নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখ দ্বিতীয় বিদ্যায়। বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে। বরং বুদ্ধির নখে শান দাও, প্রতিবাদ করো। অন্তত আর যাই করো, সমস্ত কথায় অনায়াসে সম্মতি দিও না। কেননা, সমস্ত কথা যারা অনায়াসে মেনে নেয়, তারা আর কিছুই করে না, তারা আত্মবিনাশের পথ পরিস্কার করে।” ---নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
ইসলামী অর্থনীতি ও ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে আমার আগ্রহ অনেক দিনের । পথ চলতে মাঝে মাঝে রাস্তার বিলবোর্ডে অনেক ব্যাংকের 'ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক' পরিচালনার ঘোষনা আগ্রহের তীব্রতা বাড়িয়েছে । কিন্তু সময় করে ও গুছিয়ে এ বিষয়ে পড়াশুনা করার তাগিদ বা সুযোগ কোনোটাই হয়ে ওঠে নি । সম্প্রতি বন্ধুদের সাথে আলাপচারিতায় নানাভাবে এই বিষয়টা উঠে আসায় কিছু পড়াশুনা করতে একরকম বাধ্যই হলাম । তারই বাইপ্রোডাক্ট এই লেখা । এখানে আমি মূলত ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার ইতিহাস ও সাধারনভাবে ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কে আমার বোঝাটা শেয়ার করতে চেয়েছি। ধারাবাহিকভাবে এরপর ইসলামী ব্যাংকের কর্মনীতি, আয়, তত্ত্ব ও প্রয়োগে সঙ্গতি ও অসঙ্গতি নিয়েও লেখার ইচ্ছে রইলো । গঠনমূলক যেকোনো সমালোচনা বা মতামত আমার বোঝাটাকে আরো শাণিত করবে ।
আল নাজ্জার-ইব্রাহিম-আনসারী লিখিত 'ইসলামী ব্যাংক কি ও কেন ?' পাঠ করে জানা যায়, ১৯৬৩ সালের আগে মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রগুলোতে ইসলামী ব্যাংক গড়ে ওঠা বিষয়ে কোনো আন্দোলনই হয় নি এবং ১৯৭২ সালের জুলাই মাসের পরেই বিশ্বে প্রথম ইসলামী ব্যাংক স্থাপিত হয়েছে । প্রকৃতপক্ষে ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে মুসলিম দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীদের এক সম্মেলনে স্ব স্ব দেশে অর্থনীতি ইসলামীকরনের যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, দেশে দেশে ইসলামী ব্যাংক গঠন তারই ফলশ্রুতি । তাছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ কর্মসূচী "Sturactural Adjustment Programme" এর আওতায় বিভিন্ন মুসলিম অধ্যুষিত দেশের সরকার উদারীকরণ নীতির মাধ্যমে প্রথম ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে অনুমোদন দেয়া আরম্ভ করে । এ ক্ষেত্রে প্রধান ভুমিকা পালন করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা শামী'য়াল ডারভিশ, আব্বাস মীরাখন ও মহসীন খান ।
আমাদের দেশে ইসলামী উন্নয়ন সংস্থার অংশীদারিত্বে কয়েকজন ব্যবসায়ীর উদ্যোগে ১৯৮৩ সালের ৩০ মার্চ ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার সূচনা হয় । দেশে বিদ্যমান কোম্পানী আইনের অধীনে বানিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে 'ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড' নামে প্রথম এ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয় । ইসলামী ব্যাংকের অনুমোদিত মুলধন ১০০ কোটি টাকা যার মধ্যে পরিশোধিত মূলধন প্রায় ৬৪ কোটি টাকা । বানিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে বলে আইনগত অবস্থান বোঝার সুবিধার্থে বানিজ্যিক ব্যাংকের সংজ্ঞাটি খেয়ালে রাখা ভালো । "মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে যে ব্যাংক স্বল্পসুদে বা লাভে অর্থ আমানত গ্রহন ও অপেক্ষাকৃত বেশি সুদের বা লাভে বিভিন্ন খাতে ঋণ দান করে এবং তার কাছে উত্থাপিত চেকের মর্যাদা প্রদান, বিনিময় বিল বাট্টাকরন, বিভিন্ন প্রকার বিনিময় মাধ্যম সৃষ্টিসহ নানাবিধ আর্থিক কার্যাদি সম্পন্ন করে তাকে বানিজ্যিক ব্যাংক বলে ।" এই সংজ্ঞার আওতায় এলে অন্যান্য বানিজ্যিক ব্যাংকের সাথে ইসলামী ব্যাংকের পার্থক্য কোথায় ??
এখন ইসলামী ব্যাংক সৃষ্টির সময়কার বিশ্ব রাজনৈতিক অবস্থার দিকে একটু চোখ ফেরানো যাক । সত্তরের দশকের সে সময়ে আরব-ইসরায়েল বৈরিতায় আরব দেশগুলো ধীরে ধীরে কোণঠাসা হয়ে পড়লো, প্যালেস্টাইন মুক্তি সংগ্রাম দুর্বল হয়ে পড়লো, মিশর-ইসরায়েল দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া হয়ে গেল এবং তার ফলে বিশ্বের নানা জায়গায় মুসলিম মৌলবাদ একটি জঙ্গি ধারা হিসেবে দেখা দিতে শুরু করলো -এমনকি ইরান বা তুরস্কের মতো দেশেও , এমনই পরিস্থিতির সাথে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা প্রচেষ্টার একটি ভাবগত সাযুজ্য ও কালগত আপতন দেখা যায় । ব্যাপারটি কি নেহাতই কাকতাল ?? বিজ্ঞজন এ বিষয়ে ভালো আলোচনা করবেন ।
এছাড়াও কথা থাকে । ইসলামী চিন্তাবিদেরা বলে থাকেন, ইসলামী ব্যবস্থা কোনো সাময়িক বা যুগ বিশেষের ব্যাপার নয় ।সমস্ত দেশ ও কালের জন্যই তা প্রযোজ্য । " ইসলাম এক চিরন্তন ও শাশ্বত জীবন ব্যবস্হা বলিয়া উহার উপস্থাপিত রীতি-নীতি ও আদর্শ সমাজজীবন পুনর্গঠনের জন্য চিরকালীন মৌলিক ব্যবস্থা, তাহার কোনোটাই সাময়িক বা ক্ষণিক নহে। " [মওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহিম-ইসলামের অর্থনীতি, ১৯৯৪,পৃ -১৮] তাহলে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত পৃথিবীর দেশে দেশে যে অর্থ লেনদেন হলো, তার ইসলামিক কোনো ভিত্তি ছিল কিনা জানা দরকার । না থাকলে অর্থের কারবার সারা বিশ্বে তো বটেই এমনকি মুসলিম সমাজেও 'হারাম' পদ্ধতিতে ঘটেছে ।
আমাদের দেশে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডসহ অপরাপর ইসলামী ব্যাংকসমূহ দেশে প্রচলিত কোম্পানী আইনের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেই তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে । ইসলামের নামে ধর্মপ্রাণ মানুষদের আমাণত জমার পরিমাণ বৃদ্ধি ও লভ্যাংশের মারপ্যাঁচে কম সুদে লাভের অংক ভারী হবার কারনে এখন ইসলাম ধর্মাবলম্বী নয় এমন মালিকদের পরিচালিত ব্যাংকসমূহও সাধারণ ব্যাংকিং এর পাশপাশি ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করেছে ।
