নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবর্তনবাংলা

চারপাশে শুধু পরিবর্তন দেখতে পাই

পরিবর্তনবাংলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাবধান! চেইনশপ আগোরার কারসাজিতে ঠকছেন ক্রেতারা

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৭

চে ইন শপ আগোরায় পণ্য কিনে ঠকছেন ক্রেতারা একটি জিনিস কিনে, ক্রেতার ঘারে চাপছে ১০টির দাম বা যে পণ্যটি তিনি কিনলেনই না, বাড়িতে গিয়ে দেখলেন এমন পণ্যর দামও ধরা হয়েছে এমন কারসাজি বেশি হচ্ছে অভিজাত এলাকা বলে পরিচিত গুলশান ও ধানমন্ডির আগোরার বিক্রয় কেন্দ্রে।

সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ক্রেতা আমার দেশ কাযালয়ে এসে এমন অভিযোগ করেছেন আবার গত দুইদিনে মগবাজার, ধানমন্ডি, মিরপুর ও গুলশানে আগোরার নিদিষ্ট ৪টি বিক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে ক্রেতাদের সাথে কথা বলেও একই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগোরা কতৃপক্ষ অভিযোগ স্বীকার করে বলেছেন, 'এজন্য ক্রেতাদের দায়িত্ব হলো তার পণ্য দেখে নেয়া সেটি না করলে আগোরার কিছুই করার নেই'।

সেরা মান, সঠিক ওজন ও সাশ্রয়ী দাম এ তিন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্রেতাদের আকষ্ট করছে রহিমআফরোজ গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আগোরা। তবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রাহকদের বিশ্বাসকে পুঁজি করে হরদম ঠকানো হচ্ছে নেয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা। সাধারণ বাজার থেকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১৫/২০ ভাগ বেশি দাম গুনতে হয় আগোরার পণ্য কিনলে। এমন অভিযোগও দীঘদিনের। তবে নতুন অভিযোগ হচ্ছে ক্রেতা যে পরিমাণ পণ্য কিনছেন, দাম ধরা হচ্ছে তার চেয়ে বেশি পণ্যের । যারা বেশি বাজার-সদাই করছেন, তারাই বেশি ঠকছেন, দিনে এরকম কয়েক শত ক্রেতাকে ঠকিয়ে আগোরা কতৃপক্ষ বাড়তি আয় করছেন মাসে কোটি টাকারও বেশি।





ক্রেতা ঠকানোর এরকম একটি ঘটনা হাতেনাতে ধরা পড়ে গত ২৪ মার্চ । আগোরার গুলশান পয়েন্টে জনৈক ক্রেতার কাছ থেকে বাড়তি ১ হাজার ৭৬০ টাকা বিল আদায়ের চেষ্টা করেন কাশ কাউন্টারের ক্যাশিয়ার। ক্রেতাকে যে বিল পরিশোধ করতে বলা হয়েছে, তাতে মোট বিল দেখানো হয় ৫ হাজার ৪২২ টাকা ৩৯ পয়সা ২৮টি পণ্যের বিপরীতে এ বিল দেখে অবাক হয়ে যান ক্রেতা। পরে ভালোভাবে যাচাই করে এ ক্রেতা দেখতে পান আফতাব ডেইরি ফার্মের যে ২টি চিকেন নাগেট কিনেছেন তিনি, সেখানে দাম ধরা হয়েছে ২২টির এতে মাত্র ১৭৬ টাকার প্রকৃত দামের বদলে আগোরা ধরেছে ১ হাজার ৯৩৬ টাকা

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মিরপুরের আগোরা থেকে চাল, ডাল, চিনি, দুধ, গরুর মাংস, সাবানসহ বেশকিছু পণ্য কিনেছিলেন সেনপাড়ার বাসিন্দা হোসাইন। তার অভিযোগ এদিন তিনি সেখান থেকে মাছ না কিনলেও বাসায় গিয়ে দেখতে পান ৩ কেজি ৬৬৫ গ্রাম দেশি রুই মাছের দাম নেয়া হয়েছে তার কাছ থেকে। টাকার অংকে ৯১৬ টাকা ২৫ পয়সা আদায় করা হয় এ ক্রেতার কাছ থেকে ।ঘন্টখানেক পর এ ক্রেতা ছুটে আসেন আগোরায়, তাকে বলা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে কেন বিষয়টি তিনি জানালেন না? পরে অবশ্য লিখিত অভিযোগও করে যান এ ক্রেতা। তবে গতকাল পযন্ত তার কাছে আগোরা থেকে কেউ এ বিষয়ে কিছু জানতে চাননি।

