নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রীতম ব্লগ

প্রীতম ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধুদেশ(!!!) ভারত থেকে আসছে রোগাক্রান্ত গরু ।সত্যিই আমরা এক মহান ভার্তৃপ্রতীম(!!!) দেশের প্রতিবেশী

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩১

কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ভারত সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিদিন শত শত গরু-মোষ অবৈধপথে বাংলাদেশে ঢুকছে। এসব গবাদী পশুর বেশির ভাগই রোগাক্রান্ত। আর তাই হাটগুলোতে উপচে পড়া ভিড় থাকলেও ক্রেতারা দেশি জাতের সুস্থসবল গরুর দিকেই বেশি ঝুঁকছে। গরু ব্যবসায়ীদের লোকসান থেকে লাভের মুখ দেখার আশা সঞ্চার করেছে। প্রতিটি হাটগুলোতে গতবারের মতো এবারও ভারতীয় রোগাক্রান্ত গরুর চেয়ে দেশি গরু বিক্রি হচ্ছে। দেশি জাতের গরুর আমদানি বেশি হওয়ায় অন্যান্য বারের তুলনায় এবার গরুর দামটাও একটু চড়া।

এদিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবাধে পাচার হয়ে আসা এসব ভারতীয় অসুস্থ গরু বাংলাদেশের হাটেবাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে না জানিয়ে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই দেশে ঢুকছে। ভারত থেকে অবৈধপথে আনা হাজার হাজার গরুর সামান্য কিছু অংশ সরকারের নির্ধারিত করিডোরে রাজস্ব দিয়ে ঢোকে। বেশিরভাগই রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দেশে ঢোকাচ্ছে গরু পাচারকারীরা। এতে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। লাভবান হচ্ছে ভারতের অবৈধ গরু-মোষ ব্যবসায়ীসহ প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী।

ভারত সীমান্ত দিয়ে যেসব গবাদী পশু বাংলাদেশে ঢোকে সেগুলোর রাজস্ব গবাদী পশু শুল্ক করিডোরে জমা দেয় ব্যবসায়ীরা। পবিত্র কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে প্রতিদিন হাজার হাজার গরু-মোষ বাংলাদেশে ঢুকলেও শতকরা ৩০ ভাগ পশুর রাজস্ব পায় সরকার।

অভিযোগ রয়েছে বিজিবি সদস্য ও তাদের গোয়েন্দা (এফএস) সীমান্তবর্তী এলাকার থানা, পুলিশফাঁড়ি, ডিবি, ডিএসবির নামে প্রতিজোড়া গরু-মোষ থেকে ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা নিয়ে দেশে আনতে সাহায্য করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সীমান্তের একাধিক সূত্র ও গরু পাচারকারীরা জানায়, ভারত-বাংলাদেশের অবৈধ গরু চোরাচালানীর কাজে সহযোগিতা করার জন্য যে অবৈধ টাকা রোজগার হয় তার ৭০ ভাগই পায় বিজিবি’র কোম্পানি কমান্ডার ও বিওপির সদস্যরা। আর বাকি ৩০ ভাগ বিভিন্ন জনের কাছে ভাগবাটোয়ারা হয়।

তারা আরও জানায়, সংশ্লিষ্ট বিজিবি ক্যাম্পকে দিতে হয় প্রতিজোড়া গরু-মোষ বাবদ ৪শ’ থেকে ৬শ’, বিজিবির গোয়েন্দা পায় ১শ’, থানা ৩শ’,পুলিশফাঁড়ি ১শ’, ডিবি ১শ’, ডিএসবি ১শ’, শুল্ক করিডোরে কাগজ লেখা বাবদ দিতে হয় ১শ’ টাকা। বাকি টাকা আমাদের নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়।

দেশের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সীপুর ও ঠাকুরপুর গ্রাম এলাকা দিয়ে ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি অবৈধ গরু-মোষ বাংলাদেশে ঢোকে।

বটতলাহাটের গরু ব্যবসায়ী মাসুম জানান, শেষমুহুর্তে হাটগুলোতে দেশি গরুর চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের চোখে আশার আলো সঞ্চারিত হচ্ছে। হাটগুলোতে বড় সাইজের গরু ৬০ থেকে ৮০ হাজার, মাঝারি ৩০ থেকে ৪০, ছোট ২০ থেকে ২৮ হাজার এবং ছাগল ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।

জানা যায়, ভারত থেকে যেসব গরু-মোষ অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সেগুলো রাখার জন্য সীমান্তবর্তী গ্রামে নির্দিষ্ট কিছু জায়গা থাকে। সেগুলো ‘গোঁজ’ নামে পরিচিত। ভারতীয় অবৈধ গরু-মোষ এ গোঁজগুলোতে জড়ো করা হয়।

জগন্নাথপুর (কার্পাসডাঙ্গা) গবাদী পশু শুল্ক করিডোরের কার্যালয় সহকারী গোলাম কিবরিয়া জানান, শুধুমাত্র গোঁজ মালিকরা গরু-মোষের গায়ের রঙের বিবরণ দিলেই শুল্ক পরিশোধের রশিদ কেটে দেয়া হয়। ৪ দিন সময়ের এ রশিদ যার কাছে থাকে, সে তখন অবৈধ গরু-মোষের বৈধ দাবিদার হয়ে যায়। এ রশিদ সঙ্গে রেখে গরু-মোষগুলো হাটেবাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি আর জানান, গত সেপ্টেম্বরে করিডোরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। এছাড়া চলতি মাস অর্থাৎ ৭ অক্টোবর পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

