নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

pramanik99

আমার স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোতে।

প্রামানিক

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

প্রামানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মজার চিকমিক (রস রচনা)

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

হেইদিন আমার বাসার পোলাপানেরা সকাল বেলা দেহি বাড়ির মধ্যে খুব হইচই শুরু কইরা দিছে। আমার বউরে জিগাইলাম, ব্যাপার কি?
আমার বউ কইল, হেরা ব্যাবাকতে মিল্লা "চিকমিক" খাইবো।
আমি বউয়ের মুখের দিকে হা কইরা চাইয়া রইলাম। "চিকমিক" খাইব এমন কথা তো জীবনে হুনি নাই। আমার চউনি দেইহা বউ কইল, এমুন কইরা চাইয়া রইছ ক্যান?
কইলাম, জীবনে বহু কিছু খাইছি কিন্তু "চিকমিক" তো কুনুদিন খাই নাই। এইডা আবার কেমুন খাওন।
বউ কইল, এইডা আবার কেমুন কথা কইলা, গত বছর যে স্বপ্নপুরী গিয়া খাইলা, হেইডাই তো "চিকমিক"।
আমি কইলাম, গত বছর তো স্বপ্নপুরী গিয়া মুরগীর রান আর পোলাও মাংস খাইছি "চিকমিক" তো খাই নাই।
বউ কিছুডা বিরক্ত হইয়া কইল, আরে বোঝ না ক্যান? ব্যাবকতে মিল্লা চান্দা তুইলা গাছ তলে ভাত রাইন্ধা খায় হেইডাই তো "চিকমিক"।
আমি তহন বুঝতে পারলাম এইডা "পিকনিক"। বউরে কইলাম, আরে ব্যাক্কল এইডা "চিকমিক" না "পিকনিক"।
বউ ঝামটা মাইরা কইল, ওই তো হইলো, ওইডাই "চিকমিক" ।
আমি ছোড একটা ধমক দিয়া কইলাম, আরে ব্যাক্কল আবার কয় "চিকমিক", ওইডা হইল "পিকনিক"।
বউ বিরুক্ত হইয়া কইল, ওইতো হইলো, যা কইছি তো কইছি, আমার মুখ দিয়া আইসে না, যা কইছি ওইডাই "চিকমিক"।
বুঝলাম এ্যারে বুঝায়া লাভ নাই। এই মহিলারে আমি বিয়ার পর থিকাই চিনি, কিছু কথা আছে যা জীবনেও শুদ্ধ কইরা কওয়ার চেষ্টা করে না, আবার চেষ্টা কইরাও শুদ্ধ কইরা কইতে পারে না। কাজেই ওইসব বাদ দিয়া জিগাইলাম, পোলাপানে চান্দা উডাইছে কত?
বউ আঙুলে গুইনা গুইনা হিসাব কইরা কইল, ২৪জন মিল্লা ১৫০/- ট্যাকা কইরা ৩৬শ' ট্যাকা উডাইছে।
জিগাইলাম, পাক করবো কেডা?
বউ কইল, দেইল্লা পাগলা।
আমি মুখটা ব্যাকা কইরা অবজ্ঞা সুরে কইলাম, দেইল্লা পাগলা জীবনে কুনদিন রোষ্ট পোলাও পাক করছেনি?
বউ আশ্চার্য হইয়া কইল, কও কি? দেইল্লা পাগলা মসলা ছাড়াই রোষ্ট পাক করে। একবার খাইলে পাগোল হইয়া যাইবেন। বউয়ের কথা শুইনা অর্ধেক পাগোল এমনিই হইয়া গেলাম। বল্লাম, এ রান্নার তদারক করে কেডা?
বউ কইল, বাড়ির পোলাপান আশা করছে চিকমিক খাইবো, ওগো আশা কি নিরাশা করা যাইবো? আমাগোই তদারকি করা লাগবো।

চাইয়া দেহি পোলাপান সব খুশির চোটে কাজ করতেছে। কেউ হলুদ মরিচ পেশাপেশি করতেছে, কেউ পিয়াজ-রসুন ছিলতেছে, কেউ মশলা পিশতেছে সে এক এলাহী কান্ড। খাওয়ার কি আনন্দ হইবো জানিনা, তবে তাদের কাজের আনন্দ দেইহা মনে হইল এইডাই পিকনিকের আসল আনন্দ। বাবুর্চি দিয়া পাক করলে এরা জীবনেও এই আনন্দ পাইবো না।

