![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারাবিশ্বের সকল গুরু, গোঁসাই, পির, মুর্শিদ, ভক্ত আসেকান ও তরিকাপন্থী সকলের পবিত্র চরণে প্রেমভক্তি রইল। এই আইডির ও গুরু গৃহ পেইজের সকল পোস্ট বিষয় ভিত্তিক ও গবেষেণাধর্মী। এখানে সাধারণ কোনো পোষ্ট দেওয়া হয় না। তাই; সবাইকে বিশেষভাবে জানানো যাচ্ছে যে; কোনো জাতি, ধর্ম ও শাস্ত্রীয় মতবাদকে ছোট করা বা কারো ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা আমাদের লেখার উদ্দেশ্য নয়। তথাপিও; যদি; অজানতে আমাদের লেখার বিষয়বস্তু বা কোনো বাক্য কারো মতের বিপক্ষে যায়; সেক্ষেত্রে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। মনে রাখতে হবে; যেহেতু; আমাদের পোস্টগুলো বিষয় ভিত্তিক ও গবেষণাধর্মী। লেখকের লেখার উদ্দেশ্য সমাজ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন ও ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা; কাউকে হেওপ্রতিপন্ন করা নয়। তাই; সকলের প্রতি আবারও বিনীত নিবেদন; প্রতিটি পোস্টে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের করে লেখককে উৎসাহিত করবেন। যেহেতু; প্রতিটি পোস্ট তৈরিতে লেখকের প্রচুর মেধা ও শ্রম ব্যয় হয়। আর যদি তা না পারেন; তবে; খারাপ মন্তব্য করা হতে বিরত থাকবেন। লেখাতে তথ্যগত ভুল, অসংগতি ও ইতিহাস বিভ্রাট দেখা গেলে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন। গুরু গৃহ কর্তৃপক্ষ ও পরম কাঁইজি
ধর্ম
Attribute (এ্যাট্রিবিউট)
‘المهاراة’ (মাহারাত)
এটি রূপকসাহিত্যের বৈক্তিকসদস্য সারণির রূপকপরিবারের অন্যতম একটি‘রূপকপরিভাষা’। এর মূলকসদস্য ‘স্বভাব’ এবং ছদ্মনামপরিভাষা ‘প্রকৃতি’।
ধর্ম (রূপ)বি স্বভাব, প্রকৃতি, গুণ, পুণ্য, মনুষ্যত্ব, নিয়ম, রীতি, সাধনপথ, সতিত্ব, সৎকর্ম, পুণ্যকর্ম, সদাচার, কর্তব্যকর্ম, প্রত্যেক জীব বা বস্তুর নিজস্ব গুণ, Attribute (এ্যাট্রিবিউট), ‘المهاراة’ (মাহারাত)/ religion (রিলিজন), ‘ﺪﻴﻦ’ (দিন) (প্র) ১.মানুষের কর্তব্য অকর্তব্য সম্বন্ধে জ্ঞান ২.বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শাস্ত্র নির্দিষ্ট বিধি-বিধান ৩.শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন ও সমাজ শাসনমূলক মতবাদ ৪.সাধুশাস্ত্র হতে উৎপত্তি যুগোপযোগী সামাজিক শাসনমূলক সংস্কার বিশেষ(দেপ্র) এটি রূপকসাহিত্যের বৈক্তিকসদস্য সারণির ‘স্বভাব’ পরিবারের‘রূপকপরিভাষা’ ও রূপকসাহিত্যের একটি দৈবিকা বা প্রতীতি বিশেষ (সংজ্ঞা) ১.কোন বস্তুর গুণাগুণকে ধর্ম বলা হয় ২.নৈতিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশেষ সংস্কারকৃত মতবাদকে ধর্ম বলা হয় (ছনা)বি প্রকৃতি (রূ)বি ধর্ম (দেত)বি স্বভাব।
