নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হলুদ পাঞ্জাবী

হলুদ পাঞ্জাবীর একটা অদ্ভুত ব্যাপার হল এই পাঞ্জাবী পরার পর নিজকে মহাপুরুষ মহাপুরুষ মনে হয়!!! ভালো কাজের নেশায় পেয়ে বসে। মানুষের আনন্দাশ্রু দেখতে তখন বড্ড ভালো লাগে, মানুষ হয়ে জন্মেছি অথচ মানুষের ঐ অশ্রু দেখবো না তাই কি হয়!!!!

আসাদুজ্জামান সোহাগ

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না; আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে, পৌঁছে অনেকক্ষণ বসে অপেক্ষা করবার অবসর আছে। জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা অন্য সবাই বহন করে করুক; আমি প্রয়োজন বোধ করি না...... আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে নক্ষত্রের নিচে।''

আসাদুজ্জামান সোহাগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়!!!

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:১২

পাঠক আগেই বলছি আমি রসায়নের কোন ক্লাশ নেব না। তবে লেখাটার শিরোনাম এরকম দিলাম কেন?? সেটা বোঝার দায়িত্ব পাঠক আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম। যাই হোক আমি আমার মূল লেখাটা শুরু করছি।



Ethics- এ শব্দটার সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। এটি ফিলোসফির একটা শাখা। সহজ ভাষায় একে ভূল ও শুদ্ধের পরিমাপক বলা যেতে পারে। আসলে ভুল বা শুদ্ধের চেয়েও একটু ব্যাপক। ইংরেজীতে বললে, A central aspect of ethics is 'the good life' the life worth living or life that is simply not satisfying, which is held by many philosophers to be more important than moral conduct একজন আত্মসচেতন লোক যেখানে তার সামর্থ্যের চূড়ান্তপর্যায়েও সহজস্বাভাবিক আচরণ করে সেখানে একজন অবিবেচক লোককে অনেক কষ্ট করতে হয় কিংবা পারেনা। বিখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিস এর মতে একজন লোক যদি তার আত্মজ্ঞানের দ্বার উন্মুক্ত করে তবে সে অবশ্যই তার চারপাশের সমস্ত ঘটনা, যা তার বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় তা বুঝতে পারে। তার মতে মানুষ সহজাতভাবেই যেটা সঠিক কিংবা ভাল মনে করে তা করে। প্রতিটি খারাপ কাজ অজ্ঞতারই ফল। একজন পাপী যদি সত্যিকার অর্থেই তার পাপ কাজের মানসিক এবং আধ্যাত্মিক ফল জানতো তবে সে কখনই সে কাজটি করতো না। এমনকি সে ঐ কাজটি করার কথা চিন্তাও করতো না। একজন মানুষ যে জানে সত্যিকার অর্থেই কোনাটা সঠিক তবে সে সহজাতভাবেই ঐ সঠিক কাজটি করবে।



সংক্ষেপে Ethics হল কোন কাজ করার বা না করার প্রক্রিয়া। কোন কাজটি আমাদের করা উচিৎ আর কোনটি অনুচিৎ তা নিরূপন প্রক্রিয়া বলা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি আমাদের সত্য কথা বলা উচিৎ। আবার অন্যভাবে বলতে পারি আমাদের মিথ্যা বলা উচিৎ নয়।



