নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
কয়েক বছর আগের ঘটনা। বিকালে অফিস থেকে হেঁটে বাসায় ফিরছি। গুলিস্থানের কাছে আসতেই আমাদের পাশের গ্রামের এক মুরুব্বীর সাথে দেখা। বয়স্ক মানুষ। গ্রামের ছোট খাটো মাতব্বরও বটে। তার সাথে আরো একজন বয়স্ক লোক, হয়তো আত্মীয়-স্বজন হবে। সামনে পড়তেই সালাম দিলাম। সালামের জাবাব দিয়ে আমাকে দেখেই মুরুব্বী খুশিতে আটখানা হয়ে গেল। আমাকে পেয়ে যেন তার আনন্দের সীমা নেই। ঢাকা শহরে এভাবে আমাকে গুলিস্থানের রাস্তায় পাবে এটা যেন তার কল্পনাতেই ছিল না।
হাসি দিয়ে বললাম, চাচা কেমন আছেন?
চাচা আমার চেয়েও দ্বিগুন হাসি দিয়ে বললেন, বাজান, খুব ভাল আছি।
তার ভাল আছি উত্তর শুনে বললাম, চাচা কোথায় যাচ্ছেন?
তিনি খুশি খুশিভাবে বললেন, মুºা পাড়া মেয়ের বাসায় বেড়াইতে আইছি। বিকাল বেলা ঢাকা শহরটা একটু ঘুইরা ঘুইরা দেখতেছি। তা বাজান তুমি কেমুন আছো?
মুখের হাসি হাসি ভাবটা বজায় রেখেই বললাম, ভাল আছি। বলেই গ্রামের কিছু কুশলাদি জিজ্ঞেস করে চা পানি খাওয়ানোর জন্য দুইজনকে সাথে নিয়ে হোটেলের দিকে গেলাম। মনে মনে ভাবলাম, গ্রামের মানুষ, ভাল কিছু খাওয়ানো দরকার, যাতে গ্রামে গিয়ে প্রশংসা করে, সেই মানসিকতায় গুলিস্থানের রাজধানী হোটেলে নিয়ে বসালাম। ওনারাও খুশি হয়ে বসল। জিজ্ঞেস করলাম, চাচা কি খাবেন?
মুরুব্বী বললেন, বাজান, যে হাইফাই হোটেলে নিয়া আইলা, খাইতে না জানি কত ট্যাকা লাগে! হুদাহুদি ট্যাকা খরচ করার দরকার কি? অল্প স্বল্পের মধ্যে কিছু খাইলেই হইবো।
পাশের টেবিলে একজন হালিম খাচ্ছিল। তাই দেখে মুরুব্বীকে বললাম, চাচা শাহী হালিম খান?
শাহী হালিমের নাম শুনে মুরুব্বী আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল। তার তাকানো দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। দু’মিনিট পরে বললেন, বাজান, শাহী হালিম নামডা তো খুব সুন্দর, খাইতে নিশ্চয় খুব সুস্বাদু হইবো। তা বাজান, খাইতে আবার অনেক ট্যাকা লাগবো না তো?
আমি হেসে বললাম, চাচা টাকার চিন্তা করেন কেন? আপনারা খাবেন কিনা সেইটা বলেন?
