নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম। অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম, অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মণীন্দ্র চন্দ্র নন্দী

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৩


মহারাজা মণীন্দ্র চন্দ্র নন্দী ছিলেন কাশিমবাজারের মহারাজা। তার তিন পুত্র সন্তান এবং চার কন্যা সন্তান। পুত্র সন্তানরা হলেন- মহিমচন্দ্র নন্দী,কীর্ত্তিচন্দ্র নন্দী,শ্রীশ চন্দ্র নন্দী। আর কন্যা সন্তানরা হলেন- সরোজিনী,কুমুদিনী,কমলিনী এবং মৃণালিনী। মণীন্দ্র চন্দ্র নন্দীর পিতা হলেন নবীন চন্দ্র নন্দী আর মাতা হলেন গোবিন্দ সুন্দরী। গোবিন্দসুন্দরী হলেন কাশিমবাজারের রাজা কৃষ্ণনাথ রায়ের বোন। রাজা কৃষ্ণনাথ রায় ১৮৪৪ সালে ৩১ অক্টোবর নিজের হাতে গলা টিপে আত্মহত্যা করেছিলেন। স্ত্রী স্বর্ণময়ী ভোরবেলায় রাজা কৃষ্ণনাথ রায়ের সাথে ঝগড়া করেছিলেন,যার জন্যে রাজা কৃষ্ণনাথ রায় নিজের হাতে গলা টিপে আত্মহত্যা করেছিলেন। কৃষ্ণনাথের মাতা হরসুন্দরী নিজের বৌমা স্বর্ণময়ীকে বাঁচানোর জন্য কৃষ্ণনাথের মৃতদেহ কাশিমবাজার রাজবাড়ি থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। প্রচার করেছিলেন-রাজা কৃষ্ণনাথ বন্দুকের গুলিতে আত্মহত্যা করেছে। বিচারে মিথ্যারই জয় হয়েছিল। রাজার লেখা উইল সেদিন কোর্ট বাতিল করেছিল। কৃষ্ণনাথের মৃত্যুর পরে কাশিমবাজারের মহারাণী হলেন স্বর্ণময়ী। স্বর্ণময়ীর দুই কন্যা সন্তান- লক্ষ্মী এবং সরস্বতী। লক্ষ্মী অল্প বয়সে মারা গিয়েছিল। সরস্বতীর বিয়ে হয়েছিল। তার কন্যা সন্তান করুণাময়ী। দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্মের সময় সরস্বতী মারা যান। করুণাময়ীও অল্প বয়সে মারা যায়। ১৮৯৭ সালে ২৫ আগস্ট স্বর্ণময়ী দেহত্যাগ করেছিলেন। স্বর্ণময়ীর মৃতদেহ ঘরে পাঁচ দিন পড়েছিল। পরে মণীন্দ্র নন্দী এসে স্বর্ণময়ীর দেহ দাহ করেন। কাশিমবাজারের রাজা হলেন মণীন্দ্র নন্দী। ১৯০৩ সাল থেকে ১৯১০ সালের মধ্যে মণীন্দ্র নন্দী পাঁচজনকে হারালেন। একে একে মারা গেলেন- কীর্ত্তিচন্দ্র নন্দী, মহিমচন্দ্র নন্দী, মহিমচন্দ্রের স্ত্রী কিরণবালা নন্দী,কুমুদিনীর স্বামী নিরোদচন্দ্র পালচৌধুরী,সরোজিনীর স্বামী ধর্ম্মদাস দে। কীর্ত্তি অবিবাহিত ছিলেন। মহিমের এক কন্যা সন্তান- অন্নপূর্ণা। কুমুদিনীর কোন সন্তান ছিল না। সরোজিনীর পুত্র এবং কন্যা সন্তান ছিল। কমলিনীর স্বামী সত্যেন্দ্রনাথ পাল। তাদের এক পুত্র সন্তান ছিল।
মণীন্দ্র নন্দীর কনিষ্ঠা কন্যা মৃণালিনীর সাথে বিয়ে হয়েছিল বিজয় কৃষ্ণ রায়ের। বিজয় কৃষ্ণের দাদা যোগেন্দ্র কৃষ্ণ রায়। বাড়ি ফরিদপুরের ভোজেশ্বর গ্রামে।
শ্রীশ বিয়ে করেছিলেন দিঘাপতিয়ার রাজকন্যা নীলিমাপ্রভা রায়কে। নীলিমাপ্রভার পিতা প্রমোদানাথ রায়।
মণীন্দ্র নন্দীর ছোট মেয়ে মৃণালিনী এবং ফরিদপুরের ভোজেশ্বর গ্রামের বিজয় কৃষ্ণ রায় সম্বন্ধে যদি কেউ কিছু জানেন তাহলে আমার ব্লগে লিখে জানাবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.