বাংলাডেশে বর্তমানে সম্পূর্ণ ইসলামী ব্যাংক আছে ৮ টি :
১. ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
২. আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক
৩. আইসিবি ইসলামী ব্যাংক (সাবেক ওরিয়েন্টাল ব্যাংক)
৪. সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক
৫. এক্সিম ব্যাংক অব বাংলাদেশ
৬. ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
৭. শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক
৮. ফয়সল ইসলামী ব্যাংক
ইসলামী ব্যাংকিং এর শাখা আছে ৮ টি :
১. এবি ব্যাংক
২. সিটি ব্যাংক
৩. প্রাইম ব্যাংক
৪. সাউথ-ইস্ট ব্যাংক
৫. ঢাকা ব্যাংক
৬. প্রিমিয়ার ব্যাংক
৭. এইচএসবিসি
৮. আল-ফালাহ ইসলামী ব্যাংক
এছাড়া শাখায় সাধারণ ব্যাংকিং এর পাশপাশি ইসলামী ব্যাংকিং এর শাখা আছে তিনটির : ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেড । সাধারণ ব্যাংকিং এর তুলনায় অধিক মুনাফা অর্জনের সুযোগ থাকায় নতুনভাবে ইসলামী ব্যাংক স্থাপন ও চলমান সাধারন ব্যাংকসমূহের ইসলামীকরন ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:০০
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: হুম । কিন্তু ইসলামী শরিয়ার তকমা গায়ে চাপিয়ে হারাম সুদের 'হালালী' ব্যবসা এখন ফলপ্রদ, তাই উর্দ্ধমূখী ।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:৫১
চয়ন বলেছেন: আমার কাছে রাজাকারদের একটা লিষ্ট আছে যেখানে দেখা যায় রাজাকার হিসেবে ইসলামী ব্যাংকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। যারা নিজের ভাইকে খুন করে, বোনের ইজ্জত নেয়, মা'কে বেচে দিতে চায় তারা শরীয়ত মত চলে তা আমি বিশ্বাস করি না। আসলে টাকা বেশী কামানোর ধান্দায় ইসলামকে ব্যবহার করছে।
এটা আমাদের দোষ, ওদেরকে কেন সুযোগ করে দেই আবারও আমাকে, আমাদেরকে নিঃশেষ করে দেওয়ার।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:১৪
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: বাংলাদেশে বর্তমানে ১৯ টা ব্যাংক আছে যারা আংশিক বা পূর্ণভাবে দেশে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে । তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকিং প্রশ্নে নীতি ও কার্যপদ্ধতিতে জামাতিদের ইসলামী ব্যাংকের সাথে বাকি ১৮ টার কি কোনো পার্থক্য আছে ?
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:০৯
সত্যান্বেষী বলেছেন: প্রিয়তে।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:০৩
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: ধন্যবাদ । সাথে থাকুন । বিষয়টিকে ভালো করে বুঝতে আমাকে সাহায্য করুন ।
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:১৩
মনজুরুল হক বলেছেন:
সেইভ করে রাখলাম। পরে মন্তব্য করব।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:০৬
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: মনজুরুল ভাই, ইসলামী ব্যাংকিং এর উন্মেষকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে একটু কি আলো ফেলবেন ?
৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:১৩
সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: ব্যাপারটা অনেকটা , নাই মামার চে কানা মামার ভালো। অন্য ব্যাঙ্ক গুলো সরাসরি সুদ রিলেটেড , এখন এই ইসলামী ব্যাঙ্ক গুল বলছে শরিয়াহ মোতাবেক , সো আমরা সেখানে যাচ্ছি। এখন শরিয়াহ বিঘ্নিত হলে দায়ী থাকবে তারা , আমরা না। আমরা আল্লাহকে এটাই জবাব দিতে পারবো এটলিস্ট যে আমরা চেষ্টা করেছি।
দেশের সামগ্রিক ব্যাবস্থাপনা ইসলামিক না হলে , অর্থনীতি ইসলামিক না হলে একটা ব্যাঙ্কের মনে হয়না সম্ভব পুর্নাংগ ইসলামিক রুলস ফলো করা । বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের সব নিয়ম তো শরিত মোতাবেক না। যেগুলো সব ব্যাঙ্ক কেই মানতে হয়।
আমার ব্যাক্তিগত স্টাডী এটাই বলে। তাও ইসলামী ব্যাঙ্কের কারেন্ট একাউন্টের পক্ষপাতী আমি , ফিক্সড ডিপোসিট নয়।
ব্যাবসায় অংশিদারীত্বের ভিত্তিতে লোন সিস্টেম টা সাপোর্ট করি । সঞ্চয় প্রকল্প গুলোর ব্যাপারে এখণ ডিসিশনে আসতে পারিনি। বাট স্টিল শুধু কারেন্ট একাউন্টের ব্যাপারে আমি একমত। সুদের ধারেও যাওয়া যাবেনা ...... সেটা যেভাবেই হোক। ইসলামী রীতি তেই সব কিছু চলতে হবে , সেটাকে "ব্যাবহার করা" সব সময় মনে হয়না হয়।
বিকল্প আরো ভালো ইসলামিক ব্যাঙ্কিং ব্যাবস্থা নিয়ে তাদের সামনে আসা উচিত যারা এটাকে ধান্দাবাজি বা ভন্ডামি ভাবছেন। সত্যি ই আমি সেখানে যাব।
ধন্যবাদ আপনাকে।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৬:০৪
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: প্রিয় বন্ধু, দুটো বিষয় আপনার লেখায় উঠে এসেছে বলে মনে হলো আমার । প্রথমত আপনি ধরেই নিয়েছেন ইসলামী অর্থনীতি ভালো । দ্বিতীয়ত এই ভালো বিষয়টা ব্যাংকিং সেক্টরে কত সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারছে এদেশের ইসলামী ব্যাংকগুলো তা । আমি আপাতত শুধু ইসলামী ব্যাংকিং নিয়েই আলোচনা করতে চাইছিলাম ।
জামায়াতে ইসলামী, হিযবুত তাহরীর ও বর্তমানে আরো কিছু মৌলবাদী শক্তি শুধু ধর্মীয় বিশ্বাসের ক্ষেত্রে নয় - সামাজিক, রাষ্ট্রীয়,অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও ইসলামী প্রকরণ চালু করার চেষ্টা করছে । তাই তাদের প্রবক্তাগণ অর্থনীতির অন্তত একটি বিশেষ ক্ষেত্র -ব্যাংক সেক্টরকে বেছে নিয়েছেন তাঁদের তত্ত্বের একটি প্রত্যক্ষ প্রয়োগস্থান হিসেবে । যদি কোরান ও হাদিস মতে ব্যাংক চালানো সম্ভব হয় তাহলে গোটা অর্থনীতি চালানো যারে না কেন ? আর ইসলামী অনুশাসনে যদি অর্থনীতি পরিচালনা করা যায় তাহলে সমাজের বাকি ক্ষেত্রগুলোটে তা প্রয়োগ করা যাবে না কেন ?