(প্র) ১.ব্রহ্মার দক্ষিণ অঙ্গ হতে ধর্ম উৎপন্ন হয়। বরাহপুরাণে কথিত আছে যে, ব্রহ্মা সৃষ্টি করার মানসে যখন গভীর চিন্তায় নিমগ্ন হন, তখন তাঁর দক্ষিণ অঙ্গ হতে এক পুরুষের (ধর্ম) আবির্ভাব ঘটে। ব্রহ্মা তখন তাঁকে বলেন- “তুমি চতুষ্পদ ও বৃষভাকৃতি। তুমি বড় হয়ে প্রজাপালন করো।” তখন ধর্ম সত্যযুগে চতুষ্পদ, ত্রেতায় ত্রিপদ, দ্বাপরে দ্বিপদ এবং কলিতে একপদ হয়ে ব্রাহ্মণদের সম্পূর্ণরূপে, ক্ষত্রিয়দের তিনভাগ, বৈশ্যদের দু’ভাগ ও শূদ্রদের একভাগ দিয়ে রক্ষা ও পালন করতে আরম্ভ করেন। গুণ, দ্রব্য, ক্রিয়া ও জাতি এ চারটি শাস্ত্রীয় মতবাদের পদ। বেদে এঁর নাম তৃশৃঙ্গ। এঁর মাথা দু’টি ও হাত সাতটি। বামনপুরাণ মতে ধর্মের স্ত্রী অহিংসা। এঁর গর্ভে চারটি পুত্র জন্মগ্রহণ করে যথা- ১.সন্যকার, ২.সনাতন, ৩.সনক ও ৪.সনন্দ। অন্যান্য পুরাণে এঁরা ব্রহ্মার মানসপুত্র বলে কথিত আছে।
২.মহাতেজস্বী একজন রাজা। এঁর কন্যার নাম ধর্মব্রতা।
Orthodoxly [অর্থডোক্সলি] বি সনাতন, অনন্ত, চিরন্তন, চিরস্থায়ী, বিশ্বজনীন, শাশ্বত, সার্বজনীন, সর্বজন বিধিত, Catholic, eternal, never-dying, ‘أرثوذكسي’ (উর্সুজুক্সি), ‘الأرثوذكس’ (আলউর্সুজুক্স) {ই}
ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (A highly important quotations of attribute)
“সবাই কী আর হবেরে মন, ধর্মপরায়ণ, যার যার কর্ম সে সে করে, তোমার বলা অকারণ।” (পবিত্র লালন- ৯১৫/১)।
ধর্মের কয়েকটি সাধারণ উদ্ধৃতি (Some ordinary quotations of attribute)
১. “কোন্ সাধনে শমনজ্বালা যায়, ধর্মাধর্ম বেদের মর্ম, শমনের অধিকার তায়।”(পবিত্র লালন- ৩৬৯/১)।
২. “ধর্মবাজার মিলাইছে নিরঞ্জনে, এক কানায় এক বোবায়, ভবের হাটে করে বিকিকিনে।” (পবিত্র লালন- ৫৬৭/১)।
৩. “ধর্মাধর্ম নাই যে বিচার, কৃষ্ণসুখে সুখ গোপীকার, হয় যে নিরন্তরি, তাইত দয়াময়- গোপীরে সদায়, মনের ভ্রমে জানতে নারি।” (পবিত্র লালন- ৫৫৮/৩)।
৪. “ধর্মাধর্ম বলতে নাই, শুধু প্রেমের গান গায়, নাই লজ্জা ভয়, জাতির বোল রাখল না সে, সেতো করল একাকারময়।” (পবিত্র লালন- ৪২৩/২)।
৫. “ধর্মাধর্ম সব নিজের কাছে, জানা যায় শাস্ত্র যেচে, লালন কয় আমার ভুল হয়েছে, ভেবে দেখি তাই।” (পবিত্র লালন- ৬৩৭/৪)।
৬. “না মানে সে ধর্মাধর্ম, যার হয়েছে বিচার সাম্য, লালন কয় সাঁই মহামান্য, তবে মানবকরণ সারা।” (পবিত্র লালন- ১৮৫/৪)।
৭. “প্রেম কী সামান্যেতে রাখা যায়, প্রেমে মজলে ধর্মাধর্ম ছাড়তে হয়।” (পবিত্র লালন- ৬৪৩/১)।
৮. “প্রেম পিরিতির এমনি ধারা, এক প্রেমে দু’জন মরা, ধর্মাধর্ম চায় না তারা, লালন বলে প্রেমের রীতি তাই।” (পবিত্র লালন- ৬৪৩/৪)।
৯. “বড়াই করে কপাল পোড়া, বুঝে না ধর্মীয়মতবাদ আগাগোড়া” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০৪)।
১০. “শাস্ত্রীয় মতবাদ গোত্র জাতির, তুলবে না কেউ জিকির, কেন্দে বলে লালন ফকির, কেবা দেখিয়ে দিবে” (পবিত্র লালন- ২২৮/৪)।
১১. “সবল দেবধর্ম আমার বৈষ্টমী, ইষ্ট ছাড়া কষ্ট পাই, এঁটে দেয়া নষ্টামি।”(পবিত্র লালন- ৯১২/১)।
ধর্মের সংজ্ঞা (Definition of attribute)
কোন কিছুর গুণাগুণকে স্বভাব বা ধর্ম বলে।
ধর্মের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theosophical definition of attribute)
নৈতিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশেষ সংস্কারকৃত মতবাদকে ধর্ম বলে।
ধর্মের প্রকারভেদ (Classification of attribute)
ধর্ম দুই প্রকার। যথা- ১.সনাতনী ধর্ম ও ২.কৃত্রিমত ধর্ম।
১. সনাতনী ধর্ম (Orthodoxly attribute)
