নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অযথা ক্যাচাল পছন্দ না, তাই তালগাছবাদীরা দূরে থাকুন

মহান পংকজ

দার্শনিক, বাস্তববাদী

মহান পংকজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবশেষে বাংলাতে বেদ, ডাউনলোড করুন

০৫ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:৩৬

শুধমাত্র সনাতন ধর্ম অনুসারী ই নয়, অন্য ধর্মের অনেক অনেক অনুসারী ও বেদ সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বেদ সনাতন ধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ, বেদ চার প্রকার তার মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন হচ্ছে ঋগবেদ। এতে প্রায় ১০,০০০ এর ও বেশী মন্ত্র আছে। বেদের অন্য অংশগুলো হতে এটা অনন্য। যদিও বেদ সনাতন ধর্ম মতালম্বীদের প্রধান ধর্মীয়গ্রন্থ কিন্তু খুজতে গেলে ১% হিন্দু বাড়িতে ও বেদ পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে, অথবা অধিকাংশ মানুষই বেদ পড়েন নি। এটা শুধু ই অজ্ঞানতা না এর একটি কারণ হচ্ছে বেদ পড়ার কিছু আলাদা বাধ্য বাধকতা আছে এবং বাড়িতে বেদ রাখতে হলে বিশেষ কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয় তাই অনেকেই বেদ রাখার সাহস করেন না, সর্বোপরি গীতা কেই এখন প্রাধান্য দেওয়া হয় বেশী। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে পাপ হবে হোক কিন্তু আমার জ্ঞান দরকার, আর তার জন্যই আমাকে বেদ পড়তে হবে ও জানতে হবে।



বেদ মূলত সংস্কৃত ভাষায় তবে নেটে সার্চ দিলে ইংরেজীতে খুব সহজেই পাওয়া যাবে। কিন্তু বাংলাতে বেদ???? প্রায় অসম্ভব একটা চাওয়া। কারণ বাংলাকে অনেকেই তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনেই করেনা। আর সনাতন ধর্ম অনুসারীদের একটি বৃহৎ অংশ পশ্চিম বাংলার অধিবাসী হলেও আমরা বাংলাদেশীরা বাংলাকে নিয়ে যতটা ভাবি। তারা তার সামনে দিয়ে তো দূরের কথা পিছন দিয়ে ও যায়না। তাই বাংলাতে সনাতন ধর্মীয় বই পাওয়া বেশ কষ্টকর । অনেকেই বলবেন এত কষ্ট না করে কিনে নিলেই তো হয়। হুম কিনলে তো হয়ই কিন্তু নেট থাকতে কিনবো এটা ভাবতেই কষ্ট লাগে। মাঝে মাঝে মনে হয় ক্ষুধা লাগলে নেটে সার্চ দেই দেখি পেট ভরানো যায় কিনা। হা হা

যাই হোক অনেকদিন ধরে খুজছিলাম পাইনা, এমনকি অনেকের কাছে চেয়েছি কিন্তু কেউই বলতে পারেনি বাংলাতে বেদ এর লিংক। অবশেষে পেলাম এক গুপ্ত ভান্ডার যেখানে শুধুমাত্র বেদ ই না সনাতন ধর্মের অনেক মূল্যবান বই সংরক্ষিত আছে যেমন কলিকাতন্ত্রম, রাজযোগ, সৌরপুরান, উপনিষদ, মহানির্বান তন্ত্র ইত্যাদি অনে দুর্লভ বই। এই সকল বই এর অধিকাংশ বাংলাদেশে পাওয়া যাবেনা এটা প্রায় নিশ্চিত এমনকি ভারতে গিয়েও খুজে বের করা বেশ কষ্ট সাধ্য হবে। আর বইগুলো অনেকদিন আগের সংস্করন এটা বই এর হরফগুলো দেখলেই বুঝা যায়।

যাই হোক একবারে এত দেওয়া যাবেনা তাই প্রথমে শেয়ার করছি ঋগবেদ। এটি কয়েকটা অংশে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে, এতখানি আর কষ্ট করলাম না। যারা যারা ডাউনলোড করতে ইচ্ছুক তারা (হিন্দুধর্ম নিয়ে আমাদের সাইট হিন্দুইজম সাইট ) এ গিয়ে এই পোষ্ট থেকে ইচ্ছামত ডাউনলোড করতে পারেন। আর হ্যা মিডিয়াফায়ার লিংক। তাই নিশ্চিন্তে ডাউনলোড করুন বাংলাতে বেদ।

পরের পর্বে আরো কিছু ভালো ভালো বই শেয়ার করবো আশা করি। ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকবেন সবাই।

মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:০৭

নুপুর বলেছেন: +

০৫ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:২৪

মহান পংকজ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক প্লাসানোর জন্য।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:০৮

ইমন কুমার দে বলেছেন: ধন্যবাদ।

০৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:৪৪

মহান পংকজ বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন।

সবার কাছে ক্ষমা চাইছি প্রথমেই, পোষ্ট দেওয়ার কিছুক্ষণের মাঝেই বাইরে যেতে হয়েছে তাই সবার কমেন্টের উত্তর সময়মতো দিতে পারিনি।

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৩৬

মো. আবুল হোসেন, শিবচর, মাদারিপুর বলেছেন:
আপনার দ্বিতীয় লিঙ্কটাতো কাজ করছে না।

০৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:৪৮

মহান পংকজ বলেছেন: দুঃখিত, আসলে তাড়াতাড়ি করে পোষ্ট টি দিতে গিয়েই এমন হয়েছে। এখুনি ঠিক করে দিচ্ছি।