আমিও যুক্তি বিচারের এই পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখতে চাইছিলাম - অর্থনৈতিক জগতের অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ ব্যাংকিং ব্যবস্থা সত্যি সত্যি ইসলামী বিধান মেনে চলতে পারে বা চলে কিনা ।
আপনি বলেছেন - দেশের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ইসলামিক না হলে , অর্থনীতি ইসলামিক না হলে একটা ব্যাঙ্কের মনে হয়না সম্ভব পুর্নাংগ ইসলামিক রুলস ফলো করা । মজা হলো জামাতিদের তাত্ত্বিক নেতা মওদুদী অনেক আগেই এই কথাটি কিন্তু বুঝতে পেরেছিলেন । ষাটের দশকে-যখন তিনি ইসলামী ব্যাংকের কথা ভাবতেই পারেননি, তখন বলেছেন, যতক্ষণ ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত না হবে , সুদহীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করা যাবে না [সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী- ইসলামের অর্থনীতি,পৃ-২১১-১২] এখন ১৯৮৩ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড হলো মানেই হয় এখানে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত হলো অথবা ইসলামী ব্যাংকিং এর প্রবক্তারা নীতির সাথে আপোষ করে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করলো ।
ইসলামী ব্যাংকের কর্মনীতি নিয়ে আপনার মন্তব্যে ,সুদ ও ইসলামী ব্যাংকের আয় কতখানি 'হালাল' সেসব নিয়ে আমি সবিস্তারে লিখবো যতখানি বুঝতে পারি । ইসলামী অর্থনীতি নিয়েও সবশেষে কথা হতে পারে । আপনার কমেন্টগুলো আরো ডিলেইল এ বুজতে আমাকে তাগিদ দিচ্ছে । অনেক ধন্যবাদ ।
৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:১৯
চয়ন বলেছেন: >>ব্যাপারটা অনেকটা , নাই মামার চে কানা মামার ভালো। অন্য ব্যাঙ্ক গুলো সরাসরি সুদ রিলেটেড , এখন এই ইসলামী ব্যাঙ্ক গুল বলছে শরিয়াহ মোতাবেক , সো আমরা সেখানে যাচ্ছি। এখন শরিয়াহ বিঘ্নিত হলে দায়ী থাকবে তারা , আমরা না। আমরা আল্লাহকে এটাই জবাব দিতে পারবো এটলিস্ট যে আমরা চেষ্টা করেছি।
ঃ খুব ভাল যুক্তি কিন্তু আমরা ইসলামী ব্যাংক ছাড়া অন্য কোন 'শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালিত' ব্যাংকে আমাদের লেনদের চালাতে পারি। অন্তত যাদের 'রাজাকারজনিত' ইতিহাস আছে তাদের থেকে দূরে থাকি।
>>বাংলাদেশে বর্তমানে ১৯ টা ব্যাংক আছে যারা আংশিক বা পূর্ণভাবে দেশে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে । তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকিং প্রশ্নে নীতি ও কার্যপদ্ধতিতে জামাতিদের ইসলামী ব্যাংকের সাথে বাকি ১৮ টার কি কোনো পার্থক্য আছে ?
ঃ আমার জানা নাই।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:৫২
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: কেউ একজন শরিয়াহ মোতাবেক চলছে দাবি করলেই তাকে বিশ্বাস করে নিজের চোখ মুদে থাকার তো কোনো কারন নাই, বিশেষত তথাকথিত ইসলামী নামধারী এইসব ব্যাংকের দিকে অনাচার আর অভিযোগের আঙ্গুল যখন ইতোমধ্যেই উঠেছে । আমি শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালিত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বিশ্বাসী, কিন্তু জ্ঞানবুদ্ধি ও সুযোগ থাকতেও কেউ শরিয়াহ মোতাবেক চলছে কিনা, অথবা শরিয়াহ মোতাবেক আসলেই কোনো ব্যাংক চলতে পারে কিনা তা যাচাই করে দেখলাম না - সেটা কি খুব ভালো হবে ?
আবার শুধু রাজাকার বলেই ইসলামী ব্যাংকিং এর মৌলিক আলোচনায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ভূমিকা খারিজ করার অবকাশ নেই । রাজাকার চরিত্র তাদের ভূমিকাকে সমাজে চিনে নিতে আমাদের অনেক সাহায্য করে বটে, কিন্তু ইসলামী ব্যাংকিং এর আলোচনা ইসলামী ব্যাংক কে সামনে রেখে চালানোর এটাই একমাত্র কারন নয় । প্রক্বতপক্ষে বাকি ১৮ টি ব্যাংকও, যারা আংশিক বা পুর্ণভাবে ইসলামী ব্যাংকিং এর কথা বলছে, কমবেশি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের কার্যপদ্ধতিই অনুসরণ করে । ফলে আসলটাকে বুঝতে পারলে বাকিগুলোকেও বুঝতের পারবো, সেই ধারনা থেকেই জামাতিদের ব্যাংক কে ধরেই সামনে এগোতে চাচ্ছি ।
৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:২৫
শয়তান হন্তারক বলেছেন: সুদ কারবারীদের আড়ৎ বিশ্ব ব্যাংক ও আই.এম.এফ এর পুঁজির সাথে ইসলামী ব্যাংকগুলোর পুঁজির যে সন্দেহজনক আতাত তাতে প্রশ্ন উঠতে পারে ইসলামী ব্যাংকগুলো কতটুকু শরীয়াভিত্তিক। তবে আল্লাহই তা ভাল জানেন। এগুলো নিয়ে আমারো পরাশুনার ইচ্ছে অনেকদিনের তবে সময় করে উঠতে পারিনে।
আপনার পরবর্তী লেখাগুলো গভীর আগ্রহ নিয়ে পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৪
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: ভালো বলেছেন । আপনার মতামত আমাকে অনুপ্রাণিত করবে । সাথে থাকবেন ।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৬
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: চেষ্টা করবো বাকি লেখাগুলো যথাসম্ভব দ্রুত প্রকাশ করার জন্য ।
৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:২৭
সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: একটা ব্যাঙ্কে হাজার হাজার মানুষ জড়িত , সেখানে একজনের ইতিহাস দিয়ে জাজ করার পক্ষপাতি আমি নই। যদিও আমি যে কোন ভাল ইসলামিক ব্যাঙ্ক এর সাথে থাকাটাই প্রেফার করি। সব গুলো ব্যাঙ্কের ই উঠে আসা দরকার। এমন না ইসলামী ব্যাঙ্ক এই রাখতে হবে। আবার ঢালাও ভাবে এদের উপর অপপ্রচারের ও পক্ষে নই কারন দুইশ শাখাতে কত হাজার কর্মী কাজ করে , তাদের জীবন জীবিকা ... এসব নিয়ে স্বার্থপরের মত চিন্তা বাদ দেই না আমি। এখন যে ছেলেটা পড়াশুনা শেষ করে এই খানে একটা চাকরী পেয়েছে , তার সাথে রাজাকার-মুক্তিযোদ্ধা -অরাজাকারের কোন ব্যাপার নেই। তার অন্নের সংস্থান লাগবে। আপ্নারা পারলে ওই রাজাকার যাকে মনে করছেন, তাকে সরিয়ে দিন ইসলামী ব্যাঙ্ক থেকে ,তাতে ক্ষতি নেই......কিন্তু বিশাল এই প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করা মানে বিশাল একটা সাধারন কর্মজীবি মানুষদের জীবিকার ক্ষতি। আমি বায়াসড হয়ে ভাবতে পারিনা , চাইওনা। এ দেহের সামান্য যা উন্নয়ন ঘটে , ইসলামী ব্যাঙ্কের তাতে অংশিদারীত্ব কম নয়।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৪০
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: ইসলামী ব্যাংকগুলোর নীতি- আদর্শ ও কর্মপদ্ধতি দিয়েই প্রথমত তাকে যাচাই করা প্রয়োজন বলে মনে হয় । আবার কারো কারো অন্ন- বস্ত্রের সংস্থান করছে বলেই ধর্মপ্রাণ মানুষের সাথে এদের কোনও প্রতারণা বা জালিয়াতি লঘু বা জাস্টিফায়েড হয়ে যায় কি ?
৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:৩৭
চয়ন বলেছেন: @ সোহায়লা রিদওয়ান
আপনার সব কথাই আমি মানলাম কিন্তু এক লোকরে খাটায় ওরা যে টাকা পয়সার একটা বিরাট পাহার দিয়া দিতাছে সেটা খেয়াল করছেন.... আপনাকে ব্যবহার করে ওরা কামাবে আবার আপনাকে বোমা মেরে বা আপনার ক্ষতি করে আবার আপনাকে ওদের হসপিটালে ভর্তি করবে এবং আপনি যা কামিয়েছিলেন তা নিয়ে নেবে। আজ ওগো জন্য দেশে ধর্মভিত্তিক জিনিসপত্র (রাজনীতি, জজ্ঞিবাদ) ঢুকছে। আপনি কি কোনদিন কোন হিন্দুর ঘরে গিয়ে খেতে লজ্জাবোধ করেছেন নাকি কোন হিন্দু বন্ধুকে ঈদের দাওয়াত দেন নাই। আমরা তো বাঙালী মুসলিম আমাদের আবার ধর্মভিত্তিক কিছু হওয়ার আছে নাকি।
ওরা চিন্তা করে কেমনে আপনারে গিলে খাবে, কি ষ্টাইলে খাবে।
০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:১২
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: আল্টিমেট লক্ষ্যের দিকে খেয়াল রাখা দরকার । আবুল বারাকাতের 'মৌলবাদের অর্থনীতি' পড়ে দেখতে পারেন চয়ন ।
১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:৪৭
কানা বাবা বলেছেন:
সোহায়লা রিদওয়ান, রীতিমতো সার্কুলার জারি কৈরা ইসলামী ব্যাঙ্কে অমুসলিম-নিয়োগ বন্ধ কৈরা দেওয়া হৈচে বৈলা হুঞ্চি... এই বেফার্ডা লৈয়া জুদি ইট্টু আলোকপাত কোর্তেন, বাধিত হৈতাম্...
ইসলামের কুনু চিপায়-চাপায় এইরম ইত্রামি কামের সমর্থোনে কিচু দলিল-রেওয়ায়েত আচে কিনা জান্তে সাধ জাগে...
"নাফা" (!?) তালিকায় বরাবরের মতোন এইবারো বেবাক্তের উর্ফে আচে ইসলামী ব্যাঙ্ক... ইসলামী ব্যাঙ্কিংয়ের মর্তবা এ্যাত্তোই জাজ্বল্যমান যে স্ট্যানচার্টও শ্যাষতক ইসলামী আদর্শে উডবুদ্দো হৈয়া 'সাদিক' চালু কোর্চে...
...জয়তু ইসলামী ব্যাঙ-কিং!
০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:১৪
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: ভালাই কইছেন, তয় কঠ্ঠিন বাংলায় !!
১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৪:০৯
সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: @ চয়ন, আপনি ব্যাপারটা রাজনৈতিক ভাবে দেখছেন , কিন্তু আমি সেভাবে দেখছিনা। আমি আমার বিশ্বাসের সমর্থন থেকে বলছি যে সুদ ভিত্তিক অর্থনীতি আমরা সমর্থন করতে পারিনা। যারাই ইসলামী ব্যাঙ্কিং এর সুযোগ আমাদের দিয়েছে , আমরা তাদেরটা গ্রহন করেছি। তাদের রাজনৈতিক মতবাদ দেখছিনা। অন্য কোন দলের পক্ষ থেকে এটা হলেও ভাবতাম না যদি ইন্টারন্যাশনাল শরিয়াহ বোর্ড এর নীতিমালা অনুযায়ী চলতো। আমি জানিনা ইসলামী ব্যাঙ্কের মুল ব্যক্তি কারা কারা , নাম জানলেও তাদের রাজনৈতিক পরিচয় জানার প্রয়োজন বোধ করিনা। কুরআন এন্ড হাদিসের বাইরে কিছু না হলেই হলো। আর সেটা শরিয়াহ বোর্ড দেখবে, এটা ভরসা করছি। কারন আমাদের আর কোন অপশন নেই। বাঙ্গালী মুসলিম হলে কি আমরা আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ম কানুন মানবোনা ? ইসলাম তো ধর্ম ই ভাবিনা আমি , জীবন ব্যাবস্থা ভাবি। বিদায় হজ্জের ভাষন টি পড়ুন। অনুধাবন করুন। উমার এর সময়ের অর্থনৈতিক ব্যাবস্থাপনার সম্পর্কে জানুন। যারা রাজাকার তাদের কেন সুযোগ দেয়া হলো ইসলামিক অর্থনীতির ধারনা এদেশে নিয়ে আসতে , কেন মুক্তিযুদ্ধ স্বপক্ষ শক্তি এসব শুরু করলোনা ? আমরা তাইলে তো তাদের কাছে যেতাম না, তাইনা ! সব ভালো কাজ গুলো তাদের করার জন্য রেখে দেয়া হচ্ছে কেন ?? এটাতো আমার বিশাল প্রশ্ন !
যাইহোক এ নিয়ে আর কোন বিতর্কে যাচ্ছিনা। তাদের এডভোকেট নই আমি , শুধু আমার চিন্তার কথা বললাম।
@ কানা বাবা , আপনি ভালো ভাষায় প্রশ্ন করুন। আপনার কথা পড়ে বোঝা যাচ্ছেনা। আমি ইসলামী ব্যাঙ্কের কেউ না, তাদের ভিতরের কিছুতো বলতে পারবোনা। তাদের সব কাজ অন্ধ ভাবে সাপোর্ট ও করিনা তা উপরের মন্তব্য পড়লে জানবেন। যে কোন ইসলামীক ব্যাঙ্ক এরি সাপোর্টে আমি। এ ধারার ব্যাঙ্কিং নিয়ে বিস্তর গবেষনা হওয়া উচিত। সরকারের ভাবা উচিত।
ধন্যবাদ।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:০৯
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ইসলামী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে প্রোমোট করার কোনো ব্যাপারই ছিল না । ইসলামী অথনৈতিক ব্যবস্থার জন্য আমার দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করে নি ।
১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৪:৪৬
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ইসলামী ব্যাংকের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল 'মুনাফা' নির্ধারণে চরম অস্বচ্ছতা। এটা যদি যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে 'লাভ-ক্ষতি'র হালাল ব্যবসা হত, তবে সম্ভাব্য ক্ষতিরও একটা খতিয়ান থাকতো যেটি পুরোপুরি অনুপস্থিত। ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে কেউ টাকা হারিয়েছে এমন নজির নেই। আর যে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সকল প্রধান ব্যাংকের মূল ভিত্তি হল সুদ, তাদের মাঝ খানে দাড়িয়ে থেকে সুদ মুক্ত ব্যাংকিংএর কথা বলা চরম মিথ্যাচার ও হঠকারীতা। ওয়ান ওয়ে অর আদার ইসলামী ব্যাংক মাস্ট ডিল উইথ ইন্টারেস্ট, ইনএভিটেবলি। এর চেয়ে সহজতর পন্থা হল,
আমি সূদী ব্যাংকে উচ্চ সুদে টাকা জমা রাখবো। আমার নিজের টাকার উপর কোন বাড়তি টাকার প্রয়োজন নাই, তাই মূল সঞ্চয়ের হিসেব আমার কাছে থাকবে। বাড়তি যে সুদ টুকু পাব, (একবার ৬০০০ টাকাও সুদ জমেছিল) প্রতি পয়সা হিসেব করে কোন প্রকার সওয়াবের আশা ছাড়াই গরীব দুস্থদের দিয়ে দিব। এতে করে ইসলামী ব্যাংকের বির্তকিত 'মুনাফা' খাবার প্রয়োজন পড়ছেনা আমার। নিজের যা সঞ্চয় সেটি নিয়েই আমি খুশি, বেচে থাকার জন্য যথেষ্ঠ।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:১২
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: আর যে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সকল প্রধান ব্যাংকের মূল ভিত্তি হল সুদ, তাদের মাঝ খানে দাড়িয়ে থেকে সুদ মুক্ত ব্যাংকিংএর কথা বলা চরম মিথ্যাচার ও হঠকারীতা।
দারুন গুরুত্ত্বপূর্ণ কথা বলেছেন ।
১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৭:১৫
অন্যরকম বলেছেন: আলোচনার জন্য সরাসরি প্রিয়তে!
