![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারাবিশ্বের সকল গুরু, গোঁসাই, পির, মুর্শিদ, ভক্ত আসেকান ও তরিকাপন্থী সকলের পবিত্র চরণে প্রেমভক্তি রইল। এই আইডির ও গুরু গৃহ পেইজের সকল পোস্ট বিষয় ভিত্তিক ও গবেষেণাধর্মী। এখানে সাধারণ কোনো পোষ্ট দেওয়া হয় না। তাই; সবাইকে বিশেষভাবে জানানো যাচ্ছে যে; কোনো জাতি, ধর্ম ও শাস্ত্রীয় মতবাদকে ছোট করা বা কারো ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা আমাদের লেখার উদ্দেশ্য নয়। তথাপিও; যদি; অজানতে আমাদের লেখার বিষয়বস্তু বা কোনো বাক্য কারো মতের বিপক্ষে যায়; সেক্ষেত্রে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। মনে রাখতে হবে; যেহেতু; আমাদের পোস্টগুলো বিষয় ভিত্তিক ও গবেষণাধর্মী। লেখকের লেখার উদ্দেশ্য সমাজ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন ও ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা; কাউকে হেওপ্রতিপন্ন করা নয়। তাই; সকলের প্রতি আবারও বিনীত নিবেদন; প্রতিটি পোস্টে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের করে লেখককে উৎসাহিত করবেন। যেহেতু; প্রতিটি পোস্ট তৈরিতে লেখকের প্রচুর মেধা ও শ্রম ব্যয় হয়। আর যদি তা না পারেন; তবে; খারাপ মন্তব্য করা হতে বিরত থাকবেন। লেখাতে তথ্যগত ভুল, অসংগতি ও ইতিহাস বিভ্রাট দেখা গেলে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন। গুরু গৃহ কর্তৃপক্ষ ও পরম কাঁইজি
Nectariferous (নেক্টারিফেরাস)/ ‘معسل’ (মু‘য়াস্সাল)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’র ‘নারীদেহ’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’। এর ‘পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘নারীদেহ’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘নাগরদোলা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘নবদ্বীপ’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘নদীয়া’।
নিধুবন (ভাপৌরূ)বি অমূল্যনিধি পাওয়া যায় এমন বন, nectariferous, ‘معسل’ (মু‘য়াস্সাল) (প্র) বৃন্দাবনে অবস্থিত নিধু নামক বন, রাধাকৃষ্ণের কেলিমালঞ্চ (শ্ববি) নারীদেহ, নারীচিহ্নধারী দেহ, woman body, female body, বাদন আযযাওযা (আ.ﺒﺪﻦ ﺍﻟﺯﻮﺟﺔ) (রূপ্রশ) নাগরদোলা, পাতাল, ভূমি (ইপ) ইমরাত (আ.ﺍﻤﺮﺃﺓ), মারয়াত (আ.ﻤﺮﺀﺓ) (ইংপ) woman, female (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’র ‘নারীদেহ’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; অমূল্যনিধি পাওয়া যায় এমন বনকে বাংলায় ‘নিধুবন’ বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, নারীদেহকে রূপকার্থে ‘নিধুবন’ বলা হয় (ভাপৌছ) নদীয়া (ভাপৌচা) নবদ্বীপ (ভাপৌউ) নাগরদোলা (ভাপৌরূ) নিধুবন (ভাপৌমূ) নারীদেহ {বাং. নিধি > + বাং.বন}
নিধুবনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of nectariferous)
১. “অদেখা সাঁইয়ের দেখা, দেখবি যদি আয় যৌবনে, অটলের ঝাণ্ডা নিয়ে, এ বেণুবনে নিধুবনে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৩)।
২. “আজ পাশা খেলবোরে শ্যাম, ও শ্যামরে তোমার সনে, একেলা পেয়েছিরে শ্যাম এ নিধুবনে।” (মরমীকবি রাধারমণ)।
৩. “আজ ফাগুনে নিধুবনে, কৃষ্ণলীলা গোপীর সনে, যাব সঙ্গোপনে নিরজনে, বৈষ্ণবেরা ব্রাহ্মণ সাধিতে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৪৬)।
৪. “নিধুবনে খেলব পাশা বুকে বুক মিশাইয়া, প্রেমাগুন নিবারণ করব আলিঙ্গণ করিয়া, তেমার দর্শন পাবার আশে, চিত্ত যায় উড়িয়া।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
৫. “পাশাখেলতে ফুলবনে, নিত্য আসো নিধুবনে, লালবাতি জ্বালাইয়ারে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
