![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃতির সাথে একাত্ম হওয়াই আমার চেষ্টা
ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণের প্রকৃতিখণ্ডে মনসাস্তোত্রম অনুসারে মনসাদেবী- শিবের শিষ্যা, ভগবতীর কন্যা, জরৎকারু মুনির স্ত্রী ও আস্তিকমুনির মা
২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৬
কামরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ। আমার যথেষ্ট প্রস্তুতি না থাকায় পদ্মপুরাণের কথা উল্লেখ করতে পারিনি।
৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৯
বিপ্লব কান্তি বলেছেন: মনসাদেবী লৌকিক সর্পদেবী। তাঁর পূজা প্রধানত বাংলা ও উত্তর ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে প্রচলিত। সর্পদংশন প্রতিরোধ ও সাপের বিষের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাঁর পূজা করা হয়। মনসা প্রজনন ও সমৃদ্ধিরও দেবী। তিনি নাগরাজ বাসুকীর ভগিনী ও ঋষি জগৎকারু বা জরৎকারুর পত্নী।মনসা বিষহরি (বিষনাশকারিণী), জগৎগৌরী, নিত্যা (চিরন্তনী) ও পদ্মাবতী নামেও পরিচিতা । পুরাণ ও লোককথা অনুযায়ী, পিতা শিব ও স্বামী জগৎকারু উভয়েই মনসাকে প্রত্যাখ্যান করেন। সৎ-মা চণ্ডী (এই ক্ষেত্রে পার্বতীর নামান্তর) তাঁকে ঘৃণা করেন। এই কারণে মনসা সর্বদা নিরানন্দ ও বদরাগী। অন্য এক মতে, মনসার পিতা হলেন কশ্যপ। মনসা তাঁর ভক্তদের ভালবাসেন। কিন্তু যে তাঁর পূজা করতে অস্বীকার করে, তার প্রতি তিনি নির্দয় হন। প্রথম দিকে দেবতারা মনসার দেবীত্ব স্বীকার করেননি। এই কারণে মনসাকে নিজে উদ্যোগী হয়ে দেবী হিসেবে তাঁর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হয় এবং নিজেকেই নিজের পূজা প্রচার করে মানব ভক্তমণ্ডলীতে স্থান খুঁজে নিতে হয়।
মহাভারতে মনসার বিবাহের কাহিনিটি রয়েছে। ঋষি জগৎকারু এক প্রচণ্ড তপস্যায় রত ছিলেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে বিবাহ করবেন না। একদা তিনি দেখতে পান যে একদল লোককে গাছে উলটো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এঁরা ছিলেন তাঁরই পূর্বপুরুষ। তাঁদের সন্তানেরা তাঁদের শ্রাদ্ধাদি সম্পূর্ণ না করায় তাঁদের এই দুঃখজনক অবস্থা হয়েছিল। তাঁরা জগৎকারুকে বিবাহ করার উপদেশ দিয়ে বলেন যে তাঁর পুত্রই শ্রাদ্ধাদি সম্পূর্ণ করে তাঁদের দুঃখ থেকে মুক্তি দিতে পারবে। বাসুকী জগৎকারুর সঙ্গে নিজ ভগিনী মনসার বিবাহ দেন। আস্তিক নামে তাঁদের একটি পুত্রসন্তান হয়। আস্তিক তাঁর পূর্বপুরুষদের মুক্তি দেন। রাজা জনমেজয় সর্পজাতির বিনাশার্থে সর্পনিধন যজ্ঞ শুরু করলে আস্তিকই নাগদের রক্ষা করেন।
মনসার জন্মকাহিনি প্রথম উল্লিখিত হয়েছে পুরাণগ্রন্থেই। মঙ্গলকাব্যে তাঁকে শিবের কন্যা বলা হলেও, পুরাণ অনুসারে তিনি ঋষি কশ্যপের কন্যা। একদা সর্প ও সরীসৃপগণ পৃথিবীতে কলহ শুরু করলে কশ্যপ তাঁর মন থেকে মনসার জন্ম দেন। ব্রহ্মা তাঁকে সর্প ও সরীসৃপদের দেবী করে দেন। মনসা মন্ত্রবলে বিশ্বের উপর নিজ কর্তৃত্ব স্থাপন করেন। এরপর মনসা শিবের সঙ্গে সন্ধিস্থাপন করেন। শিব তাঁকে কৃষ্ণ- আরাধনার উপদেশ দেন। মনসা কৃষ্ণের আরাধনা করলে কৃষ্ণ তুষ্ট হয়ে তাঁকে সিদ্ধি প্রদান করেন এবং প্রথামতে তাঁর পূজা করে মর্ত্যলোকে তাঁর দেবীত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। কশ্যপ জরুৎকারুর সঙ্গে মনসার বিবাহ দেন। মনসা তাঁর অবাধ্যতা করলে, তিনি মনসাকে ত্যাগ করবেন – এই শর্তে জরুৎকারু মনসাকে বিবাহ করেন। একদা মনসা দেরি করে তাঁর নিদ্রাভঙ্গ করলে তাঁর পূজায় বিঘ্ন ঘটে। এই অপরাধে জরুৎকারু মনসাকে ত্যাগ করেন। পরে দেবতাদের অনুরোধে তিনি মনসার কাছে ফিরে আসেন এবং আস্তিক নামে তাঁদের একটি পুত্রসন্তান জন্মায়।