আমার বাইরে কাজ থাকায় সারাদিন বাড়িতে ছিলাম না। বিকাল বেলা বাড়ি আইসা দেখি, আমারই ঘরের বারান্দায় সব পোলাপান পাকার উপর বইসা হইহুল্লোর কইরা পোলাও রোস্ট খাইতেছে। দেইল্লা চামুচ দিয়া সমান কইরা প্লেটে প্লেটে উডায়া দিতেছে। আমাকে দেইখা কয়েকজন পোলাপান চিল্লায়া উঠল, এই দেইল্লা, আংকেলরে এক প্লেট দে, আংকেলরে এক প্লেট দে।

আমি না না করতেও একপ্লেট আইনা দিল। খায়া দেহি রোষ্টের চেয়ে রোষ্টের ঝোল অসম্ভব স্বাদ হইছে। কিন্ত রোষ্টের ভিতর তেমন একটা মসলাপাতি নাই। খায়া আসলেই পাগোল হওয়ার অবস্থা। দেইল্লারে জিগাইলাম, দেইল্লারে, তুই এই রোষ্ট কেমনে পাক করলি রে বাজান?

দেইল্লা খুশি হইয়া কইল, আংকেল পিয়াজ লাল কইরা, গরম মসলা আর আদার রস দিয়া নাড়াচাড়া কইরা, টক দই আর ভিনেগার দিছি, তাতেই স্বাদ হইছে। রান্না যেমনেই করুক, রান্না যে স্বাদ হইছে সেই খুশিতে ওরে আর কিছু জিগাইলাম না। তবে পাশের বাড়ির এক ছেলেরে ডাক দিয়া জিগাইলাম, বাজান, দেড় শ' ট্যাকা দিয়া ‘চিকমিক’ কেমুন খাইলা?
পোলায় খুশি হইয়া কইল, আংকেল কি কি খাইলাম এবার হোনেন--

১। একটা আস্ত মুরগীর ডিম সেদ্ধ, তাও আবার ছাল ছাড়ায়া তেল, লবন, হলুদ, মরিচ দিয়া ভাজাভাজা।

২। একখান মুরগীর আস্ত রানের রোষ্ট (এক মুরগী চার ভাগের এক ভাগ), রোষ্টের সাথে দুই চামুচ থকথকা ঝোল ফ্রি।

৩। দশখান গরুর মাংস, সাথে পিয়াজ দেয়া ঘন গাঢ় ঝোল ইচ্ছামতো।

৪। এক গামলা সাদা পোলাও, চাইলে আরও দিছে, দেনেওয়ালা না করে নাই।

৫। লবন দিয়া মাখানো শশা গাজরের সালাদ, সাথে এক ফালি লেবু।

৬। সকাল বেলা মুরগীর গিলা কলিজা ভুনা দিয়া পেট ভইরা খিচুরী।

৭। চাপ কলের এক বালতি ঠান্ডা পানি, যে যত খাইতে পারে।

হিসাব দেয়ার পর কইল, আংকেল যা খাইছি, প্যাটে কুলায় না। এতো খাওয়ার পরেও তের ট্যাকা বেশি হইছে, এক পোয়া লবন বেশি হইছে, দুই কেজি লাকরী বেশি হইছে, জিরা, মশলা, তেলের কথা তো আংকেল ধরিই নাই। ছেলেটার আত্মতৃপ্তি দেইখা নিজেও তৃপ্ত হইলাম।

(ছবি নেট)

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫০

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: ভাল্লাগলো পিলাচ B-)

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৬

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নাবিক সিনবাদ। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
চিকমিক রান্নার রেসেপি টা দারুন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শাহরিয়ার কবীর। অনেক সময় দেখা যায় সাধারণ রেসিপিও হাতের গুণে অসাধারণ স্বাদ হয় এখানেও তাই হয়েছে। শুভ্চেছা রইল।

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

মাহমুদা আক্তার সুমা বলেছেন: আহারে কি মজার চিকমিক!! সবাইরে একটু একটু ভাগ দিয়া দেইন। আফনেও খুশি আমরাও খুশি!!

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন মাহমুদা আক্তার সুমা। আপনারা খুশি হলেই আমিও খুশি। মন্তব্য ভাল লাগল শুভ্চেছা রইল।

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: চিকমিক!!!!!!!!!!!!! নয়া শুনলাম। যাইহোক নূতন একটি শব্দ বাংলা শব্দভান্ডারে যোগ হলো। মজা পাইছি ভাই!