প্রকৃতির নিয়মাবলিকে সনাতনী ধর্ম বলে।
২. কৃত্রিম ধর্ম (Pretended attribute)
সামাজিক, মানবিক, প্রাকৃতিক, দার্শনিক ও নৈতিকতার ওপর নির্মিত মনগড়া সংস্কারাদিকে কৃত্রিম ধর্ম বলে।
ধর্মের পরিচয় (Identity of attribute)
এটি রূপকসাহিত্যের বৈক্তিকসদস্য সারণির ‘স্বভাব’ পরিবারের অধীন একটি‘রূপকপরিভাষা’ বিশেষ। কোন বস্তুর গুণাগুণকে ধর্ম বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীতে ধর্ম বলে পুরাণের একটি চরিত্র ভিন্ন কিছুই নেই। ধর্ম নামে যা আছে তা হলো শাস্ত্রীয় মতবাদ। শাস্ত্রীয় মতবাদাদিকেই সাধারণমানুষ ধর্ম নামে ডাকাডাকি করে থাকেন। সামাজিক, মানবিক, প্রাকৃতিক, দার্শনিক ও নৈতিকতার ওপর নির্মিত মনগড়া সংস্কাররূপ এসব শাস্ত্রীয় মতবাদ সারাবিশ্বে প্রায় ২,৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। যেমন- হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্ট ও ইসলাম। এবং প্রত্যেক শাস্ত্রীয় মতবাদের অনুকূলে আবার রয়েছে কয়েক সহস্র করে পরম্পরা মতবাদ। শাস্ত্রীয় মতবাদকে ইংরেজিতে religion (রিলিজন) এবং আরবিতে ‘ﺪﻴﻦ’ (দিন) বলা হয়।
শাস্ত্রীয় মতবাদের পরিচয় (Identity of schismatic doctrine)
পূর্বকাল হতেই দেখা যায় একদল লোক শাস্ত্রীয় মতবাদকে অত্যধিক প্রাধান্য দেয় আবার একদল লোক একেবারেই গ্রহণ করেন না। যারা কোন শাস্ত্রীয় মতবাদকে প্রাধান্য দেন না তারা প্রায়ই বলে থাকেন শাস্ত্রীয় মতবাদ বলতে কিছুই নেই। তারা এও বলেন যে- “Religion is nothing only blindly faithful” (রিলিজন ইজ নাথিং অনলি ব্লাই-লি ফেতফুল)” অর্থ- “শাস্ত্রীয় মতবাদ কিছুই না কেবল অন্ধবিশ্বাস।” প্রকৃত ব্যাপারটিও তাই। ব্যক্তি বিশেষের মনগড়া মতামত সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়াকেই ধর্ম বলা হয়। আর এ ধর্মকেই শাস্ত্রীয় মতবাদ বলা হয়। তবে এসব শাস্ত্রীয় মতবাদ আধুনিকযুগের পূর্বে পরিবার ও সমাজে শান্তি ও শৃংখলা বিধানের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রয়োজন ছিল। তখন রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা ছিল না। তাই শাস্ত্রীয় মতবাদ অনেক উপকারী ছিল। কিন্তু বর্তমানে রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত থাকায় মানুষ আর অন্ধবিশ্বাসের অধীনতা স্বীকার করতে চায় না।
এ ছাড়াও বর্তমানে একই রাষ্ট্রে শাস্ত্রীয় বিধান ও রাষ্ট্রীয় বিধান উভয় একসঙ্গে চালু রাখা কোন মতেই সম্ভব নয়। যে কোন একটি বিধান মান্য করা সবার একান্ত প্রয়োজন। উল্লেখ্য শাস্ত্রীয় বিধানাদি প্রায় রূপকার্থে নির্মিত কিন্তু রাষ্ট্রীয় বিধানাদি বাস্তবভাবে নির্মিত। এ জন্য শাস্ত্রীয় বিধান কখনই রাষ্ট্রীয় বিধানের তুল্য হতে পারে না। তাছাড়া শাস্ত্রীয় বিধান কেবল একটি গোত্রের জন্য নির্মিত কিন্তু রাষ্ট্রীয় বিধান রাষ্ট্রের সর্ব শ্রেণির জনগণের জন্যই সমান অধিকার নিশ্চিত রেখে নির্মিত। বিগত আদিমযুগ ও মধ্যযুগেই শাস্ত্রীয় বিধানের অধিক অধিক প্রয়োজন ও গুরুত্ব ছিল। এর অন্যতম কারণ ছিল তখন রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় বিধান উভয়ই ছিল না। আধুনিক যুগের প্রথমদিক হতে রাষ্ট্র গঠন ও রাষ্ট্রীয় বিধান নির্মাণ করা আরম্ভ হয়। তখন হতেই শাস্ত্রীয় বিধানের প্রয়োজনও ক্রমে ক্রমে শিথিল হতে আরম্ভ করে। বর্তমানে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই শাস্ত্রীয় বিধানের তেমন ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় না।
