বর যে নিজেকে তার সাথে তুলনা করছেন? আর বলা হয়েছে কৃষ্ণ প্রেমে মুক্তি সেটা মেয়েদের জন্য নয় শুধু ধর্ম বিশ্বাসী সবার জন্য।
আর অবতার আর আ্যাভাটার এক জিনিস তো দুরের কথা সামনা সামনি ও নাই

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:০৪

মামদো ভুত বলেছেন: নিরোধ মানে তো CONDOM

২০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:১০

মহান পংকজ বলেছেন: হা হা হা দারুণ বলেছেন তো। তাহলে বৃষ্টি নিরোধক জামা মানে কি হবে raincoat naki rain condom, তবে আমি কিসের কথা বলেছি সেটা সেখানে ব্যাখ্যা করা আছে।

১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৪১

ভাবসাধক বলেছেন: আলবার্ট_আইনস্টাইন বলেছেন: সব রসুনের এক গোয়া। নিজের আকাম-কুকামরে বৈধতা দিতে নিজেরে ঈশ্বর বা নবী-রাসুল হিসেবে প্রচার করলে কুকাম নিয়া কেউ তো প্রশ্ন করবোই না, উলটা ভক্ত-অনুসারীও জুটবো।

তা আপ্নের ঈশ্বর মানুষের বেশে পৃথিবীতে আইসা মানুষের জন্য যেইটা আকাম, সেইটা ক্যান করলো? তার ভক্তরা যদি এখন তারে ফলো করা শুরু করে, তাতে পাপ হইবো ক্যান?

২০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:১৭

মহান পংকজ বলেছেন: উপরের টুকুর উত্তর দিয়েছি। আর আপনার কথা.. যদিও উপরে বলেছি হয়তো খেয়াল করেন নি
তিনি মানুষকে ঈশ্বরে প্রেম করতে বলেছেন, ভয় না প্রেম দিয়ে ঈশ্বরকে জয় করার কথা বলেছেন। এখন আমরা যদি প্রেম মানে শুধু শরীর বুঝি তাহলে সেটা আমাদের ব্যার্থতা । যদি কোন হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় যান দেখবেন অষ্টকালীন লীলাকীর্তন হয়, সেখানে দেখবেন কৃষ্ণ নামে মানুষ কিভাবে কাদছে, না হেসে একটু মন দিয়ে শুনে দেইখেন মন পবিত্র হয় কিনা। সেখানে কিন্তু নারী পুরুষ ভেদাভেদ নাই। কৃষ্ণ সবার....

১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:০০

শেষাদ্রী শেখর বাগচী বলেছেন: যে অর্থে ইসলাম একটি ধর্ম সে অর্থে হিন্দু কোনও ধর্ম নয়। হিন্দু ধর্মের উৎপত্তি হল আত্মজিজ্ঞাসা। বেদ কি বলছে? যে " সা বিদ্যা যা বিমুক্তয়ে" অর্থাৎ সেটি আসল বিদ্যা বা জ্ঞান যা জীবকে মুক্ত করে। আর সেই জ্ঞান হল আত্মজ্ঞান। আত্মজ্ঞান ব্যাতিত জীবের মুক্তি নাই। গীতায় কৃষ্ণ বলছেন এই আত্মজ্ঞান লাভ করা যেতে পারে বিভিন্ন উপায় , ভক্তির মাধ্যমে, কর্মের মাধ্যমে অথবা জ্ঞানের মাধ্যমে। রাধা এই আত্মজ্ঞান লাভ করেছিল কৃষ্ণের প্রতি তার নিঃস্বার্থ ভক্তি বা প্রেমের দ্বারা।

২০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:২৬

মহান পংকজ বলেছেন: হ্যা অনেক সুন্দর ভাবে বলেছেন। ঈশ্বরকে পাওয়ার অনেক পথ আছে সবগুলোই স্বীকৃত ধর্ম অনুযায়ী, তবে কলিতে ভক্তিযোগ টাই সব চেয়ে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে অন্য পথের অনুসারীদের ধর্ম থেকে বিতাড়িত করা হয়নি। মুল কথা ঈশ্বরকে তুমি যে রুপে যে ভাবে ডাকার ইচ্ছা ডাক। পথ প্রধান না ঈশ্বরই তুমার লক্ষ্য, তুমি তাকে পাওয়ার চেষ্টা কর

১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:২৪

ইমন কুমার দে বলেছেন: ভগবান তার ভক্তের মনোবাসনা পুর্ণ করতে সদা উদগ্রিব। গোপিনীরা শ্রীকৃষ্ণকে মন থেকে চাইতো পরম পতি হিসেবে। এক্ষেত্রে তাদের প্রেম ছিল নিস্কাম। সকাম নিস্কামের ধারনাটা তাই পেতে হবে আগে।

