নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

pramanik99

আমার স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোতে।

প্রামানিক

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

প্রামানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেনা ভাইয়ের সাথে পরিচয় এবং কিছু কথা

০৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

ব্লগে লেখালেখি করতে গিয়েই হেনা ভাইয়ের সাথে পরিচয়। আমি তখন ছড়া লিখতাম। আমার ছড়া পড়ে উনি উৎসাহমূলক মন্তব্য করতেন, তাতে আমার ছড়া লেখার উৎসাহ বৃদ্ধি পেত। আমিও তার লেখা গল্পগুলো খুটিয়ে খুটিয়ে পড়তাম এবং ভালো-মন্দ নানা ধরনের মন্তব্য প্রতিমন্তব্য করতে পিছপা হতাম না। মন্তব্য প্রতিমন্তব্যর মাধ্যমেই আমাদের ভার্চুয়াল জগতে পরিচয়।

এক পর্যায়ে ফোন নাম্বার লেনদেন হলো। ফোন নাম্বার পেয়ে আমাদের দুইজনের বন্ধুত্ব আরো বেড়ে গেল। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই কথা হতো। মাঝে মাঝে এমন হতো কথা বলতে বলতে আমাদের ফোনের ব্যালেন্স শেষ হয়ে যেত আমরা টেরই পেতাম না। তবে আমাদের বেশিরভাগ কথা হতো সাহিত্য নিয়ে। ব্যাক্তিগত কথা খুব কম হতো। এভাবেই কথা বলতে বলতে একদিন উপযাচক হয়েই জিজ্ঞেস করলাম, হেনা ভাই, আপনি তো অনেক গল্প লিখেছেন, আপনি কি কোন বই বের করেছেন? উনি হাসি দিয়ে বললেন, "স্বপ্ন বাসর" নামে একটি আত্মজীবনীমূলক বই প্রকাশ করেছি, তবে এই বইটি কোন প্রকাশনার মাধ্যমে বের করি নাই নিজে নিজে বের করেছি। আমি বললাম, বইটি কোথায় পাবো? হেনা ভাই বলল, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে কিছু বই দেয়া আছে, সেখানে পেতে পারেন। আমি বললাম, ঠিক আছে-- আমি সেখান থেকেই বইটি সংগ্রহ করে নিব। আমার বই সংগ্রহের আগ্রহ দেখে উনি তাড়াতাড়ি বললেন, না না আপনাকে কিনতে হবে না, আমিই এক কপি পাঠিয়ে দিব।

এই কথোপোকথনের ঠিক তিন চার দিন পরে ২০১৩ সালের এপ্রিলের ১৭ তারিখে অফিসে বসে আছি, এমন সময় পোষ্ট অফিসের পিয়ন এসে মোটা খামে মোড়ানো একটি বই হাতে ধরিয়ে দিল। ডাকে পাঠানো পার্সেল খামের উপরে চোখ পড়তেই হেনা ভাইয়ের ঠিকানা দেখতে পেলাম। হেনা ভাইয়ের নাম দেখে বুঝতে আর দেরি হলো না এটা হেনা ভাইয়ের পাঠানো বই। বইয়ের প্যাকেট হাতে পেয়ে আর তর সইলো না। মোড়ক খুলেই কয়েক পৃষ্ঠা পড়ে ফেললাম। বই পড়া শুরু করে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুন্দর রসালো এবং হৃদয়গ্রাহী লেখা, যত পড়ি ততই পড়তে ইচ্ছা করে, পড়া বন্ধ করতেই ইচ্ছা করছে না। কিন্তু অফিসের কাজ থাকায় ইচ্ছা থাকলেও পড়া সম্ভব হলো না। অনিচ্ছা সত্বেও বই বন্ধ করে অফিসের কাজ করতে লাগলাম।