অন্ধবিশ্বাসের বিষবৃক্ষ রোপণ (Transplanting the venom-tree of fanaticism)
সর্ব প্রথমে রূপকসাহিত্য শিল্পের সূত্রাদির দ্বারা বিশ্ববিখ্যাত একজন রূপকার কর্তৃক একটি রূপকসাহিত্য নির্মিত হয়। তারপর কয়েকশত বছর বা কয়েক শতাব্দি অতিবাহিত হয়। অতঃপর আধ্যাত্মিকজ্ঞান বা আত্মতত্ত্ব জ্ঞানহীন পণ্ডিতব্যক্তি অতিব পুণ্যের কাজ মনে করে উক্ত রূপক সাহিত্যটির আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ বা আত্মতত্ত্বভিত্তিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ব্যতীত কেবল বাহ্য প্রকৃতিনির্ভর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ প্রণয়ন করা আরম্ভ করেন। অন্ধবিশ্বাসপ্রবণ মূঢ় ব্যক্তিরা দিব্যজ্ঞানের দৈন্যতার জন্য রূপকসাহিত্যের প্রপকাদির মধ্যে ব্যবহৃত দৈবিকা বা প্রতীতিদের হঠাৎ করে ঐশিদূত বা দৈবদূত বা ঐশিমহামানব বা স্বর্গীয়াবতার বলে আখ্যায়িত করতে আরম্ভ করেন। তারপর নীতি নৈতিকতাপূর্ণ ও আত্মশুদ্ধির পরম শিক্ষামূলক প্রপকাদিকে চমৎকার বলে এবং দৈবিকা বা প্রতীতিদের চরিত্রকে বাস্তব জীবনাদর্শ বলে প্রচার প্রসার করতে বা লেখালেখি করতে আরম্ভ করেন।
পরবর্তিকালে তার পাঠক বা অনুসারিরাও প্রপকাদির মধ্যে চরিত্ররূপে ব্যবহৃত প্রতীতিদেরকে স্বর্গীয়দূত, প্রপকাদিকে স্বর্গীয়দূতগণের ঘটনাবহুল চমৎকার এবং প্রপকাদির মধ্যে বর্ণিত ঘটনাদিকে প্রতীতিগণের বাস্তব জীবনাদর্শ বলে অন্ধবিশ্বাস করতে আরম্ভ করে। এভাবেই সর্ব প্রথম অন্ধবিশ্বাসরূপ বিষবৃক্ষের বীজ রোপিত হয়। অতঃপর দৈবিকা বা প্রতীতিগণের প্রতি গভীর ভালোবাসার কারণে তার অনুসারিরা প্রপকাদির প্রচার ও প্রসার করা অনেক পুণ্যের কাজ বলে মনে করেন। এভাবেই সুসংগঠিত হতে থাকে একটি সম্প্রদায়। কয়েক শতাব্দি পরে এটি একটি বড় দলে পরিণত হয়ে যায়। সাথে সাথে সঞ্চিত হতে থাকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় নীতিমালা। অতঃপর থরে-বিথরে সঞ্চিত নীতিমালা একত্রিত করে গড়ে উঠে একটি শাস্ত্রীয় মতবাদ। অভিনবরূপে নির্মিত শাস্ত্রীয় মতবাদ ও শাস্ত্রীয় নীতিমালা গ্রহণকারী শাস্ত্রীয় অনুসারির সংখ্যাও দিনের পরদিন বাড়তে থাকে।
একটি রূপকসাহিত্য নির্মাণের কয়েক শতাব্দি পর এভাবেই ঐ সাহিত্যটির ওপর নির্ভর করে এক বা একাধিক শাস্ত্রীয় মতবাদ বা শাস্ত্রীয় সম্প্রদায় আত্মপ্রকাশ করে থাকে। অন্ধবিশ্বাসরূপ এ বিষবৃক্ষের ডালপালা যুগেযুগে চারদিকে কেবল বাড়তেই থাকে। বিষবৃক্ষরূপ এ দ্রুতগামী ঘোড়াটি একদিন সারাবিশ্বে পরিভ্রমণ করতে সক্ষম হয়। এভাবেই অন্ধবিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত শাস্ত্রীয় মতবাদরূপ বৃক্ষের ছায়া একসময় সারাবিশ্বব্যাপী পতিত হয়।
