![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাদক একটি মরণব্যাধীর নাম।যার শুরুটা হয় খুব ভাল দিয়ে আর শেষ যার কোন ব্যাখ্যাই নেই।আমরা নিজেকে আধুনিক ও অতি উজ্জ্বলভাবে সকলের কাছে পেশ করার জন্যই মাদক গ্রহণ করে থাকি।কিন্তু নিজেরাই জানিনা সমাজ বা রাষ্ট্রের কত বড় ক্ষতি করছি।মাদক সেবনের মাধ্যমে একদিকে যেরুপ অর্থের অপচয় করছি,অপরদিকে সমাজের পরিবেশ করছি দূষণ।যার ফলশ্রুতিতে সমাজে নেমে আসছে ঘোর অন্ধকার।অনাগত ভবিষ্যৎ হয়ে পড়ে হুমকির মুখে।
মাদকের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে আমাদের তরুন সমাজ।বিশেষ করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা বেশী আক্রান্ত হচ্ছে।বন্ধুদের কাছে স্মার্ট আর আধুনিকতার জন্যই জড়িয়ে পড়ছে তারা। আর এদেরকে ব্যবহার করে ফল ভোগ করছে সমাজের কিছু অসাধু ব্যক্তিবর্গ।আর ধ্বংস হচ্ছে আমাদের যুব সমাজ।
মাদকের প্রথম শুরু হয় সিগারেটের মাধ্যমে।এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে,মাদক গ্রহণকারীদের মধ্যে ৯৭.৫% সিগারেটের মাধ্যমে এই জগতে আসে।আর বাংলাদেশ সংবিধান অনুসারে প্রকাশে কোন প্রকার মাদক গ্রহণ,বেচা কেনা,পরিবহণ ও বিজ্ঞাপন দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ।কিন্তু দেশের সকল দোকানে বিশেষ করে গ্রামের দোকানগুলোতে বিশেষ আকর্ষণ করে সিগারেটের বিজ্ঞাপণ দেওয়া হয়।তাছাড়া যখন সিগারেট কোম্পানিগুলোর সিগারেট বিক্রি কমে যায়,তখন তারা বিশেষ উপহারের ব্যবস্থা করে থাকে।যাতে করে আরো বেশী পরিমাণ সিগারেট বিক্রি হয়।
খারাপ বন্ধুদের সাথে চলাফেরা করা,মাদক দ্রব্যের সহজলভ্যতা,আইন থাকলেও তা যথাযথ প্রয়োগের ব্যবস্থা না থাকা,রাজনৈতিক কারণ ছাড়াও বহুবিধ কারণ রয়েছে।সবচেয়ে আক্রান্তের শুরুটা হয় ১৬-২০ বছর বয়সে এসময়ে তারা স্বাধীনভাবে চলার সুযোগ পায়।ফলে নিজের গন্ডির বাহিরেও অনেকের সাথে মেশার সুযোগ হয়।আর এই চলাফেরার মাঝেই নিজেদের অজান্তেই মাদক ঢুকে পড়ে।যার শেষ পরিণতি হয় খুব ভয়াবহ।
প্রতি বছরই ২৬ শে জুন আমরা খুব ঘটা করে ‘মাদক’ বিরোধী আন্দোলন করে থাকি।এসময় মঞ্চে শুনা যায় হাজারো নীতিবাণ কথা।কিন্ত মঞ্চ থেকে নেমেই আমরা যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি।এদিকে আর কোন খেয়াল থাকে না।তাহলে কি লাভ হল ঐ মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখার। তাহলে কি আমাদের দায়িত্ব ঐ মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখাটাই কি শেষ।
শুধু সভা আর সেমিনারে বক্তব্য রাখলেই চলবেনা।আমাদের উচিত মাদক যেভাবে বন্ধ হয় তার ব্যবস্থা নেওয়া।আর একাজ শুরু করতে হবে নিজেদের পরিবার থেকে।আমাদের ছেলে-মেয়ে কিংবা ছোট ভাই-বোনদের প্রতি খেয়াল রাখা।তারা কোথায় যায়,কি করে,কাদের সাথে মিলামেশা করে তার প্রতি নজর রাখা।আবার এক্ষেত্রে আমাদের যেন বাড়াবাড়ি না হয়ে যায়। তাহলে হিতে বিপরীতও হতে পারে।আর যাদের মাঝে মাদক প্রবেশ করেছে,তাদের অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের সাথে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের বুঝানোর চেষ্টা করা।পাশাপাশি তারা যেন আর মাদক গ্রহণ না করে তার ব্যবস্থা করা।এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কাজ হল তাদেরকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া।তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হওয়া,তাদের সকল কথা গুলো মন দিয়ে শুনা ইত্যাদি।আর একাজে আমরা সফল হলেই সমাজ থেকে আমরা মাদক দ্রব্য দূর করতে পারব।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৫
সনেট কবি বলেছেন: কিছুটা পড়লাম।