![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে বিশ্বাস ঘাতক রাজা রায় বল্লভের স্কল কীর্তি নাশ করেছিল প্রমত্তা পদ্মায় । তাই তার নাম হয় কীর্তিনাশা পদ্মা। সেই পদ্মা আবারো ধারণ করেছে তার ভয়াবহ রূপ । গত ২-৩ বছরে দোহার নবাবগঞ্জের অনেকগুলো গ্রাম বিলীন হয়ে গিয়েছে পদ্মার গর্ভে । হারিয়ে গেছে ধূলাশরা , নয়াবাড়ি ইউনিয়ন, রানীপুর , মধুর চর । এখন হারাতে শুরু করেছে নারিশা অঞ্চলের কিছু অংশ । এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২-১ বছরে হয়তো বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে দোহার নামের উপজেলাটি ।
স্থানীয় অধিবাসীরা দাবি করেন , ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় বর্তমান ঢাকা -১ সংসদীয় আসনের মাননীয় এম পি এডভোকেট সালমা ইসলাম বলেছিলেন, পদ্মায় বাঁধ নির্মান হবে আমার একমাত্র কাজ । কিন্ত বছর ঘুরলেও পদ্মার বাঁধ নির্মান শুধুই কাগজ আর কল্মেই রয়ে গেছে ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা তাদের স্থাপনা সরাতে ছোটাছুটি করছে । কেউ ঘরবাড়ি , কেউবা গাছপালা ।
পদ্মায় বাঁধ নির্মানের দাবীতে দোহার –নবাবগঞ্জের অনলাইন এক্টিভিটিসদের নিয়ে গড়ে উঠে ‘দোহার-নবাবগঞ্জ সোশ্যাল মুভমেন্ট’ । তারা বিভিন্ন সময়ে শান্তি পূর্ণ মিছিল, আলোচনা সভা, মানববন্ধন করেন। এতে দূর্ঘটনায় কবলিত মানুষের পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি , সামাজিক –সাংস্কৃকিত সংগঠন , বিভিন্ন পেশাজীবিরা এগিয়ে আসেন । তাদের একটাই দাবী ছিল ‘ত্রাণ চাইনা – বাঁধ চাই / দোহারকে বাঁচাতে চাই’।
পদ্মার পানি এখন কমতে থাকলেও থেমে নেই পদ্মার ভাঙ্গন । তাই এলাকাবাসী মনে করে এখনই উপযুক্ত সময় পদ্মায় বাঁধ দেওয়া । নয়তো আগামী বছরে বাংলার মানচিত্রে দোহার থাকবে না ।
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১১
সনেট কবি বলেছেন: সংশ্লিষ্টদের শুভবোধের উদয় হোক।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
আছিফুর রহমান বলেছেন: রাজনৈতিক দল গুলো কখনোই পদ্মা পাড়ের এই মানুষগুলোর আহাজারি নিয়ে চিন্তা করে নি। পদ্মা পাড়ের এই অসহায় মানুষ গুলো ধীরে ধীরে উদ্বাস্তুতে পরিনত হচ্ছে।