নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সীমাহীন সমুদ্রে আমি পালবিহীন এক ছোট্র ভেলা

-----

princejohn

**প্রথম পরিচয় হিউম্যান** **দ্বিতীয় টি অবশ্যই বাঙালী**

princejohn › বিস্তারিত পোস্টঃ

"দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য বর্তমান সরকার ও গণজাগরণ মঞ্চই দায়ী"

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আমি দৃড় ভাবে বিশ্বাস করি যে, দেশে বর্তমান অবস্থা সৃষ্টির জন্য বর্তমান সরকার ও গণজাগরণ মঞ্চ কিছুটা দায়ী। বর্তামানে দেশে যে, পরিস্থিতি চলতেছে তার সূত্রপাত হয়, যখন গণজাগরণ মঞ্চ সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। সব কিন্তু ঠিকই ছিল, গণজাগরণ মঞ্চ একটা যুক্তিযুক্ত ও সঠিক দাবি তুলেছিল। এবং তারা তাদের দাবিতে বা আমরা আমাদের সেই দাবিতে কিন্তু সফলও হয়েছি। সমস্যা শুরু হয় তখনই, যখন গণজাগরণ মঞ্চ চেয়েছিল তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করতে। কিন্তু সরকার ভিবিন্নভাবে চাল খাটিয়ে তা বন্ধ করতে দেয়নি। বরংচ তা আরও দীর্ঘায়িত করেছে এবং গণজাগরণ মঞ্চ নতুন নতুন কর্মসূচি দিয়েছে। আমি নিসন্দেহে বলতে পারি, এতে জামায়াত ই ইসলাম ও অন্যান্য দলগুলো যারা যুদ্বাপোরাধীদের বিচার বানচাল করতে চেয়েছিল তারা অধিক চাপের মুখে পড়ে যায়। এতে তারা অধিক ক্ষীপ্র হয়ে উঠে এবং তাদের সমস্ত শক্তি একত্রিত করে এই অরাজকতার বিষ্ফোরণ ঘটায়। তারা প্রথমে বিভিন্ন চাল খাটায় গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ করতে যেমন: শাহবাগে যৌনকর্মী, বিষ্ফোরণ ঘটানো, নাস্তিক আখ্যায়িত, ব্লগ হামলা ইত্যাদি। তাদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তাই তারা উপায় না পেয়ে গণজাগরণ মঞ্চগুলোকে আক্রমণ করে। এতওে ব্যর্থ হয় তারা, অবশেষে এদেশের সরল সোজা মানুষের ধর্মকে পুজিঁ করে ব্লগারদের বিরুদ্বে অর্থ্যাৎ গনজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তাদের নাস্তিক ও ধর্মবিদ্বেষী বলে আখ্যায়িত করে। এবং এর প্রমাণ স্বরূপ ব্লগে কবে কে কোন আদিমযুগে ধর্ম বিরোধীতা করেছিল তা উথাপন করে। এখানে আমার কিছু কথা বলার আছে আর তা হচ্ছে,





১। আমরা সবাই জানি প্রত্যেক বস্তু সমান বিপরীত বল প্রয়োগ কর। চাপের মুখে পড়লে শুধুমাত্র বস্তুই যে সমান বল প্রয়োগ করে তা কিন্তু না ব্যাক্তিও করে । আপনি চাইলে চারিদিকে সমান বল প্রয়োগ করে এই পৃথিবীকে একটা টেনিস বলের ব্যাসে নিয়ে আসতে পারবেন। কিন্তু এমন একটা সময় আসবে যখন আপনি আর সমান তালে সর্ব স্থানে চাপ দিতে পারবেন না । আর তখন পৃথিবী একই পরিমান বিপরীত শক্তি প্রয়োগ করবে এবং পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে চাইবে আর তখনই বিষ্ফোরণ ঘটবে। এটাই হয়েছে গনজাগরন মঞ্চও জামায়াত শিবিরের সঙ্গেঁ।



২। একটা সংঘঠন যত দ্রুত গঠিত হবে ঠিক তত দ্রুতই ভেঙ্গেঁ পড়বে তার কারণ সবাই বুঝে। সুতরাং হেফাজতে ইসলামী খুব বেশিদিন ঠিকবে না। এইটা ১০০% নিশ্চিত।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

রুশন বলেছেন: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বরাবরে হেফাজতে সাঈদী পরিষদের ১১৯ দফা দাবী


১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল কুফুরী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করিয়া মক্তব-মাদ্রাসায় রূপান্তরিত করিতে হইবে এবং আগামী প্রজন্মকে ঈমানী শিক্ষায় শিক্ষিত করিয়া মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর স্বপ্ন পূরণে সকল প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে হইবে।

২. দেশের যে সকল হাসপাতালে অপেন হার্ট সার্জারী হয় সেগুলোর ডাক্তারদেরকে পরিবর্তন করিয়া শিবির কর্মীদেরকে স্থলাভিষিক্ত করিতে হইবে। গবেষণায় দেখা গেছে, রগ কাটার মেশিন দিয়ে শিবির কর্মীরা যথাযথভাবে অপেন হার্ট সার্জারীসহ সকল প্রকার সার্জারীতে পারঙ্গম। এমতাবস্থায় আমরা মনে করি, কাফের ডাক্তারদেরকে চাকুরীচ্যুত করিয়া সুন্নতি ডাক্তার নিয়োগ দিয়া সরকার তার ঈমাণের পরিচয় দিবে।

