![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারাবিশ্বের সকল গুরু, গোঁসাই, পির, মুর্শিদ, ভক্ত আসেকান ও তরিকাপন্থী সকলের পবিত্র চরণে প্রেমভক্তি রইল। এই আইডির ও গুরু গৃহ পেইজের সকল পোস্ট বিষয় ভিত্তিক ও গবেষেণাধর্মী। এখানে সাধারণ কোনো পোষ্ট দেওয়া হয় না। তাই; সবাইকে বিশেষভাবে জানানো যাচ্ছে যে; কোনো জাতি, ধর্ম ও শাস্ত্রীয় মতবাদকে ছোট করা বা কারো ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা আমাদের লেখার উদ্দেশ্য নয়। তথাপিও; যদি; অজানতে আমাদের লেখার বিষয়বস্তু বা কোনো বাক্য কারো মতের বিপক্ষে যায়; সেক্ষেত্রে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। মনে রাখতে হবে; যেহেতু; আমাদের পোস্টগুলো বিষয় ভিত্তিক ও গবেষণাধর্মী। লেখকের লেখার উদ্দেশ্য সমাজ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন ও ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা; কাউকে হেওপ্রতিপন্ন করা নয়। তাই; সকলের প্রতি আবারও বিনীত নিবেদন; প্রতিটি পোস্টে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের করে লেখককে উৎসাহিত করবেন। যেহেতু; প্রতিটি পোস্ট তৈরিতে লেখকের প্রচুর মেধা ও শ্রম ব্যয় হয়। আর যদি তা না পারেন; তবে; খারাপ মন্তব্য করা হতে বিরত থাকবেন। লেখাতে তথ্যগত ভুল, অসংগতি ও ইতিহাস বিভ্রাট দেখা গেলে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন। গুরু গৃহ কর্তৃপক্ষ ও পরম কাঁইজি
সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ জীবকে মানুষ বলা হয়। স্থুলদৃষ্টিতে যদিও আমরা মানবাকৃতির জীবকেই মানুষ বলে থাকি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মানবাকৃতি জীবের নর ও নারী মিলে পূর্ণাঙ্গ মানুষ। শুধু নর পূর্ণাঙ্গ মানুষের অর্ধাঙ্গ এবং শুধু নারী পূর্ণাৃ্ঙ্গ মানুষের অর্ধাঙ্গিনী।
রূপক সাহিত্যে শুধু নর ও শুধু নারীকে মানুষ বলা হয় না, বরং নর ও নারীর একত্র রূপকেই মানুষ বলা হয়। ফলে মানুষের পা (২+২=৪) মোট চারটি। এটাই রূপক সাহিত্য নির্মাণের কৌশল। একারণে আধ্যাত্মিক বিদ্যায় নর ও নারীর ভিন্ন ভিন্ন কোনো সাধন ও ভজন নেই। নর ও নারী একত্র হয়ে দাম্পত্য জীবনে পদার্পণ করলেই কেবল সাধন-ভজনের সূচনা হয়।
আধ্যাত্মিক বিদ্যা বা রূপক সাহিত্যে প্রকৃতপক্ষে যাকে মানুষ বলা হয়, তিনি জীবের পালনকর্তা সাঁই বা স্বরূপ। যা তরলরূপে বিরাজ করে। সাকাররূপ। আকার-আয়তন-ভর নিয়ে দৃশ্যমান মানুষ কঠিনরূপ। নিরাকাররূপটি অদৃশ্য। এভাবে পদার্থ বা বস্তুর মতো মানুষও কঠিন, তরল ও বায়বীয় - এ তিনরূপে বিদ্যমান।
মানুষ কী, মানুষ কাকে বলে? কোন মানুষের সাধন ও ভজন এবং কী ভাবে তা করতে হয়? এসব প্রশ্নের সূক্ষ্ম সমাধানই মানুষতত্ত্ব। আকার, সাকার ও নিরাকার মানুষ সম্পর্কিত জ্ঞানই মানুষতত্ত্ব। আর একে ভিত্তি করেই পশুকুল, মানুষকুল, গুরুকুল এবং ঈশ্বরকুল। পৃথিবীর যাবতীয় ধর্মগ্রন্থসমূহ পশুকুলকে মানুষ করার উদ্দেশে। কুরান শুরু হয়েছে বাকারা(গাভী) দিয়ে এবং শেষ সূরা নাস(মানুষ)। সব নবী/রাসূল মেষপালক(মানুষের পশুকুল) এবং অবতারগণ ধেনুর রাখাল।
আশিব কাঁইজি।
©somewhere in net ltd.