![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহান আল্লাহ এই পৃথিবীতে যত প্রাণী সৃষ্টি করেছেন তন্মধ্যে ৭০% কীট -পতঙ্গ। অসংখ্য পতঙ্গের মধ্যে একটি অন্যতম প্রাণী হচ্ছে মৌমাছি। মৌমাছি তাদের নিজস্ব কলোনিতে বাস করে এবং এরা মানুষের অসংখ্য রোগের প্রতিষেধক মধু সরবরাহ করে তাদের তৈরি মধু ছয়কোনাকৃতির মৌচাকে সংগ্রহ করে। কিন্ত কখনো আমরা দেখেছি তারা কেন এই মধু ছয়কোনাকৃতির মৌচাকে সংগ্রহ করে?
গনিতবিদরা এই প্রশ্নের সমাধান খঁুজে পেয়েছেন এবং বহু গণনার পর তারা খুব কৌতূহলজনক উপসংহার টেনেছেন। সবচেয়ে বেশি পরিমান ধারণ ক্ষমতার একটি জমা ঘর বানাতে গেলে সেটা ছয়কোনাকৃতির বানানোই সবচেয়ে উত্তম পন্থা, কারন বিভিন্ন জ্যামিতিক শেপের মধ্ডে ছয়কোনাকৃতি হলো সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকার এবং এর জন্যই ছয়কোনাকৃতি তৈরি করতে তিন কোনা বা চার কোনা থেকে কম মেট্রিয়াল লাগে। মৌমাছির আরেকটি গুণ হলো মৌচাক তৈরি। এদের এক একটি মৌচাকের সেল মাটি থেকে ১৩0 কোণের মাপে বসানো হয়। এভাবে মৌচাকের দুপাশই সমানভাবে তৈরি করা হয়। এই১৩0 কোণের পরিমাণ মধুকে মৌচাকের ভেতর থেকে পড়ে না যেতে সাহায্য করে। তারা এমন ভাবে তৈরি করে যেন সেখানে সূর্যের আলো পৌঁছাতে না পারে।
এখানে একটি মজাদার সত্য রয়েছে, মৌমাছিরা জন্মের পর এমনকি চোখ খোলার পর থেকেই এ শিল্প তৈরির ধারণা পায় এবং তারা এটি করতে পারে।
মানব হিতাকারে মৌমাছি: ফুলে ফুলে বিচরণ করে মৌমাছি ফুলের নেকটার সংগ্রহ করে তা নিজের মুখের লালার সাথে মিশিয়ে মধুতে পরিণত করে। যে মধুতে রয়েছে মানষের জন্য পুষ্টি উপাদান এবং অসংখ্য রোগের মহা ঔষধ। আদিকাল থেকে মানুষ রোগ প্রতিষেধক হিসেবে মধু ব্যবহার করে আসছে। হাদিসের বাণীও তাই বলে - " মধু মানবজাতির রোগ প্রতিষেধক "। অপরদিকে দেখা যায়, মৌমাছিরা মধু ও মোম উৎপাদন করে যতটুকু সাহায্য করে তার চেয়ে কয়েক গুন বেশি সাহায্য করে পরাগায়নে ও ফসল উৎপাদন বৃৃদ্ধি করে। "এই ক্ষুদ্র কীট সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করে যাচ্ছে মহা এক পরাক্রমশালী স্রষ্টার ইঙ্গিতে। (সুরা নহল - ৬৮)
©somewhere in net ltd.