ভালো লাগলো, চালিয়ে যান। :)

২০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৩০

মহান পংকজ বলেছেন: ধন্যবাদ। একটা ব্যাপার কি জানেন, যার পিতামাতা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী তাকে শত বলেও হিন্দু ধর্মের কোন ভাল জিনিসকেও ভাল বলে স্বীকার করাতে পারবেন না। তেমনি হিন্দু মতালম্বীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমি চাচ্ছিলাম হিন্দু ধর্ম নিয়ে সবার কিছু ভূল ধারণার অবসানের জন্য। জানিনা আর কতগুলো পর্ব লিখতে পারব, কারণ সব সময় মন মানসিকতা একরকম থাকেনা।
ভালো লাগলো জেনে ভালো লাগছে।

১৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৫৮

নষ্ট কবি বলেছেন: বেদের বাংলা লিংক নাই-ইংরেজি টা আছে

২০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৩৪

মহান পংকজ বলেছেন: সময় হলে দিয়েন তো, আসলে ইংরেজী পড়তে আলসেমি লাগে, কারণ একটু বেশী চিন্তা করতে হয় , তবু সংগ্রহে রাখব কখন কাজে লাগে । ধন্যবাদ

১৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:১২

শব্দ শুভ বলেছেন: ভাগবৎ এর বাংলা লিংক দরকার.....।

২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৪০

মহান পংকজ বলেছেন: বাংলালিংক কাষ্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে হবে মনে হয়, কারণ আমার কাছে হার্ড কপিই নেই, তবে ভাগবৎ পুরাণের অল্প কিছু গল্প আছে মনে হয় তবু হার্ড কপি। ধন্যবাদ

১৫| ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ১১:৫৪

অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন: যত মত তত পথ। হিন্দুধর্মের এই এক সুবিধা। সব কথার চটকরে ভাই। কথা দিয়ে আপনি রাতকে দিন বানায়ে ফেলতে পারবেন। সবই রূপকের খেলা। বিরক্ত লাগে।

আসেন গান গাই “এসব দেখি কানার হাট বাজার।”

০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১১:৩০

মহান পংকজ বলেছেন: হিন্দু ধর্ম ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, পথে না। পথ দিয়ে কি হবে আমার তো সেই ঈশ্বরকে দরকার। তা যে পথেই যাইনা কেন। একটু দেখবেন হিন্দু ধর্মের অনেকেই মুসলিম ধর্মমতেও সাধনা করে গিয়েছেন, তার মানে তার ধর্মচ্যুত হন নাই। তারা এক ঈশ্বরের কথাই বলে গিয়েছৈন শুধু পথটাই আলাদা, নিয়ম কানুন ই আলাদা। আর কি জানেন ধর্মের অনেক গ্যাপ আছে, যেগুলো ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে, কিছু বুঝি আবার অনেক কিছুই বুঝিনা। তাই যতটুকু বুঝি ততটুকুই শেয়ার করি যার প্রয়োজন সে যেন ধর্ম করার পথে একটু হলেও উপকৃত হয়। আর যার প্রয়োজন নাই, সে তো মুক্ত পাখি।
আর আপনার দেওয়া গানটা আমার অনেক প্রিয়। প্রায়ই শুনি আর গাই। ধন্যবাদ মন্ত্যবের জন্য।

১৬| ০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১১:৪৬

নীল_পদ্ম বলেছেন: ছিঃ ছিঃ ছিঃ ঈশ্বর আর শ্রীকৃষ্ণকে এক করতে যাবেন না। এই গানটা শুনুন। আর শ্রীকৃষ্ণ/রাম/বলরাম/পরশুরাম/নৃসিংহ/হনুমান হচ্ছে পৌরাণিক কাহিনী, এর ঐতিহাসিক কোন ভিত্তি নাই, এই ব্যাপারে বাস্তব আলোচনা অচল।