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:১৩
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: আলোচনা করবেন । ভালো থাকবেন ।
১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৯:৩২
জানজাবিদ বলেছেন: একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা অনেক দিন ধরে, "ইসলামী ব্যাংকিং: ২০০% ভন্ডামী"। আপনার লেখাটা শেষ করেন তারপর হয়ত দেবো। ...............সবই 'হ্যান্ডস অন' এক্সপেরিয়েন্স থেকে।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:২০
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: হ্যান্ডস অন' এক্সপেরিয়েন্স থাকলে অনেক ভালো । আমার নেই । আমি শুধু কিছু বই পড়ে ও কিছু আলোচলা করে আপাতত এগুচ্ছি । পোস্ট দেবেন অবশ্যই ।
১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৯:৫২
dvWfu বলেছেন: আল্লাহ সুদকে হারাম করেছেন, ব্যবসাকে হালাল করেছেন, ইসলামী ব্যাংকিং এর এটি হচ্ছে মূল নীতি, আমি এটাই জানি। আসলে ইসলামী ব্যাংকিং না থাকলে তো সুদ ভিত্তিক ব্যাংকই একমাত্র উপায়। ধর্ম ব্যবসার জন্য ইসলামী ব্যাংকিং এর রাস্তা অনেক ব্যাংক ধরছে এটা যেমন সত্য তেমনি ইসলামী ব্যাংকিং না থাকলে তো পুরোটাই হারাম কামাই হতো এটাও সত্য। রাজাকারদের বিরোধীতা করার নামে আবার ইসলামী ব্যাংকিং এর বিরোধীতা শুরু করবেন না দয়া করে। যদি রাজাকারদের ব্যাংক পছন্দ না হয় তাহলে নিজেরাই ইসলামী ব্যাংক খুলে জনগণকে দেখিয়ে দিন। এখানে রাজনীতি করার কিছু নাই। আর যদি মনে হয় ইসলামী ব্যাংকিং ভুয়া জিনিষ তাহলে তো কিছু করার নেই.....কারণ কে আল্লাহর দেয়া নিয়ম মানবে আর মানবে না সেটা তার একান্তই নিজের ব্যাপার।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:২৯
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: শুধু রাজাকারদের বিরোধিতার খাতিরে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে দেখতে চাইছি না । বাকি ১৮ টি ব্যাংকও এই লাইনে কমবেশী ঐ 'রাজাকারদের' দেখানো কর্মনীতিই অনুসরণ করে । আবার ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক অসংগতি নির্ধারনও জরুরী, ধর্মভীরু জনতার স্বার্থেই । আপাতত এটুকুই ।
১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৫৭
অলস ছেলে বলেছেন: পড়ছি।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৩০
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: সত্যি তো ???
১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:০১
দুরের পাখি বলেছেন: মোদারাবা মোফাখারবা আরো কিছু গোদারাবা শব্দ দিয়া ডাকলেই সুদ হয়া যায় হালাল মুনাফা । মারহাবা এছলামি ব্যাংক ।
০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৪৩
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: ভালাই কইলেন !
১৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৮
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: মজার ব্যাপার হলো, ইসলামী ব্যাংকের প্রবক্তারাও এটা জানেন । "সাম্প্রতইককালে সুদকে মূনাফার ছদ্মাবরণে চালাবার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে । কিন্তু সুদকে মুনাফা বা অনুরূপ কোনো শব্দের পোষাক পড়িয়ে দিলেই সুদের বৈশিষ্ট বদলে যায় না, বরং সুদ সুদই থকে যায় । আর তা অবশ্যই হারাম । " [ আল-নাজ্জার প্রমুখ, ইসলামী ব্যাংক কি ও কেন? ১৯৮৪ পৃ-৩০ ] তাই যদি হয়,তবে ইসলামী ব্যাংকে গচ্ছিত আমানতের জন্য আমানতকারী যে লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ট পায় তাও কি আসলে জমানো টাকা বাবদ সুদ নয় ???
১৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৪০
সরকার সেলিম বলেছেন: ইসলামি ব্যাংকিং সিসটেমটা হলো সারা বিশ্বের ইসলামিক স্কলারদের সমন্বিত ইজমা, কিয়াস ও গবেষনা দ্বারা প্রনিত একটা হালাল ব্যংকিং ব্যাবস্হা।এখানে জামাতের বিরোধিতা করতে গিয়ে পখ্যান্তরে বিশ্বের ইসলামিক স্কলারদের বিরোধিতা করা হচ্ছে। ইসলামি অর্থব্যাবস্হার বিরধিতা করে থাকে যারা সামাজতান্ত্রিক অর্থ ব্যাবস্হাকে গোর সমর্থক। ইসলামি ব্যাংকিং ব্যাবস্হা কি শুধু বাংলাদেশেই নাকি অন্যান্য মুসলিম দেশে ও আছে!! ভাই, সমালোচনা করার আগে ইসলামি শরিয়ার ভিতর থেকে ইসলামিক স্কলারদের চ্যালেন্জ করে ব্যাংকিং ব্যাবস্হার একটা পদ্ধতি বের করে দেখান। আমার মনে হয় আপনার উদ্দেশ্য ইসলামি অর্থব্যাবস্হাকে বিতর্কিত করা ছাড়া আর কিছুই না।
ইসলামি ব্যাংক হচ্ছে বিসমিল্লাহ পড়ে মুরগি জবাই দিয়ে হালাল মাংস খাওয়ার সমতুল্য। এখানে হালাল মাংস আর হারাম মাংসের পার্থক্য হচ্ছে কিন্তূ একটা বিসমিল্লাহ। বিসমিল্লাহ না পড়ে মুরগি জবাই দিলে কিন্তূ মুসলিমদের জন্য ঐ মাংস হালাল হবে না।
ইসলামিক স্কলাররা যদি ব্যংকিং ব্যাবস্হায় আমাদের অর্থ হালাল করার ব্যাবস্হা করে থাকে তাহলে যারা হালাল খাইতে চায় তাদের জন্য বড় একটা সুযোগ ইসলামি ব্যাংক করে দিয়াছে। আর এই দ্বায়িত্ব ইসলামিক স্কলারদের আমাদের না। আমাদের জন্য হালালই হবে।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:১৯
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা শুধু বাংলাদেশে না, অন্যান্য মুসলিম দেশেও আছে । উইকিপিডিয়ায় গেলে সবগুলোর লিস্ট পেয়ে যাবেন । আবার লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক ইত্যাদি যেসব দেশ মুসলিম অধ্যুষিত তো নয়ই,এমনকি সুদূর ভবিষ্যতেও সেখানে ইসলামী শাসন চালি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি না, তাতেও সত্তর আশির দশকে দু'একটি করে ইসলামী ব্যাংক ও অনুরুপ অর্থপ্রতিষ্ঠান চালু হয়ে গেছে । স্রেফ লাভের আশা ছাড়া এর ব্যাখ্যা কী ???
ব্যক্তিবিশেষের সমালোচনা করা আমার লক্ষ্য নয় । আমি অর্থনীতির গুরুত্ত্বপূর্ণ শাখা ব্যাংকিং সেক্টরে ইসলামী ব্যাংকিং এর তত্ত্ব ও প্রায়োগিকতা নিয়ে যেটুকু বুঝছি লেখার চেষ্টা করছি । আপনার ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি আমার কোনো ব্যক্তিগত ক্ষোভ নেই । কিন্তু সেটা আপনার কাছেই রাখুন । এখানে যুক্তি দিয়ে কথা বলুন । অর্থশাস্ত্র আর নীতিশাস্ত্রকে মিলিয়ে ফেলবেন না দয়া করে ।
আর ইসলামী স্কলারদের প্রতি এমন অন্ধবিশ্বাস না রেখে নিজেই যাচাই করে দেখুন না ব্যংকিং ব্যাবস্হায় আপনাদের অর্থ 'হালাল' করার ব্যবস্হা তারা আসলেই কতোখানি করেছেন ! ওনাদের মত আপনার জ্ঞানবুদ্ধিও তো খোদাতালাই দিয়েছেন, তাই না ??
