নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রীতম ব্লগ

প্রীতম ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারি স্কুলেও ভর্তিতে মানা মুসলিম মেয়েদের; তবে কীসের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, কীসের ধর্মনিরপেক্ষতা?

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:১৯

ধর্মনিরপেক্ষ দেশ দাবীদার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও মুসলিম মেয়েদের ভর্তি নিষেধ।

জানা যায়, রাজ্যের বর্ধমান জেলার খোসবাগানের মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে হরিসভা হিন্দু গার্লস হাইস্কুল নামে স্কুলটিতে পড়তে পারে না এলাকারই মুসলিম ছাত্রীরা৷ রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের হস্তক্ষেপেও নিয়ম বদলায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ৷

ক্ষুব্ধ কমিশনের প্রধান ইন্তাজ আলি শাহ শেষ পর্যন্ত চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে৷ কমিশনের চেয়ারম্যানের জানান, কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষাকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাশ করার পরেও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত একটি বিদ্যালয়ের এই আচরণ শুধু ধর্মনিরপেক্ষতারই পরিপন্থী নয়, অমানবিকও৷ এমনটা কিছুতেই চলতে পারে না বলেও চিঠিতে মন্তব্য করেন তিনি৷

বর্ধমান হরিসভা হিন্দু গার্লস হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের আাচরণ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও৷ ইয়াসমিন বেগম নামে জেলার এক বাসিন্দা জানান, তার মেয়ের ক্ষেত্রেও এমনই ঘটেছিল৷ বাড়ির কাছেই এই স্কুল, কিন্তু সেখানে ভর্তি করা যায়নি মেয়েকে৷

এদিকে মুসলিম মেয়েদের ভর্তি না নেয়ার কথা স্বীকার করেছে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা তনুজা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ সে বলেছে, এত বছর ধরে এটাই চলে এসেছে৷ সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করা হলে, উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে৷ কে তার দায়িত্ব নেবে?

শুধু মুসলিম ছাত্রীই নয়, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে এসএসসি পাশ করা একজন মুসলিম শিক্ষিকাকেও এই স্কুলে যোগ দিতে দেয়া হয়নি৷

এক ছাত্রীর পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে গত বছর জুলাইয়ে জেলা প্রশাসন, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান৷ জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেয়া হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি৷

মাস কয়েক আগে যখন বর্ধমান জেলা সফরে গিয়েছিল কমিশনের প্রতিনিধিদল, তখনও ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের আচরণ নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল তারা৷ এ বছরও স্থানীয় কয়েকটি মুসলিম পরিবারের তরফ থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের মেয়েদের ভর্তি নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল৷ কিন্তু নিয়মের দোহাই দিয়ে মুসলিম মেয়েদের ভর্তি নিতে রাজি হয়নি কর্তৃপক্ষ৷

সংঘ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান ইন্তাজ আলি শাহ বলেন, ২০০৯ সালে শিশুদের সার্বিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে যে আইন পাশ হয়, তার ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের শিক্ষার দায়িত্ব স্থানীয় বিদ্যালয়গুলোরই৷ শুধু তাই নয়, ওই স্কুলটি বিভিন্ন ভাবে সরকারি সাহায্য পায়৷ তার পরেও স্রেফ ধর্মের ভিত্তিতে কী ভাবে এ কাজ করতে পারে?

মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এরই জবাব চেয়েছেন তিনি৷ তার কথায়, এ ভাবেই যদি চলে, তবে কীসের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, কীসের ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্য



View this link

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৩৮

জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: এরা আশ্রম আর স্কুলের পার্থক্য বোঝেনা। দুঃখজনক।

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৫৬

নিয়েল হিমু বলেছেন: তো এখন কি করতে বলেন ? ইন্ডিয়ার পণ্য বর্জণ ? নাকি লং মার্চ ?

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:২৫

প্রীতম ব্লগ বলেছেন: মুখে কুলুপ না এটে, বোবা অথর্ব না সেজে থেকে, প্রতিবাদী হতে বলছী। আপনার ঘরের পাশে মানবাধিকারের এমন চরম লংঘন হবে আর আপনি চুপ করে থাকবেন, আপনার যবান নাই? প্রতিবাদ করতে পারেন না? নাকি একচোখা নীতিটাই ইনসাফ? কোন টা?

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:১০

পুকুরপাড় বলেছেন: এই খোলস এরা মুসলমানের উপর অত্যাচার করার জন্য বলে।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৩

সৈয়দ মোহাম্মদ আলী কিবর বলেছেন: আমি প্রতিবাদ করছি এমন আচরনের। পাশাপাশি আল্লাহর কাছে ইসলামের বিজয় প্রার্থনা করছি।

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৯

তাজুল_ইসলাম বলেছেন: শুধু মুসলমানের বেলায় মানবাধিকার নেই, আজ বাংলাদেশে যদি এমন ঘটনা ঘটতো তবে উনারা প্রতিবাদে ফেটে যেতেন। অথচ ইসলামে সব ধর্মের লোকের শিক্ষার সমান অধিকার রয়েছে।

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯

নীলতিমি বলেছেন: India is the only country in South Asia that stinks! /:)

৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: অসাম্প্রদায়িক ভারত আর সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের তুলনা
Click This Link

৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

নিয়েল হিমু বলেছেন: আপনার ঘরের পাশে মানবাধিকারের এমন চরম লংঘন হবে.......... এক্সকিউজমি । ইন্ডিয়া আমার বাড়ি ঘর না ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২

প্রীতম ব্লগ বলেছেন: ও আচ্ছা!!!! ইন্ডিয়া আপনার দেশের প্রতিবেশী দেশ না??? আপনার বাড়ি তাহলে ইসরায়েল???? বেশ বেশ বেশ।

৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আজব কিছূ লোকের বোধ!!!