মুরুব্বী খুব খুশি হয়ে বললেন, ঠিক আছে চাচা, তাইলে এইডাই খাওয়াও। অনেক নাম শুনছি, কুনদিন খাই নাই। আইজকা খাইলে গ্রামে গিয়া তাও গল্প করবার পারমু, ভাতিজা আমাগো ঢাকা শহরে গুলিস্থানের বড় হোটেলে শাহী হালিম খাওয়াইছে।
মুরুব্বীর কথা শুনে খুব খুশিই হলাম। অনেক টাকা পয়সা খরচ করেও মানুষের প্রশংসা পাওয়া যায় না। সামান্য হালিম খাইয়ে যদি গ্রামে সুনাম অর্জন করতে পারি তা মন্দ কি! আনন্দে বিগলিত হয়েই তিন বাটি হালিমের অর্ডার দিলাম। মনে মনে ভাবলাম, কিছু টাকা খরচ হয় হোক, তবু লোকগুলো হালিম খেয়ে তৃপ্তিবোধ করলে তাতে আমারো আত্মতৃপ্তি।
বয় তিন বাটি হালিম নিয়ে এলো। তাদের সামনে দুই বাটি দিয়ে আমার সামনে একবাটি দিল। আমি চামুচ হাতে নিয়ে আদা কুচি, পিয়াজ ভাজা আর ধনিয়ার পাতা কুচিগুলো একত্রে মিশিয়ে বাটিতে হালিম ঘাটতে ঘাটতে বললাম, নেন চাচা খান।
মুরুব্বী খুব খুশি হয়ে হাতে চামুচ নিয়ে আমাকে ফলো করতে ছিল। অর্থাৎ শাহী হালিম কিভাবে খেতে হয় সেটা তার ধারনা না থাকায় আমার দেখাদেখি আমার মত করেই হালিম ঘেটে পিয়াজ ভাজা, আদা কুচি, ধনিয়ার পাতা হালিমের সাথে মিশিয়ে নিল। আমার সাথে সাথে অল্প অল্প করে চামুচে তুলে মুখে দিতে লাগল। আমি তার মুখের দিকে তাকিয়ে জীবনের প্রথম হালিম খাওয়ার পরিতৃপ্তির চিহ্ণ খুঁজতে ছিলাম। কিন্তু হালিম খেয়ে মুরুব্বির মুখে তৃপ্তির লক্ষণ তো দূরের কথা কিছুটা অতৃপ্তির ছাপই লক্ষ্য করলাম। কয়েক চামুচ খেয়ে বলল, ভাতিজা এইডা কি আসলেই শাহী হালিম?
বললাম, জি চাচা, এইটা ঢাকা শহরের নামকরা শাহী হালিম।
মুরুব্বী চামুচ পিরিচের উপর রেখে বলল, ভাতিজা আমারে কি বোকা বানাইলা নাকি?
বললাম, কেন চাচা?
মুখটা ব্যাজার করে বলল, দুই টুকরা মাংসের মধ্যে এক খাবলা গমের আটা মিশাল কইরা পাক করা পিঠালী মার্কা হুদা ছালুন খাইতে দিয়া কইতেছো শাহী হালিম।
চাচার কথা শুনে কিছুটা বোকা বোনে গেলাম। বললাম, না চাচা, এটা হুদা ছালুন না। এটা ঢাকার বিখ্যাত শাহী হালিম। এইটা নবাব বাদশারা আগে খেত। এইজন্য এইটার নাম হয়েছে শাহী হালিম।
চাচা ছোট্ট একটা ধমক দিয়ে বলল, ধুর ভাতিজা, আমারে কি ব্যাক্কল পাইলা নাকি!
আমি মুরুব্বীর এরকম ধমকের কোন অর্থ খুঁজে পেলাম না। মুরুব্বীকে স্বাভাবিক করার জন্য বললাম, চাচা বলেন কি, আপনারে ব্যাক্কল পাবো কেন? আপনার বিশ্বাস না হলে পাশের টেবিলে খাচ্ছে তাকে জিজ্ঞেস করেন?
