নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহযোদ্ধারা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় যুদ্ধে শামিল হন

অন্যায়ভাবে সংঘটিত সকল বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই ।।

প্রতিবাদী কন্ঠস্বর

সহযোদ্ধারা - অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় যুদ্ধে শামিল হন

প্রতিবাদী কন্ঠস্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

"সুকান্ত ভট্টাচার্য"-র কবিতা-২য় পর্ব

২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৫







অনুভব



।। ১৯৪০।।



অবাক পৃথিবী! অবাক করলে তুমি।

জন্মেই দেখি ক্ষুদ্ধ স্বদেশভূমি।

অবাক পৃথিবী! আমরা যে পরাধীন

অবাক, কী দ্রুত জমে ক্রোধ দিন দিন;

অবাক পৃথিবী! অবাক করলে আরো-

দেখি এই দেশে অন্ন নেইকো কারো।

অবাক পৃথিবী! অবাক যে বারবার

দেখি এই দেশে মৃত্যুরই কারবার।

হিসেবের খাতা যখনি নিয়েছি হাতে

দেখেছি লিখিত ‘রক্ত খরচ’ তাতে;

এদেশে জন্মে পদাঘাতই শুধু পেলাম,

অবাক পৃথিবী! সেলাম, তোমাকে সেলাম!



।। ১৯৪৬ ।।



বিদ্রোহ আজ বিদ্রোহ চারিদিকে,

আমি যাই তারি দিন-পঞ্জিকা লিখে,

এত বিদ্রোহ কখনো দেখেনি কেউ,

দিকে দিকে ওঠে অবাধ্যতার ঢেউ;

স্বপ্ন-চূড়ার থেকে নেমে এসো সব-

শুনেছ? শুনছ উদ্দাম কলরব?

নয়া ইতিহাস লিখছে ধর্মঘট,

রক্তে রক্তে আঁকা প্রচ্ছদপট।

প্রত্যহ যারা ঘৃণিত ও পদানত,

দেখ আজ তারা সবেগে সমুদ্যত;

তাদেরই দখলের পিছনে আমিও আছি,

তাদেরই মধ্যে আমিও যে মরি-বাঁচি।

তাই তো চলেছি দিন-পঞ্জিকা লিখে-

বিদ্রোহ আজ! বিপ্লব চারিদিকে।।







পুরনো ধাঁধা



বলতে পারো বড় মানুষ মোটর কেন চড়বে?

গরীব কেন সেই মোটরের তলায় চাপা পড়বে?

বড় মানুষ ভোজের পাতে ফেলে লুচি-মিষ্টি,

গরীবরা পায় খোলামকুচি, একী অনাসৃষ্টি?

বলতে পারো ধনীর বাড়ি তৈরী যারা করছে,

কুঁড়েঘরেই তারা কেন মাছির মত মরছে?

ধনীর মেয়ের দামী পুতুল হরেক রকম খেলনা,

গরীব মেয়ে পায় না আদর, সবার কাছে ফ্যালনা।

বলতে পারো ধনীর মুখে যারা যোগায় খাদ্য,

ধনীর পায়ের তলায় তারা থাকতে কেন বাধ্য?

‘হিং-টিং-ছট্’ প্রশ্ন এসব, মাথার মধ্যে কামড়ায়,

বড়লোকের ঢাক তৈরী গরীব লোকের চামড়ায়।।





ভাল খাবার



ধনপতি পাল, তিনি জমিদার মস্ত;

সূর্য রাজ্যে তাঁর যায় নাকো অস্ত,

তার ওপর ফুলে উঠে কারখানা-ব্যাংঙ্কে

আয়তনে হারালেন মোটা কোলা ব্যাঙকে।

সবার “হুজুর” তিনি সকলের কর্তা,

হাজার সেলাম পান দিনে গড়পড়তা।

সদাই পাহারা দেয় বাইরে সেপাই তাঁর,

কাজ নেই, তাই শুধু ‘খাই-খাই’ বাই তাঁর,

এটা খান, সেটা খান, সব লাগে বিদঘুটে ,

টান মেরে ফেলে দেন একটু খাবার খুঁটে;

খাদ্যে অরুচি তাঁর, সব লাগে তিক্ত,

খাওয়া ফেলে ধমকান শেষে অতিরিক্ত।

দিনরাত চীৎকারঃ আরো বেশি টাকা চাই,

আরো কিছু তহবিলে জমা হয়ে থাকা চাই।

সব ভয়ে জড়োসড়ো, রোগ বড় প্যাঁচানো।

খাওয়া ফেলে দিন রাত টাকা বলে চ্যাঁচানো।

ডাক্তার কবিরাজ ফিরে গেল বাড়িতে;

চিন্তা পাকালো জট নায়েবের দাড়িতে।

নায়েব অনেক ভেবে বলে হুজুরের প্রতি:

কী খাদ্য চাই? কী সে খেতে উত্তম অতি?

নায়েবের অনুরোধে ধনপতি চারিদিক

দেখে নিয়ে বার কয় হাসলেন ফিক্-ফিক্;

তারপর বললেন: বলা ভারি শক্ত,

সব চেয়ে ভাল খেতে গরীবের রক্ত।।







১ম পর্ব

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:০৬

অনিমেষ হৃদয় বলেছেন: ++++++ সুকান্তকে অসম্ভব ভাল লাগে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:১৮

প্রতিবাদী কন্ঠস্বর বলেছেন: আমারও....ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:১০

রাইসুল সাগর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে..। আমার অনেক প্রিয় কবিতা এগুলো..

২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:২০

প্রতিবাদী কন্ঠস্বর বলেছেন: সুকান্তর সব কবিতাই আমার ভাল লাগে...আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৮

নিভৃত নয়ন বলেছেন: সুকান্তকে অসম্ভব ভাল লাগে

২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩৩

প্রতিবাদী কন্ঠস্বর বলেছেন: ধন্যবাদ.......

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫৭

সুখসাগর বলেছেন: অনিমেষ হৃদয় বলেছেন: ++++++ সুকান্তকে অসম্ভব ভাল লাগে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:০৮

প্রতিবাদী কন্ঠস্বর বলেছেন: আমারও ......... ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.