০৫ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৩৫

মহান পংকজ বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা যে আল্লাহ ই তার প্রমান আপনি কি দিয়ে দেখাবেন? শুধুমাত্র কুরআন দিয়ে, যখন আমি কুরআন আল্লাহর বাণী বিশ্বাস করবনা তখন কি দিয়ে করবেন?? আপনি কি কুরআনে বিশ্বাস করে মুসলিম হননি?? এখন আপনাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে কেমনে বিশ্বাস করলা? যদি তার মনে বিশ্বাস না থাকে তবে আপনি হাজার চেষ্টা করেও তাকে বুঝাতে পারবেন না। কারণ ঘুমন্ত মানুষকে জাগিয়ে তুলা যায়, জাগ্রত মানুষকে না। তাহলে কথা দাড়াচ্ছে বিশ্বাস, হ্যা ধর্ম সম্পূর্ণ্ই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে আছে। কেউ মানলে ভাল কিন্তু না মানলে কিছুই করার নাই। বর্তমান যুগে আর যুদ্ধ করে ধর্মান্তরিত করা সম্ভব না। তাইলে আমেরিকা অনেক আগেই তা করত। এখন শ্রীকৃষ্ণকেই কেন??? কথাগুলো আগেও বলছি, যদি আপনি/যে কেউ একটা গাছকেও আপনার পরম আরাধ্য ঈশ্বরকে ভক্তি করেন তা হলে আপনি কাকে ভক্তি করলেন গাছকে নাকি আপনার ঈশ্বরকে??? যদি কেউ বলে গাছকেই করেছি, তাহলে তার কাছে গাছই সব , আর যে প্রকৃত ভক্ত সে বলবে ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান, তাই তার সৃষ্টির মাঝেই তাকে খুজে নেই, আমার হাত উচু করে ডাকার কি দরকার??? ভক্তি মন থেকে আসে, হাত কেমনে রাখলাম, বসা ঠিক আছে কিনা, উপবাস/রোজা আছি কিনা এগুলো তো ভাই লোক দেখানো। ঈশ্বর আলাদা কোন জিনিস না আপনার অন্তরের থেকে তৈরী একটা স্বত্বা, যাকে আপনি আপনার মত ভাবে ডাকবেন, ভক্তি করবেন, এখন শ্রীকৃষ্ণ বলবেন নাকি তার মোট ১০৮ টা নাম আছে তা বলবেন, অথবা যে কোন নামেই ডাকেন সেটা আপনার ব্যাপার।
একটু সহজ ভাবে দেখেন, আশা করি বুঝবেন, আমি অন্তত এভাবেই দেখি বা বুঝি এটা কোন ধর্মে আছে তা আমার কাছে বড় না। ধন্যবাদ

১৭| ০৫ ই মে, ২০১১ রাত ১:২৭

কানা বাবা বলেছেন:
ঈশ্বররে ভালোবাসোনের হরেক ধরন আচে... ধরেন দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য, মধুর ইত্যাকার পোর্কারের... উৎকৃষ্ট কিম্বা তুরীয় ধরন বৈলা ধরা অয় 'মধুর' ধরনটারে... কারুর মতে এই ধরনটারে বুজাইতে গিয়াই কেষ্টলীলার অরিজিন...

এইখেনে পরমাত্মার লগে মিলোনের জেই উদগ্র কামনার বয়ান করা হৈচে, নাওন-খাওন ভুইল্লা হারা দিন-রাইত কেবোল কেষ্টচিন্তার গপ্পো কওন হৈচে- ঈশ্বররে হেইভাবে ভালুবাসবার পাল্লে হেইটারে কওন জাইবো 'মধুর' পোর্কারের ভালুবাসা... উই ফেইজে যখন যেই দিকে চাইবো খালি দেকপে কেষ্টা আর কেষ্টা তথা ঈশ্বরের বিবিধ বিভূতি... হেই পর্যায়ে পৌচলে চিন্তা চেতনায় ঈশ্বর তথা কৃষ্ণ বিনে কিচুই থাকপেনা...

মাগার ইরামের আপাতউচা মর্তবার তাফসিরে গোল বাঁধাইচে ঐ যে "পইর‌্যাছে চিক্কুররাশি"মার্কা মারকাটারি যৌন-উত্তেজক পংক্তি...

অহন হাজার চিক্কুর পার্লেও ঐন্য বেখ্যা মগজে সেঁধোবে না...

০৫ ই মে, ২০১১ রাত ১:৪২

মহান পংকজ বলেছেন: ওরে বাবা হুদাই কি আপনার নাম কানা বাবা নাকি!!! দাঁত গুলা শুধু মুখের ভিতরে আছে তাই, নাইলে কয়টা যে বের হয়ে যেত, লাষ্টের কথাগুলো যে কি ভাষা আমার মাথায় ধরলনা, একটু তর্জমা করলে ভালো হতো। তবে যতটুকু বুঝছি আপনার কথায়..
হ্যা আপনি মুল কথাটা ধরতে পারছেন, কিন্তু আপনার কথায় একমত হয়েই বলছি সারাদিন কৃষ্ণ চিন্তায় স্বর্গলাভ হতে পারে কিন্তু পেটে ভাত জুটবেনা। তাই দুইয়ের সংমিশ্রণ হলে সবচেয়ে ভাল হয়, যেমন প্রতিটা কাজের সময় যতটা সম্ভব ঈশ্বরকে ডাকা এতে একদিকে ধর্ম কর্ম হবে আর একদিকে মনটা অনেক শান্ত থাকে। পবিত্র থাকে। যেটা ইস্কনের প্রভুরা!!! করে থাকে।
আর ভাই একটু বুঝাইয়া কয়েন পরের থেকে। পুলাপান পাইয়া ঠকাইয়া দিবেন এটা কেমন কথা।