অফিসের কাজ শেষ করে যখন বাসায় ফিরলাম তখন রাত নয়টা। কাপড় চোপর খুলে ফ্রেস হওয়ার আর তর সইলো না। প্যান্ট পরা অবস্থায় বিছানার বালিসে হেলান দিয়েই পড়তে লাগলাম। পড়তে পড়তে কখন যে রাত দেড়টা বেজে গেছে বুঝতেই পারি নাই। মন্ত্র মুগ্ধের মত একটানা পড়েছি। যখন পড়া শেষ করে উঠে দাঁড়িয়েছি তখন ক্ষুধায় পেট চো চো করছে। খাওয়ার টেবিলে গিয়ে দেখি ভাত ঠান্ডা হতে হতে পানি পানি হয়েছে। পানি ছেড়ে দেয়া ম্যারম্যারে ভাত নাকে মুখে খেলাম ঠিকই কিন্তু খেয়ে কোন মজা পেলাম না। মনে মনে ভাবলাম ভাত খেয়ে মজা না পেলেও বই পড়ে তো মজা পেয়েছি এর চেয়ে বড় তৃপ্তি আর কি হতে পারে। সচারাচর এমন ধরনের পাঠক ধরে রাখার মত বই খুব একটা পাওয়া যায় না, পাওয়া গেলে যে কোন পাঠকেরই নাওয়া খাওয়ার কথা ভুলে যাওয়া নতুন কিছু নয়।

খাওয়া শেষ করে কম্পিউটার ওপেন করে বসলেও ব্লগে মন বসাতে পারছিলাম না। নিজের আত্মজীবনী দিয়ে এত সুন্দর উপন্যাস লেখা যায় এটা আমার ধারনাই ছিল না। মাথার মধ্যে পুরো কাহিনীটা বার বার ঘুরতে লাগল। মনে মনে চিন্তা করতে লাগলাম যদি হেনা ভাইয়ের উপন্যাসের কাহিনি দিয়ে একটা ছড়া লিখতে পারতাম, তাহলে কেমন হতো। বিষয়টি চিন্তা করতে না করতেই ছড়ার প্রথম লাইন মাথায় চলে এলো, "আলেয়া তুমি আলেয়া হয়ে -- -" দেরি না করে কম্পিউটারে লেখা শুরু করে দিলাম। লিখতে লিখতে যখন ছড়া লেখা শেষ পর্যায়ে এসেছি তখন ভোরের আজান দিয়ে দিয়েছে। সারা রাত ঘুম আর হলো না। সকাল বেলা নাস্তা করেই শুয়ে পড়তে হলো।

বেলা ১২টার দিকে হেনা ভাইকে ধন্যবাদ দেয়ার জন্য ফোন করলাম। উনি ফোন ধরেই সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, প্রামানিক ভাই বই পেয়েছেন?
আমি বললাম, হ্যাঁ ভাই, বই পেয়েছি এবং পুরো বই পড়ে সেই কাহিনী দিয়ে রাতে ছড়াও লিখেছি, এখন আপনার অনুমতির অপেক্ষায় আছি, আপনি অনুমতি দিলে ছড়াটি ব্লগে পোষ্ট করতে পারি।
হেনা ভাই খু্ব খুশি হয়েই বললেন, বলেন কি! আপনি এত তাড়াতাড়ি আমার উপন্যাসের কাহিনী দিয়ে ছড়া লিখেছেন। এ যে আমার কানকেও বিশ্বাস করতে পারছি না। আপনি দেরি না করে এখনই পোষ্ট দেন আমি দেখবো।
আমি বললাম, ঠিক আছে ভাই, আমি সব রেডি করে রেখেছি, এখনই পোষ্ট করে দিচ্ছি।
আমি সাথে সাথেই ছড়ার প্রথম পর্ব পোষ্ট করে দিলাম। পোষ্ট পেয়ে কিছুক্ষণ পরেই হেনা ভাই আমায় ফোন করে সালাম দিয়েই ধন্যবাদ জানালো। তার সালামের জবাব দিয়ে কিছু কথা বলার পর আমি বললাম, হেনা ভাই, আমি আপনাকে একটা পার্সোনাল কথা জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনি যে কি মনে করবেন এটাই চিন্তা করছি।
হেনা ভাই অভয় দিয়ে বললেন, বলেন বলেন কোন অসুবিধা নাই।
আমি বললাম, আপনার এই প্রেমের কাহিনি কি ভাবী জানেন?
হেনা ভাই এক গাল হাসি দিয়ে বললেন, জী ভাই, আমার স্ত্রী জানে। আমি তাকে বিয়ের পরেই সব জানিয়েছি।
আমি বললাম, ভাবী জানার পরে কি বলল?
হেনা ভাই বললেন, আমার স্ত্রী এটাকে সহজ ভাবেই মেনে নিয়েছে। কারণ তাকে আমি পুরো ঘটনা খুলে বলেছি। পুরো ঘটনা শুনে আমাকে এটাই বলেছে, এতে তো তোমার দোষ দেখি না, যা হয়েছে তোমার পরিবারের ইচ্ছাতেই হয়েছে। যেহেতু তোমার নিজের ইচ্ছায় এমন ঘটনা ঘটে নাই কাজেই এতে আমি তোমার প্রতি অখুশি নই।
বাঙালি মহিলারা সাধারণত স্বামীর এই ধরনের দোষত্রুটি সহজে মেনে নিতে চায় না। এসব নিয়ে স্বামী স্ত্রী কুরুক্ষেত্র বেধে থাকে। আমিও ভেবেছিলাম হেনা ভাইয়ের ক্ষেত্রেও হয়তো এমন কিছু একটা ঘটেছে কিন্তু হেনা ভাইয়ের কাছে ভাবীর সহজ সরল ভাবে ঘটনাটি মেনে নেয়ার কথা শুনে ভাবীর প্রতি শ্রদ্ধা বহুগুনে বেড়ে গেল। ভাবীকে অনেক বড় মনের পরিচায়ক মনে হলো। আমি দূর থেকেই তাকে মনে মনে ধন্যবাদ দিয়ে হেনা ভাইকে বললাম, আপনি প্রথম প্রেমের প্রেমিক হারিয়ে যত না ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এই ভাবীকে পেয়ে হয়তো তার চেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন।
আমার কথা শুনে হেনা ভাই হাসতে হাসতে বললেন, জী ভাই, আমরা স্বামী স্ত্রী খুব সুখেই আছি, আমাদের মধ্যে কোন ঝগড়া ঝাটি নাই, এই দিক দিয়ে আল্লাহ আমাদের সুখেই রেখেছে।
হেনা ভাইয়ের সুখের দাম্পত্য জীবনের কথা শুনে খুব ভালো লাগল। হেনা ভাইকে বললাম, ভাবীকে আমার ছালাম জানাবেন।
হেনা ভাই আবারো হাসতে হাসতে বললেন, আপনার ভাবী আমার পাশেই আছে, আমি এখনই আপনার ছালাম পৌছে দিচ্ছি, বলেই ভাবীকে ডেকে বললেন, এই এদিকে আসো-- আমাদের ব্লগার প্রামানিক ভাই তোমাকে ছালাম দিয়েছে ছালাম গ্রহণ করো। একথা বলেই হেনা ভাইসহ দুইজন হাসতে লাগলেন। তাদের হাসির শব্দ পুরোপুরি না হলেও মৃদু ফোনের স্পীকারে শোনা যাচ্ছিল।