গতকাল মগবাজার আগোরায় কেনাকাটা করতে এসেছিলেন রামপুরার বাসিন্দা নুরুল আমিন। তিনি জানিয়েছেন, প্রায় বছর দুয়েক আগে মগবাজারে আগোরার এ বিক্রয় কেন্দ্র চালু হয়। এরপর থেকে নিয়মিত মাছ-মাংস ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে থাকেন তিনি। এসময়ের মধ্যে একাধিকবার পণ্য কিনে বেশি দাম ধরার ঘটনা ধরা পড়েছে তার হাতে, বিষয়গুলো তিনি জানিয়েছেনও সংশ্লিষ্টদের। আগোরার নিয়মিত এই ক্রেতা অবশ্য বলেছেন, বাড়তি যে টাকা নেয়া হয় সেগুলো তাকে ফেরত দেয়া হয়েছে।

গতকাল আগোরার একই বিক্রয় কেন্দ্র থেকে ৭ হাজার ৩৬২ টাকা ৭৮ পয়সার বাজার-সদাই করেছেন বাসাবোর বাসিন্দা মুস্তাফিজুর রহমান। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, যে পরিমাণ বাজার করেছেন তার সাথে দামের মিল আছে কিনা ? জবাবে তিনি বলেন, পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে হিসাব ঠিক আছে কিনা তা যাচাই সম্ভব হয় নাই বাড়িতে গিয়েও কখনোই তিনি হিসাব মিলিয়ে দেখেন না বলে জানান পেশায় ঠিকাদার এ ক্রেতা।

ধানমন্ডির রাইফেল স্কয়ারের আগোরায় গিয়ে কথা হয় ক্রিসেন্ট রোডের বাসিন্দা উম্মে সালমা পারভীনের সাথে তার অভিযোগ, গত এক বছরে একাধিকবার যেমন বাড়তি পণ্যের দাম আদায় করা হয়েছে, তেমনি পরিমাণে কম দেয়া বা এক মাছের বদলে অন্য মাছ দেয়ার ঘটনা ধরা পড়েছে তার হাতে। চাকরিজীবী পারভীন জানান, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার ঠিক আগের দিন তিনি আগোরা থেকে বড় দেশি কাতলা মাছ কিনেন, এজন্য ১ হাজার ২৪৫ টাকার মতো বিল আসে তার কিন্তু বাসায় গিয়ে কাতলার প্যাকেট বলতে আর কিছু পাননি পেয়েছেন সরপুঁটি । পরদিন বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার কারণে এ বিষয়টি জানাতেও পারেননি আগোরা কতৃপক্ষকে। আগোরার বিরুদ্ধেআরো অভিযোগ হচ্ছে সেখানে যেসব পণ্য বিক্রি হয়, সেগুলোর দাম সাধারণ বাজার থেকে অন্তত ১৫/২০ শতাংশ বেশি।

এসব বিষয় নিয়ে গতকাল আগোরার প্রধান কাযালয়ে গিয়ে কথা হয় রহিমআফরোজের গ্রুপ ডাইরেক্টর নিয়াজ রহিমের সাথে তিনি বলেন, শতকরা ৫ থেকে ১০ ভাগ ক্রেতার বেলায় ছোটখাট ভুলত্রুটি হয়ে থাকে, যাকে তিনি ব্যাখা করেন 'ফিঙ্গার সমস্যা হিসেবে' তবে তিনি বলেন, ক্রেতাদেরও দায়িত্ব আছে, তারা কি কিনছেন এবং কত দাম দিচ্ছেন সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করে নেয়া। নিয়াজ রহিম বলেন, আগোরার প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার পণ্য বিক্রি হয়। ফলে ভুল থাকতেই পারে। দাম বেশি নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজারের সবচেয়ে ভালো পণ্যটি বিকি হয় আগোরায়। একারণে ক্রেতাকে বেশি দাম দিয়েই আগোরা থেকে পণ্য কিনতে হবে। আপনারা তো নিজেরা কোনো পণ্য উৎপাদন করে বিক্রি করছেন না, তাহলে কি করে সে পণ্যের মান নিশ্চিত হচ্ছেন-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যাদের কাছ থেকে আগোরা পণ্য কিনছে তাদের ভালো পণ্য দিতে বলা হয়ে থাকে। আগোরায় রূপচাঁদা ব্রান্ডের যে সয়াবিন বিক্রি হয়, বাইরেও একই সয়াবিন বিক্রি হয়, তবে কি করে সেরা পণ্য হলো সংশ্লিষ্ট কোম্পানি কি আগোরার জন্য আলাদা পণ্য তৈরি করেন? এমন প্রশ্ন রাখা হলে নিয়াজ রহিম বলেন, তেলের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না তবে শাকসবজি বা মাছ-মাংস আগোরায় সবচেয়ে ভালো মানেরই বিক্রি হয়।