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৩৭

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: বহুত খুব। ডাউনলোডাইতে লাগাই গিয়া। পেলাচ।
সাইজটা বলে দিলে ভাল হত।

০৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:০৪

মহান পংকজ বলেছেন: হুম ডাউনলোডান মনের খুশিমতো। কারণ এই ভার্শন জাদুঘরে রাখার মতো। এটা টাকা দিয়েও এখন পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। আর সাইজ হচ্ছে
প্রারম্ভিক = 69 Kb(

সূচনা = 168 Kb(

১ম অধ্যায় = 7983KB

২য় অধ্যায় = 2951KB

৩য় অধ্যায় = 6926KB

৪র্থ অধ্যায় = 7409KB

৫ম অধ্যায় = 8024KB

৬ষ্ট অধ্যায় = 8457KB

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৪১

রাফীদ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আসলে অন্য ধর্মের বইগুলো খুজছিলাম আমি

০৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:০৭

মহান পংকজ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই। সামনে আরো কিছু দেওয়ার চেষ্টা করবো। ভালো থাকবেন

৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৪১

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: নাঃ লিঙ্ক কাজ করেনা। পেলাচ ফেরত দ্যান।

০৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:১০

মহান পংকজ বলেছেন: নাহ, এত অস্থির হলি পরে কি কাজ চলবি নাকি??? একটু ওয়েটান সবই ঠিক আছে, হয়তো অনেকে একসাথে চেষ্টা করছিলো তাই একটু জ্যাম লেগে গিয়েছিল। কাউকে কিছু দিলে ফেরত চাইতে হয়না। পেলাচ গুলো সুটকেসে রেখে দিসি সযতনে

৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৪৪

তামাটেসেলিম বলেছেন: +

০৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:১৩

মহান পংকজ বলেছেন: ধইন্যাপাতা আপনাকে।

৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৫০

ঘুমরাজ বলেছেন: লিঙ্ক কাজ করেনা।

০৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:১৫

মহান পংকজ বলেছেন: হুম, পোষ্টের দ্বিতীয় লিঙ্কটাতে http:// অংশটা দুইবার হয়ে গিয়েছিল, তাড়াতাড়ি করতে গিয়েই এমনটা হয়েছিল, একটু আগে ঠিক করে দিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে

৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:১১

অশ্বথবৃক্ষ বলেছেন: দু-পেয়ে কুত্তা, ভালোমত বেদ পৈড়া বেদ নিয়া কিছু নাস্তিকতা দেখাইস ।

০৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:১৯

মহান পংকজ বলেছেন: এতক্ষন তো কমেন্টগুলান ভালাই আছিল্‌। হুদাই ত্যানা প্যাচান শুরু করলেন।
আর দুপেয়ে গাধ কে বলবো, বেদ নিয়েও নাস্তিক কথা লিখেন কারণ সমালোচনা না আসলে জ্ঞান পরিপূর্ণ হয়না। ভুলগুলো ধরুন। ভুল থাকতেই পারে, হয়তো বা বইয়ের ভুল না হয় আমাদের জ্ঞান সেইপর্যন্ত যায়নি। তাই বলে কেউ সমালোচনা করলেই তাকে ...... করবো বা বলবো এটা সনাতন ধর্ম শিক্ষা দেয়নি

১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:২৪

নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: এই ব্লগারের প্রিয় পোষ্টের তালিকা দেখুন সবাই!

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন ও রাধা কৃষ্ণের প্রেম কাহিনী ।। - কবিশহিদুল

মুসলিমদের বিশ্বাস করা ১০টি মিথ - ঘুমাচ্ছিলাম
রসদঃ মুক্তচিন্তা, অবিশ্বাস, সন্দেহবাদীতা, যুক্তিবাদীতা এবং বিজ্ঞানবিষয়ক পোস্ট সংকলন। - আসিফ মহিউদ্দীন

বাঙালির ধর্মচিন্তা, আধ্যাত্ত্ববাদের ঐতিহ্য এবং সাম্প্রদায়িকতার উত্থান - পারভেজ আলম

লক্ষ্য করুন! আর সেই সাথে এই ব্লগারের দেয়া হিন্দুইজম প্রচারের ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দেখুন!

@লেখক দাদা, কলকাতার বাঙ্গাল গুলো এরকম আবাল হয় কেন বলুন তো!

@দু পেয়ে গাধ, জয়প্রকাশ দা আছেন কেমুন!

০৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৩১

মহান পংকজ বলেছেন: ওরে বাবা আপনি দেহি আমারে নিয়ে লাগলেন এবার। হুম ভালো ভালো। কখনও কোন তথ্য দিলে পরিপূর্ণ দিবেন আশা করি। সেখানে আরো কয়েকটা পোষ্ট আমার প্রিয়তে ছিল, যেমন কবির চৌধুরির গীটার নিয়ে একটি, ফেসবুক নিয়ে একটি, কই এগুলো তে বললেন না?? না সেগুলো দিলে জমতো না। আর যেগুলো দিছেন সেগুলো নিয়ে একটু কথা বলি
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নিয়ে যে পোষ্ট টা সেটা বেশ তথ্যভিত্তিক

