নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

pramanik99

আমার স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোতে।

প্রামানিক

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

প্রামানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলেয়া (দ্বিতীয় পর্ব)

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪


আলেয়া (প্রথম পর্ব
(সহ ব্লগার আবু হেনা ভাইয়ের নিজের বাস্তব টিন-এজ প্রেম কাহিনী নিয়ে লেখা উপন্যাস "স্বপ্ন বাসর" অবলম্বনে।)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মা হওয়াতে সারা দিনমান
তার কাছে বসে বসে
কত না বিচার দিতাম মোরা
পরস্পর রোষে রোষে।

আদরের সুরে ধমক দিত মায়ে
আজো যাইনি ভুলি
বুক ভরা মোর সে সব কথা
কাকে কব মন খুলি?

সেই শিশুকালে দুই মায়ে মোর
করেছিল বিয়ে ঠিক
তোমার মুখে সে কথা শুনে
দিয়েছি কত যে ধিক।

সবার মতেই হয়েছিল নাকি
এই ঘটনাটি পাকা
দীর্ঘদিন গাঁয়ে না যাওয়াতে
কথা ছিল সব ঢাকা।

একাত্তর সালে যুদ্ধের সময়
এলাম যখন গাঁয়ে
শহরে থাকায় বুঝি নাই কিছু
বুঝালো পালক মায়ে।

মোর পাশে পাশে ঘোরাঘুরি করে
তুমি বুঝালে সব
তরুণ বয়সে পেয়ে তোমাকে
করেছি কত উৎসব।

দাদা, চাচা-চাচি, দাদিজান মোর
সকলের মুখে মুখে
মোদের বিয়ের শুভ কথা শুনে
কত আশা ছিল বুকে।

পেয়েছিলাম যেন স্বর্গের সুখ
তোমাকে কাছে পেয়ে
জানা ছিল না ক্ষণিকের সুখে
দুঃখ আসে পিছু ধেয়ে?

যুদ্ধ তখনও শেষ হয়নি
শহরে এলাম ফিরে
আসার সময় কি যে কষ্ট
কাকে দেখাই বুক চিরে?

কিছুটা কষ্ট হয়তো বুঝেছিল
অতি বৃদ্ধ দাদা মোর
প্রেমের নেশায় বুঝিনি তাকে
তখনও কাটেনি ঘোর।

মনে মনে খুব রাগ করেছিলাম
দাদার কথার পরে
প্রতিবাদ করার ছিলনা সাহস
তার ধমকের ডরে।

বিদায়ের কালে দোহেকে জড়ায়ে
সেই অন্ধ দাদাজান
হাত বুলিয়ে দোয়া করেছিল--
কেঁদেছিল মোর প্রাণ।

দুইজনের হাত এক করে দিয়ে
মোদের মঙ্গলের তরে
বলেছিল কেঁদে, “তোদের মিলন
এই তো পাঁচ বছর পরে”।

"বিয়ের পরে কি করে খাবি
লেখাপড়া করা ছাড়া,
বিনা লেখাপড়ায় ভাত পাবি না--
তাই বিয়েতে নাই তাড়া"?

আলেয়াকে ডেকে বলেছিল হেঁকে,
“ম্যাট্রিকটা পাশ কর,
কেমনে করবি লেখাপড়া ছাড়া
এতো শিক্ষিতের ঘর”?

বাবা চাচাকে শপথ করিয়ে
বলেছিল পাকা কথা
"মরি বা বাঁচি জুটি মিলে দিয়ো"
ঘর ছিল নিরবতা।

আরো বলেছিল ধমকের সুরে,
"কথা যদি হয় নড়চড়
কখনো দাঁড়াবে না কবরের পাশে
মোর মরণের পর"!

(চলবে)

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার।





ভালো থাকবেন নিরন্তর।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই দেশপ্রেমিক বাঙালী। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: চালিয়ে যান প্রামানিক ভাই। সুন্দর হয়েছে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গেম চেঞ্জার, আন্তরিক শুভ্চেছা রইল।

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

ডাঃ মারজান বলেছেন: ভালোলাগলো, চমৎকার, সাথেই আছি।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ডাঃ মারজান। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: মূল উপন্যাস পড়া হয়নি,কিন্তু উপন্যাস অবলম্বনে লেখা আপনার যে লেখা পড়লাম তা দারুন হয়েছে।চালিয়ে যান, আরো চাই+++

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রুদ্র জাহেদ। উপন্যাসটি বর্তমানে প্রিন্ট কপি শেষ হয়েছে। সামনে হয়তো ছাপা হবে। শুভেচ্ছা রইল।

৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: Really a work of exceptional kind. Thank you Pramanik vai. Thank you so much.

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ আবুহেনা ভাই। আপনার উপস্থিতিতে খুশি হলাম।

৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

আমি ভাল আছি বলেছেন: দুই মা জিনিসটা আমার কাছে ক্লিয়ার না।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৫

প্রামানিক বলেছেন: জন্মের পরে মা মরো মরো
আমার জীবনো যায়
নিয়েছিল কোলে আধামরা মোরে
তোমার দুখিনী মায়।

সুস্থ্য হয়েই তোমার মাকে
বলে ছিল মা মোর,
"মরা ছেলেকে বাঁচিয়ে রেখেছিস
আজ থেকে হলো তোর"।

সেই থেকে যে তোমার মাকেও
বলিতাম আমি মা
দুইটি মায়ের আদর পেয়ে
জুড়াইতো কলিজা।

দুই মায়ের বর্ননাটা প্রথম পর্বে আছে। কবিতাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভ্চেছা রইল।

৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৩

আমি ভাল আছি বলেছেন: হুম এইবার বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৪

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শুভেচ্ছা রইল।

৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: এইটা আমার চোখ ফাঁকি দিল কখন?!?!?!?!?!?! B:-)

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

প্রামানিক বলেছেন: গতকাল সকালে ফাঁকি দিয়েছে। ধন্যবাদ নাহার আপা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.