![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি প্রেতরাজ। জন্ম-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে আমার বসবাস।
কত বছর পর তোমার চিঠি পেলাম আবার :
এই সকাল বেলার রোদ্রে
আমার হৃদয়ে
বারুনীর কোটি কোটি সহচরী
তিমির পিঠ থেকে মকরের পিঠে আছড়ে প'ড়ে
নটরাজ্ঞীদের মতো
মহান্ সমুদ্রের জন্ম দিল।
আমি মুদ্রিত চোখ নিয়ে
তোমাকে অনুভব করি,
মনে হয়,যেন সূর্যাস্তের জাফরান আলোয়
শাদা গোলাপের বাগান ছড়িয়ে রেয়েছে মাইলের পর মাইল,
একটা সজনে গাছ ও নেই,তাই বিরাট আকাশচিল উড়ে এসে
শুন্য বাতাসের ভিতর আঁকাবাঁকা ব্যর্থ জ্যামিতির দাগ রেখে গেল শুধু,
তারপর দূর নীড়ের দিকে উড়ে গেল
হৃদয়ের পানীয়ের দিকে।
এই পৃথিবীর অব্যবহারের দিকে তাকিয়ে
কেমন একটা তুহিন ছিল হৃদয়ে :
তোমাকে দেখে ভেঙে গেল ;
সমুদ্র যখন (শীতের শেষে) আকাশকে ভালবাসে
শত শত স্ফীত খোঁপার প্রেমিকা নারীর জন্ম দেয়।তার জলের ভিতরে
তাদের সমস্ত ক্ষুদা জড়ো ক'রে
আকাশের পানে গভীরভাবে নিক্ষেপ করে সে :
তোমার উত্তাল গম্বুজের উদ্দ্যেশে
আমার অনুভূতিরর আলোড়ন -
সেই সব স্ফীত খোঁপার নারী
তোমার নিস্তব্ধ নীল ভাস্কর্যকে চূর্ণ ক'রে
গুঁড়োয় গুঁড়োয় পৃথিবীর শস্যক্ষেতে ছড়িয়ে দেবে;
হৃদয়ের ভিতর প্রতিভার নব নব সন্তান কলরব করে উঠবে।
জীবনানন্দ দাশ।
©somewhere in net ltd.