১০ টি মিথ এর পোষ্ট টা অনেক অনেক সুন্দর একটু ভেবে দেখেন ধর্মের মাঝে কিভাবে লৌকিক সংস্কৃতি ঢুকে যায়, যা পরবর্তীতে ধর্ম নামেই প্রকাশ পায়। যদি তাও কষ্ট লাগে তবে সেখানে পোষ্ট টি পড়ে প্রতিবাদ করুন, যুক্তি দেখান।

আসিফ মহীউদ্দিন এর পোষ্টে সমস্যা??? নাস্তিকদের একদিকে ভালো মনে করে কারন তারা শুধু পজিটিভ না দেখে নেগেটিভ গুলো তুলে আনে। তাতে কোন বিষয় নিয়ে পরিপূর্ণ জানা যায়, অনেকসময়ই নাস্তিকরা হয়তো ভুল করে কিন্তু তা তখনি বুঝতে পারবেন যখন সেই ব্যাপারটা ভালোমত জানবেন। কিন্তু নাস্তিক দেখলেই ব্লক মারবেন তো জানবেন কি?? তাই জ্ঞান বাড়ানোর চেষ্ট করি। সত্যিকথা বলতে কি আমাদের অনেক আস্তিক থেকে নাস্তিকরা বেশী পড়াশুনা করে। আমরা তো হুজুরে কইছে তাই মানি এই নীতিতে বিশ্বাস করি।

আর বাঙালীর ধর্মচিন্তা এই পোষ্ট টা পড়ে দেইখেন আমার দেখামতে সামুতে অন্যতম একটা তথ্যভিত্তিক একটা পোষ্ট। এটা আমার প্রিয়তে রেখে আমি গর্বিত।

আর হ্যা আমার করা সাইট যেন আগ্রহীরা দেখে সেইজন্যই এখানে লিঙ্ক দিছি আপনি আবার প্রচার করলেন এজন্য ধন্যবাদ। সেখানে কোথাও চরমপন্তীতা পাবেন না। কিন্তু আপনার ধর্মের অনেক অনেক চরমপন্থী সাইটে আমি প্রায়ই যাই। জ্ঞান বাড়াতে।

কলকাতার বাঙ্গাল গুলা কেন আবাল হয় তা আমি জানিনা, জীবনে কলকাতা যাইনাই এখনও, গেলে বুঝতে পারবো। তাই এখনি উত্তর দিতে পারছিনা।

১১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:২৫

মামুন হতভাগা বলেছেন: অশ্বথবৃক্ষ বলেছেন: দু-পেয়ে কুত্তা, ভালোমত বেদ পৈড়া বেদ নিয়া কিছু নাস্তিকতা দেখাইস ।

১২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:২৯

মো. আবুল হোসেন, শিবচর, মাদারিপুর বলেছেন:
এইমাত্র প্রথম লিংকটা দ্বারা ডাউনলোড শেষ করলাম।
দ্বিতীয় লিংক কাজ করে না।

১৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:৫১

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: গোলমেলে সাইট। প্রথম লিঙ্কে থেকে বেদ খুঁজেই পেলাম না।
আরেকটা কথা জানার ছিল। এই পিডিএফ থেকে কি কপিপেস্ট করা যাবে? আমার কাছে ছাপানো বই আছে, তার থেকে নেটে রেফারেন্স দিতে সমস্যা। যদি কপিপেস্ট করা যায় তো সুবিধা হয়। তবে বেশির ভাগ বাংলা পিডিএফ দেখেছি কপিপেস্ট বা কনভার্ট করলে অনেক ভুলভাল আসে। বাইবেল বা কোরানের বাংলা পিডিএফ যেগুলো আছে তার থেকে কনভার্ট করে বাংলাই আসে না। এই ব্যাপারটা একটু কিলিয়ার করেন, আর সাইজ কত সেইটা বলে দেন।

০৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৫০

মহান পংকজ বলেছেন: সরি সময়মতো লিঙ্কের ভুলটা ঠিক করতে পারিনি।
পিডিএফ টা সাধারনত পিকচার ফর্মেটের মত থাকে। এটা ocr প্রযুক্তির মাধ্যমে document format এ আনা হয়। শুধুমাত্র ইংরেজীতেই এভাবে কাজ করা যায়। কিন্তু বাংলাতে হয়না। যেকোনো বাংলা পিডিওফ ফাইল থেকেই এটা করতে পারবেন না। আর এটা এত আগের বই আর যে হরফে লেখা হয়েছে এটা দিলে ভালমতো পড়তেই কষ্ট হয়। আর কম্পিউটার এটার ফন্ট ঠিক রাখবে কেমনে?? কম্পুর তো স্ক্র গুলা ঢিলা হয়ে যাবে।
তবে একটা সফট এর কথা শুনছি যেটার নাম হচ্ছে bangla ocr যেটা দিয়ে কনভার্ট করা যায় বাংলা পিডিএফ তবে সেটা চালাতে আর একটা সফট লাগে সেটা হচ্ছে microsoft .net framework, কিন্তু এই পদ্ধতিতে কেমন কাজ করে তা জানিনা। এখনও চেক করা হয়নি। আপনি পিডিএফ থেকে স্ক্রীনসট নিয়ে রেফারেন্স দিতে পারেন যদি কেউ বিশ্বাস করতে না চায়। তাছাড়া উপায় দেখিনা। ধন্যবাদ সাইজ উপরে একবার বলছি এবার সম্পূর্ণ টা বলি ৪০.৯ মেগাবাইট

১৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৩৩

মো. আবুল হোসেন, শিবচর, মাদারিপুর বলেছেন: @দু-পেয়ে গাধ
প্রথম লিংক থেকে তো আমি খুঁজে পেয়েছি আর অলরেডি সব ডাউনলোড করেছি।
এটা থেকে কপি-পেস্ট করতে পারবেন না। কারণ- পুরনো (লেটার) প্রেসে ছাপা বইয়ের স্ক্যান কপি থেকে পিডিএফ করা হয়েছে।

১৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩২

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: মো. আবুল হোসেন, শিবচর, মাদারিপুর@
এইবার পেলাম। এ তো অতি প্রাচীন পুস্তক। নামিয়ে দেখি।

লেখককে অনেকগুলো সুপার লাইক দিলাম। আচ্ছা, হিন্দি/ সংস্কৃত ফন্ট আর কিবোর্ড বিষয়ে কোনো সাজেসন দিতে পারেন? অভ্রর মতন ফোনেটিক হলে ভালো হয়।

০৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৩৬

মহান পংকজ বলেছেন: হুম প্রথম থেকেই বলছি অনেক আগের বই, প্রকাশ কাল বাংলা ১লা বৈশাখ, ১২৯৩ আর এখন চলছে ১৪১৭ তাহলে হিসাব করুন কত্ত আগের বই। হিন্দি ফন্ট নেটে সার্চ দিলেই পাবেন তবে সংস্কৃত জানিনা। আর অভ্রর মত কিছু আছে কিনা জানিনা। জানলে জানাব অবশ্যই। ধন্যবাদ।

১৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৩৯

জিসসান বলেছেন: চারালের বাচ্চা চারাল। গরুর পুটকি চোষ

১৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:০৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: ডাউন দিলাম । +

০৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:১৬

মহান পংকজ বলেছেন: ধন্যবাদ প্লাসানোর জন্য। ভালো থাকবেন।

১৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:৪৭

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: আসলে সামুতে বেদের প্রভাব এতই কম যে তা নিয়ে পোস্ট দেবার মতন এনার্জি পাই না। আপনি নিজেও সেটা যাচাই করে দেখতে পারেন। গীতা বা পুরাণ নিয়েও খুব সামান্য সংখ্যক ব্লগারই মাথা ঘামায়। এসব নিয়ে দু-চারটা পোস্ট দেবার পরেই সেটা বুঝে নিয়েছি। একটা নিয়ে আপনার সাথেও ক্যাচাল লেগেছিল। আপনার মনে আছে কিনা জানিনা, আমার কিন্তু পরিষ্কার মনে আছে।

ইংরাজী এবং বাংলা বেদ আমি আগেই পড়েছি। সাথে বাংলা হরফে মুল টেক্সট সমেত ছিল বইটায়। এখন নেট থেকে সংস্কৃত পড়ার চেষ্টায় আছি। ধর্মের পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে হলে এর মতন বই আর হয় না। তবে ঐসব মন্ত্র দিয়ে কোনো অলৌকিক কাজ হয় বলে বিশ্বাস করার মতন কোনো কারণ দেখিনি। অথর্ববেদে গোড়ার দিকেই একটা মন্ত্র আছে যেটায় নাকি চোর ডাকাত দূর হয়। চাইলে দরজা খুলে রেখে পরীক্ষা করতে পারেন। সত্যিই যদি কাজ দেয় তবে মেনে নিতে মোটেই আপত্তি করব না। মন্ত্রটা লাগলে নেট সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন। না পেলে আওয়াজ দিয়েন।

আলোচনাতে আপত্তি না থাকলে যেকোনো সময়েই শুরু করতে পারেন। তবে বিশ্বাস আহত হবার অজুহাত বাদ দিতে হবে।

আপাতত আপনাকে আলোচনার একখানা টপিক দিয়ে যাই। বৈদিক ধারণায় আত্মা কেমন ছিল তাই নিয়ে ক্যাচালে রাজি আছেন? রাজি থাকলে আপনার বক্তব্য সমেত পোস্টান।

০৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৩৬

মহান পংকজ বলেছেন: হুম সনাতন ধর্ম পালনকারী যারা আছে তাদের মাঝে বেশিরভাগই এ ধর্ম সম্পর্কে মূল ধারনাটুকুও রাখেনা( আমিও এর বাইরে না, কারন এর ব্যাপ্তি এত বড় যে কোন কুল কিনারা পাইনা, তবে যতটুকু বুঝতে পারি সেটুকু ধারন করার চেষ্টা করি)। এখানে সনাতন ধর্ম নিয়ে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করার মানুষ হাতে গুনা ২ থেকে ৩ জনের নাম বলতে পারি। তাই এগুলো নিয়ে পোষ্টাইলে আপনার চলবেনা কারণ পোষ্টের সমালোচনা না আসলে ক্যাচালীয় পোষ্ট ঠিক জমেনা। আপনার সাথে কমেন্টে দুই একটা কথা হয় কিন্ত ক্যাচাল লাগছিল এটা মনে পরছেনা, তবে একটায় আইনস্টাইন এর সাথে কিছুটা লেগেছিল তবে সেটা তেমন না।
আমি বইগুলো কালেক্ট করেছি কিছুদিন আগে এখনও তেমন ভাবে পড়া হয়নি, কারণ অনেক গুলো বই তো তাই সবগুলো ২ - ৪ পৃষ্ঠা করে পড়তে পড়তে তালগোল পাকিয়ে ফেলছি। আর আপনার সাথে এমনিতেই ক্যাচাল করতে চাইনা দুইটা কারণে প্রথমত ক্যাচাল করার জন্য সামুতে আসিনি, তবে যুক্তি তর্কে আলোচনা হলে স্বাগতম, আমি তালগাছ নিয়ে বসিনি, আমি কসম কেটে বলিনি আমার ধর্মে কোন ভুল নাই এটা ঈশ্বরের মত পবিত্র যে ভুল ধরতে চাইবে তার জন্ম ই ভুল। তাই ক্যাচাল হবেনা। আর একটা কথা হচ্ছে যুক্তি তর্ক করতে গেলে এখন অনেক পড়াশুনা করতে হবে রেফারেন্স এর জন্য কিন্তু সামনে ২১ তারিখ থেকে পরীক্ষা থাকার জন্য সেই সময়টুকু পাবোনা। এখন পিসিতে বসা হয় শুধুই refreshment এর জন্য।
তবু আপনার প্রশ্নের হাল্কা একটু টাচ দেই, বিভিন্ন মেলায় দেখবেন তন্ত্রশাস্ত্র এর বই পাওয়া যায় বিষয় হচ্ছে বশীকরন, মারন, উচ্চাটন, আকর্ষণ ইত্যাদি, সেখানে লেখা থাকে একটি মন্ত্র ২১ বার পরে ফু দিলেই অমুক মেয়ে দাসীর মত বশ হয়ে যাবে!! আমি একসময় চেষ্টা করছি হয়না। কেন জানেন?? মন্ত্র পড়ার যোগ্যতা লাগে, মন্ত্র জাগ্রত করতে হয়, পুরশ্চকরন করতে হয়, অধিকারী হতে হয়। একটা মন্ত্র পড়ার আগে প্রায় ২১ রকম কাজ করতে হয় যেমন আসনশুদ্ধি, জলশুদ্ধি, মুখশুদ্ধি, অঙ্গন্যাস, করন্যাস, ফুল শুদ্ধি ইত্যাদি এরপরে ও আরো অনেক অনেক কাহিনি আছে সেই মন্ত্র নিয়ে কাজ করবার উপযুক্ত হতে, একটু নেড়েচেড়ে দেইখেন এগুলো একসময় এর পরে বুঝবেন কেন মন্ত্র তে কাজ হয়না। যেহেতু আমাদের অধিকার নাই, মন পবিত্র না, শরীর শুদ্ধ না তাহলে কিভাবে এগুলো হবে। তবে মন্ত্রের শক্তি আছে, আমি নিজে দেখেছি।
বেদ টা তেমন পড়া হয়নাই এখনও তাই বৈদিক ধারনা টুকু ঠিক বলতে পারছিনা, তবে কোথায় যেন শুনছিলাম একটি চুলের অগ্রভাগের ১০,০০০ ভাগের একভাগ হচ্ছে আত্মা, জানি এখানে যুক্তিটা ঠিক মতো হলোনা তবু সময় অভাবে বিস্তারিত দেখে বলতে পারলাম না।

অনেকেই এখানে বলবে আলোচনা বা ক্যাচাল থেকে পিছু হটছি, যার যা ইচ্ছা বলুক, আমি সত্যটুকুই উত্থাপন করলাম। যেটা না জানি সেটা বলতে লজ্ঝা বোধ করার কোন কারণ দেখছিনা।

১৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:১২

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: একটা প্রশ্ন নিয়ে সমস্যা থাকলে আরো দুইখান দিয়ে যাই।

১) বুদ্ধ বৈদিক আচারের বিরুদ্ধে ছিলেন। এমনকি বেদকে অলৌকিক গ্রন্থ বলে বিশ্বাস করতেন না। এখন বুদ্ধ অন্যতম অবতার। জয়দেব এর গীতগোবিন্দ তে আছে

নিন্দসি যজ্ঞবিধেরহহ শ্রুতিজাতম |
সদয়হৃদয়-দর্শিত-পশুঘাতম্ ||
কেশব ধৃত-বুদ্ধশরীর জয় জগদীশ হরে ||১৩||

প্রশ্ন হল বৈদিক যজ্ঞের নিন্দা করেও বুদ্ধ যদি অবতার হন তবে কার কথা ঠিক এবং কেন?

২) বেদের বেশ কিছু শ্লোক আছে যেগুলো মহিলাদের রচনা। কিন্তু মনুসংহিতায় লেখে মেয়েদের বেদ পড়া নিষেধ। বেদের বিরোধী একটা শাস্ত্র কিভাবে হিন্দুধর্মে গ্রহণযোগ্য হয়? কোনটা ঠিক এবং কেন?

০৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ২:০২

মহান পংকজ বলেছেন: হুম সনাতন ধর্ম মতে বুদ্ধ কে বিষ্ণুর অবতার বলা হয়। গৌতম বুদ্ধের নাম ছিল সিদ্ধার্থ জন্মসুত্রে তিনি হিন্দু ছিলেন, তবে এজন্যই যে ধর্মগুরু হওয়াতে তিনি অবতার হয়ে যাবেন তা না। আমি যেভাবে বুঝি তা বলছি।
এটা অবশ্যই জানেন সনাতন ধর্ম এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, তবে এটা মানে তার বিভিন্ন রুপ থাকতে পারে। আর সনাতন ধর্ম অনেক আগে থেকে চলে আসছে যেহেতু তাই সময়ের প্রয়োজনে এবং মানুষের সামর্থের কথা বিবেচনা করে এখানেও পরিবর্তন এসেছে যেমন দেখবেন একবেদ হচ্ছে যজ্ঞপ্রধান, কোনটায় গান, আবার কোনটায় গৃহস্থালী জিনিস প্রাধান্য পেয়েছে, পূর্বে শুধুমাত্র দানধ্যান করাটাই বড় পূণ্যের কাজ মনে কার হতো। যাই হোক এই যে এতুগুলো পথ এসেছে বিশ্বাসীদের মতে এগুলো ঈশ্বরের নির্দেশে বিভিন্ন মুনি ঋষিগন প্রচার করে গিয়েছেন তখনই যখন তিনি সেগুলোতে পাশ করে গিয়েছেন(কোন অলৌকিক ভাবে না)। এই যে এতগুলো পথ এসেছে সনাতন ধর্ম মতে সবগুলোই সেই ঈশ্বর কে পাওয়ার ই পথ, এখানে শুধুমাত্র পথের ই ভিন্নতা। কিন্তু গন্তব্য তো একই তাই সনাতন ধর্ম এগুলোক দূরে সরিয়ে দেয়নি। যেমন মন্ত্র প্রধান ঋগবেদ এর পরে গান প্রধান সামবেদ আসলেও ঋগবেদ বিলুপ্ত ঘোষিত হয়নি তেমনি বুদ্ধ কে বেদের বিপরীতে যাওয়াতেও ত্যাজ্য করা হয়নি কারন তিনি যে পথ দেখিয়ে মুক্তি লাভ করেছেন সেটাও তো ঈশ্বর প্রাপ্তির পথ। সনাতন ধর্ম ঈশ্বরকে কুক্ষিগত করে রাখেনি আমার আমার বলে । বাকীটা কি বলবো আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

বেদ অনেক আগে এসেছে মনুসংহিতার । আর মানের বিচারে মনুসংহিতা বেদের ধারে সামনেও নাই। মনুসংহিতা কাদের দ্বারা তৈরী তা অবশ্যই মনে হয় জানেন, তবু হাল্কা ভাবে বলছি আর্যরা যখন এই উপমহাদেশে আসলো এবং এখানে থাকার জন্য আধিপত্য বিস্তার করতে চাইলো তখন তারি নিজেদের বড় দেখিয়ে ধীরে ধীরে বেশ কিছু ধর্মীয় গ্রন্থ!!! রচনা করেছিল। সেখান থেকেই এই জাত প্রথার এত গ্যাঞ্জাম, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ টা ও তাদের হাতের তৈরী। শুধুমাত্র এখানে প্রভাব ও প্রতিপত্তির সাথে টিকে থাকার জন্য তারা ধর্মীয় বড় বড় পদে নিজেদের নিজেরাই আসীন করেছিল। তাদের ই একটা কাজ এই যে মেয়েরা বেদ পড়তে পারবেনা। অথচ সনাতন ধর্মে অনেক বিদুষী মেয়ের নাম পাওয়া যায় যেমন মৈত্রেয়ী, ইত্যাদি।
আবার দেখবেন মনসংহিতার অনেক অনেক কথাই শুনলে ধর্ম সম্পর্কে খারাপ ধারনা এসে যায় কিন্তু একটা ব্যাপার হয়েছে কি তখনকার সময়ে এটা একটা আইনের মত ব্যাবহৃত হতো (আমার জানামতে আর্যদের দ্বারা)। কিন্তু কালের বিবর্তনে এটাও ধর্মীয় গ্রন্থ হিসেবে চলে এসেছে। পুরাই ফাউল।

২০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:২৮

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: ওহ! বাংলা OCR আমি অনেক আগেই ট্রাই করে দেখেছি। অতিশয় বাজে কাজ করে। আপনাপাঠক নামে আরেকটা পেয়েছিলাম। তার ডেভেলপার অন্য কাজে মন দিয়েছেন। বাংলায় OCR বলতে আদৌ কিছু এখনো পাওয়া যায় না।

০৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ২:০৫

মহান পংকজ বলেছেন: তাহলে আশায় থাকেন নতুন কোন প্রযুক্তি আসে কিনা, না হলে তত দিন ফডু তুলেই রেফার মারেন। আমি জানলে শেয়ার করবানে।

২১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ২:১৫

মগবাজারি বলেছেন: শুনা যায় আমনাগো রামবাবু বেদ পড়ার অপরাধে শুদ্ররে হত্যা কর্সিল। এ ব্যপারে আপ্নের অভিমত কী?

বিদ্র: মনুসঙহিতা মতে শুদ্রগো বেদ পড়া অপরাধ

০৬ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:১৫

মহান পংকজ বলেছেন: রাম বাবু এরাম আকাম ডা কবে করলো এটা তো শুনিনাই। আপনেই পেত্তম শুনাইলেন। দয়া করে যদি একটু ক্লিয়ার করে কইতেন বা রেফারেন্স দিতেন তাইলে ধইন্যা হইতাম। আমি এই নীতি মানিনা। এটা উপরে দু পেয়ে গাধ এর কমেন্টেই বলছি।
তয় আর দুইডা কথা না কইলেই না, যেটা হচ্ছে সনাতন ধর্মে জাত প্রথা বলতে যা দেখি এখন আমরা তার ভিত্তি ই নাই। জাত প্রথা এমন ছিল যে, প্রত্যেকে তার নিজের সামর্থ অনুসারে কোন জাতির তা নীর্ণিত হবে। সবাই একধরেনের কাজ বা বিক্ষিপ্ত ভাবে কাজ করলে সমাজের উন্নয়ন হয় না। তাই যার ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান বেশী তিনি ই ব্রাক্ষ্মন হবেন আবার যার শারিরীক শক্তি বেশী তিনি ক্ষত্রিয় হবেন। যদি এ বিষয়ে আর ও একটু ডিটেইল জানতে চান তবে এই পোষ্ট টি পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি বুঝার চেষ্টা করলে বুঝতে পারবেন Click This Link