হেনা ভাই আমার চেয়ে বয়সে কয়েক বছরের বড় হলেও বন্ধুর মত সম্পর্ক ছিল। সাহিত্যের উপর তার যথেষ্ঠ জ্ঞান ছিল। যে কোন বিষয় নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি অবলীলায় বলে দিতেন। তার এই সহযোগীতা আমার লেখালেখির জন্য অনেক সহায়ক ছিল। আমার খুব ইচ্ছা ছিল হেনা ভাইয়ের সাথে দেখা করবো। হেনা ভাইকে ঢাকায় দেখা করার জন্য কয়েকবার দাওয়াতো দিয়েছিলাম। কিন্তু হেনা ভাই ঢাকায় আসলেও সময়ের অভাবে দেখা করতে পারেন নাই।

২০১৯ সালের শেষের দিকে হঠাৎ করেই হেনা ভাইয়ের সাথে ফোনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেল। আমি কোনভাবেই যোগাযোগ করতে পারছি না। ফোন প্রায়ই বন্ধ থাকে মাঝে মাঝে খোলা থাকলেও কেউ রিসিভ করে না। ফেব্রুয়ারী মাসে হঠাৎ করেই ফোনে ভাবীকে পেয়ে গেলাম। তার কাছ থেকেই হেনা ভাইয়ের অসুস্থ্য হওয়ার খবর শুনে ব্লগে পোষ্ট দিয়েছিলাম। পোষ্ট দেখে ব্লগার কামাল ভাই বলল, প্রামানিক ভাই চলেন-- হেনা ভাইকে দেখে আসি। হেনা ভাইকে দেখার আমারো খুব ইচ্ছা ছিল। আমার ইচ্ছা আর কামাল ভাইয়ের ইচ্ছা দুই ইচ্ছার মাঝখানে আমার ছোট ছেলেও ইচ্ছা প্রকাশ করে বসল, আমিও রাজশাহী দেখতে যাবো। বাধ্য হয়ে তাকেও সাথে নিয়ে গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে হেনা ভাইকে দেখতে গেলাম। আমাদেরকে তার বাসায় পেয়ে হেনা ভাই যে কি পরিমান খুশি হয়েছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ব্রেন স্ট্রোক করে শরীরের একপাশ অচল হয়ে গেছে, ঠিক মত হাটতেও পারে না কথাও বলতে পারে না। কথা বলতে না পারার যে কি কষ্ট সেটা সচোখে দেখতে হলো আমাদেরকে। বাসার দরজায় গিয়ে আমাদের নাম বলতেই হাটতে পারেন না তারপরেও পা টেনে টেনে মেইন দরজায় এসে আমাকে আর কামাল ভাইকে জড়িয়ে ধরলেন। মানুষ ছোট কালের বন্ধুদেরও এভাবে জড়িয়ে ধরে না।