৬. “শ্যাম আসিলে নিধুবনে, আয়ান তারে শত্রু জানে, শ্যাম বিনা এ ব্রজধামে, গমনে কী ছাই মিলে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
নিধুবনের কয়েকটি সাধারণ উদ্ধৃতি (Some ordinary quotations of nectariferous)
১. “কৃষ্ণ রয়েছে নিধুবনে, সাধু যারা তারাই চেনে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৭৭)।
২. “চাঁদ ধরেছে নিধুবনে, চাঁদের খবর জানে, শ্রীরাধার কাননে নয় লক্ষ ধেনু চরায়, ভাণ্ড ভেঙ্গে ননি- খায় গোপাল শুনি, লালন কয় দেখা যায়।” (পবিত্র লালন- ৯৯৬/৪)।
৩. “নয় প্রহরী নিধুবনে, কৃষ্ণলীলা গোপীর সনে, বলন কয় প্রাতেঃ মিলে, আপন ঘরের কোণে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৭৭)।
৪. “নিধুবনেই বসে কালা, বংশীটি বাজায় দোতালা, সকাল বিকাল দুই বেলা, তার দু’রঙ্গে আনাগোনা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৩)।
৫. “পাইলে আমার জীবনে, ভজতাম চরণ যতনে, সুজন বুঝি থাকে নিধুবনে, তার জন্য উদাসী হব- তারে বিনা প্রাণ ত্যেজিব, আমি আর আমার নই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৬২)।
৬. “পাথর উড়েরে মথুরায়, নিধুবনের নভ চুড়ায়, উঁচুনীচু হয় সে স্বেচ্ছায়, কোন প্রকৌশ লাগে না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৪০)।
৭. “ভাবুক দেখে করে লীলা নিগমে গোপনে, দুইজনে হয় মাখামাখি পাইলে নিধুবনে, বলন কাঁইজি ভাবিয়া কয়, ঐ প্রেমে হয় মধুভাব।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৫০)।
৮. “সাদা কালো ফুলের বাসর, পঞ্চরসে পেতেছি আসর- গো, নিধুবনে নাইকো দোসর, রাঙ্গা ঠোঁটী খাইয়া পান।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৫৪)।
নিধুবনের সংজ্ঞা (Definition of Nectariferous)
সাধারণত; অমূল্যনিধি পাওয়া যায় এমন বনকে নিধুবন বলে।
নিধুবনের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of nectariferous)
শ্বরবিজ্ঞানে; নারীদেহকে নিধুবন বলে।
নিধুবনের প্রকারভেদ (Variations of nectariferous)
শ্বরবিজ্ঞানে; দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান নিধুবন ও ২. উপমিত নিধুবন।
১. উপমান নিধুবন (Analogical nectariferous)
অমূল্যনিধি পাওয়া যায় এমন বনকে উপমান নিধুবন বলে।
২. উপমিত নিধুবন (Compared nectariferous)
শ্বরবিজ্ঞানে; নারীদেহকে উপমিত নিধুবন বলে।
নিধুবনের পরিচয় (Identity of nectariferous)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’র ‘নারীদেহ’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ বিশেষ। অমূল্যনিধি পাওয়া যায় এমন বনকে নিধুবন বলা হয়। অথবা সর্বপ্রকার অমূল্য-ধন, অমূল্যসম্পদ ও অমৃতসুধা পাওয়া যায় এমন বনকে নিধুবন বলা হয়। সাধু সন্ন্যাসীদের সাধনীয় পবিত্র পাঁচটি মানবরস মানবদেহে রয়েছে। এরমধ্যে চারটি রসই নারীদেহে পাওয়া যায়। এসব রসকেই শ্বরবিজ্ঞানে নিধি বলা হয়। নারীদেহে একত্রে চার চারটি নিধি পাওয়া যায়। এজন্যই; পূর্বকালে নারীদেহকে নিধিবন বলা হতো। পারম্পরিক মনীষীদের মতে; এ নিধিবনই পরবর্তীকালে নিধুবন রূপলাভ করে। অর্থাৎ; যেমন; বৃন্দাবন এর ভাবার্থ পুরুষদেহ; তেমনই; নিধুবন এর ভাবার্থ নারীদেহ।
(সংক্ষিপ্ত সংকলন)
(তথ্যসূত্র; আত্মতত্ত্ব ভেদ (৫ম খণ্ড); লেখক; বলন কাঁইজি)।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮
পরম কাঁইজি বলেছেন: জয় গুরু প্রেম ভক্তি নিবেন
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪০
পুকু বলেছেন: বাকরহিত।কেবল মাত্র অনুসরণ ও পঠন ছাড়া কিছু বলার নেই।part of research paper.
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:২৩
পরম কাঁইজি বলেছেন: ধন্যবাদ । প্রীত হলেম
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: এ তো ব্যাপক তত্ত্বকথা ।