এরপর মনসা তাঁর সহচরী নেতার সঙ্গে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন মানব ভক্ত সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে। প্রথম দিকে লোকেরা তাঁকে ব্যঙ্গ করে। কিন্তু যারা তাকে পূজা করতে অস্বীকার করে, তাদের চরম দুরবস্থা সৃষ্টি করে তাদের পূজা আদায় করেন মনসা। তিনি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের পূজা লাভে সক্ষম হন। এমনকি মুসলমান শাসক হাসানও তাঁর পূজা করেন। কিন্তু শিব ও চণ্ডীর পরমভক্ত চাঁদ সদাগর তাঁর পূজা করতে অস্বীকার করেন। চাঁদের পূজা আদায়ের জন্য মনসা চাঁদের ছয় পুত্রকে হত্যা করেন এবং তাঁকে নিঃস্ব করে দেন। পরে তিনি চাঁদের কনিষ্ঠ পুত্র লখিন্দরকে হত্যা করলে, তাঁর বিধবা পুত্রবধূ বেহুলা চাঁদকে মনসা পূজায় রাজি করাতে সক্ষম হন। চাঁদ মনসার দিকে না তাকিয়ে বাম হাতে তাঁকে ফুল ছুঁড়ে দেন। মনসা তাতেই খুশি হয়ে চাঁদের ছয় পুত্রকে জীবিত করেন এবং তাঁর সকল সম্পত্তি ফিরিয়ে দেন। এরপরই মনসা পূজা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
মনসামঙ্গলে বলা হয়েছে, পূর্বজন্মে চাঁদকে মনসা একটি অভিশাপ দিয়েছিলেন। তার পাল্টা অভিশাপে মনসার ভক্ত সংগ্রহে অসুবিধা হতে থাকে। কারণ এই শাপে বলা হয়েছিল, চাঁদ মনসার পূজা না করলে মর্ত্যে মনসার পূজা প্রচলন লাভ করবে না।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে, প্রতিমায় মনসা পূজা করা হয় না। মনসা পূজিতা হন স্নুহী বা সীজ বৃক্ষের ডালে অথবা বিশেষভাবে সর্পচিত্রিত ঘট বা ঝাঁপিতে। যদিও কোথাও কোথাও মনসা মূর্তিরও পূজা হয়। বাংলায় মনসা পূজা বহুল প্রচলিত। এই অঞ্চলে মনসার মন্দিরও দেখা যায়। বর্ষাকালে সাপেদের প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে বলে এই সময়ই মনসা পূজা প্রচলিত। শ্রাবণ মাসে নাগপঞ্চমীতেও মনসার পূজা করা হয়।
উপরের লেখাটি আমার নয় , পোষ্টটির সমৃদ্ধি প্রকাশে আমি লেখাটি বিতরন করলাম । আর মনসা পূজার সাথে আমার জীবনের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে , সেই স্মৃতির গন্ধ এখন ও পাই । তাই মনসা পূজা নিয়ে লেখাটিতে আগ্রহ প্রকাশ ।
১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২০
কামরাজ বলেছেন: অনুগ্রহ করে বলির ব্যাপারে কিছু লিখুন।
৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩১
বিপ্লব কান্তি বলেছেন: আমাদের পরিবারে (ক্রমে ক্রমে সেটি ভেঙে গেছে) বলির প্রচলন ছিল না ।
আমি ধার্মিক মানুষ নই , কিন্তু কোন পূজাতে বলি সাপোর্ট করি না , যারা দেয় তাদের বিরুদ্ধে ও কিছু বলবো না , কারন আমি মূলত পথিক, অনেক কিছুই দেখি শুনি , কথা বলি না । নিজের মাঝে আটকিয়ে রেখে দেই ।
যদি কেউ বলি দেয়, তার বিশ্বাসে সে দেয় । কিন্তু কলির হিন্দু ধর্ম এসব সাপোর্ট করে না , এজন্যেই মহাপ্রভুর আগমন । সাক্ষাৎ গৃহী সন্নাসী, কলির ধর্মের সারকথা । যে যাই কিছু করুক সেটা তার নিজস্ব প্রচলন এবং ইচ্ছে । কিন্তু আবার ও বলবো , আমি হত্যা পছন্দ করি না ।
কারন আজ দূর্গার সামনে আমি একটি মহিষকে এক কোপে কেটে ফেলতেছি । কি লাভ হচ্ছে ? প্রতিকি অসুর বধ ! ছাগল কাটছি ? কি লাভ হচ্ছে ? প্রতীকি অসুর বধ করছি ? নাকি পেট পুরে খাওয়ার জন্যে ?