দুপুরে গিয়েছি। যাওয়া মাত্রই খাবার খেতে দিলেন। আতিথেয়তায় ভাবীর প্রশংসা করতে হয়। ভাবী খুবই আন্তরিক এবং অতিথি পরায়ন। মাছ, মাংস, শাক, সব্জীসহ অনেক কিছু রান্না করেছেন। জীবনের প্রথম গিয়ে এত খাবার পাবো কল্পনা করি নাই। খাওয়ার টেবিলে আমাদের পাশেই হেনা ভাইও বসলেন। তিনি কিছু খেলেন না। পরে লক্ষ্য করলাম খাওয়ার জন্য তিনি বসেন নাই, আমাদেরকে খাওয়ানোর জন্য বসেছেন। কথা বলতে না পারলেও হাতের ইশারায় ভাবীকে তরকারীর বাটি দেখিয়ে দিচ্ছেন, এইটা দাও ওইটা দাও বেশি বেশি দাও। অসুস্থ্য মানুষ হয়েও তিনি যে আতিথেয়তা দেখালেন তা অবর্ননীয়।

হেনা ভাইয়ের ভিতরে জমানো অনেক কথা তিনি বলার খুব চেষ্টা করলেন কিন্তু বলতে পারলেন না। মুখে কোন শব্দ উচ্চারন হয় না। কথা বলতে না পারার কষ্টে দুই চোখের পানি ছেড়ে কাঁদতে লাগলেন। তার কান্না দেখে আমাদেরও কান্না পাচ্ছিল। মুখে কিছু বলার চেষ্টা করেও যখন বলতে পারছে না তখন অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে হাতের ইশারায় বুঝানোর চেষ্টা করলেন। তার হাতের ইশারা কিছু বুঝলেও বেশিরভাগ বোঝা সম্ভব হলো না। তার এরকম অবস্থা দেখে খুব কষ্টই লাগল।

বিদায় নেয়ার সময় হাঁটতে পারেন না তারপরেও পা টেনে টেনে বাইরের গেট পর্যন্ত এগিয়ে এলেন। তার অচল অবস্থা দেখে না আসার জন্য অনেক নিষেধ করলাম কিন্তু তিনি মানলেন না। বাহিরের গেট পার হয়ে রাস্তায় এসে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি হেনা ভাই দু'হাতে গেট ধরে আমাদের দিকে এক দৃষ্টিতে ভেজা ভেজা চোখে তাকিয়ে আছেন। আমরা বাসার ভিতরে যেতে বললেও গেলেন না। আমরা আড়াল না হওয়া পর্যন্ত তিনি আমাদের প্রতি এভাবেই তাকিয়ে রইলেন। হেনা ভাইয়ের বাসায় তিন ঘন্টার মত ছিলাম। তিন ঘন্টার যে স্মৃতি বুকে ধারন করে আছি তা ভুলে যাবার মত নয়। ভার্চুয়াল জগতের বন্ধুরাও যে পরস্পরের প্রতি এত আবেগ প্রবণ এবং আন্তরিক হয় তা স্বচোক্ষে না দেখলে বলে বুঝানো যাবে না।

ব্লগে হেনা ভাইয়ের সাথে পরিচয় প্রায় এক দশক আগে। এক দশক পরে তার সাথে দেখা করতে যাওয়াটাই যে জীবনের প্রথম এবং শেষ দেখা হবে তা কল্পনাও করতে পারি নাই। আমাদের দেখে আসার ঠিক একমাস পরেই হেনা ভাই এপ্রিলের দুই তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।

হেনা ভাইয়ের নিজের হাতের লেখা ঠিকানা

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হেনা ভাই ভালো থাকুক না ফেরার দেশে। আপনি ও ভালো থাকুন অনেক। অনেক দিন আপনার সঙ্গে দেখা নেই। করোনা মুক্ত পৃথিবীতে দেখা হবে আশা করছি। ভালো থাকবেন।

০৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১০

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সেলিম আনোয়ার, আপনি কেমন আছেন?

২| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: হেনা ভাই এর সাথে আপনাদের সাক্ষাতের বর্ণনাটা পড়তে খুব ভাল লাগছিল, কিন্তু শেষের দিকে এসে মনটা আর্দ্র হয়ে উঠলো।

যদিও সেটা ছিল আপনাদের ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ, আমি মনে করি আপনারা ব্লগারদের প্রতিনিধি হিসেবেই সেখানে গিয়েছিলেন, কেননা ওনার এমন অসুস্থতার কথা জানা থাকলে সবাই হয়তো যেতে চাইতেন। এজন্য সকল ব্লগারদের পক্ষ থেকে আমি আপনাকে এবং 'সাদা মনের মানুষ'কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আজ তিন মাসের বেশি হয়ে গেল উনি প্রয়াত হয়েছেন। উনি ব্লগকে, বিশেষ করে সামু পাগলা'র আড্ডাঘরটি যেভাবে মাতিয়ে রাখতেন তাতে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে এমন প্রাণোচ্ছ্বল মানুষটি আজ অন্ধকার ক্ববরে শায়িত আছেন। আমি তার মাগফিরাত কামনা করছি, আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন তাকে বেহেস্ত নসিব করুন!

পোস্টে দ্বিতীয় ভাললাগা। + +

১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই, আপনি ঠিকই বলেছেন, হেনা ভাই ব্লগের আড্ডাঘরটি যেভাবে মাতিয়ে রাখতেন তার তুলনা হয় না। এমন ব্লগ উৎসাহী এখন খুব একটা চোখেই পড়ে না।

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

অনেক বৃষ্টি ঝরে তুমি এলে
প্রামানিক ভাই বলো কেমন ছিলে !!


হেনা ভাইয়ের এ অমূল্য উপহার আমিও
পেয়ে ছিলাম। তার আশা ছিলো আমি একটি
রিভ্যিুউ লিখি কিন্তু সময় ও সুযোগের অভাবে
তা আর হয়ে ওঠেনি! তবে উপন্যাসটি এখনো
তাছে আমার কাছে তার স্মৃতি হয়ে। হেনা ভাইয়ের
সাথে আমারও কয়েকবার কথা হয়েছে ফোনে যা
খুবই আন্তরিকতা পূর্ণ। কে বলবে আমাদের সাথে
কেবল ভার্চূয়ালী সম্পর্ক !! হেনা ভাইয়ের আত্মার
শান্তি কামনা করছি।

প্রামানিক ভাই আপনি এবার নিয়মিত হোন!
পূরানোেদের খুব মিস করি।

১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫০

প্রামানিক বলেছেন: হেনা ভাই আসলেই একজন আন্তরিক মানুষ ছিলেন যার তুলনা হয় না। ধন্যবাদ নুরু ভাই, চেষ্টা করতেছি নিয়মিত হওয়ার।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রামানিক ভাই আমি আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আপনি কেমন আছেন ? ব্লগে আপনার ছড়া পড়া হয় না অনেক দিন ।

১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আমিও ভালো আছি, চেষ্টা করতেছি ব্লগে নিয়মিত হওয়ার জন্য।

৫| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৩২

সামিয়া বলেছেন: আল্লাহ্‌ কেন যে মৃত্যু দিয়েছেন কেন যে মানুষগুলো পৃথিবী থেকে চলে যায়, ভাবতে অবাক লাগে একদিন আমরাও চলে যাবো, অন্য প্রজন্ম আমাদের জায়গায় আসবে শূন্যস্থান পুরন করতে, কি অদ্ভুত!! আমার পোস্ট পড়ে হেনা ভাই এর জন্য খুব কষ্ট পাচ্ছি, উনার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, আল্লাহ্‌ তাকে বেহেশত নসীব করুন, আপনারা খুব ভালো করেছেন তার জীবনের শেষ সময়ে তিন ঘণ্টা সময়ের জন্য হলেও তাকে সময় দিয়ে। আল্লাহ্‌ সবাইকে ভালো রাখুক।

১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন সামিয়া, হেনা ভাইয়ের জন্য আসলেই আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। ব্লগটাকে মাতিয়ে রাখতেন এই হেনা ভাই।