১৮| ০৫ ই মে, ২০১১ রাত ১:৪৪

গডব্রাদার বলেছেন: বুঝলাম, বিনোদন দানে হিন্দুরাও কম যায় না। হয়রান ভাইয়ের সাথে দৌড়ে নামেন। যে জিতব তারে একটা এক্সপোর্ট কোয়ালিটির তালগাছ দেয়া হবে।

০৫ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:০৮

মহান পংকজ বলেছেন: হুদাই সাহিত্যের কচকচানি, আর ঘুম আসা দর্শন সবাই গ্রহণ করতে পারবেনা।উল্টা বাহুল্য দোষে সবাই এসব থেকে দুরে ভাগবে। তাই তৎকালীন মুনি ঋষিরা সাধারণদের বুঝার সুবিধার্থে অনেক তত্ব, কথা সহজ গল্পের আকারে বুঝিয়ে গিয়েছেন। এখন আমরা যদি গল্পকেই নিয়ে বসে থাকি তাহলে মজা/বিনোদন ই পাব শুধু। ধর্মের কিছুই বুঝা যাবেনা। তবে এটা সত্য, গল্প আর সত্য এতটাই মিক্সড হয়ে গিয়েছে যে সত্যটা বের করা দুরুহ হয়ে গেছে।
আর হয়রান ভাই টা যেন কে?? আর আমি তালগাছের আশায় নাই,বা তাল ও খাইনা তয় তালের রস টা খুব ভালা পাই। দাওয়াত দিয়েন পাইলে পরে। :D

১৯| ০৬ ই মে, ২০১১ রাত ১২:২৪

গডব্রাদার বলেছেন: তালের রস ভালা পান অথচ হয়রান ভাইরে চিনেন না।????

০৬ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৪৬

মহান পংকজ বলেছেন: সত্যি ভাই চিনিনা। হ্যাতে কি তালের ব্যাবসা করে নি ক্যান?

২০| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ১:২৭

গডব্রাদার বলেছেন: http://www.somewhereinblog.net/blog/smraihan
ইনিই সেই বিশিষ্ট তালগাছবাদী।

১০ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১৯

মহান পংকজ বলেছেন: আপনার কমেন্টের উত্তর দিতে মন নাই, ওনারে চিনছি আর দুজনে তো এক লাইনের তাই জব্বর মোলাকাত হইছে,। আমারে একটা ব্যান খাওয়াইছেন পর্যন্ত। এক এর জিনিস।

২১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০৫

নিরঞ্জন বলেছেন: ভাল লিখেছেন। কমেন্টের জবাবগুলান ও ভালো লেগেছে। কিন্তু, সত্যি কথা বলতে কি, হিন্দুধর্মের মূল কনসেপটাই যাদের আয়ত্বে নাই তাদের বুঝানো সত্যি কঠিন।

১০ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২৪

মহান পংকজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আমি জানি হঠাত করে মাঝ থেকে লিখলে মানুষ বুঝবেনা তাই এখানে একটা সিরিজ আকারে লিখেছি। যারা জানতে ইচ্ছুক তারা একদম প্রথম থেকে পড়তে পারবে। কিন্তু অনেকে আছে তালগাছ আমার ঠিক করেই বিচারে আসে। তারা কনসেপ্ট টা বুঝেও এর বিরোধিতা করবে। তাদের জন্য আর বেশি কিছু বলার নাই। ধন্যবাদ আপনাকে। এতদিন আগের পোষ্টে ও মন্তব্য করার জন্য।

২২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০৩

জাওয়াদ তাহমিদ বলেছেন: লেখছেন ভালই তয় একটা কথা। আপনের হেন্দু দাদারা মুসলমান দের বিরুদ্ধে কেন লাগে সেইটা একবার বলেন? আইজকা ফেবুতে দেখলাম একটা ছবি কয়েক জারজ হেন্দু কুরআন ছিঁড়ে ফেলতেসে। দেইখা কিন্তু অনেক কষ্টে মেজাজ চেক দিসি। আমরা হিন্দুদের সাধারনত ঘাটাই না। কিন্তু আপনাদের কার্যকলাপ দেখলেই আপনাদের আর আপনাদের ধর্মের উপর মেজাজ অটোমেটিক খারাপ হয়ে যায় ।

আপ্নেদের মনগড়া দেবতারা যে একেকটা কি চরিত্রের তা দেশের বিভিন্ন পুরানো যদুঘরের মুর্তি গুলা দেখলেই বুঝা যায় । আর কিছু কমুনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.