ভাই আমি কিলিং পছন্দ করি না, নিজে ও মাংস খাই না । সে জন্য কারো বিরুদ্ধে বলবো না । যার যা ইচ্চে তাই করুক ।
৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১০
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ধন্যবাদ বিপ্লব কান্তিকে , ধর্মীয় মিথ গুলা ইন্টারেস্টিং হয়।
৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫৩
কামরাজ বলেছেন: হিন্দুধর্মে মনসা লৌকিক সর্পদেবী। তাঁর পূজা প্রধানত বাংলা ও উত্তর ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে প্রচলিত। সর্পদংশন প্রতিরোধ ও সাপের বিষের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাঁর পূজা করা হয়। মনসা প্রজনন ও সমৃদ্ধিরও দেবী। তিনি নাগরাজ বাসুকীর ভগিনী ও ঋষি জগৎকারু বা জরৎকারুর পত্নী।[১] মনসা বিষহরি (বিষনাশকারিণী), জগৎগৌরী, নিত্যা (চিরন্তনী) ও পদ্মাবতী নামেও পরিচিতা।[২]পুরাণ ও লোককথা অনুযায়ী, পিতা শিব ও স্বামী জগৎকারু উভয়েই মনসাকে প্রত্যাখ্যান করেন। সৎ-মা চণ্ডী (এই ক্ষেত্রে পার্বতীর নামান্তর) তাঁকে ঘৃণা করেন। এই কারণে মনসা সর্বদা নিরানন্দ ও বদরাগী। অন্য এক মতে, মনসার পিতা হলেন কশ্যপ। মনসা তাঁর ভক্তদের ভালবাসেন। কিন্তু যে তাঁর পূজা করতে অস্বীকার করে, তার প্রতি তিনি নির্দয় হন।[৩] প্রথম দিকে দেবতারা মনসার দেবীত্ব স্বীকার করেননি। এই কারণে মনসাকে নিজে উদ্যোগী হয়ে দেবী হিসেবে তাঁর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হয় এবং নিজেকেই নিজের পূজা প্রচার করে মানব ভক্তমণ্ডলীতে স্থান খুঁজে নিতে হয়।[৪]
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪১
বিপ্লব কান্তি বলেছেন:
আরেকটু লিখলে ভালো করতেন । কেউ বুঝবে না , আপনি কি লিখেছেন , কেউ বুঝবে না আপনি পদ্নপুরাণের একটি পাতা দিয়েছেন । কেউ বুঝবে না মনসা কে ?
আজ শ্রী-পঞ্ছমী, নাগ-পঞ্চমী, মনসার পূজা অনেক হিন্দু বাড়িতে করা হচ্ছে । ঋষি কাশ্যপের সাধনা কনা হলেন দেবী মনসা । পদ্ণ পাতায় তাকে পেয়েছিলেন শিব । তাই তিনি শিবের ও ভাবকন্যা ।
শিব তাকে দেবি হওয়ার জন্য ঈশ্বরের আরাধনা করতে বলেন । ঈশ্বর তার আরাধনায় সন্তষ্ট হন এবং দেবী হিসেবে প্রতিষ্টা পান । কাশ্যপ তার এই পদ্ন কানি কন্যাকে জরৎকারু মুনির সাথে বিবাহ দেন এবং আস্তিক নামে এক সন্তানের জন্ম হয় । আস্তিক হলেন আস্তিক মুনি ,
এরমধ্য চাঁদ সওদাগরের সাথে এক প্রস্ত যুদ্ধ হয়ে যায় মনসার । চাঁদ সওদাগর শেষ পর্যন্ত সন্তানদের রক্ষাকরতে বা হাতে পদ্নকানীকে ফুল দিয়ে পূজা দেন ।
অনেক অনেক লম্বা । আপনি কি লিখলেন তা তো কেউ বুঝবে না