গতকাল সরেজমিন মিরপুরের আগোরায় দিয়ে দেখা যায়, সেখানে যেসব পাকা পেঁপে বিক্রির জন্য রাখা আছে সেগুলো প্রায় খাওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়েছে পেঁপের উপরের অংশে সাঁতসেঁতে । ক্রেতা সেজে এর কারণ জানতে চাইলে এক বিক্রয় কমী জানালেন, 'সার পেঁপে নেয়ার দরকার নেই এসব পেঁপে কয়েক দিন আগের কেনা '

গতকাল এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আগোরার হেড সোসিং অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট নিজাম চৌধুরী বলেন, আমরা লন্ডন থেকে একটি মেডিসিন নিয়ে আসি এ মেডিসিন দিয়ে ফল বা শাকসবজি পরিস্কার করা হয়। এতে এসব পণ্য জীবাণুমুক্ত হয়ে যায়। তবে নষ্ট পণ্যবিকি হওয়ার কথা নয় বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান।

আগোরার ওপর এ অনুসান থেকে যে চিত্র পাওয়া গেছে তা চেইন শপের নেতাদের জন্য খারাপ খবর। তাই এসব চেইন শপ থেকে পণ্য কিনতে ক্রেতারা সাবধান!-----

(সৈয়দ মিজানুর রহমান- আমার দেশ)



১.আমরা সাধারন মানুষ আর কত প্রতারিত হব ?

২.আমাদের দায়িত্ব কে কেউ নেবে না ?

৩. এ কোন দিকে যাচ্ছি আমরা ?

৪. এদের এইসব অন্যায়ের প্রতিবাদ কি আমরা করব না ?



কষ্ট লাগে বাংলাদেশ তোমার জন্য



মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৩/-১

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৫

মিলটন বলেছেন: চেইন শপগুলোতে স্লো মুভিং আইটেমের দাম একটু বেশী হয়ে থাকে খোলাবাজারের চেয়ে। এটা সবাই স্বীকার করে নিয়েছে। কারণ সেখানে বেশী কিছু সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। যেমন ধরেন, সেখানে এসি আছে, বাজার করার জন্য ব্যাগ টানা কষ্ট নাই। ট্রলি আছে। বা এমন অনেক অনেক সুবিধা আছে। কিন্তু এর আড়ালে যদি এমন কাজ তারা করে তবে সেটা নিন্দনীয়। তবে এমন হতে পারে যে তাদের সফটওয়্যারে সমস্যা।

তবে যাই হোক, এমন ঘটনা আশাব্যাঞ্জক নয়।

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৩৩

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: সেই সাথে এর প্রতিকারও চাই

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:৫১

কাঙাল মামা বলেছেন: খুব খারাপ....

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৩৪

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: প্রতিকারও চাই

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:৫২

প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব বলেছেন: এটা শুধু আগোরা নয় ... সবগুলো চেইন সপের অবস্থা... কাউন্টারে দাড়িয়ে মালামালের সাধে ট্যাগের লেখা দাম মিলিয়ে দেখবেন যে ট্যাগে যে দাম লিখা আছে কাউন্টার স্লিপে তা নাই :)

আমার এরম মিলাইয়া দেখার অভ্যাস নাই .. তাই আগে জানতামনা... কিন্তু আমার বউ মিলায়া দেখে :) ... যার কারনে বুঝতে পারছি :)

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৩৮

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: আপনে তাহলে বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে । আমরা সবাই কম বেশি প্রতারিত হচ্ছি রে ভাই