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫০

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গেম চেঞ্জার। আপনারা মজা পেলেই আমার কাছেও মজা লাগে। শুভেচ্ছা রইল।

৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

সাইফুর রহমান পায়েল বলেছেন: চিকমিক নতুন আবিষ্কার। মজা পেলাম।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাইফুর রহমান পায়েল। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১২

জয় বিশ্বাস বলেছেন: http://www.joybiswas.ml

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই জয় বিশ্বাস। আন্তরিক শুভেচছা রইল।

৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রামানিক ভাই খাবার দাবার নিয়ে ইদানিং বেশি ব্যস্ত ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৪

প্রামানিক বলেছেন: সারাদিনের পরিশ্রমের পর ভাল খাবার সবারই একটু আকাঙ্খায় থাকে আমারও তাই। ধন্যবাদ ভাই সেলিম আনোয়ার, রসালো মন্তব্যর জন্য শুভেচ্ছা রইল।

৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার সেই আ ন র প্রভাব বোধ হয় B-)

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩০

প্রামানিক বলেছেন: ভাই "আন"-এর একটা জ্বালা আছে। আয়ের সাথে ব্যয়ের সঙ্গতি না থাকলে বিষম বিপদ। ধন্যবাদ ভাই সেলিম আনোয়ার।

৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১০

চন্দ্রদ্বীপবাসী বলেছেন: আপনার স্ত্রী আপনার লেখাগুলো পড়ে? পড়লে তো মনে হয় ঘরে থাকতে দেয়ার কথা না :P

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩১

প্রামানিক বলেছেন: ভাই চন্দ্রদ্বীপবাসী, আপনি ঠিকই বলেছেন, যদি আমার গিন্নী এর একটি লেখাও যদি পড়ে তাহলে আমার খবর আছে। ধন্যবাদ আপনাকে সত্য কথনে মন্তব্য করার জন্য।

১০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: রান্না বাবুর্চি করলে সত্যিই মজা অর্ধেক মাটি| নিজে সাপব্যাঙ যা খুশি রেঁধে খাওয়াটাই আসল চিকমিকের টেস্ট

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০২

প্রামানিক বলেছেন: নিজেরা সবাই মিলে রান্না করলে যে মজা সেটা বাবুর্চি দিয়ে রান্না করলে হয় না। কথাটা আর কেউ না বুঝলেও আরণ্যক রাখাল ঠিকই বুঝেছেন। ধন্যবাদ ভাই আরণ্যক রাখাল। মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা রইল।

১১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

সুমন কর বলেছেন: দশখান গরুর মাংস !!! কন কি !! এতো !!!

চিকমিক খামু.............. [গরু বাদ দিয়া]

মজা পাইলাম।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৩

প্রামানিক বলেছেন: কবুতর দিয়া পিকনিক হলে আমিও আছি। ধন্যবাদ ভাই সুমন কর।

১২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো, মাঝে মাঝে এ ধরণের চিকমিক দরকার

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৫

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী। আসলেই মাঝে মাঝে ছেলেপেলেদের নিয়ে হৈহুল্লোড়ে চিকমিক করা দরকার, তাতে কিছুটা মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়।

১৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এই চিকমিক কিন্তু আমিও করেছি।।সেই তৃপ্তি আর আনন্দ এখন আর নেই।।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩১

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই সচেতনহ্যাপী, আগে ছেলেপেলেরা মিলে নিজেরা রান্না করে যা খেয়েছি সেই চিকমিকের স্বাদ এখন আর পাই না। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: দশ পিস গরুর মাংস! কেমনে?

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩

প্রামানিক বলেছেন: ছোট বাচ্চাদের সামনে মাংসের পিস কি আর বড় বড় ছিল, ছোট ছোট পিস হওয়াতেই তো দশ পিস, যা একত্রে বড় তিন চার টুকরার সমান। ধন্যবাদ ভাই হাসান মাহবুব।

১৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শৈশবে এইসব অায়োজন ছিলো । ছোট ছেলেমেয়েরা অায়োজন করতো । অামিও সামিল হতাম । এর মধ্যে কী যে এক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিলো । দিনগুলো অাজ অতীত!সেইসব কথা মনে করিয়ে দিলেন ।

ঘটনা এবং বর্ণনা ভঙ্গিতে বেশ মজা পেলাম ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রূপক বিধৌত সাধু। আসলে শৈশবে এরকম আয়োজনে অনেক আনন্দ পাওয়া যেত এখন এর চেয়েও অনেক বেশি আয়োজন করে সেই আনন্দ পাওয়া যায় না।

১৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৩

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: চিকমিক খামু কাকা :P

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: আয়োজন করেন কাকা, আমি সাথে আছি। ধন্যবাদ

১৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: :(

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গিয়াস লিটন। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।

১৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১৬

জুন বলেছেন: অনেক অনেক মজা লাগলো আপনার পারিবারিক জীবনের একদিনের ঘটনাটি প্রামানিক ভাই :)
আপনার লেখাও তেমনি মজার। একটা কথা বলি ভাই রাগ করতে পারবেন না কিন্ত। তাহলো আপনার শিরোনাম রহস্য বজায় রাখতে পারে না বলে আমার ধারনা। যদি শিরোনাম চিক মিক দিতেন তাহলে আমরাও পড়তে পড়তে ভাবতাম জিনিসটা কি! কিন্ত শিরোনামে পিকনিক লেখায় আমাদের মত চালাক পাঠকরা ওটা ভাবতে ভাবতেই পোষ্টটা পড়তে থাকে।
ভাই আপনি যদি আমার মন্তব্যে কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে এটা ডিলিট করে দিয়েন। শুধু লেখাটি আরো রহস্যপুর্ন হবে তার জন্য বললাম :)
+