মানবসভ্যতার ঊনবিংশ শতাব্দিটি দার্শনিক ও বিজ্ঞানিরা এ অন্ধবিশ্বাসের ঘোড়ার পিঠে চড়েই অতিক্রম করেছেন। এ দ্রুতগামী ঘোড়ার পিঠে আরোহণ করেই তারা তাদের সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তার অন্বেষণ করতেছিলেন। গত ঊনবিংশ শতাব্দির পূর্বে দীর্ঘ আড়াইসহস্র বছর এভাবেই অতিবাহিত হয়েছিল। তখন অধিকাংশ দার্শনিক ও বিজ্ঞানীও ধারণা করতেন যে, সূর্য পৃথিবীর চারদিকে পরিভ্রমণ করে। কিন্তু আজ অন্ধবিশ্বাসের সে লৌহনিগড় কেটে ও অন্ধবিশ্বাসের কাল্পনিক ঘোড়াটিকে হত্যা করে আধুনিক বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন যে, সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে না বরং পৃথিবীই সূর্যের চারদিকে ঘুরে।
শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণ পদ্ধতি (Construction methodology of schismatic doctrine)
বিশ্বের যে কোন একটি রূপকসাহিত্যকে কেন্দ্র করে একটি শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণ করতে হলে এবং তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে হলে একজন সুবিজ্ঞ শাস্ত্রীয় মতানুসারিকে উক্ত রূপকসাহিত্যটি হাতে নিয়ে অবশ্যই বলতে হবে যে এসব কোন মানুষের নির্মিত বাণী নয় বরং এসব স্বয়ং স্রষ্টার পক্ষ হতে মহামানবের নিকট অবতীর্ণ। তাকে আরো বলতে হবে যে, কেবল স্রষ্টার পক্ষ হতে প্রতীতির নিকট যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছিল তিনি কেবল তা-ই প্রকাশ করে ছিলেন। এ পবিত্র গ্রন্থের মধ্যে মানুষের নির্মিত বা রচিত কোন বাণী নেই। কারণ মানুষের নির্মিত বাণী এমন হতে পারে না। আর মানুষ যদি এরূপ বাণী রচনা করতে পারতেন তবে বিশ্বে অনেকেই এরূপ বাণী নির্মাণ করে দেখাতেন। কেউ শতবছর চেষ্টা করলেও এরূপ একটি বাণী নির্মাণ বা রচনা করতে অবশ্যই পারবেন না। এবার শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাতা শাস্ত্রীয় মতানুসারী ব্যক্তির উচিৎ যে সর্ব প্রথমে উক্ত রূপকসাহিত্যের মৌলিক সদস্যদের (The basic elements of ‘Fabulous literature’. দি বেসিক ইলিমেন্টস ওফ ফ্যাবুলাস লিটারেচার)। যথা- ১.আদিমানব, ২.আদিমানবী, ৩.বর্থ্য, ৪.সাংবাদিক (১-৩), ৫.সৃষ্টিকর্তা, ৬.পালনকর্তা, ৭.সংহারকর্তা, ৮.দৈবকর্মী, ৯.মুক্তি, ১০.স্বর্গ ও ১১.নরক- এ এগার (১১)টি সদস্যের জীবনযাপন প্রণালি, আকার প্রকার, আয়তন অবস্থান, আবাস নিবাস, বংশসারণী, সংখ্যা পরিমাণ ও কার্যক্রম যেক্ষেত্রে যা প্রযোজ্য তা নির্ধারণ করা। অতঃপর স্রষ্টাদের সম্মেলন ও দৈব সম্মেলন দ্বারা প্রয়োজনীয় সংস্কার করা আরম্ভ করা।
এক্ষেত্রে শাস্ত্রীয় মতবাদী পণ্ডিতকে সদস্যদের জীবনী, বংশ, জন্মস্থান, অবস্থান ও আকার প্রকার নির্মাণের সময় অবশ্যই সাতন্ত্রতা রক্ষা করতে হবে। যাতে অন্যান্য শাস্ত্রীয় মতবাদের সদস্যদের ছদ্মনাম বা রূপক উপমাদির সাথে মিলে না যায়। একটি নতুন শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণের ক্ষেত্রে তার অভিনবত্ব অটুট রাখার জন্য নিচে শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণের একটি অভিনব মৌলিকসদস্য নির্ঘণ্ট তুলে ধরা হলো।
শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণের মৌলিক সদস্য নির্ঘণ্ট (Fundamental member index of schismatic doctrine methodology)
রূপকসাহিত্যে বর্ণিত নরদেহের আদিকারণকে (শুক্র) ধরা হলো আদিমানব (আদিম (রূ)বি জানিক) এবং নারীদেহের আদিকারণকে (রজ) ধরা হলো আদিমানবী (আদিমা (রূ)বি জানিকা)। মুখের কথাকে ঐশিসাংবাদিক এক (১) এবং নারীদের রজকে ঐশিসাংবাদিক দুই (২) ধরে শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণ করা হলো। মুখের কথা দেহ ও মনের দ্বারা পরিবার, সংসার ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয় বলে এ তিনটিকে স্বর্গ (১.বৈচনি, ২.দৈহিকা ও ৩.মৈনাক) ধরা হলো এবং বাচালতা, অপকর্ম ও মুখবন্ধ করে থাকা হতে পরিবার, সংসার ও সমাজে তীব্র অশান্তি সৃষ্টি হয় বলে এ তিনটিকে নরক (১.বৈচাল, ২.কৈজাক ও ৩.গোমড়া) ধরা হলো। অতঃপর দেহধামের বিভিন্ন প্রকার সদস্য যেমন দেহ, আত্মা, মন, জ্ঞান, ইন্দ্রাদি, রিপু, রুদ্র, মন্দা, দশা ও ভালা মাত্রিকার সদস্যদের ঐশিকর্মী বা দেবকমী (প্রতীতি, দৈবিকা, জ্যোতিকা) ধরা হলো । এছাড়া অন্যান্য সদস্যদের রূপকসাহিত্যে বর্ণিত অর্থের মতোই রেখে দেওয়া হয়।
১. সৃষ্টিকর্তা = কাঁই
২. পালনকর্তা = সাঁই
৩. সংহারকর্তা = যম
৪. দৈবকর্মী = প্রতীতি, দৈবিকা, জ্যোতিকা
৫. সাংবাদিক (১) (মুখের কথা) = বলন(২) (নারীদের রজ) = বসিধ(৩) (কামরস) = জলোষ্ণ
৬. বর্থ্য (ব্যত্যয়কারী) = বর্থ্য
৭. আদিমানব = আদিম (রূ)বি জানিক
৮. আদিমানবী = আদিমা (রূ)বি জানিকা
৯. মুক্তি = অখণ্ডতা (রূ)বি জিষ্ণু
১০. স্বর্গ = স্বর্গস্বর্গের পরিমাণ = ৩টিস্বর্গের ছদ্মনাম = ১.বৈচনি, ২.দৈহিকা ও ৩.মৈনাক
১১. নরক = ৩টিনরকের পরিমাণ = ১.বৈচাল, ২.কৈকাজ ও ৩.গোমড়া
এবার ওপরোক্ত বিষয়বস্তু দ্বারা অত্যন্ত অভিনবরূপে একটি রূপকসাহিত্য নির্মাণ করি। অতঃপর উক্ত গ্রন্থের মধ্যে ব্যবহৃত ১.কাঁই, ২.সাঁই, ৩.যম, ৪.প্রতীতি, ৫.বলন, ৬.বর্থ্য, ৭.আদিম, ৮.আদিমা, ৯.জিষ্ণু, ১০.স্বর্গ ও ১১.নরক- এ ১১টি সত্তার সম্পূর্ণ অভিনব ব্যাখ্যা প্রদান করি। অতঃপর রূপকসাহিত্যে বর্ণিত রূপক চরিত্রাদির রূপক জীবনী নির্মাণ করি। এবার এ নতুন শাস্ত্রীয় মতবাদটি সার্বজনীন বা চিরস্থায়ী করার জন্য গ্রন্থটির মধ্যে ব্যবহৃত কঠিন ও দুর্বোধ্য শব্দাদি ও নতুন নতুন পরিভাষাদির অভিনব ব্যাখ্যা প্রদান করি। এবার আমাদের একটি নতুন শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণ করা শেষ হলো।
অতঃপর রূপক সাহিত্যের সারগর্ভ ও শিক্ষামূলক চমৎকারাদি সমাজে ও লোকসমাজে বা পথেঘাটে পুনঃপুন প্রচার-প্রসার করতে আরম্ভ করি। ফলে অত্র অঞ্চলের লোকজন উক্ত চমৎকারাদির দ্বারা বর্ণিত প্রতীতি ও শিক্ষামূলক উপাখ্যাদির প্রতি ক্রমে ক্রমে দুর্বল হতে থাকবে ও সে সব বিশ্বাস করতে থাকবে এবং লৌকিকাদির প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকবে। শাস্ত্রীয় অন্ধবিশ্বাসের লৌহ নিগড়ে একবার মানুষকে আবদ্ধ বা বশীভূত করতে পারলেই তার ইচ্ছায় ও অনিচ্ছায় সে সংস্কার অকাতরে মাথা পেতে নিতে বাধ্য করতে হয়। শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণ শিল্পটিও অতি প্রাচীন শিল্প। তবে এরও আরো অনেক প্রাচীন হলো রূপকসাহিত্য নির্মাণ শিল্প। এ জন্য রূপকসাহিত্য শিল্পকে মানবসভ্যতার প্রথমশিল্প বা ‘আদিশিল্প’ বলা হয়।