এমনভাবে সমালোচনার উর্ব্ধে রাখলে কিন্তু ধর্মকেই অশ্রদ্ধা করা হয় । ভালো থাকবেন ।
২০| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৪
দুরের পাখি বলেছেন: ইসলামি ব্যাংক হচ্ছে বিসমিল্লাহ পড়ে মুরগি জবাই দিয়ে হালাল মাংস খাওয়ার সমতুল্য। এখানে হালাল মাংস আর হারাম মাংসের পার্থক্য হচ্ছে কিন্তূ একটা বিসমিল্লাহ।
জেনা । বৌদ্ধদের একটা গুরুপ আছে যারা মাছ খাওনের পিছে যুক্তি বাইর করছে এইরাম : মাছগুলা পানিতে ডুইব্যা মরতাছে তাই ঐগুলারে বাঁচানির লাইগা আমরা ডাঙায় উঠাই, ডাঙায় উঠাইয়া দেখলাম ঐগুলা মৈরা গেলো । হত্যা যেহেতু আমরা করি নাই তাইলে খাইতে আর দোষ কি ।
এছলামি ব্যাংকিং হৈতাছে এইরকম বিজনেস ।
২১| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৩
অন্যরকম বলেছেন: আমি যদ্দুর জানি সুদ আর মুনাফার মাঝে পার্থক্য খুবই সূক্ষ। এই সূক্ষ পার্থক্যটা বজায় রাখা বা না রাখার উপরেই নির্ভর করে লভ্যাংশ সুদ হবে না মুনাফা হবে। যেমন, আপনি একটি গাড়ি কিনতে চান। আপনার দরকার কার লোন। অন্যান্য ব্যাংক আপনাকে সরাসরি টাকা দিয়ে দিবে এবং আপনি গাড়ি কিনে ব্যবহার করতে থাকবেন, আর তাদেরকে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে থাকবেন। কিন্তু ইসলামী ব্যাংকিংয়ের সিস্টেম যদ্দুর আমি জানি সেটা হল এই সিস্টেমে আপনাকে সরাসরি কোন টাকা দিবে না। আপনার পছন্দমত গাড়ি কিনে তারা সেই গাড়ি আপনাকে ব্যাংকের রেটে প্রদান করবে। অর্থাৎ এখানে ব্যাংক বাড়তি টাকা রাখবে যেটা মুনাফা হিসেবে পরিগণিত হবে। আপনি কিস্তিতে সেই টাকা পরিশোধ করবেন। এখন যে সমস্ত ইসলামী ব্যাংক এই সিস্টেম ফলো করে না, তারা ইসলামী ব্যাংকিংয়ের কথা বললেও সেটা আসলে হবে ট্রেডিশনাল ব্যাংকিং। এক্ষেত্রে গ্রাহককেই সাবধানতার সাথে যাচাই বাছাই করতে হবে আসলেই কোন ব্যাংক সত্যিকারের এই সমস্ত রুলস গুলা ঠিকঠাক মত পালন করে।
আর অনেকেই বলেন যে ইসলামী ব্যাংকিংএ আজ পর্যন্ত কেউ লসের শেয়ার পায়নি। এটার অনেক কারণ থাকতে পারে যে ইসলামী ব্যাংকসমূহ অনেক সাবধানতার সাথে ব্যবসায় লগ্নি করে যেটাতে লসের সম্ভাবনা অনেক কম। আর হলেও তাদের নিট প্রফিটের তুলনায় এই লস এতই কম যে সেটা অনুল্লেখযোগ্য।
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৪৭
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: সাম্প্রতিক সময়ে স্যাটেলাইট চ্যানেলের মাধ্যমে পরিচিত ইসলামী বক্তা ড. জাকির নায়েক রিবা বা সুদের সংজ্ঞা দিয়েছেন এভাবে - "রিবা শব্দের অর্থ আসলের সাথে অতিরিক্ত যোগ হওয়া । তা Usary বা মাত্রাতিরিক্ত সুদ অথবা Interest বা সুদ যে নামেই হোক । কুরআনে তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে । "
আপনার উদাহরন অনুযায়ী ব্যাংক আমাকে সরাসরি গাড়ি কেনার টাকা দিয়ে বাড়তি টাকা রাখলে সেটা হবে সুদ । আর যদি ব্যাংক নিজেই গাড়ি কিনে আমাকে দেয় ও বাড়তি টাকা রাখে তবে সেটা হবে মুনাফা, সুদ নয় । দুই জায়গাতেই তো আসলের সাথেঅতিরিক্ত অর্থ তথা বাড়তি টাকা নেয়া হলো তাহলে । পার্থক্য শুধু নিজেই গাড়ি কেনা আর ব্যাংকের গাড়ি কিনে দেয়ার মধ্যে । কোনো গিনিসের নাম পাল্টে দিলেই কি জিনিসটা পাল্টে যায় ? সুদ না বলে দালালি বা মুনাফা বা কমিশন ইত্যাদি যাই হোক একটা নাম দিলেই অর্থ বিনিয়োগ থেকে বাড়তি অর্থ লাভের ঘটনাকে কি অস্বীকার করা যায় ??
২২| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:০০
মুক্তপাখী বলেছেন: আপনি ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে পোষ্ট দিলেন না ইসলামী ব্যাংক নিয়ে দিলেন?
ইসলামী ব্যাংকিং অবশ্যই সুদি ব্যাংকিং এর চেয়ে ভিন্ন। এইটা বিশাল আলোচনার বিষয়। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে একটা ছোটো পার্থক্য বলি.. আপনি যদি গাড়ি কিনতে চান তাইলে "সুদি ব্যাংক আপনাকে একটা নির্দিষ্ট সুদে ঋনের টাকা দিয়ে দিবে।" “আর ইসলামী ব্যংকিং এ নিয়ম হলো আপনার চাহিদা অনুযায়ী ব্যংক নিজে গাড়ি কিনবে এবং এরপর নির্দিষ্ট পরিমান লাভ করে সে আপনার কাছে বিক্রি করবে। মানে হলো ব্যংক ব্যবসা করলো...একজন মুদি দোকানদার যা করে..পার্থক্যটা সুক্ষ্....
এছাড়াও ইসলামী ব্যংকিং এর আরো Mode আছে...কিভাবে ইসলামী ব্যংকিং করা হয়...তারপর যাচাই করুন ইসলামী ব্যংকিং যারা করে তারা তা যথাযথ ভারে মানে কিনা?
বালাদেশ ব্যাংক এ ফিনানসিয়াল প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার নিয়ম হলো..”that the company is or will be in a position to pay its present or future depositors in full as their claims accrue; that the affairs of the company are not being or are not likely to be conducted in a manner detrimental to the interest of its present and future depositors; that, in the case of a company incorporated outside Bangladesh, the Government or law of the country in which it is incorporated Bangladesh as the Government or law of Bangladesh grants to banking companies incorporated outside Bangladesh and that the company complies with all applicable provisions of Bank Companies Act, 1991." “ সুত্রঃ Click This Link
এইখানে সুদ দেয়া-নেয়া বাধ্যতামুলক বলে কি কিছু লিখা আছে?
