নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তার আর পর নেই, নেই কোন ঠিকানা।

রাকিব হোসাইন(মিশু)

প্রেতরাজ

আমি প্রেতরাজ। জন্ম-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে আমার বসবাস।

প্রেতরাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি এবং একটি ভাবনা।

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:০৫

যদিও আমি যেইটুক লেখালেখি
করি এইটা কোনরূপেই সাহিত্যর
ধারায় পড়ে না। তবুও যদি সাহিত্য
হিসাবেই গণনা করি তবে
সমালোচনাটাও সাহিত্যর
আওতাভুক্ত হওয়া উচিৎ।
একজন সাহিত্যে সমালোচক কে
অনেকেই ভাল চোখে দেখেন না।
অথচ এরিস্টোটল একজন সাহিত্য
সমালোচক ছিলেন। সাহিত্য যেমন
একটি শিল্প তেমনি সমালোচনা ও
একটি শিল্প। দু:খের বিষয় অনেকে যুগ
যুগ ধরে লেখার পরও এ বিষয়টি হৃদয়
দিয়ে অনুভব করেন না--কেউ কেউ
মানতেও নারাজ যে সমালোচনা
আসলেই একটি শিল্প হতে পারে।
যে কেউ সাহিত্য সমালোচনা করতে
সক্ষম নন। একজন সাহিত্যিকই সাহিত্য
সমালোচনা করে পারেন।
সমালোচনা সাহিত্যের মান উন্নত
করে বলে--প্রতিটি কবি-লেখকের
উচিৎ সমালোচকের নিকট কৃতজ্ঞ
থাকা--অথচ বাস্তবে তার উল্টোটাই
বেশি দেখা যায় ।
ফেইস বুকে যা হয়-এটি আসলে
সমালোচনা নয়--রীতিমতো তেল
দেয়া। এই তেলাতেলির সমাজে
সাহিত্য করা দায় হয়ে পড়েছে।
সমালোচনা হবে অভিজ্ঞ এবং
সেটেল্ড লেখকদের ক্ষেত্রে। এ
ক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া মোটেই
যুক্তিযুক্ত নয়। এ ক্ষেত্রে ছাড় দিলে
বরং লেখকের পথভ্রস্ট হয়ে যাওয়ার
সম্ভাবনা থাকবে। একজন লেখক হয়ে
আমরা অন্যের লেখার গঠনমূলক
সমালোচনা করে তাকে সঠিক পথে
এগিয়ে
যেতে সহায়তা করবো--এটিই প্রকৃত
ভ্রাতৃত্ববোধ ।
কিন্তু প্রায়ঃশ দেখি সমালোচক কে
কটূচোখে দেখা হচ্ছে--এটি একজন
সমালোচকের জন্য অসম্মানজনক।
তিনি বরং ভয়ে ভয়ে সমালোচনা
করেন এবং সমালোচনা করার পর
হেজিটেশনে ভোগেন--এটি
আক্ষেপের বিষয় নয় কি ? রবি
ঠাকুরের “ভাষায় সত্য যা, তা
কঠিন,কঠিনেরে ভালবাসিলাম”-
অথচ কবি-সাহিত্যিক হওয়ার পরও কেন
যেন আমরা সত্যকে আন্তরিকভাবে
মেনে নিতে পারিনা । দু-চার লাইন
লেখে আমরা উন্নাষিক জ্বরে ভূগি।
কেউ যদি কঠিন সমালোচনা করে
তবে লেখকের খুশিই হওয়া উচিৎ।
কেননা কঠিন সমালোচনা তারই করা
হয় , যার লেখার মান আছে। ফেসবুকে
বেশিরভাগ সমালোচনাই--ভাল ,
সুন্দর হয়েছে, nice, লিখে যান,
চমৎকার--এ টাইপ। এ গুলো কোন
সাহিত্যসমালোচনার শব্দ নয়-বরং এ
গুলো পণ্যের ক্ষেত্রে শোভা পায়।
এই প্রশংসাগুলো এ কেবলই নবীন
লেখকদের ক্ষেত্রে সীমিত আকারে
চলতে পারে বটে -- তবে কোন
অভিজ্ঞ লেখকের ক্ষেত্রে এ ধরনের
তেলাতেলি অশৌভন বলা চলে।
সমালোচনা বলতে কেউ কেউ
নিন্দাকে বুঝে থাকেন-অথচ
সমালোচনা হলো ভালো-মন্দ দুটিরই
সংমিশ্রিত রূপ ।
কেউ কেউ আবার এমনভাবে
সমালোচনা করে থাকেন মনে হয়
যেন তার সাথে বুঝি লেখকের
ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে--অথচ
সমালোচনা করতে হবে লেখকের
প্রতি সহমর্মিতা রেখেই। এটি ভুলে
গেলে চলবেনা যে সমালোচক--
তিনি নিজেও একজন লেখক, তার
নিজের লেখার ব্যাপারেও অন্যে
সমালোচনা করবে। আবার
সমালোচনা মানে তেল দেয়া নয়--
এটিও ভুলে গেলে চলবেনা মোটেও।
সাহিত্যের একটি আদর্শ আছে--যে
কোন লেখা কে তো সাহিত্য
হিসেবে চালিয়ে দেয়া যায়না।
সুতরাং সমালোচনার ক্ষেত্রে কোন
ছাড় দেয়া ঠিক হবে না। এবং
সমালোচক কে আন্তরিকভাবে গ্রহণ
করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে ।
একটি আদর্শ সাহিত্য-সমালোচন
া কেমন হতে পারে তা দেখিয়ে
গেছেন এরিস্টটল--এতবড় লোক যদি
সমালোচক হতে পারেন তবে আমরা
কেন সাহিত্য-সমালোচনাকে শিল্প
হিসেবে দেখবোনা ।
সাহিত্য-সমালোচনা আসলেই একটি
উৎকৃষ্ট শিল্প। যিনি সমালোচনা
করবেন তাঁকে তো সাহিত্য বুঝতে
হবে। তুলে আনতে হবে সাহিত্যের
হৃৎপিন্ড । অতঃপর এই হৃৎপিন্ডের
চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ-চারটিখানি
কথা নয়। সমালোচকের কাছে একজন
সাহিত্যিক এ কারনেই কৃতজ্ঞ
থাকবেন যে তিনি তার
সৃষ্টিশৈলীর চিকিৎসক।
সমালোচকের সমালোচনায় কান
দেয়া সাহিত্যিকের কাজ নয় ।
লেখক যদি মনে করেন তিনি সঠিক
পথে আছেন তবে তিনি কারো কথায়
মনোযোগ না দিয়ে নিজের সৃষ্টির
প্রতি মনোযোগি হওয়াই উচিৎ। আর
যদি তিনি সমালোচকের কোন কথা
সঙ্গত মনে করেন, তা রিসিভ করবেন-
অন্যথা অন্তত তাঁকে কটূচোখে
দেখবেন না--কেননা সাহিত্যে
সমালোচকের প্রয়োজনীয়তা
অনস্বীকার্য।
এই লেখার পরে, জানি না আমার
কপালে কি আছে? হয়তো দেখবো
পড়নের নেংটি ধরে টানছে কেউ,
কিন্তু যাই হোক, আমার কাছে যা
সত্য মনে হয়েছে তাই বলেছি।
ধন্যবাদ সবাইকে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখা ভালো লাগলো, কিন্তু লাইনগুলোর এই অবস্থা কেনো?

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৫০

প্রেতরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
গত দুইটি পোষ্ট এ একি অবস্থা।
সব সময় যেভাবে লিখি সেইভাবেই তো লিখছি।
বুঝতে পারছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.