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপা, আপনি ঠিকই বলেছেন আপনি যা বলেছেন সেটা আমার কল্পনারই একটা অংশ। আমি আপনার এধরনের উপদেশে খুশি।

১৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: চিকমিক নতুন আবিষ্কার!!! :) :)
এই চিকমিক আমরাও করেছি, প্রতি বাড়ী থেকে জনপ্রতি একটা ডিম আর এক পট চাউল!!
১০/২০ টাকা চাদা দিয়ে, শুধু তেল, মশলাদি কেনার জন্য!!
দল ধরে লম্বা বারান্দায় বসে ডিম আর খিচুড়ির পিকনিক খেতাম!!
কোথায় গেল সেই দিনগুলো, হায়!!! :(

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১২

প্রামানিক বলেছেন: নাহার আপা আপনি তো দেখি ছোটকালের সেই সব জোলামানি খাওয়ার কথা মনে করে দিলেন। এরকম চার পাঁচজনে মিলে একটা করে ডিম আর এক পোয়া করে চাল আর মরিচ পিয়াজ দিয়ে ভাত রান্না করে ডিম ভর্তা করে গাছ তলে রান্না করে গাছতলেই খেতাম সেটার কি যে মজা ছিল তার তুলনাই হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: প্রথমে ভাবছিলাম সত্যি চিকমিক ...হাহাহ তবে এইভাবে চান্দা বা বাড়ী থেকে জিনিস দিয়ে খাওয়াকে আমরা ছুডুকালে ভুল্কা ভাত বলতাম!

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৪

প্রামানিক বলেছেন: আপনার ভুল্কার ভাতের কথা শুনে ছোট কালের অনেক কথাই মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ বোন ঈপ্সিতা চৌধুরী। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫২

রহস্যময় ডিটেকটিভ ঈশান বলেছেন: বাংলা শব্দ ভান্ডারে নতুন একটা শব্দ যোগ হল।চিকমিক।ছোডাকালে কত করছি।।কোথায় গেল আমার সেই ছোটকাল।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৪

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রহস্যময় ডিটেকটিভ ঈশান। আমার লেখা পড়ে ছোট কালের চড়ুইভাতির কথা মনে পড়ায় খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।

২২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চিকমিক পিননিক চড়ুইভাতি.. আহা..

কি মজারে মজা...........

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১১

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বিদ্রোহী ভৃগু। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।

২৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: সহজ সরল ভাবে নিজেদের পারিবারিক একটা আনন্দ শেয়ার করে আমাদের আনন্দ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ঢাকাবাসী, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪১

তারছেড়া লিমন বলেছেন: নষ্টালজিক কইরি দিলেন ভাই..........................এই পাগলামী না হইলে তো জীবনডাই বৃথা।।।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই লিমন, ঠিকই কইছেন মাঝে মাঝে পাগলামী না করলে জীবনের এক ঘেয়েমী কাটে না। শুভেচ্ছা রইল।

২৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: পিকনিকের বিপরিত শব্দ 'চিকমিক'কে এবছরের বাংলা অক্সফোর্ড ডিকশোনারির নতুন শব্দ হিসাবে যোগ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি! সেই সাথে এই শব্দের উদ্ভাবক জনাবা ভাবি সাহেবান এবং সুনামধন্য লেখক প্রমানিক ভাইকে গ্রিনেজ বুকে নাম উঠানোর জন্যেও জোর দাবি থাকলো!

ভাই বরাবরের মত গল্প অসাধারন! অনেক আনন্দ পেলাম! সুন্দর মজার মজার রম্য পোস্টের জন্য অনেক অনেক সাধুবাদ! ভাল থাকবেন!

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫১

প্রামানিক বলেছেন: ভাই সাহসী সন্তান, আপনার মন্তব্য পড়ে খুব খুশি হলাম আবার ভয়ও পেলাম, তার করণ বেশি উপরে উঠে শেষে যদি আছাড় পড়ি তাহলে কোমর ভেঙে শেষ। আপনার মজাদার মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।

২৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:১৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: প্রামানিক ভাই চিকমিক খাব। বেবস্থা করুন প্লিয।কতদিন চিকমিক খাই না।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: অসলেই অনেক দিন হলো চিকমিক আমিও খাইনা। একটা আয়োজন করলে আমিও সাথে আছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.