ভারত থেকে অবৈধভাবে আসা রোগাক্রান্ত গরু-মোষ বাংলাদেশে ঢোকার পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য স্ব স্ব উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের দায়িত্ব থাকলেও তাদের দিয়ে তা করানো হয় না। এ কারণে সরকারের পক্ষ থেকে অবৈধ রোগাক্রান্ত ভারতীয় পশু কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই সীমান্তবর্তী হাট-বাজারগুলোতে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অবাধে বিক্রি হচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কোহিনুর ইসলাম বলেন, আমরা ভারত থেকে অবৈধপথে আসা রোগাক্রান্ত পশু পরীক্ষা করতে চাইলেও বিজিবি’র কারণে করতে পারছি না। তারা এ কাজে আমাদের সহযোগিতা করে না। তাছাড়া শুল্ক করিডোরে আমাদের পশু চিকিৎসকরা বসে থাকলেও সেখানে গরু-মোষ আনা হয় না।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল গাজী আসাদুজ্জামান জানান, আমরা মূলত সীমান্তরক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকি। তবে ভারত থেকে যেসব গবাদী পশু জিরো পয়েন্টে দিয়ে এদেশে ঢোকে সেগুলো রাজস্ব পরিশোধের মাধ্যমে বৈধতা পাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা করি।

বিজিবি’র টাকা নেয়ার বিষয়টি তিনি পুরোপুরি অস্বীকার না করে বলেন, এমনটি হতে পারে। তবে আমাদের সদস্যদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ দিলে আমরা তাদের ব্যাপারে বিভাগীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:০৮

প্রীতম ব্লগ বলেছেন: কত দয়া আমাদের দাদাদের!!! তারা বি এস এফ এর দ্বারা আমাদেরকে সীমান্তে হত্যা করছেন। আবার তারাই আমাদের দেশে বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরুপ রোগাক্রান্ত গরু পাঠাচ্ছেন। তারাই আবার রামপালের মাধ্যমে আমাদের সুন্দরবন ধ্বংসের চূড়ান্ত ব্যবস্থা করছেন। ধন্যি ধন্যি দাদাদের বদান্যতায়। এমন কৌশলে আমাদের ক্ষতি আর কে করতে পেরেছে?

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:১২

প্রীতম ব্লগ বলেছেন: আর আমাদের সামু দাদুও আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন যে আসলে সামু ব্লগে মুসলমানরাই সংখ্যালঘু ও উপেক্ষিত। তাইতো পুজোর ব্যানার দেখা যাচ্ছে কিন্তু ঈদের জন্য কোন ব্যানার নেই। আসলেই ধর্মনিরপেক্ষতার (!!!) চমৎকার দৃষ্টান্ত

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৩

সেফানুয়েল বলেছেন: কোথাও কোন এক ডায়লগে পড়েছিলাম যে " ঘুষও খাইতে চান আবার মানুষও থাকতে চান তা কি করে হয়?"।
অবৈধ ভাবে আনেন তাও আবার ১০০% খাটি চান তা কি করে হয়!!! চোরাই পথে আসা গরুগুলোর কতটুকু ডাক্তারী পরীক্ষার সুযোগ আছে/থাকে আমি জানি না। যারা অবৈধ ব্যাবসা করে তাদের কাছে আপনার এই নীতি বাক্য কোন কাজ দেবে বলে মনে হয় না। যারা এই অবৈধ আমদানির সাথে জড়িত তারা এই কাজ নিতান্তই পেটের দায়ে করছে। ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব রক্ষা হলো কি হলো না এবিষয়টি তাদের কাছে আলাদা কোন মর্যাদা বহন করে না।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

প্রীতম ব্লগ বলেছেন: অবশ্য গরু পাঠানোর সময় গুলি করে মারে না!!! অন্য সময় শ্যুটিং প্রাকটিস করে আর কি, আর বাংলাদেশী মারার মজাই আলাদা, কি বলেন?

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

সেফানুয়েল বলেছেন: কে বললো আপনাকে এই আশ্চর্যজনক কথাটা।যখন বাংলাদেশী অবৈধ গরু ব্যাবসায়ীরা বর্ডারের অবৈধ তোলা ঠিকঠাক জায়গামতো দিয়ে আসে তখন কোন অসুবিধা নাই। কত বাংলাদেশী গরু ব্যাবসায়ী যে মারা যাচ্ছে তার খবর কি রাখেন? কারণটা অবৈধ আয়ের ভাগ না দিয়েই এক কিলোমিটার পার হতে পারলেই তো বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশে পৌছাতে পারলেই তো তিন ডাবল টাকা- এই লোভে রিক্স নিতে গিয়ে অনেক গরু ব্যাবসায়ী মারা পড়েন। অবৈধ কোন কারবারই করা ঠিক নয়।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

প্রীতম ব্লগ বলেছেন: হুমম কিন্তু কুরবানীর সময়??? সে সময়তো বেশ ভালোই নগদপ্রাপ্তি ঘটে সে জন্য সিজফায়ার হয় তাই না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.