২২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ২:২২

মগবাজারি বলেছেন: শ'য়ে শ'য়ে বছর ধইরা হিন্দুরাতো মনুদারে'ই মাইনা সব কামকর্ম কর্ল। তো এখন তাগো কী হৈবো? তেনার কি সগ্গে যাইবো? তেনাগো কি মোক্ষ লাভ হৈবো?

এক্টা সম্পুরক প্রশ্ন: মহাভারত আগে লেখা হৈসে নাকি মনুসঙহিতা আগে লেখা হৈসে?

০৬ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৫১

মহান পংকজ বলেছেন: মনু সংহিতা যা একটি স্মৃতি বা শ্রুতি, যেটা এসেছে বেদের পরে, এটা বেদের বাণী যারা সঠিকভাবে বুঝতে পারেনা মূলত তাদের জন্য। কারণ বেদের কিছু কিছু নিয়মাবলী কালের বিবর্তনে মানুষ মেনে চলতে পারেনি। তো দেখেন সনাতন ধর্মে মনু সংহিতা প্রধান না, যারা এটাকেই প্রধান ধরে কাজকর্ম করেছেন প্রথমত একটু ভুল তো আছেই, তবে যদি ভাল কিছু করে থাকেন (মানে ঈশ্বর ভক্তির ক্ষেত্রে) তা অবশ্যই ভালো বলে বিবেচিত হবে্ । আর খারাপ কিছু মানে নির্যাতন করলে অবশ্যই তার শাস্তি হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এবার আসি রচনা কাল, মনুসংহিতা প্রথম স্যার উইলিয়াম জোনস্‌ ১৭৯৪ সালে ইংরেজীতে অনুবাদ করেন এর পাশাপাশি অনেক ইতিহাস বিদ যেমন হান্টার, এলফিনস্টোন, ড: কল্ডওয়েল প্রভৃতি মনিষীগন ও মনুসংহিতার সঠিক সময়কাল নির্ণয় করতে পারেনি। তবে আর একটু তথ্য দেই
মনু সংহিতা সরাসরি মনু কতৃক লিখিত হয়নি, মনু ছিলেন বেদএর বিভিন্ন শাখার জ্ঞানধারী একজন ঋষি, তার দ্বারা আদেশ প্রাপ্ত হয়ে মহর্ষি ভৃগু মনুসংহিতার শ্লোকগুলো বয়ান করেন। কিন্তু আরো কথা আছে এখানে -
পুরান মতে "সর্বপ্রথম মনু এক বৃহৎ ধর্মশাস্ত্র রচনা করেন, তাহার পর তাহাকে ভৃগু সংক্ষিপ্ত করিয়া রচনা করেন; ভৃগুর পর নারদ, নারদের পর বৃহষ্পতি এবং বৃহষ্পতির পর অঙ্গিরা: উক্ত মানব ধর্মশাস্ত্রকে ক্রমে সংক্ষিপ্তভাবে সঙ্কলন করেন"। আবার আর নারদ স্মৃতিমতে "সর্বপ্রথম মনু কৃতৃক রচিত ধর্ম শাস্ত্রতে এক লক্ষ শ্লোক ছিল যা ১৮০ অধ্যায়ে বিভক্ত ছিল, সেটা নারদ সংক্ষিপ্ত করিয়া ১২,০০০ এ আনেন আবার মার্কন্ডেয় ঋষি তাকে ৮,০০০ এ আনেন এবং সর্বশেষ ভৃগুর পুত্র সুমতি তাহা ৪,০০০ এ সংক্ষিপ্ত করেন।
এর পরেও আমার জানামতে আর্যরা তাদের প্রভাব বিস্তার করার জন্য এটাকে আরো কিছু কিছু যায়গায় কাটাছেড়া করেছে, আর বর্তমানে প্রথম মনু সংহিতার অল্প কিছু গদ্য শ্লোক ই পাওয়া যায় বাকীগুলো বিভিন্ন মনীষীর টীকা থেকে পাওয়া যায়, কিন্তু বর্তমানে যেটা আমরা দেখছি তাতে মেধাতিথি নামে এক মনিষির অবদান ই বেশী তিনি খ্রিষ্টীয় নবম বা দশম শতাব্দিতে মনু সংহিতার অনেক টিকা তৈরি করে গিয়েছিলেন ।
আর যেহেতু মহাভারত ও রামায়নে, পুরানে অনেক যায়গায় মনু সংহিতার কথা আছে তাই সহজেই বলা যায় মনু সংহিতা অধিক প্রাচিন। কিন্তু যেহেতু এটা প্রথমকার টা সংরক্ষন করা যায়নি তাই যেটা আছে সেটা কতখানি সঠিক আমার তাতে সন্দেহ আছে।

২৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:৩৯

নষ্ট কবি বলেছেন: পুষ্ট তো অনেক পুষ্টিকর!!!!