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:২২
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: না ভাই, এখানে বাধ্যতামুলকভাবে সুদ দেয়া-নেয়ার কথা বলা নেই । বলা আছে গ্রাহকদের স্বার্থের পক্ষে ক্ষতিকর হয় এমন কোনো কিছু করা যাবে না । সব চে বড় কথা ইসলামী শরিয়াহ মেনে কোনোভাবেই সুদ আদান-প্রদান করা যাবে না - এই গুরুত্ত্বপূর্ণ কথাটি এখানে লেখা নেই । ফলে মানার আইনি বাধ্যবাধকতাও নেই । আর কোনো সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নয়, সরাসরি 'বানিজ্যিক ব্যাংক' হিসেবে নিবন্ধিত হয়ে ইসলামী নামধারী ব্যাংকগুলো সহজেই আইনি ঝামেলা ও গ্রাহকের সাথে অলিখিত নানা নীতিকথা দায়বদ্ধতা এড়াতে পারছে । সেজন্যই বানিজ্যিক ব্যাংকের সংজ্ঞা আমি প্রথমেই দিয়েছি । আর সকলেই জানে বানিজ্যিক ব্যাংকের বানিজ্যের উদ্দেশ্য কী থাকে !
আপনার 'ছোট্ট' পার্থক্যের বিষয়ে আগের মন্তব্যে বলেছি । এ ধরনের 'সূক্ষ' বা 'ক্ষুদ্র' মারপ্যাঁচের মাধ্যমেই আজকাল অনেক 'বৃহৎ' বানিজ্য হচ্ছে । আর আমার লেখার উদ্দেশ্য শুধু জামাতিদের ইসলামী ব্যাংক নয়,সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার সম্পর্কে ধারনা তৈরী করা । এক্ষেত্রে জামাতিদের ব্যাংকটি ধরেই এগিয়েছি কারন তারা এই লাইনে পথিকৃৎ ও বাদবাকি ব্যাংকগুলো কমবেশী তাদের নীতি ও পদ্ধতিই অনুসরণ করে । আপনাকে ধন্যবাদ ।
২৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:০৪
মুক্তপাখী বলেছেন: (correction)..কিভাবে ইসলামী ব্যংকিং করা হয়...তা আগে ভালভাবে জানুন...তারপর যাচাই করুন ইসলামী ব্যংকিং যারা করে তারা তা যথাযথ ভাবে মানে কিনা? না জেনে সুদি গুলিয়ে ফেলা ঠিক না
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:২৪
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: হ্যাঁ ভাই । জানার চেষ্টা করছি । আপনিও জানুন ও আমাকে সঠিক জিনিসটি বুঝতে সাহায্য করুন ।
২৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:১৬
মুক্তপাখী বলেছেন:
০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:২৭
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: নির্বাক হয়ে গেলেন নাকি ?
২৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:০২
মুক্তপাখী বলেছেন: লেখক বলেছেন:
"আপনার উদাহরন অনুযায়ী ব্যাংক আমাকে সরাসরি গাড়ি কেনার টাকা দিয়ে বাড়তি টাকা রাখলে সেটা হবে সুদ । আর যদি ব্যাংক নিজেই গাড়ি কিনে আমাকে দেয় ও বাড়তি টাকা রাখে তবে সেটা হবে মুনাফা, সুদ নয় । দুই জায়গাতেই তো আসলের সাথেঅতিরিক্ত অর্থ তথা বাড়তি টাকা নেয়া হলো তাহলে । পার্থক্য শুধু নিজেই গাড়ি কেনা আর ব্যাংকের গাড়ি কিনে দেয়ার মধ্যে । কোনো গিনিসের নাম পাল্টে দিলেই কি জিনিসটা পাল্টে যায় ? সুদ না বলে দালালি বা মুনাফা বা কমিশন ইত্যাদি যাই হোক একটা নাম দিলেই অর্থ বিনিয়োগ থেকে বাড়তি অর্থ লাভের ঘটনাকে কি অস্বীকার করা যায় ??"
আপনার চোখে এইটাও সুদ হলে ব্যবসা কোনটা? মুদি দোকানদার পাইকার থেকে ৩০টাকায় চাল কিনে আপনার কাছে বেচলো ৩২ টাকায়..এই ২ টাকা সুদ না ব্যবসার লাভ?
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৩৪
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি নিয়ে আমি পরের পোস্টে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি । পড়ে দেখবেন ।
২৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:১১
আলোর মিছিল বলেছেন: ইসলামি অর্থনীতি নিয়ে জানার ইচ্ছা আছে। আপনার কাছে কোন রেফারেন্স থাকলে দয়া করে জানাবেন। এই বিষয়ে আপনার পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ।
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪১
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলে ইসলামী অর্থনীতি বাংলায় চুলচেরা যৌক্তিক বিশ্লেষণধর্মী বইয়ের যথেষ্ট অভাব রয়েছে । অলেক সময়েই তাদের মূল বইগুলো পড়ে পড়েই সমালোচনার পয়েন্টগুলো খুঁজে পেতে হয়েছে । তবে সিরিজের শেষে আমি দু একটি বইয়ের নাম দেবার চেষ্টা করবো । ভালো থাকবেন ।
২৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪৪
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: ইসলামে কোন কালে কোথাও বলা হয় নাই ব্যাংকিং হারাম। বলা হয়েছে সুদ হারাম। সেটা কোন প্রেক্ষাপটে? মহাজনী সুদের ক্ষেত্রেই সেটা প্রযোজ্য। ব্যাংকিং তো তখন ছীল ই না।
কুটিল মোল্লারা ব্যাবসা নিজেদের কুক্ষিগত করার স্বার্থে ভন্ডামীর ইসলামী ব্যাংক তৈরি করেছে।
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:০০
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: ভালই কইছেন দাদা । মহাজনী ব্যবস্থাটারে সামনে নিয়া আসছেন । আপনারে ধন্যবাদ ।
২৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৫২
মেঘ বলেছেন: ইসলামী ব্যাংকিং স্রেফ ধাপ্পাবাজি ছাড়া কিছু নয়। আমরা, ব্যাংকাররা নানাভাবে গ্রাহকদের পকেট ভ্যানিটি ব্যাগ কেটে থাকি, ইসলামী ব্যাংকিং সেরকমই একটা জিনিস। অনেকটা এরোমেটিক হালাল সাবানের মতো - সাবান কি আমি খামু??
বহুদিন ভাবছি ইসলামী ব্যাংকিং ভার্সাস সাধারণ ব্যাংকিং এর একটা তুলনামূলক আলোচনা পাবলিকের বোঝার মতো করে লিখমু, আলসামির জন্য হয় নাই। আপনাকে ধন্যবাদ।
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৫৮
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: আপনে কি ব্যাংকে আছেন নাকি ? পরের পর্ব দিছি । পইড়া মত দিয়েন ।
২৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৪৪
অন্যরকম বলেছেন: ইসলামী ব্যংকিং টা কি একটু বুঝায়া লিখলে ভাল হইত @ মেঘ!