৬| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৩৩

সামিয়া বলেছেন: কথাটা হবে আপনার পোস্ট পড়ে, টাইপ মিস্টেক করেছি ভাইয়া

১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: অনুবিধা নাই, আমি টাইপ মিসটেক বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ

৭| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৩৬

ইসিয়াক বলেছেন: হেনা ভাইয়ের আত্মার
শান্তি কামনা করছি।

১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, আল্লাহ যেন আপনার দোয়া কবুল করে নেন।

৮| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৫৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ উনাকে জান্নাতে স্থান দিন :(

১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: আল্লাহ যেন আপনার দোয়া কবুল করে নেন।

৯| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহ্ জীবন
আহ স্মৃতি চারণ!
বাধ্য করালেন ভায়া লগ ইন করতে!

এত হাসিখুশি প্রণেখালা মানুষটা বিশেষ করে সামুর আড্ডাঘের উনার পদচারনা ছিল অন্য মাত্রার।
শেষ দিকটা পড়তে পড়তে মনটা ভিজে গেল!
মানুষের এই অসহায়ত্ব সত্যিই অসহনীয়...

আল্লাহ হেনা ভাইকে ওপারে ভাল রাখুন।

১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

প্রামানিক বলেছেন: আসলেই আমি ব্লগে জগতে তার মত এত আন্তরিক মানুষ পাবো ভাবতেই পারি নাই। প্রতি সপ্তাহেই তার সাথে কথা বলাটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল।

১০| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১৭

হাসান রাজু বলেছেন: "হেনা ভাইয়ের ভিতরে জমানো অনেক কথা তিনি বলার খুব চেষ্টা করলেন কিন্তু বলতে পারলেন না। মুখে কোন শব্দ উচ্চারন হয় না। কথা বলতে না পারার কষ্টে দুই চোখের পানি ছেড়ে কাঁদতে লাগলেন। "

এখানে এসে খুব মনে হল কিছুটা অনুভব করতে পারছি। কিন্তু আপনারা কিভাবে সামলালেন এই কষ্ট?

ছবিতে আপনার আর কামাল ভাই এর বডি ল্যাংগুয়েজ হয়ত অনেক কিছু বলে দিচ্ছে।

আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন।

১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০০

প্রামানিক বলেছেন: আসলেই হেনা ভাই বলতে না পেরে যখন কেঁদে দিলেন তখন খুব কষ্টই লেগেছিল। ছবিতে তারই একটি অংশ ফুটে উঠেছে মাত্র। ধন্যবাদ আপনাকে

১১| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২৯

হাসান রাজু বলেছেন: আমি উনার মন্তব্যগুলো ঘেঁটে ঘেঁটে পড়তাম। একটা রসবোধ আর হিউমার উনার মন্তব্যে খুঁজতাম। আর পাওয়া ই যেত।

কামাল ভাইয়ের পোস্টে উনার মন্তব্যের একনিষ্ঠ ফ্যান ছিলাম। আমি এক সময় ভাবতাম উনার কাছের কোন বন্ধু বা পরিচিতজন হবেন। একজন আরেকজনকে পচানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু যখন জানলাম উনাদের তখনো দেখাই হয়নি, ব্লগেই বন্ধুত্ব। বেশ অবাক হলাম কিন্তু ব্লগ নিয়ে একটা গর্ববোধ তৈরি হল।

আর পাব না সাদা মনের মানুষ আর সামু পাগলার আড্ডা ঘরের মত পোস্টগুলোতে উনার সরস মন্তব্যগুলো। খুব মিস করব।

১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০২

প্রামানিক বলেছেন: হেনা ভাইয়ের মন্তব্যগুলো ছিল খুবই রসালো এবং গুছানো। তার মন্তব্য পড়েও অনেক আনন্দ পাওয়া যেত। ধন্যবাদ আপনাকে

১২| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা হেনা ভাই ! আমাদের হেনা ভাই ! ব্লগার হেনা ভাই !! কত যে মায়া রেখে গেলেন আমাদের জন্য।
আল্লাহ হেনা ভাই কে বেহেশত নসিব করুন।

১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৩

প্রামানিক বলেছেন: আসলেই ব্লগ জগতে হেনা ভাইয়ের তুলনা হয় না। উনার মত এমন উদার মনের ব্লগার খুব কমই আছে। ধন্যবাদ আপনাকে

১৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫৫

পুলক ঢালী বলেছেন: হেনাভাইয়ের সাথে অসংখ্য খুনসুটির কথা মনে পড়ে। বড় হৃদয়ের, বড়মাপের মানুষ ছিলেন তিনি।
হেনাভাবীকে আমরা বুড়ীভাবী বলে সম্বোধন করতাম, তিনিও অনেক উদার আর বড়মনের মানুষ ছিলেন। এদিক থেকে হেনাভাই খুব ভাগ্যবান ছিলেন।
হেনাভাই ডাক্তারের নির্দেশানুসারে রাত দশটায় শুয়ে পড়তেন, একদিন রাত সাড়ে দশটায় ওনাকে মন্তব্য করতে দেখে জিজ্ঞেস করলাম ব্যাপার কি! রাত দশটার পরও জেগে থাকার সাহস কোথায় পেলেন? অনিয়ম না করে তাড়াতাড়ী শুয়ে পড়ুন, ভাবীসাব লম্বা একটা ঝাড়ু নিয়ে এই আইলো বলে!!
তিনি হেসে জবাব দিলেন না না সেই ভয় নেই, তিনি সকাল থেকেই উধাও, হয় একজন সতীন না হয় নিজের জন্য একজন নাগর নিয়ে ফিরবেন। আজ সারাদিন রান্নাবান্না থেকে শুরু করে সংসারের সব দায় সামলাচ্ছে আমার লক্ষী বৌমা। (তখনও ছোট ছেলের বিয়ে হয়নি।)
(মূল ঘটনা হলো হেনাভাইয়ের এক ভাড়াটিয়া পরিবারের বৌয়ের ভোর থেকেই প্রসব বেদনা উঠেছে, হেনাভাবী তাকে মেটার্নিটি হসপিটালে নিয়ে গেছেন। স্বামী-স্ত্রীর প্রথম সন্তান, তাদের কোন বিষয়েই অভিজ্ঞতা নেই, তাই হেনাভাবী মায়ের ভূমিকা নিয়ে রাত পর্যন্ত হাসপাতালেই রয়ে গেছেন। মেয়ে সন্তান হলে ভাবীর সতীন, আর ছেলে সন্তান হলে ভাবীর নাগর। হেনাভাই ছাড়া কে এমন রসালো মন্তব্য করতে পারেন! )
শুধুমাত্র ভাড়াটিয়ার জন্য কতজন বাড়ীওয়ালী ঠিক এমন আচরন করবেন? হেনাভাবীর উদার সন্তান-বাৎসল্য মনের কাছে ভাড়াটিয়া এবং সন্তানের মধ্যে কোন পার্থক্য ছিলনা।

আলেয়া বিষয়ক অসংখ্য বিব্রতকর প্রশ্ন করে নিজের হাত কামড়িয়েছি ভেবেছি যে হেনাভাই না জানি কি মনে করেন! কিন্তু হেনাভাইয়ের কোন বিকার নেই, তিনি বলতেন, "আমি নেভার মাইন্ড পরিবারের ছেলে আপনাদের পক্ষে সম্ভবই নয় আমাকে বিব্রত করা" আমরা হাপ ছেড়ে বাঁচতাম! ভাবতাম যাক বাঁচা গেল!

হেনাভাই ভীষন রসিক মানুষ ছিলেন, সামমা ভাই (সাদা মনের মানুষ) কোন পোষ্ট দিলেই নজর রাখতাম কখন সেই পোষ্টে হেনাভাইয়ের আগমন ঘটে! তারপর যা ঘটতো তার আনন্দ শুধু অনুভব্য প্রকাশ করার ভাষা নেই। এখন এগুলো খুব মিস করি, হেনাভাইকে খুব মিস করি, ব্লগেও ইদানিং পদচারনা কমে গেছে। আজ অনেকদিন পর এসে আপনার স্মৃতিচারণা দেখে মন্তব্য থেকে বিরত রইতে পারলাম না। হেনা ভাইয়ের আত্মা বেহেশ্ত লাভ করুক এই দোয়া রইলো।

ভাল লাগলো আপনার পোষ্ট।

আপনি জাত ছড়াকার, অনেকদিন আপনাকে দেখিনি, আপনার মজার মজার ছড়াও খুব মিস করি।
ভাল থাকুন প্রামানিক ভাই।

১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৭

প্রামানিক বলেছেন: হেনা ভাইয়ের রসিকতার তুলনা হয় না। উনার মত এমন ব্লগার পাওয়া দুষ্কর। সবার সাথেই খোলামেলা ছিলেন। তার এই অভাব ব্লগ জগতে পুরণ হবার নয়।

১৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৪৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ব্লগেও উনি প্রাণবন্ত লেখা লিখতেন। ওনার আত্নার প্রশান্তি কামনা করছি।

১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৮

প্রামানিক বলেছেন: আল্লাহ যেন আপনার দোয়া কবুল করে নেন।

১৫| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেনা ভাইয়ের সাথে আপনার এই লেখাটি যত গভীরে গেছি ততোই ভিতরটা আদ্রতায় ভিজে গেল।কি সুন্দর করে দুই জন ব্লগারের অন্তরের কথা লিখেছেন।যেন কতকাল পরিচিত।ব্লগেই দেখেছি সদালাপী নির্বিবাদী হেনা ভাইকে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের মতো জুনিয়রদের কত সহজেই আপন করে নিতেন। আপনার কাছ থেকেই প্রথম ওনার অসুস্থতা ও পরে চলে যাওয়ার কথা শুনেছি। সেদিন নিজের কানকে যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না। হেনা ভাই সামু ব্লগে এমনি উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক হয়ে বেঁচে থাকুন।
ওনার মাগফিরাত কামনা করছি।
শুভেচ্ছা প্রিয় প্রামানিক ভাইকে।

১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১০

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ পদাতিক দা, আসলেই মন্তব্য এবং গল্প লেখায় ব্লগে উনার তুলনা হয় না। উনার অভাব পুরণ হবার নয়।

১৬| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




অনেক দিবসপর আপনার দেখা পেললাম ।
আপনি ভাল আছেন জেনে খুশী হলাম ।

হেনা ভাইকে নিয়য়ে সুন্দর ও মুল্যবান স্মৃতিচারণ
করেছেন।উনার জীবন ছায়াহ্নের বিষাদময় দিনের
কথা সকরুনভাবে উঠে এসেছে। পড়ছিলাম আর
চোখ দুটি ছল ছল করে উঠছিল । উনার সাহিত্য
প্রতিভার উজ্জল দিকগুলি সত্যিই আমাদের জন্য
একটি অমুল্য সম্পদ । জীবনঘেরা সাহিত্য কাকে
বলে তার উজ্জল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে হেনা ভাই
এর গল্প ও উপন্যাস। সামুতে ধারাবাহিকভাবে
প্রকাশিত হেনা ভাই এর ‌'স্বপ্ন বাসর' এর প্রতিটি
পর্ব আমি সেসময় সাথে সাথেই প্রবল আগ্রহ নিয়ে
পাঠ করেছি। প্রায় প্রতিটি পর্বেই আমি বেশ বড়
আকারে মন্তব্যকরে উপন্যাসটির সে পর্বে থাকা
বিষয় নিয়ে কথা বলেছি , সেগুলির উপরে তাঁর
প্রতিমন্তব্যও ছিল আরো আনেক তথ্য সমৃদ্ধ ।
তাঁর অভাব প্রতি মহুর্তেই আনুভব করেছি ।
গত মাস জুড়েই সামুর পাতার ডান দিকে
উপরে ধাকা হেনাভাই এর গ্রুপ ছবিটির দিকে
শ্রদ্ধাবনত চিত্তে তাকিয়ে থেকেছি । মনে মনে
সামুকে ধন্যবাদ জানিয়েছি আমাদের প্রয়াত এই
গুণী সাহিত্যিককে স্মরণে রাখার মহতি
উদ্যোগটির জন্য ।

সামু পরিবারের সকলের প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে লেখা
মুল্যবান পোষ্টটিকে প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১৬

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ আলী ভাই, উনার স্মৃতি ভুলে যাবার মত নয়, উনার সাথে এতই আন্তরিকতায় মিশে গিয়েছিলাম যে সেসব কথা মনে হলেই খুব কষ্টই হয়।

১৭| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আহারে! কিযে ভাল মানুষ ছিলেন হেনা ভাই। আমার লাস্ট পোস্টে আমি হেনা ভাইএর জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছি।
আমার গত জন্মদিনে হেনা ভাই সামুতে পোস্ট দিয়েছিলেন, আজ তিনি আর পৃথিবীতে নেই। আল্লাহ হেনা ভাইকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন।

১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১৮

প্রামানিক বলেছেন: আসেলেই উনার তুলনা হয় না, উনি সবাইকে সহজেই আপন করে নিতে পারতেন। ধন্যবাদ লিটন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.