মুরুব্বী মুখ বাঁকা করে বলল, আরে বাবা গ্রাম থিকা আইছি দেইখা আমি এত ব্যাক্কল না। এরকম ছালুন আমরা গ্রামের মজলিশে ভাত দিয়া কত খাই। আমাগো গ্রামের মুসলিম বাবুর্চির আটার পিঠালীও এর চায়া অনেক স্বাদ। ছালুনে নুন হয় নাই, ঝাল হয় নাই, হেই হুদা ছালুন খাইতে দিয়া কইতেছো শাহী হালিম। ধুর! ভাতিজা ধুর!! আমারে পুরাই ব্যাক্কল বানাইলা।
মুরুব্বীর কথা শুনে নিজের খাওয়াও বন্ধ হয়ে গেল। তিন বাটি হালিম এমনি এমনিই পড়ে থাকল। উপায়ন্তর না দেখে হালিম রেখে চায়ের অর্ডার দিয়ে চা খেয়ে হোটেলের বিল পরিশোধ করে বাইরে চলে এলাম। তাদের দুইজনকে বিদায় দিয়ে মনে মনে বললাম, শাহী হালিমের গুষ্টি কিলাই, টাকাও গেল, মানসম্মানও গেল, হুদা ছালুনের বদনামও হলো। জীবনে বেঁচে থাকতে গ্রামের কোন বুড়াধুরা মানুষকে শাহী হালিম খাওয়ানো তো দূরের কথা হালিমের কথা মুখেও আনবো না।
০০০ সমাপ্ত ০০০
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩০
প্রামানিক বলেছেন: হালিমের দাওয়াত রইল রাজধানী হোটেলে। ধন্যবাদ
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৭
তারছেড়া লিমন বলেছেন: চমকপ্রদ হাসির ইমো হইবে............................. কোন কথা হবে না ওস্তাদ।।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই লিমন, অবশ্যই হাসির ইমো হবে। খুশি হলাম, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: এরকম ছালুন আমরা গ্রামের মজলিশে ভাত দিয়া কত খাই।
মজা পাইলাম ভাই!!
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গেম চেঞ্জার, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অাহারে! প্রামাণিক ভাইয়ের মনের অবস্থা উপলোব্ধি করে ব্যথিতই হলাম ।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৫
প্রামানিক বলেছেন: ভাই কি আর বলবেন, মানুষের সমাদর করতে গিয়ে অনেক সময় উল্টো অপমান হতে হয় তারই একটা উদাহরণ মাত্র। ধন্যবাদ
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯
প্রলয়শিখা বলেছেন: আমি ব্যাচেলর মানুষ। মেসে থাকি। বুয়া ম্যাডাম যে তরকারি রান্না করল আজকে তাতে ছালুনের পরিমাণ খুব কম ছিল মুরব্বিরে না খাওয়াইয়া আমারে খাওয়াইলেই ভাল করতেন ব্যাচেলররা ভাতের সাথে শাহি হালিম মিশিয়েও খেয়ে ফেলতে পারে
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৫
প্রামানিক বলেছেন: হে হে আপনে আগে কইবেন না তিন বাটি হালিম নষ্ট না কইরা পাঠাইয়া দিতাম। চমৎকার রসালো মন্তব্যর জন্য শুভেচ্ছা রইল।
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭
ধমনী বলেছেন: আমার দাদু বলতেন- আহারে আলু, গ্রামে ছিলি ভর্তা; শহরে এসে হয়েছিস 'চপ'।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৬
প্রামানিক বলেছেন: গ্রামের আন্ডা ভাজা শহরের মামলেট, তেমনই খাবার হলো হালিম। অনেক এলাকায় মাংস হালিমের মত রান্না করে ভাত দিয়ে তরকারী হিসাবে খায়। তাদের কাছে শাহী হালিমের স্বাদ তেমন কিছু না। ধন্যবাদ ভাই ধমনী।
৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৮
এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: লেখক বলেছেন- হালিমের দাওয়াত রইল রাজধানী হোটেলে
দুই টুকরা মাংসের মধ্যে এক খাবলা গমের আটা মিশাল কইরা পাক করা পিঠালী মার্কা হুদা ছালুন খাওয়ার দাওয়াত দিয়া কইতেছো হালিমের দাওয়াত
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
প্রামানিক বলেছেন: ভাই কি আর কমু, এই হুদা ছালুন খায়া অনেকে হালিমের বাহবা মারে তখন গ্রামের বুড়াদের কথা মনে হইলে একা একাই হাসি। ধন্যবাদ ভাই এরিক ফ্লেমিং।
৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৩
আজাদ মোল্লা বলেছেন: অনেক হাসি হেসেছি , চাচার কথায় ।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আজাদ মোল্লা। হাসি পাওয়ারই কথা। শুভেচছা রইল।
৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৭
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: মজা পেলাম। সাথে একটা কাহিনীও মনে পড়ল। আমার বাবা একদিন গ্রাম থেকে আসা তার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়কে হালিম খাওয়াতে রেস্টুরেন্টে নিয়ে যান। সেই আত্মীয় এক চামচ হালিম মুখে দিয়ে বলে, 'এই, এইডা কি খাওয়াইলা? এই দেখি মাংস ডাউল দিয়া মুড়িঘণ্ট রানছে ।'
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭
প্রামানিক বলেছেন: দারুণ কথা বলেছেন ভাই, আসলেই এটা মাংসের মুড়ি ঘন্ট। ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কলাবাগানের মামার দোকানে নিয়ে যেতেন ।।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৮
প্রামানিক বলেছেন: গুলিস্থানের হালিম খাওয়াইয়াই যে বিপদে পড়েছিলাম কলাবাগানে নিলে তো মাইরই খাওয়া লাগতো। ধন্যবাদ ভাই সচেতন হ্যাপী।
১১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: গুলিস্থানের রাজধানী হোটেলে আমিও প্রথম শাহী হালিম খেয়েছিলাম!!