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:৫২

জরিণা বলেছেন: ফুটপাত থেকে কিনি তাই কম দিয়ে বেশি নেওয়ার সুযোগ কম।

মাতৃভাষা বাংলার জন্য রক্ত দিয়ে ইংরেজী ভাষার প্রধান্য পেয়েছি।

অনেকেই ইংরেজী নাম জানেন না বা মনে থাকে না তাই লিষ্টের সাথে তাৎক্ষনিক নাম মিলাতে না পারায় প্রতারিত হয়।

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৪০

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: এটা অবশ্য একবারে খারাপ বলেননি। সেই সাথে এর প্রতিকারও চাই

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৫

রাতুল" বলেছেন: খাইসে। এইবার ত তাইলে দেশে একটা চেইন সপ দিতে হয়!

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:০৯

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: দ্রুত করেন ভাইজান :)

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৫

রাতুল" বলেছেন: একবার পচা গরুর মাংস পাইসিলাম!

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:১০

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: বলনে কি ? তারপর কিছু বলেননি.....

৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৫

নাফিস ইফতেখার বলেছেন: বাবা ধরেছিলো এরকম একবার........

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:১১

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: অনেক হয়ত অনেক সময় মানসম্মানের ভয়ে কিছু বলে না...

৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৯

রোহান বলেছেন: আমি একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই। আমার পিচ্চির ডায়পার ৫৪টার প্যাকেট নন্দন থেকে কিনতাম ১৩৯০ টাকা প্লাস ভ্যাট দিয়ে। পরে গুলশান-১ এর পাইকারী বাজারে (ওরা খুচরাও বিক্রি করে) কিনি ১১৩০ টাকা দিয়ে। তার মানে মাঝারি এক ডায়পারে ওরা প্রায় ২৭০ টাকা লাভ করে। গতকাল নন্দনে যে চিংড়ি কেজি প্রতি ৩৯০ টাকা দেখলাম সেটাই রাতে বাজারে দেখলাম ৩৫০ টাকা চায় (দরদাম করে দেখি নাই)।

এমন গলাকাটা দাম নিয়ে প্রচুর লাভ করেও ওদের এই চুরির দরকার কি??? ছি ছি।

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:১৩

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: আমরা সাধারন মানুষ আর কত প্রতারিত হব ?

সেই সাথে এর প্রতিকারও চাই আমরা

৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:০০

ভুতের আড্ডা বলেছেন: এখন মেলাতে পারছি।

বছর দু-এক আগে গুলশান আগোরায় আমারও এই অভিজ্ঞতা হয়েছিলো। কিছু পন্য কিনে দাম পরিশোধের সময় টাকার অঙ্ক দেখে আমার স্ত্রীর খটকা লাগে। পরে ইনভায়েস আর আইটের মিলিয়ে দেখি প্রায় ৮০০ টাকা বেশি ধরা হয়েছে। অর্থাৎ যে পণ্যটি আমি নেইনি, সেটার দামও ধরা হয়েছে। ক্যাশ কাউন্টারের সুবেশী মেয়েটি দাঁত দিয়ে জিভ কেটে ভুলের (!!) জন্য ক্ষমা চেয়েছিলো। আর আমিও ভোদাইয়ের মতো ভেবেছিলাম, তার ভুল হয়েছে। আজকে এই পোস্ট দেখে আমি নিশ্চিত বুঝতে পারছি, সেদিনের ঘটনাটি নিছক ভুল ছিলো না। কারণ কাকতাল বারবার হয় না।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:১৫

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: আসলেই কাকতাল বারবার হয়না। এটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:০৭

ব্লগেশ্বর বলেছেন: চেইন শপগুলো থেকে কিনলে সাবধানে কেনা উচিত। আমি যখন কিনি তখন মনে মনে একটা খসড়া হিসেব করে নেই, দামে যদি খুব বেশি হের ফের হয় তাহলে যেন ধরা পড়ে। আর বিভিন্ন জিনিসের দামের ওপর যে ১.৫ শতাংশ ভ্যাট ধরা হয় সেটা কি আদৌ সরকারের ঘরে যায় কিনা সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।

