নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
আলেয়া (প্রথম পর্ব)
আলেয়া (দ্বিতীয় পর্ব)
(সহ ব্লগার আবু হেনা ভাইয়ের নিজের বাস্তব টিন-এজ প্রেম কাহিনী নিয়ে লেখা উপন্যাস "স্বপ্ন বাসর" অবলম্বনে।)
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
সে সব কথা মনে আছে মোর
কিন্তু তুমি তো নাই
দাদার কবরে আজো বসে বসে
কাঁদাকাটি করি তাই।
চোখ ছলছল মনে পরে আজো
বিদায়ের সেই ক্ষণ
সব ছবি যেন আজো ভাসে চোখে
কেঁদে উঠে তাই মন।
দাদার কথায় লেখাপড়া করে
কলেজের পাট চুকে
অনাকাংখিত ঘটনা ঘটায়
জেলে যেতে হলো ঢুকে।
বিনা কারণে জেল হলো মোর
একি নির্মম পরিহাস
দাদার পরেই মা মরে গেল
দেখতে পাইনি লাশ!
মরণের সময় পালক মা মোর
খুঁজে ফিরেছে মোরে
জেলে থাকাতে পাইনি খবর
মনে হলে কাঁদি জোরে।
জেল খানাতেই সব হারালাম
তুমি হারালে মা
এখানেই যেন নিষ্ঠুর নিয়তির
শুরু হলো খেলাটা।
তোমাদের ঘরে এলো সৎমা
আমি তো তখন জেলে
ডাইনি তোমাকে কত যে মারতো
পায়ের নিচে ফেলে।
মাঝে মাঝে তোমায় লম্বা চুল ধরে
দিত যে লাথি, কিল
অনাহারে রেখে মার দিত বলে
বুকে লাগত খিল।
হুশ হারা হয়ে পরে যেতে দেখে
ছোট চাচি যদি যেত
তোমাকে ধরাতে অকথ্য ভাষায়
সেও বকুনি খেত।
এত নির্মম ছিল সৎ মা
দিত না খেতে ভাত
চাইলে পরেও না খেতে দিয়ে
গায়ে তুলত হাত।
সৎমায়ের সেই নিষ্ঠুরতায়
দাদাজানের কথা ভুলে
তড়িঘড়ি করে চাচাজান তোমায়
অন্যের হাতে দিল তুলে।
এত পাকা কথা এত যে শপথ
কিছুই আসিল না কাজে
দুর থেকে দুরে যেতে হলো সরে
দেয়াল উঠিল মাঝে।
কিছুদিন পরে সাপের কামড়ে
মরে গেল সেই ডাইনি
আমার অজান্তেই ঘটে গেল সব--
আমি তো এসব চাইনি?
যাকে চেয়েছি তাকে দূরে ঠেলে
ঘটনা ঘটে গেল কত
মনে হলে আজো বুক ফেটে যায়
কাঁদি তাই অবিরত।
জেল থেকে এসে ভাল লাগে না
দুর্বল কায়া মোর
হাঁটতে গেলে মাথা ঘুরে পরি
শরীরে নাহি জোর।
তোমার কথা জিজ্ঞেস করি যারে
উত্তর দেয়না কেহ
গাঁয়ে যেতে চাই যেতে বাধা দেয়
দুর্বল নাকি দেহ!
বাপেরে ধরে কেঁদেকেটে শেষে
গিয়েও হলো না দেখা
পেয়েছি তোমার শেষ চিঠিখানি
দুটি কথা আছে লেখা।
”মেজ ভাই তুমি ক্ষমা করে দিও
হলো না ম্যাট্রিক পাস”
চিঠি পড়ে মোর নাহি কথা আর
শুধু যে দীর্ঘশ্বাস।
দাদার কবরে দাঁড়ায়ে দাঁড়ায়ে
কেঁদেছি কতক্ষণ
কথা রাখেনি বাপজান মোর
তারও ব্যাথিত মন।
শপথের কথা মনে করে বাবা
কবরের কাছে না এসে
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দূর থেকে তাই
কেঁদে উঠে অবশেষে।
আমিও কেঁদেছি, বাবাও কেঁদেছে
কেঁদেছে পাড়া প্রতিবেশি
চাচা-চাচীরাও ডুকরে কেঁদেছে
ছিল না তো রেষারেশি।
অনেক ব্যাথা বুকে নিয়ে আজো
বেঁচে আছি ঠিক আমি
ভুলিতে চেয়েও ভুলিতে পারিনি
কাঁদি তাই দিবাযামি।
হয়তো তোমায় পাবো না তো আর
হবে না কভু দেখা
আমার হয়েও হলে না আমার
এ যে ললাটের লেখা।
-০- সমাপ্ত -০-
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩০
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ চ্যাং ভাই, আপনি এত তাড়াতাড়ি পড়ার কারণে খুশি হলাম। শুভেচছা রইল ।
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার অন্ত্যমিল , মনে হচ্ছিল ''জসীম উদ্দিন'' পড়ছি ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গিয়াস লিটন। যাই বলেন ভাই, এত বড় কবির সাথে তুলনা করবেন না তা হলে বোম বাষ্ট হয়ে যাবো। মুখে যাই বলি মানে মানে আপনার উৎসাহমূলক মন্তব্য পেয়ে খুব খুশেই হলাম। শুভ্চেছা রইল।
৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৪
সুজন চন্দ্র পাল বলেছেন: শিখিতেছি মন্তব্য লেখা,
তাই পড়িলাম কবিতাখানা,
তৃপ্ত হইলাম ভাই, পড়িয়া আপনার ''ললাটের লেখা'' ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুজন চন্দ্র পাল, আপনার খোলামেলা মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। শুভ্চেছা রইল।
৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৪
Md. Mahbubur Rahman বলেছেন: ভালো লাগলো।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৫
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাহবুবুর রহমান লিমন। শুভ্চেছা রইল।
৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১২
তারছেড়া লিমন বলেছেন: মনে হল কোন দৃশ্য দেখছি ....... খুব ভাল হয়েছে ভাই.............
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৫
প্রামানিক বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। ধন্যবাদ
৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪০
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অসাধারণ, অসাধারণ!!!
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ নাহার আপা। শুভেচছা রইল।
৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ইস!! কি মর্মান্তিক কাহিনী। অসাধারণ ভাবে কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন। খুব ভাল লেগেছে। প্রামানিক ভাই। প্লাস।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ভ্রমরের ডানা। আপনার ভাল লাগায় খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৬
চ্যাং বলেছেন: লিইখ্যা যান। ভাইয়া!