অন্যদিকে আইন (Law) হচ্ছে কতগুলো নিয়ম যা সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করে থাকে। সমাজে বিভিন্ন আংগিকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক আইন বিদ্যমান। একজন চোর চুরি করে ধরা পড়লেই কেবল আইনের আওতায় আসবে। কিন্তু সে যদি তার নৈতিকতার দ্বার কিংবা আত্মজ্ঞানের দ্বার উন্মুক্ত করে তবে সে কখন চুরি করতে পারবেনা। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, একটা লোক কখন চুরি করে???? যে কারনটি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য হবে তা হল পেটের দায়ে। আচ্ছা এর উত্তর আমি দেব। তার আগে যার বাসায় চুরি হল তার বাসা থেকে একটু ঘুরে আসি। চোর যে বাসায় চুরি করছে সে বাসায় চুরি করার মত অনেক কিছুই আছে। এ থাকাটা কি অনেকসময় অনৈতিক নয়??? আমার চারপাশে যখন লোক না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে সেখানে আমি বিলাসিতার স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছি। না পাঠক আমি সাম্যাবস্থার কথা বলছিনা। আমি নজরুলের মত সাম্যের গান গাইতে পারি। কিন্তু আক্ষরিক অর্থে সমাজে সাম্যাবস্থা সৃষ্টির দূরাভিসন্ধি করিনা। আমি একবেলা না খেয়ে অন্যকে খাওয়ানোর কথাও বলছিনা। আরেকটা উদাহরণ দিচ্ছি। একজন রিক্সাওয়ালা আপনার কাছে পাঁচ টাকা বেশী ভাড়া চাচ্ছে?? এই চাওয়াটাও অনৈতিক। আবার এই চাওয়ার ফলে আপনি যদি তাকে চড় মারেন কিংবা গালাগালি করেন সেটাও অনৈতিক।



আইনের বিচারক থাকেন একজন জজ।কিন্তু নৈতিকতা কিংবা অনৈতিকতার বিচারক আপনার নিজের বিবেক।আর নিজের বিবেকের চেয়ে বড় বিচারক আর কি হতে পারে??? যে আপনাকে আপনার গলায় বাঁধা কাঁটার মত স্মরণ করিয়ে দেবে আপনার অনৈতিকতার কথা। বুদ্ধিমান পাঠক আপনারা নিশ্চই এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন যেখানে Ethics কাজ করে সেখানে Law এর কোন প্রয়োজন হয়না। কারন সকল Law-ই Ethics.



পবিত্র কোরআনের সূরা বাকারাতে বলা আছে, “তোমরা কেউ কারও উপর অত্যাচার করনা, কেউ তোমাদের উপর অত্যাচার করবেনা।”- আমি কোরআন বিশারদ নই। তবুও এটুকু বুঝতে পারি আমি যদি কাউকে আঘাত করি তবে সে আঘাত আমার কাছে ফিরে আসবেই। আমি যদি কারও সাথে অনৈতিক কিছু করি তবে আমার সাথেও কেউ অনৈতিক কিছু করবে। আমার লেখাটি আমি শেষ করবো। তবে তার আগে আমি আমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা উল্লেখ না করে পারছিনা। আমার এক সহকর্মী নিয়মিত আমার কাছথেকে সিগারেট চেয়ে খেত। আমি তাকে কখনও সিগারেট কিনতে দেখিনি। প্রথমে কয়েকদিন আমি খুব আগ্রহ নিয়ে সিগারেট দিতাম। কিছুদিন পরে দেখলাম আমি যখন সিগারেট খেতে বের হই সেও তখন বের হয়। একদিন বিরক্ত হয়ে তাকে আমি বলি, “আমার সিগারেট শেষ হয়ে গেছে”। যদিও কথাটা মিথ্যা। সে তখন সিগারেট কিনে এনে খেল। আমি দেখে খুব শান্তি পেলাম। কিন্তু বাসায় ফেরার সময় আমি আমার সেই সিগারেটের প্যাকেটটা হাঁরিয়ে ফেলি। পাঠক আপনারা কি বুঝতে পারছেন আমি কি বলতে চাইছি??????

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৫৩

বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: [ একজন পাপী যদি সত্যিকার অর্থেই তার পাপ কাজের মানসিক এবং আধ্যাত্মিক ফল জানতো তবে সে কখনই সে কাজটি করতো না। এমনকি সে ঐ কাজটি করার কথা চিন্তাও করতো না। একজন মানুষ যে জানে সত্যিকার অর্থেই কোনাটা সঠিক তবে সে সহজাতভাবেই ঐ সঠিক কাজটি করবে।]

সবার এই কথা গুলো বুঝতে হবে।

স্বাগতম ভাইয়া ব্লগে। :) অনেক অনেক শুভেচ্ছা। 8-|

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৫৮

আসাদুজ্জামান সোহাগ বলেছেন: স্বাগতম জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৫৬

বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: মাঝে মাঝে আরও লেখা চাই :)

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:৩৫

ক্লান্ত মন বলেছেন: :) স্বাগতম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.