এ শিল্পটির নাম শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণ শিল্প। তবে বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় মতবাদী পণ্ডিতগণের অভাবে বর্তমানে এ শিল্পটি মৃতপ্রায় হয়ে পড়েছে। নতুন কোন শাস্ত্রীয় মতবাদ নির্মাণ করা হলে বা প্রতিষ্ঠা করা হলে একসঙ্গে এখানে অনেক লোকের কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এতে একদিকে ভুয়া মতবাদকর্মও করা হয় অন্যদিকে কিছু অজ্ঞ ও মূর্খ শাস্ত্রীয় মতানুসারির কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা বা রুটিমুটিরও ব্যবস্থা হয়। আবার কিছুকিছু অজ্ঞলোক ও মূর্খলোকের মৌখিকভাবে শাস্ত্রীয় মতবাদ প্রচারের মাধ্যমেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। আবার কিছু লেখক, গবেষক, মতবাদ বিশারদ, শাস্ত্রীয় পরিভাষাদির বৈখ্যিক ও টৈকিকগণের জীবিকা নির্বাহের সুযোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে। আবার রূপক লৌকিকাদির আলোচনার দ্বারাও অনেক গায়ক-বক্তার কর্মসংস্থানের উত্তম ব্যবস্থা হয়ে থাকে। কোন শাস্ত্রীয় মতানুসারী পণ্ডিত একবার মাত্র যুক্তি, দর্শন ও বিজ্ঞানের সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর শাস্ত্রীয় মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে পারলে তা আর ঠেকাই কে? শাস্ত্রীয় মতবাদ এরূপ অবস্থায় উন্নীত হলে তা কখনই বিলুপ্ত হয় না। অত্যন্ত সহজসরল ও শ্রমহীন এবং আরামপ্রিয় ভাবে জীবিকা নির্বাহের অফুরন্ত সুযোগ থাকায় সমাজের অল্পজ্ঞানী বা খুষ্কজ্ঞানিরা ইচ্ছায় ও অনিচ্ছায় উক্ত শাস্ত্রীয়দর্শন গ্রহণ করতে থাকেন এবং স্বস্ব প্রচেষ্টায় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে জনমত সৃষ্টি করার দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন। ফলে শাস্ত্রীয় দর্শনের প্রচার ও প্রসার দিনের পর দিন বাড়তেই থাকে।
পরিশেষে বলা যায়- পদার্থের গুণ বা বৈশিষ্ট্যকে ধর্ম বলা হয়। যেমন আগুনের ধর্ম দাহ্য করা, চুম্বকের ধর্ম আকর্ষণ করা, কম্পাসের ধর্ম দিকদর্শন করা, জলের ধর্ম নিম্নগমন করা ও বাতাসের ধর্ম উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের বাংভারতীয় উপমহাদেশে যাকে ধর্ম বলা হয়/ হচ্ছে সেগুলো আদৌ ধর্ম নয় বরং সেগুলো হলো শাস্ত্রীয় মতবাদ বা সাম্প্রদায়িক মতবাদ। ধর্ম চিরন্তন, শাশ্বত, সার্বকালীন ও সার্বজনীন। কিন্তু শাস্ত্রীয় মতবাদ বা সাম্প্রদায়িক মতবাদ চির আপেক্ষিক। যেমন আমাদের বঙ্গদেশে পূর্বকালে হিন্দু মতবাদ ছিল। আমরা সবাই ছিলাম হিন্দু। বর্তমানে অধিকাংশই রয়েছি মুসলমান। আবার কিছুদিন পর আজকের ইসলামী মতবাদও হয়ত থাকবে না। এখানকার অধিকাংশ লোক হয়ত আবার গ্রহণ করবে লালন কিংবা বলন মতবাদ। তাই আসুন আমরা না জেনে ও না বুঝে ধর্মকে মতবাদ এবং মতবাদকে ধর্ম বলা হতে বিরত থাকি।
শাস্ত্রীয় গ্রন্থকে (ধর্মগ্রন্থ) ঐশীগ্রন্থ বলার কারণ কী? (What is the cause to say schismatic book the celestial book?)
