![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৮৮৬ সালের ১লা মে থেকে আমেরিকায় শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে লাগাতার ধর্মঘট শুরু করেছিলো। ওই ঘটনার চার বছর পর ১৮৯০ সালের ১লা মে থেকে ‘মে দিবস’কে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয় দ্বিতীয় কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক সম্মেলনে। সেই থেকেই প্রতিবছর শ্রমিকদের কথিত কল্যাণে মে দিবস পালিত হয়ে আসছে। এ দিনটিকে বলা হয় ‘বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের সংহতি প্রকাশের দিন।’ তাই এ দিবসে বিভিন্ন দেশে শ্রমিকদের দাবি দাওয়া, অধিকার, তাদের ন্যায্য পাওনা আদায়ে উচ্চবাচ্য করা হয়। প্রতিবছর এ দিনে সভা-সেমিনার, মিটিং-মিছিল, পোস্টার ইত্যাদি করে নানা আয়োজনে কিছু রছম-রেওয়াজ আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এসব কিছুর আয়োজন কি মেহনতি মানুষের দাবি, তাদের চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে পারছে? তাদের ঘামের যথাযথ মূল্য দিতে পারছে? বরঞ্চ এসব করে কি প্রতিবছর শ্রমিকদের চোখে সর্ষে ফুল দেখানো হচ্ছে না? সভায় মাইকে তাদের কথা বলতে দিয়ে পরে তা বাস্তবায়ন না করে তাদের সাথে কি চরম প্রতারণা করা হচ্ছে না? যদি তা না-ই হয়, তবে মে দিবসের ১২৩ বছরেও কেন বিশ্বব্যপী শ্রমিকরা বেইনসাফের শিকার হচ্ছে, কেন যুলুম-নির্যাতন আর নিপীড়নের শিকার হচ্ছে? গ্রীসের স্ট্রবেরী ফার্মে বকেয়া বেতন পরিশোধের কথা বলতে গিয়ে শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরির বদলে কেন বন্দুকের বুলেট বরণ করতে হলো?
বলাবাহুল্য যে, আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বেই সমগ্র মানবজাতির জন্য পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম দিয়েছেন। এখানে শ্রমিকদের জন্য শ্রেষ্ঠ বিধান রয়ে গেছে। এখানে ‘ঘাম শুকানোর আগেই শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করার’ নির্দেশ মুবারক দেয়া হয়েছে। গরিবদের যাকাত প্রদানের উপর ধনীদের জন্য ফরয করে দেয়া হয়েছে। তাহলে শ্রমিকের জন্য কোনটি উপকারী? বিষয়টি দেশের জনগণ থেকে সরকার সকলেরই আমলে নিতে হবে।
(সংগৃহিত)
©somewhere in net ltd.