এখানে বহু ছাগুদের আগমন হেতু পুষ্টি কমিয়া যাইতেছে :!> :!>

২৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:০০

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: ওক্কে, আপনি পরীক্ষা দেন এখন। ফ্রি হলে নতুন পুস্ট দিয়েন, আলুছানা করা যাবে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৬

মহান পংকজ বলেছেন: হে হে পরীক্ষা ডা যেয়ে নিক, জম্পেস ত্যানা প্যাচানো যাবেনে।
আচ্ছা আপনারা এত পড়েন কেমনে? আমি তো নিজের ধর্মের টুকু ই ঠিকমতো পড়তে পারিনি, কুরআন কিছুটা পড়ছি, হাদিস পড়তে গিয়ে হোচট খাইছি আর বাইবেল কিছুটা পড়ছি কিন্তু কোনটাই শেষ করতে পারিনি। আর মনে রাখতে পারিনা এত এত জিনিস তার আবার রেফারেন্স !!!!! মাথার উপর দিয়ে যায় এত কিছু। মেশিন হলে ভালো হতো।

২৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:০৪

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: নষ্ট কবি@ আপনার তো মাস ছয়েক আগেই অফিস থেকে ফিরে গীতা নিয়ে একটা ডিটেল ব্যাখ্যা দেবার কথা ছিল। :-B :-B

২৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: যে জাতির ইতিহাস নাই তার কোনো ভবিষ্যত নাই।
আগে কি থেকে কি হয়েছে তা না জানলে নতুন কিছু করবেন কিভাবে? যারা এই নতুন কিছু করার দায় ঈশ্বরের উপর চাপিয়ে শান্তিতে থাকতে পারে তাদের এসব না জানলেও চলে। নাস্তিকেরা জানে যে মানুষে না করলে কোনোদিন নতুন কিছু হবে না। কাজেই আগে কি থেকে কি হয়েছে তা জানতেই হয়।

০৭ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:১৭

মহান পংকজ বলেছেন: জ্ঞান হচ্ছে ব্রক্ষ্ম, সত্য, আলো। তাই সব সময় জ্ঞনের সন্ধান করি, সেটা যেখানেই থাকুক না কেন। মানুষ যেমন ভবিষ্যত কে উদ্দেশ্য করে কাজ করবে, তেমনি অতীত কে অস্বীকার করে নয়। অতীত পারিপার্শিক অবস্থার কারণে তখনকার সময় যেটা উপযুক্ত ছিল এটা এখনকার সময়ে উপযুক্ত না ও হতে পারে। সেটা তো মানতে হবে, মানুষের ভুল হওয়া অস্বাভাবিক না। এই সব চিন্তা ভাবনার জন্য চরমপন্থী হতে পারলাম না।
একসময় ইচ্ছা ছিল খুব ধার্মিক হবো, সবকিছু বুঝিনা তাই হলাম না, আবার ভাবতাম কিছু নাস্তিকতা আ্ছে তাই নাস্তিক হবো, কিন্তু নাস্তিকতা তেও পূর্ণ বিশ্বাস পাইনা। অনেক যায়গায় ধোয়াসা লাগে, তাই যেটা মনে স্ম্পূর্ণ বিশ্বাস করতে পারিনা সেটা ধারন ও করতে পারিনা। তাই এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, আর মানবতার ধর্মে বিশ্বাস করি। নিজের বিবেক দিয়ে বিবেচনা করি আর সেভাবে চলার চেষ্টা করি।
তাই আপনার সাথে মুক্ত আলোচনা করতে সমস্যা নাই। শুধু অযৌক্তিক প্যাচাল বাদ দিয়ে আলোচনা হবে আপনার সাথে কয়েকটা দিন পর থেকে। ভালো থাকবেন

২৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:০০

নষ্ট কবি বলেছেন: ভাই আমি সব খালি ভুইলা যাই- আমার কিছু ই মনে থাকেনা @ দু-পেয়ে গাধ

২৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:০১

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এটাই খুঁজছিলাম। অনেক ধন্যবাদ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৫৫

মহান পংকজ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইটি।

২৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:১১

অন্য হিমু বলেছেন: অনেক অনেক প্রীত হইলাম

৩০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

অ িজত বর্মন বলেছেন: অশ্বথবৃক্ষ, আপনার মন্ত্যেবের জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্য ভালো হোক খারাপ সেটা বড় কথা নয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা বড় কথা। তবে জ্ঞান আহরণ যে কোনো ধর্মের যে কোনো গ্রন্থ থেকে গ্রহণ করা যেতে পারে। কারণ জ্ঞান মুানুষকে মুক্ত মনের অধিকারী করে দেয়।

৩১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০২

সুবীর গুপ্ত বলেছেন: এমন ভান দেখান যেন বাংলা ভাষা কে উদ্ধার করে দিয়েছেন আপনারা। আর আমাদের ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর , রবিন্দ্রনাথ,বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র বসে বসে ঘাস কেটেছেন , অস্কার ও সত্যজিত পান নি,বনফুল,শরদিন্দু,এরা কিছুই করেন নি। বর্ণমালা টা আসল কথা থেকে?

৩২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৯

সুবীর গুপ্ত বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ বানান ঠিক লেখা সত্তেও ভুল পোস্ট হল কিভাবে জানি না , এডিট করতে পারলাম না চেষ্টা করেও । দুঃখিত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.