ঐ দেশে সংখ্যালঘুদের কোনঠাসা করে রাখার কোটি প্রমাণেও ভাবলেষহীন...

আবার তারাই এই দেশে পান থেকে চুন খসলেই রে রে সব গেছে রে.. সাম্প্রদায়িকতা দেশটাকে কুড়ে খেলরে...

বিডিনিউজের এই পোষ্টটা দেখুন- সব শেষে ইনিয়ে বিনিয়ে কিভাবে এই দেশটাকে পচিয়েছে--
এই দেশ নাকি আতংকের!!!!!


অথচ আশৈশব অনিলদা আমার মাকে ধর্ম মা ডেকেছে।

তার কন্যারা আমার কোলে বসে দুলেছে যখন আমি কোরআন পড়েছি!!!!!

অথচ তাদের দূরবীন চোখে সামান্য ব্যক্তিগত সংঘাও হয়ে যায় সংখ্যালঘূ নির্যাতন!!!

রহিম করিম জমি নিয়ে লাগে কোন সমস্যা নাই।
রহিমের সাথে সুবলের স্রেফ জমি নিয়ে সংঘাতই হয়ে যায় সংখ্যালঘু নির্যাতন।

আবুলের মেয়ে খলিলের বখাটে ছেলের হাতে ধর্ষিত হলে তা স্রেফ ধর্ষনই থাকে
শুধূ নামটা বদলে হরিপদের মেয়ে হলেই তা সংখ্যালঘুর অত্যচার আখ্যা দেয়ার চেষ্টা চলে!!!

অপরাধকে শুধু অপরাধ হিসেবেই দেখতে হবে।

আর স্রেফ ধর্মীয় কারণে এই দেশে নির্যাতন হয়েছে তথ্য সহ প্রমান মনে হয়না কেউ দেখাতে পারবে।

শুধু হিন্দু বলে বা অন্য কোন ধর্মের বলে তাকে অত্যাচারিত হতে হয়েছে- এমনটা খুজতে দূরবিন লাগবে!!


অথচ ভারতের বাবরি মসজিদ, গুজরাটে সহ হাজারো ঘটনার পরও কথিত সুশীলদের চোখে কলুর বলদের ঘুটি বাঁধা!!!!!

তারা শুধূ নিজ দেশেমাতার অপমানে আদা-জর খেয়ে লেগে আছে!!!!

অদ্ভুত জীব এরা।!!!!!!!!!!!!!!

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪১

প্রীতম ব্লগ বলেছেন: অকপট সাহসী সত্য উচ্চারণের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

গেন্দু মিয়া বলেছেন: আপনি ভারত নিয়ে এতো চিন্তিত কেন?

আগে নিজের দেশ সামলান ভাই।

নাকি অকালপক্ক জিহাদি হতে চান। শান্তির মইধ্যে আশান্তি ডেকে এনে জান-মালের হানাহানি করতে চান?

ভারত থাকুক ভারতের মত। আসেন আপনি আর আমি দেশ উদ্ধার করি আগে... বাকিসব পরে দেখা যাবে!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৮

প্রীতম ব্লগ বলেছেন: আপনি একজন অকালপক্ক্ব নির্বোধ একচোখা স্বার্থান্ধ চুশীল হতে পারেন, কিন্তু আমি তা নই। যার উপর ঈমান এনে আমি মুসলমান হয়েছি, সেই সুমহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, সারা বিশ্বের মুসলমান একটি অখন্ড দেহের মতো। দেহের একটি অংশ আক্রান্ত হলে যেমন সারা দেহ পীড়িত হয়ে উঠে, ঠিক তেমনি বিশ্বের যেকোন অংশে মুসলমান আক্রান্ত হলে সারাবিশ্বের মুসলমানদের উপর আঘাত এসে থাকে।



যদিও মুসলমানদেরটাই খেয়ে পরে বেঁচে আছেন, তথাপি ন্যূনতম কৃতজ্ঞতাবোধ আপনার ভেতরে নেই বলে, বিষয়টা বুঝবেন বলে মনে হয় না।

১১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

গেন্দু মিয়া বলেছেন: "যদিও মুসলমানদেরটাই খেয়ে পরে বেঁচে আছেন"

মানে কী?? B:-/

সহস্তে উপার্জন করিয়া খাই ভাই। মাগনা বা কারো দয়ায় তো খাই না।

আর যখন আপনা দেশের সংখ্যালঘুরা যখন মার খায় তখন আপনার চুলকানিটা কি পশ্চাতদেশ থেকে অনত্র গমন করে?

"যার উপর ঈমান এনে আমি মুসলমান হয়েছি"
- তিনি সুমহান। হিন্দু দেখলে বাড়িঘর জ্বালায়ে দিতে উনি বলেন নাই।

দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ জানেন কি? ভিন দেশেরটা ছেড়ে দিয়ে নিজের দেশে সব ধর্মের মানুষদের মধ্যে ভাতৃত্ত্বের বন্ধন গড়ে তুলতে কাজ করবেন এই আশা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.