সাধারণত ঐশীগ্রন্থ বলে কোন গ্রন্থ নেই। তবে কেবল মানব দেহকেই ঐশী গ্রন্থ বলা যায়। যেহেতু দেহ জঠররূপ ঐশীধাম হতে অবতরণ করে থাকে। আর আদিকাল হতে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সব মানুষ কেবল দেহকেই পাঠ করে চলেছে। মানব দেহের রোগ পড়ার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞান ও দেহের রেখা ও তিলক পড়ার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে জ্যোতির বিজ্ঞান। এ ছাড়াও যোগ, ইয়োগা, অ্যাকুপ্রেসার ও ধ্যান সবই কেবল দেহকে পাঠন-পঠন বিদ্যা। তবে শাস্ত্রীয়রা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই মানবরচিত রূপকসাহিত্যকে ঐশীগ্রন্থ বলে প্রচার প্রসার করে থাকে। এর অন্যতম কারণ হলো- মানবরচিত গ্রন্থগ্রন্থিকা সাধারণত সাধারণ মানুষ মেনে নিতে চায় না। কিন্তু ঐশীগ্রন্থ বললে সাধারণ মানুষ দ্রূত মেনে নিতে চায়। সারা বিশ্বের সর্ব শ্রেণির সাম্প্রদায়িকরা এ কৌশলটিই কাজে লাগানোর চেষ্টা করে থাকে।
কার্যত দেখা যায় বিশ্বের কোন সাম্প্রদায়িকই স্বস্ব শাস্ত্রীয় গ্রন্থকে মানব রচিত বা মানব নির্মিত বলতে চায় না। আপনি পুরাণীদের প্রশ্ন করে দেখুন তারা বলবে তাদের গীতা স্বয়ং মহামতি শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত বাণী। অন্যদিকে ত্রিপিটকীদের প্রশ্ন করে দেখুন তারা বলবে ত্রিপিটক স্বয়ং বুদ্ধদেবের বাণী। আর বুদ্ধদেব স্বয়ং ব্রহ্মা প্রেরিত মহামানব। আপনি কুরানীদের প্রশ্ন করে দেখুন তারা বলবে পবিত্র কুরান স্বয়ং আল্লাহর বাণী। ইহুদিদের প্রশ্ন করে দেখুন তারা বলবে তৌরাত স্বয়ং প্রভুর বাণী। কারণ শাস্ত্রীয়রা জানে যে, মানুষের বাণী বললে শাস্ত্রীয় গ্রন্থের সম্মান অনেক হ্রাস পায়। আর সাধারণত মানব রচিত বাণী মানুষ কখনই শাস্ত্রীয় গ্রন্থরূপে মেনে নিতে চায় না। পরিশেষে বলা যায় শাস্ত্রীয় গ্রন্থের মান বাড়ানো এবং পুণ্য-ব্যবসা ও স্বর্গ ব্যবসার জন্যই শাস্ত্রীয় গ্রন্থকে ঐশীগ্রন্থ বলা হয়।
(সংক্ষিপ্ত)
সূত্রতথ্যঃ
আত্মতত্ত্ব ভেদ (৬ষ্ঠ খণ্ড)
লেখকঃ বলন কাঁইজি
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৪৩
পরম কাঁইজি বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:৪৫
সৈয়দ তাজুল বলেছেন: খুব দীর্ঘ লেখা। আরেকটু শর্ট করে দিতে পারতেন।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৪৬
পরম কাঁইজি বলেছেন: শর্ট হয়ত করা যেত , তাতে পুরো তথ্য প্রকাশ পেত না । ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০০
পুকু বলেছেন: আপনার কথার উপরেতো কোনো বলা যায় না বা বাকি কিছু বলারও থাকে না।