৩০| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৮
আলোর মিছিল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে ইসলামী অর্থনীতি নিয়ে জানার ইচ্ছা অনেক দিনের। কিন্তু শুরুই করতে পারছিনা। সারাদিন অফিস করে বাসায় এসে আর কোন কিছু ভালো লাগেনা।somewherein এও একদমই irregular। অলস সময় কেটে যাচ্ছে। এই বিষয়ের উপর কিছু article পরতে পারলে ভালো হইত। আপনার কাছে যদি specific কোন কিছু থাকে তাহলে আমাকে জানাবেন প্লিজ। আপনি শুধু বাংলা বইয়ের কথা বলেছেন। ইংরেজীতে লিখা বই হলেও অসুবিধা নাই।
ভালো থাকবেন।
০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৩৩
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: আমার কাছে কোনো সফট কপির লিংক নেই । তাই দিতে পারছি না । আবার এক মলাটেই ইসলামী অর্থনীতির বিশ্লেষণ নিয়ে ভালো বইও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর । তবে এম। রডিনসনের ' হিস্ট্রি আন্ড ইসলাম ' বইটা দেখতে পারেন ।
বাংলাদেশের বামপন্থী দলগুলোর পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো প্রকাশনা আমার নজরে পড়ে নি । শুধু বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের একটি প্রকাশনা 'ইসলামী অর্থনীতি ও ইসলামী ব্যাংকিং প্রসঙ্গ' নামে একটি প্রকাশনা আছে । পারলে এটি সংগ্রহ করে ডেখতে পারেন । আপনার খোঁজাখুঁজির কাজ তাতে অনেক সহজ হয়ে যাবে । আমিও আমার লেখায় তাদের আনেক রেফারেন্স ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ব্যভার করছি । তবে সিরিজের শেষে আরো কিছু বইয়ের নাম দিয়ে দেবো । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
৩১| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৪৯
আরিফ থেকে আনা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট
০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৩৪
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: পিঠ চাপড়ায়ে দিলেন !
৩২| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:০২
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
আপনাকে আমন্ত্রণ Click This Link
৩৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:২৬
সািদক বলেছেন: আল্লামা তাক্বী উসমানী সাহেবের বিখ্যাত একটি বইয়ের(ইসলামী ব্যাংকিং ও অর্থায়ন পদ্ধতি সমস্যা ও সমাধান) লিংক দিলাম।
Click This Link
Click This Link
১০ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:০৭
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: ধন্যবাদ । পড়ে পরে মন্তব্য করবো ।
৩৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:০৯
মুক্তপাখী বলেছেন: http://en.wikipedia.org/wiki/Islamic_banking
১৭ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:৫০
পড়ুয়া_পড়ুয়া বলেছেন: লিংকের জন্য ধন্যবাদ । এটা পড়েছি ।
৩৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:১০
ধূসর শূণ্যতা বলেছেন: আমি একটা বিষয়ে কানফিউজড আসলে আপনি ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে পোষ্ট দিলেন না ইসলামী ব্যাংক নিয়ে দিলেন?আমার কাছে বেশি অবাক লাগে যখন ইসলাম কথা অসলেই সেখানে রাজাকার চলে আসে ৷ জামাতীরা ইসলামকে ব্যবহার করছে না আপনারা তাদেরকে ইসলামের সাথে জরাইতেছেন ৷ যাইহোক এটা আমার কথা না ৷ অন্যরকম এর পোসট ভালো লাগল ৷ আর পড়ুয়া ভাই আপনি ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে শুধু না পড়ে বোঝার চেষটা করুন,
"আপনার উদাহরন অনুযায়ী ব্যাংক আমাকে সরাসরি গাড়ি কেনার টাকা দিয়ে বাড়তি টাকা রাখলে সেটা হবে সুদ । আর যদি ব্যাংক নিজেই গাড়ি কিনে আমাকে দেয় ও বাড়তি টাকা রাখে তবে সেটা হবে মুনাফা, সুদ নয় । দুই জায়গাতেই তো আসলের সাথেঅতিরিক্ত অর্থ তথা বাড়তি টাকা নেয়া হলো তাহলে । পার্থক্য শুধু নিজেই গাড়ি কেনা আর ব্যাংকের গাড়ি কিনে দেয়ার মধ্যে । কোনো গিনিসের নাম পাল্টে দিলেই কি জিনিসটা পাল্টে যায় ? সুদ না বলে দালালি বা মুনাফা বা কমিশন ইত্যাদি যাই হোক একটা নাম দিলেই অর্থ বিনিয়োগ থেকে বাড়তি অর্থ লাভের ঘটনাকে কি অস্বীকার করা যায় ??"
আমি যেটা বুঝি তা হলো এটাই সাধারণ ব্যাংকিং আর ইসলামী ব্যাংকিং এর মাঝে মৌলিক পার্থক্য ৷ ইসলাম এতটুকুন ব্যবধানকেই হারাম ও হালাম করেছেন ৷ আর সোহায়লা রিদওয়ান এর সাথে এই জন্য একমত যে নাই মার চেয়ে কানা মামা ভালো ৷ আমাদের কাছে এর চেয়ে ভালো অপশোন নাই.
ok thn ask all da leftist of our country to open atleast one branch of islamic bank in bangladesh then all will close our account from islamic bank and open account in tht bank...wht u say.... i don't kno wht problem u all hav wid islam, islamic education & islamic institutes( madrasa) ??? few dayz ago 1 of govt's minister said madrasa doesn't creats any thing without hujur's... i would like to ask that minister tht whum will u seek at first ofter ur death?? thts da hujur whum u need for ur bath, janaja & burial.... does ur son knows these works to do at that time???so why do u all ignore them so much??? sry for bringing some other topic in ur post....
৩৬| ২২ শে মে, ২০১০ রাত ৯:০৩
নাক বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখিত ভাই প্লাসের বদলে মাইনাস দিয়ে ফেলেছি ।আর একবার দিলে তো বুঝেনই। আমি ইসলামী ব্যাংকের ভন্ডমির বিপক্ষে।ইসলামের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত যাতে ব্যাকিং এর কোনও বিষয়ই নেই এবং প্রয়োজনও নেই। কতিপয় স্বার্থান্বেষী পুজিপতিঁ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতির সুযোগে প্রতারণার ধান্দ্বা করছে মাত্র।
৩৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৮
হেলাল উদ্দিন ব্লগ বলেছেন: আল্লাহ এই ইসলামি বাংকি পরিচালনা করা টাউটদের কান-মাথা, মুনাফেকের মত সিলগালা করে দিয়েছে। আপনি যতই বোঝান, কাজ হবে না।
আর আমাদের ইসলামিক (!!) জনতার - মজলিশ এ সুরা আলাদের উপরে রয়েছে অগাধ বিশ্বাস। এতই বিশ্বাস যে - তাদের কাছে নিজের মেয়ে-বোনকে জিম্মায় রেখে হজে যেতে পারবেন।
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদুর। আমরা দুরে যেতে নারাজ। বিশ্বাস করে বস্তু হাসিল করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
বিশ্বাসে জিনিস কত সহজ হয়ে যায়। ধরুন হুজুর আপনার মেয়ে-বোনের গায়ে হাত দিয়েছে।
এখন তর্ক করলে হুজুরের বিরুদ্ধে গন্ডগোলে যেতে হয়। আপনি ইমানদার মানুষ তা কেন করবেন।
তারচেয়ে সরল বিশ্বাসে বলুন - হুজুর গায়ে হাত দিয়েছে মানে - তিনি নিশ্চয় সুন্নতি কায়দায় দিয়েছেন। ওতে পাপের কিছু নাই।
৩৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৫
হেলাল উদ্দিন ব্লগ বলেছেন: জেনুইন ইছলামি ব্যঙক এর মাধ্যমে লেন-দেন করুন; সুদ থেকে দুরে থাকুন।
আমরা সব ধরনের সুদ, অরিজিনাল ইসলামিক ফিল্টারের মাধ্যমে - মুনাফায় পরিণত করি।
আমাদের মজলিশে শুরা সদস্যরা তাদের আল্লাহ প্রদত্ত অসীম ক্ষমতার মাধ্যমে সব ঠিক করে দেন।
তাই, সুদের সমস্যা আমাদের উপরে ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করুন। আপনি নিশ্চয় দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াব হবেন।
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:৪৮
সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: আল্লাহ সুদ কে করেছেন হারাম এবং ব্যাবসাকে করেছেন হালাল।