আমিও তখন গেরাম থেকেই এসেছিলাম!!!
তবে হালিম খুব মজা করে খেয়েছিলাম!!!
চাচামিঞার দোষ কি, আমার আম্মাই হালিম খান না।
বলেন,"ধুর! ওই ঢ্যালঢেলা খিচুড়ি কে খায়! "
আমার আম্মা চটপটি আর ফুচকা এখনও পছন্দ করে খান।
অনেক অনেক ভাল লাগল,শুভেচ্ছা প্রামানিক ভাই!!!!
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০১
প্রামানিক বলেছেন: আপনার আম্মা তো ভালই কইছে, ঢ্যালঢেলা খিচুড়ি আরেক জনে কইছে মাংস ডাইল দিয়া হুদা মুড়ি ঘন্ট খাওয়াইছে। ধন্যবাদ কামরুন নাহার আপা।
১২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৭
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: হা হা হা। টাকাও গেল, মানও গেল।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
প্রামানিক বলেছেন: জি ভাই, সমাদর করতে গিয়ে টাকার সাথে মানও গেল। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
১৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৯
আমি মিন্টু বলেছেন: মনে মনে বললাম, শাহী হালিমের গুষ্টি কিলাই,
জীবনে বেঁচে থাকতে গ্রামের কোন বুড়াধুরা মানুষকে শাহী হালিম খাওয়ানো তো দূরের কথা হালিমের কথা মুখেও আনবো না।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আমি মিন্টু। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:৩৩
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: তিক্ত অভিজ্ঞতা।আমিও তাহলে খামু না!!!
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪১
প্রামানিক বলেছেন: গ্রামের মানুষ হুদা তরকারী মনে করে খায় নাই, আপনার কাছে তো হুদা তরকারী না, আপনি খান। ধন্যবাদ
১৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:২৩
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সস্তা ক্রেডিট নিতে তুমি
খাওয়াও শাহী হালিম;
চেখে চাচা পুরাই নাখোশ
কয় তোমারে জালিম।
গাও গেরামের গাঁইয়ারা সব
একথা আর ভেবনা;
হেরা অহন আলট্রা মর্ডান
বদলাইয়া গেছে জামানা।
গাও গেছিলাম বিশেষ কামে
দেহি ভাই ভাতিজার ছাও;
সালাম দুরে,হাই হ্যালো দেয়
কয় এ্যানার্জী ড্রিংকস্ খাও!!!
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪
প্রামানিক বলেছেন: গ্রাম আর গ্রাম নাই ভাই
আলট্রা মডার্ন হইছে
ঢাকায় এসে অনেক ছেলে
হালিম ভাল কইছে।
কিন্তুরে ভাই গ্রামের বুড়া
তারা কি আর বোঝে
হালিম টালিম পাইনসা লাগে
ভাত বিরানী খোজে।
১৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৫০
রহস্যময় ডিটেকটিভ ঈশান বলেছেন: হি হি হি হি হি.........
আমও গেল,ছালাও গেল.....