উল্টো ঘটনা যে একেবারে ঘটে না তা কিন্তু না। আমি একবার ৫ টিন দুধ কিনেছিলাম (এল্ডোরিন ২), কিন্তু তারা ভুলে দাম রেখেছিল ৪ টিনের। পরে ভুল ধরতে পেরে আমি ফিরে গিয়ে এক টিনের দাম দিয়ে আসি। অথচ একই ভুলের স্বীকার যদি আমি হতাম তাহলে কিন্তু আমাকেই সব ঝামেলা পোহাতে হত।

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:১৯

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: বিভিন্ন জিনিসের দামের ওপর যে ১.৫ শতাংশ ভ্যাট ধরা হয় সেটা কি আদৌ সরকারের ঘরে যায় কিনা সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।---এটা খুবুই গুরুত্বপূন ব্যাপার ।

কই ভুলের স্বীকার যদি আমি হতাম তাহলে কিন্তু আমাকেই সব ঝামেলা পোহাতে হত----- এটাই তো হওয়া উচিত এটায় মানবতা।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার গুরুত্বপূন তথ্যের জন্য

১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৩৩

কাক ভুষুন্ডি বলেছেন: ভাইরে আমি এক্সময় নন্দনে "পয়েন্ট অফ সেলস" বা বিলিং কাউন্টারে কাজ কর্তাম।

এই যে ২ এর বদলে ২২ বললেন এটা ইচ্ছাকৃত না। এখানে যেটা হয়েছে যিনি বিল করছিলেন তিনি যখন ২ কি' প্রেস করেন তখন ভুল বশতঃ দু'বার প্রেস হয়ে গিয়েছিলো।

রুই মাছের যে ঘটনাটা, সেক্ষেত্রে অন্য এক্টা প্রোডাক্ট স্ক্যান করার সময় বারকোডের উপর বা স্ক্যানারের উপর ময়লা থাকায় সঠিক বারকোডটা স্ক্যান হয়নি।

আবার ব্লগেশ্বরের বলা ঘটনার মতো ঘটনাও যে ঘটেনি তা না। উনি ভালো বলে এক্সট্রা টিনের দামটা দিয়ে এসেছেন। নাহলে ডেইলি স্টক মিলানোর সময় ধরা পড়লে ঐ কাউন্টারে যে আছে তার স্যালারী থেকে দুধের দাম্টা ডিডাক্ট করে নেয়া হত।

এই চেইন শপ গুলো দাম যে বেশী নেয় এটা অবশ্য ১০০% ঠিক কথা।

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:২১

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: বাস্তবতা কিন্তু অস্বীকার করছি না। এগোরার সবাই খারাপ তা নয়। তবে সব সময় কিন্তু আমরা আম জনতায় লুজার হচ্ছি

১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৪১

ক্যামেরাম্যান বলেছেন: কিছু কিছু সুবিধা পাওয়া যায় বলে অনেকেই চেইন শপে যায়। যেমন গত রোজায় কাচাবাজার থেকে কম দামে আমরা মাংস কিনেছি আগোরা থেকে। আরেকটা বিষয় হলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে একজায়গাতেই সব পাওয়া।

আর ইমপোর্টেড আইটেমের বেলায় এরা রীতিমতো গলা কাটে। এদের সরবরাহকারীরা চকবাজার থেকেই মাল সরবরাহ করে। মাল ২/৩ হাত ঘুরে আসে বলে এসব ইমপোর্টেড জিনিস চেইনসপ থেকে না কেনাই ভাল। আর মান এবং মেয়াতোত্তীর্ণ কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন তো থাকেই।

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:২৩

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: মেয়াদ উত্তীন পন্য একটা গুরুত্বপুন বিষয়। এ বিষয়েও সবার সচেতনা কাম্য

১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৪৪

মুকুট বলেছেন: দেশে আসলে ভালো কিছু আশা করা মুশকিল। মানসিকতা না বদলালে আইন/প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই অসততা বদলানো যাবে না। যেহেতু দরকারটা আমাদের তাই আমাদেরকেই সচেতন হতে হবে, যাতে এই চুরিটা করতে না পারে। আমরা সবাই সেলফোন ব্যবহার করি, সুতরাং আইটেমগুলি ট্রলিতে নেবার সাথে সাথে সেলফোনের ক্যালকুলেটরে এন্ট্রি করে নিতে হবে, এরপর ক্যাশিয়ারের টোটাল আর নিজের টোটালে চোখ বুলিয়ে নিতে হবে। নিজেরা ঠেকানো ছাড়া ওদেক ঠেকানো মুশকিল........