৩. যেসকল পাইলটরা মসজিদ মাদ্রাসার উপর দিয়ে এরোপ্লেন চালিয়ে যায় তাদেরকে চাকুরীচ্যুত করিয়া মাদ্রাসাশিক্ষায় শিক্ষিত পাইলটদেরকে শরিয়া মোতাবেক প্লেন চালানোর জন্য নিয়োগ দিতে হইবে এবং মহিলা এয়ার হোষ্টেসের পরিবর্তে গেলমান নিয়োগ করিতে হইবে।

৪.১৯৭১ সালে কয়েকটি মাত্র খুন আর ধর্ষণের জন্য সাঈদী সাহেবের মতো মর্দে মুজাহিদকে ফাঁসির দন্ডাদেশ দিয়া দেশের সকল তাওহিদানী এবং তাওহিদী জনতার অন্তরাত্মা ফুক্কা করিয়া দিয়াছে। আমরা মনে করি, সাঈদী সাহেবের এমন লঘু অপরাধের জন্য বড় জোর কোনো অষ্টাদশীর হাত দিয়ে ১৯টি পুষ্পাঘাতই যথেষ্ট ছিলো। অতএব অবিলম্বে ফাঁসির রায় প্রত্যাহারপূর্বক সকল দেশপ্রেমকি যুদ্ধাপরাধীদের বেকসুর খালাস দেওয়া হোক।

৫. বাংলা ব্লগ হইতেছে আবুলাহাবের আড্ডাখানা। এইসব ব্লগ বন্ধ করার পাশাপাশি সারা বাংলাদেশে ইন্টারেনেট সার্ভিস বন্ধ করিয়া ইহুদী নাসারাদের হাত হইতে মুসলমান মরদ ও আওরতদের রক্ষা করিতে হইবে।

৬.গণজাগরণ মঞ্চে মিছিলকারী মেয়ে লোকদেরকে অগ্নিকন্যা বলা যাইবে না। তাহাদেরকে দোজখের কন্যা বলিয়া প্রজ্ঞাপন জারী করা হোক।

৭. যেসকল টেলিভিশনে আওরতকুল সংবাদ পরিবেশন করে সেই সকল টেলিভিশনের লাইসেন্স বাতিল করিতে হইবে এবং মহিলাগণমাধ্যমকর্মী, মহিলা ডাক্তার, ম্যাজিষ্টে্টসহ ঘরের চার দেয়ালের বাহিরে যেসকল নারীরা কর্মক্ষেত্রে যাইবে তাহাদিগকে মুরতাদনী ঘোষণা করিতে হইবে।

৮. সক্রেটিস, প্লেটো, রবীন্দ্রনাথ, গ্যালিলিও, অ্যারিষ্টটল,নীটসে, রাসেল এইসব নাস্তিকদের রচনা বাদ দিয়া এদেশের জ্ঞানী হুজুরদের বয়ান পাঠক্রমে অর্ন্তভুক্ত করিতে হইবে। ফররুখ আহমদ, আল মাহমুদের রচনা বহাল রাখা যাইতে পারে এবং তাদেও রচনা হইতে যক্ষèা, নিউমোনিয়াসহ যাবতীয় রোগের হালাল ঔষধ বাজারজাত করিতে হইবে।

৯.আন্জুমানে বাইয়িতান নামের সংগঠন আমাদের লংমার্চকে অনৈসলামিক আখ্যায়িত করে নাস্তিক ট্যাগ দিয়াছে। আমরা নাকি মাও সেতুংকে অনুসরণ করে লংমার্চের ডাক দিয়াছে। এমন মন্তব্যকারীদের মুন্ডু দ্বিখন্ডিত করিবার জন্য গভর্ণমেন্টের তলোয়ারে ধার দেওয়া হোক।

১০. কসাই মোল্লা বা কাদের মোল্লাকে বঙ্গবীর উপাধী দিতে হইবে।
মানুষ হত্যার জন্য রাষ্ট্রের কোষাগার হইতে কোনপ্রকার গোলাবারুদ ব্যবহার না করিয়া রাম-দা দিয়া মানুষ জবাই করিয়া রাষ্ট্রের কৃচ্ছতা সাধন করিয়াছেন। এমন মিতব্যয়ীকে একুশের পদক বা রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান খুবই জরুরী বলিয়া আমরা মনে করিতেছি।

১১.বর্তমান সরকার দেশকে ডিজিটাল করিবার নামে আমাদেও ক সুন্দরী আওরতদেরকে (বেহেশতের নেয়ামত) পর্দার বাহিরে নিয়া আসিতেছে। এমতাবস্থায় আইন করিয়া দেশকে পুনরায় এনালগ করিতে হইবে।

১২. চুল এবং দাড়িতে লাগানোর জন্য কফি কালার ও কমলা কালারের হেয়ার ডাই বা কলপের দাম কমাইতে হইবে এবং মন্ত্রী এমপিদেরকে চুল দাড়ি লম্বা রাখিতে বাধ্য করিতে হইবে। মনে রাখিতে হইবে নাফরমান এমপিরা পরকালে ওয়ার্ডকমিশনারও হইতে পারিবে না। (চলিবে)





০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৬

princejohn বলেছেন: আপনি কোন দলে তা বুঝিতে বড়ই কষ্ট সাধ্য ব্যাপার, তবে আমার দেশ বাংলাদেশ এবং আমি আমার স্বাধীন দেশে আমার চুল কফি কালার করব না বা.... কমলা কালার করব সেটা আমার ব্যাপার।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৩

ক্ষুধিত পাষাণ বলেছেন: পোস্টের শিরোনামের সাথে একমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.