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫
প্রামানিক বলেছেন: কইয়েন না ভাই, হালিম খাওয়াইতে গিয়া পুরাই বেক্কল হইছি। ধন্যবাদ
১৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২৪
অগ্নি সারথি বলেছেন: বিকট সমস্যা। শিরোনামডা কিন্তু জটিল হইসে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই অগ্নি সারথি, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫২
শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার পোস্টটা বেশ মজার হয়েছে, অব্শ্য সবসময়ই তা হয়।
তার সাথে সহ-ব্লগারদের মন্তব্যে/মজার অভিজ্ঞতার মিশেলে মজাটা অনেক গুণ বেড়ে গেছে।
ভাল থাকুন। সবসময়।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শামছুল ইসলাম, আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়ে উৎসাহবোধ করলাম। আপনার প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল।
১৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫
সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই হালিমরে খুব ভালা পাই? হেই কি আপনাগো এলাকায় চইলা গেল নাকি? হেই কিন্তু আমার প্রাণের দোস্ত? একটু দেইখা শুইনা রাইখেন?
আর তারে বাড়িতে ফেরত পাঠানোর সময় একবাটি শাহী হালিম পাঠাইয়া দিয়েন? হেইডারেও আমি ব্যাপুক ভালা পাই!
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯
প্রামানিক বলেছেন: ভালই কইছেন, আপনার দোস্ত হালিম মিয়া হালিম খায়া চেইতা গেছে। এখন আর হালিম খাইবো না। কাজেই হালিম পাঠায়া লাভ নাই। চমৎকার রসালো মন্তব্য ধন্যবাদ
২০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৭
সুমন কর বলেছেন: দুই টুকরা মাংসের মধ্যে এক খাবলা গমের আটা মিশাল কইরা পাক করা পিঠালী মার্কা হুদা ছালুন খাইতে দিয়া কইতেছো শাহী হালিম।-- হাহাহা বুঝলাম এটা শুনেই আপনার কি অবস্থা হয়েছিল !!
মজা পেলাম।
আমিও কিন্তু হালিম খাই না... আগে খেতাম, এখন ছেড়ে দিয়েছে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর, হালিম খাওয়া আমিও ছেড়ে দিয়েছি, যখন থেকে শুনেছি কুকুরের মাংস দিয়ে হালিম রান্না করে।
২১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হা হা হা । ধরা খাইলেন নি !!! মানসন্মান কামাইতে গিয়া উলটো যা আছে তাই যাওয়ার উপক্রম !!!
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১
প্রামানিক বলেছেন: খালি ধরা কইলে কম হইবো হুদা ছালুনে ধরা খাইছি।
২২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৩
রানা আমান বলেছেন: চমৎকার হয়েছে লেখাটা ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রানা আমান। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
২৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হা হা হা। ইস! এর মজার খাবারের এত অপমান!!!
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬
প্রামানিক বলেছেন: সেই দুখেই তো আমি বেজার হইছি। ধন্যবাদ বোন তনিমা। শুভেচছা রইল।
২৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: চাচায় ঠিকি কৈছে, হালিম আসলেই একটা বাজে খাবার।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭
প্রামানিক বলেছেন: যাক চাচার দলে একজন লোক পাওয়া গেল। ধন্যবাদ
২৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: মজা পাইলাম।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নকশী কাঁথার মাঠ। শুভ্চেছা রইল।
২৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩
জুন বলেছেন: হালিম আগে মজা লাগতো,, এখন কেমন যেন মনে হয় চর্বির একটা গন্ধ আসে। তাছাড়া মাংসগুলোর উতস নিয়েও কেমন একটা কনফিউশনে পরে যাই প্রামানিক ভাই।
সুন্দর লিখেছেন।
+
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬
প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন জুন আপা, হালিম আগের মত মজা নাই। কেমন কেমন যেন লাগে। তবে বাসায় বেশি মাংস দিয়ে রান্না করলে একটু ভাল লাগ। ধন্যবাদ আপনাকে।
২৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: মজা পাইলাম ব্যপক। আসলেই গ্রামের মজা শহরে নাই। তার উপর বুড়ো মানুষ।
শুভকামনা রইল কবি।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই তৌফিক মাসুদ। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
২৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪
কিরমানী লিটন বলেছেন: তারছেড়া লিমন বলেছেন: চমকপ্রদ হাসির ইমো হইবে............................. কোন কথা হবে না ওস্তাদ।
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হা হা হা। ইস! এর মজার খাবারের এত অপমান!!!