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:২৬

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: একমত তবে সব দায়দায়িত্ব কিন্তু শুধু আমাদের নয় সরকারের ভুমিকার কথা অশ্বীকার করার কোন উপায় নেই। আর আমরা সবাই ব্যক্তিগত পর্যায়ে সমাধান করতে গেলে তাতে বিচ্ছিংখলা হতে পারে । তাই কিন্তু সরকার নিবাচন করা। ফলে সকলের সাথে সাথে সরকারের প্রধান ভূমিকা পালন করা উচিত।

১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৫৩

ব্লগেশ্বর বলেছেন: চেইন শপগুলো থেকে সবচেয়ে কসমেটিকস কিনলে সবচেয়ে বেশি লস হয়। বাইরে থেকে যে কসমেটিকস আসে সেগুলোর দাম সাধারণ দোকানের প্রায় ডাবল রাখে তারা। অন্য সব কিছু কিনলেও আমি তাই কসমেটিকস কখনোই চেইন শপ থেকে কিনি না।

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:২৭

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: তাই কসমেটিকস কেনার ব্যাপার সবাই সচেতন হন

১৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:০৩

তিথী ও টাটা বলেছেন: আমার ধারনা কাস্টমার সার্ভিস সম্পর্কে আগোরা ফাগোরাদের কোন ধারনা নেই।
ক্যাসিয়ার যদি কোন ভুল করে যেমন ২ বদলে যদি ২২ টাইপ করে বা, প্রডাক্ট যদি খারাপ হয় তবে কি ধরনের ব্যবস্হা নেওয়া দরকার এ সম্পর্কে তাদের যে কোন ধারনা নেই উপরের আলোচনা পরে তা বুঝা গেল।
সরকাররে উচিত কঠোর ব্যবস্হা নেওয়া ও কঠিন আইন করা।

টাকার ব্যবস্হা করতে পারলে হয়ত দেশে একটা সুপার মার্কেট করা যেত !!!

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: সরকাররে উচিত কঠোর ব্যবস্হা নেওয়া ও কঠিন আইন করা।------ একমত

১৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৬

মুক্ত বয়ান বলেছেন: লেখক বলেছেন: "সেরা মান, সঠিক ওজন ও সাশ্রয়ী দাম এ তিন প্রতিশ্রুতি"

কিন্তু, বেশি জিনিস হিসাব করবে না..এইটা তো বলে নাই!!! ;)

আগারো, মীনাবাজার এদের মূল ধারণাটা আসলে আসছে, শহুরে জীবনকে আরেকটু স্বাচ্ছন্দ্যময় করার জন্য। এ জন্য একটু সয়ে যেতেই হবে!!
তবে, মেয়াদউত্তীর্ণ/ বেশী পণ্য দেয়ার যে ভূল এটা আসলেই সংশোধনীয়।

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: মেয়াদউত্তীর্ণ/ বেশী পণ্য দেয়ার যে ভূল এটা আসলেই সংশোধনীয়।------ একমত

১৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৪

ফূতিওয়ালা বলেছেন: ভাই ঘটনা আর আছে slow item যে পন্যর দাম আমরা কম জানি সেগুলু কি যচাই করছেন? করে দেখেন মাথা ঘুরে যাবে। আমি আগুরাতে বাজার করে আবার local বাজারে গেলাম এক কাজে। সেখানে গরম মসল্লার দাম মিলিয়ে বোকা বোনে গেলাম।

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০১

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: একেই বলে ঝোপবুঝে কোপ মারা

১৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ফাইজলামি নাকি?
সফটওয়ারের ভুল হলে কান ধরানো উচিৎ।
আর ইচ্ছাকৃত ভুল হলে...........
ডাইরেক্ট অ্যাকশান।
বাইন্ধা পিডান দরকার!

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০২

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: সরকাররে উচিত কঠোর ব্যবস্হা নেওয়া ও কঠিন আইন করা এবং তার যথাযথ প্রয়োগ করা।

১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:১১

মৃত হাসানের প্রেতাত্মা বলেছেন: হুমম .... ভাল একটা বিষয় জানলাম। সতর্ক থাকব।

২৩ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৪

পরিবর্তনবাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । আমি মনে করি যদি একজনও আমার পোষ্ট পড়ে সতর্ক হয় তবে তা অবশ্যই সার্থক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.