প্রামানিক ভাই একজনই,তুলনাহীন - অনেক শুভকামনা ...
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কিরমানী লিটন, আপনার উৎসাহ মূলক মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।
২৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হালিম.... হুদা ছালুন
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৭
প্রামানিক বলেছেন: মইনুল ভাই কি আর বলবো পুরাই অপমান। ধন্যবাদ
৩০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আসলে হালিম হুলিম তেমন কোন খাদ্য নয়।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩
প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন চাঁদগাজী ভাই, ধন্যবাদ
৩১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৩
গোধুলী রঙ বলেছেন: আমার মা খুলনায় গিয়ে ফ্রেন্স ফ্রাই খেয়ে নাক মুখ কুচকাইয়া কইলো, এহ আলু ভাজিইইই
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০০
প্রামানিক বলেছেন: ভাই কি আর কমু, প্রথম প্রথম ফ্রেন্স ফ্রাই খেয়ে আমারও তো একই অবস্থা। এত সুন্দর চেহারার ফ্রেন্স ফ্রাই যে আলু ভাজা এটা আগে কল্পনাই করি নাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৪
পুলহ বলেছেন: হালিম খাইতে আমার খারাপ লাগে না, কিন্তু এই কাহিনী পড়ার পরে যতবার হালিম খাইতে বসমু, মনে হইবো- 'দুই টুকরা মাংসের মধ্যে এক খাবলা গমের আটা মিশাল কইরা পাক করা পিঠালী মার্কা হুদা ছালুন খাইতে দিয়া কইতেছো শাহী হালিম....' হাহাহা !
মজা পেয়েছি ভাই।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পুলহ, আমার লেখা ঘটনা আপনার মন্তব্যে আমারই হাসি পাচ্ছে। শুভেচ্ছা রইল।
৩৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,
ঈশশশশশশ------- গাইটের একটুখানি পয়সা খরচ করে মুরুব্বীদের প্রশংসাকে পুঁজি করে গ্রামের ইলেকশানে দাঁড়ানোর এই উচ্চমার্গীয় রাজনীতির প্যাঁচ গেলো তো ঢাকার রাস্তাতেই গড়াগড়ি ?
খুব মজা পেলুম , হালিমের মতোই ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৯
প্রামানিক বলেছেন: ইলেকশন তো দূরের কথা এখন গ্রামে মুখ দেখানো্ও তো মুশকিল। ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস।
৩৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: হা হা ব্যাপক বিনুদন পাইলাম
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৫
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই হাবিবুর রহমান জুয়েল। শুভেচছা রইল।
৩৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সামান্য হালিম খাইয়ে যদি গ্রামে সুনাম অর্জন করতে পারি তা মন্দ কি!.........এবার হাড়ে হাড়ে টের পাইলেন তো
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০৭
প্রামানিক বলেছেন: খালি হাড়ে হাড়ে না ভালভাবে টের পাইছি। ধন্যবাদ কামাল ভাই।
৩৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
নেন, চাচীর জন্য এই এক বাটি হালিম চাচার হাতে ধরায়া দেন
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৫
প্রামানিক বলেছেন: চাচায় যে রাগ করছে এই হালিম দিয়া বাকিটা ধমক খামু নাকি। ধন্যবাদ কামাল ভাই।
৩৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: হালিম আবার খাওয়া যায় ?
আমি বললাম শুধু হালিম কেন
এখানে মনসুর ও মানুষ খায়!!
চাচা বললেল ঢাকার মানুষ কি
বাঘ না ভাল্লুক যে সব মানুষ ধইরা ধইরা খায়।
মনে মনে বললাম চাচা পড়েন নাইতো
শহরের বাঘ মানুষের হাতে!!
বুঝবেন কী করে!!
আমরা কীসের মধ্যে আছি!!
আর কাদের থেকে জানটা নিয়ে বাঁচি
চমৎকার বলেছেন প্রামানিক ভাই
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৪
প্রামানিক বলেছেন: দারুণ কথা বললেন তো। ধন্যবাদ নুরু ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৩
গেম চেঞ্জার বলেছেন: প্রথম হইলুম!!