![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সূর্য যেটুকু ভালবেসে--- ঘাসের ওষ্ঠ হতে তপ্ত আবেগে শুষে নেয়, এক ফোঁটা শিশির বিন্দু, তারও থেকে বেশী ভালবেসেছিলাম আমি তাকে। প্রতিমা ভক্ত পূজারীর মত অন্ধ বিশ্বাস ছিলো আমার তার ভালবাসার প্রতি, রাত শেষে ভোর হওয়া মোমের আলোর সাথে গলে গলে পড়েছে সে বিশ্বাস, অন্ধ আমি অন্ধই রয়ে গেছি।
অবশেষে আবুল চাকুরী পেয়েছে।আবুল বহুদিন ধরে চাকুরি খুঁজছিলো, পাচ্ছিলো না। আবুল বোকা সোকা সরল মানুষ, রেজাল্টও তেমন ভালো না, তার পক্ষে এই চাকরিটা কল্পনাতীত ছিলো, সে নিজেও জানে এই চাকুরীর যোগ্য সে না। তারপর ও আবুল চাকুরী পেয়েছে,তাও আবার সরকারি চাকুরী। আবুলের ক্লাসের যে ফাস্টবয় ছিলো জলিল,জলিলের সব ফাস্ট ক্লাসছিলো সেও এই চাকরিতে আবেদন করেছিলো, কিন্ত জলিল চাকুরীটা পায়নি। পাবে কি করে জলিলের দাদাতো আর মুক্তিযোদ্ধা না। মুক্তিযোদ্ধার নাতি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অবশেষে আবুলের ভাগ্য খুলেছে।
৫০ বছর পর:
আবুল মারা গিয়েছে। তার কর্মফলের হিসেব হচ্ছে। আবুল তার কর্মফল নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয়। আবুল সারা জীবন সহজ সরল জীবন যাপন করেছে, কারো কোন ক্ষতি করেনি। নামাজ রোজা সবই পালন করেছে।আবুলের ধারনা সে খুব সহজেই বেহেস্তের দরজায় কড়া নাড়তে পারবে।
আবুলের হাতে তার আমলনামা দেয়া হয়েছে। সে তার আমলনামায় চোখ বুলাচ্ছে। হঠাৎ আবুলের চোখ পড়লো বাম পাশের কুকর্মের তালিকায়।
সেখানে লেখা আছেঃ
মুক্তিযু্দ্ধে অন্যায় ভাবে বিধবা হিন্দু বৃদ্ধার বাড়ি দখল ও সংখ্যালঘু উচ্ছেদ।
আবুল দৌড়ে গেলো সৃষ্টিকর্তার কাছে। তিনি নিশ্চই কোন ভুল করেছেন।হয়ত অন্যকারো আমলনামা ভুল করে তার হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময়তো আবুলের জন্মই হ্য়নি।
আবুলকে দেখে সৃষ্টিকর্তা এগিয়ে এলেন। আবুল সৃষ্টিকর্তাকে জানালো যে, তার আমলনামায় ভুল আছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় সে কোন অপকর্ম করেনি তাই যে অপকর্ম সে করেনি তার শাস্তি তার হতে পারে না। আর তাছাড়া তখনতো আবুলের জন্মই হয়নি।
সৃষ্টিকর্তা হা হা করে হেসে আবুলকে বল্লেনঃ তুমি পৃথিবীতে কি করতে?
আবুলঃ একটা সরকারী চাকুরী করতাম।
সৃষ্টিকর্তাঃ কি ভাবে চাকুরী পেয়েছিলে? তোমারতো রেজাল্ট তেমন ভালো ছিলো না!!
আবুলঃ আমি মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় চাকুরী পেয়েছিলাম।
সৃষ্টিকর্তাঃ মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় তুমি কি করে চাকুরী পেলে? তুমি তো তখন জন্মাও নি?
আবুলঃ আমার দাদা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তাই আমি মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় চাকুরী পেয়েছিলাম।
সৃষ্টিকর্তা হাসতে হাসতে বল্লেনঃ উত্তারাধিকার সূত্রে শুধু সুবিধাই ভোগ করবে , শাস্তি ভোগ করবে না তা কি হয়!!! উত্তরাধিকারের এই সুত্রতো তোমাদের থেকেই আমি শিখেছি।
(গল্পটি কাল্পনিক, কেউ বাস্তবের সাথে মেলাবার চেস্টা করবেন না)
ছবি সৌজন্যঃ ছবিটি আমার তোলা।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
প্রিয়তমেষূ বলেছেন: বাহ্ প্রথম কমেন্টটাই তোমার!!! ভালো লাগলো।
ভুলিনি। আবার ব্লগে ফিরবো ফিরবো ভাবছিলাম। কাল থেকে মাথায় গল্পোটা ঘুরছিলো তাই ফেরা হলো।
ফটোব্লগ নিয়ে আসবো শীঘ্রই আশা করি ইনশাল্লাহ।
ভুলি নি। কেমন আছো?
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আছি ভালোই। লেখাটা ভালো হইছে। কনসেপ্ট পছন্দ হইছে।
খুব দ্রুত যোগাযোগ হবে, একটা ফটো স্টোরি নিয়ে কাজ করব। নিড পরামর্শ
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
প্রিয়তমেষূ বলেছেন: মোস্ট ওয়েলকাম ডিয়ার। আমার পরামর্শ শুনতেই নিজেকে ....হা হা হা
কিপ ইন টাচ।
ভালো থেকো।
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৯
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দারুণ গল্প। কারো অনুভূতিতে লাগলে কিচ্ছু বলার নাই।
এ ব্যাপারে অনেকের কিবোর্ড চললেও প্রকাশ করার সাহসিকতা অনেকের নেই। তাই আপনাকে ধন্যবাদ।
অনেকদিন পর দেখে ভালো লাগলো।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫
প্রিয়তমেষূ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনেকদিন পর ব্লগে এসে পুরনো আপনাদের পেয়ে আমারো ভালো লাগলো।
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৭
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
সৃষ্টিকর্তার রসিকতা দারুণ লাগল।
চমৎকার রসগল্প।+++
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬
প্রিয়তমেষূ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
এহসান সাবির বলেছেন: প্রোফাইলে ছবি চাই।
৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর +
৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: গল্প ভালো লাগছে।এই কোটা এখন কতটা খারাপ প্রভাব ফেলতেছে আমাদের চাকুরীর বাজারে!!!
৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২০
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বাহ, দারুণ লাগল গল্পটি। আছেন কেমন? বহুদিন আপনার সাথে দেখা নাই... আর এর মধ্যেতো আপনি সেলিব্রেটি হয়ে গেলেন !
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বেশ বেশ! ঈশ্বরের রসিকতা পছন্দ হইছে।
বহু দিন পর তোমারে দেখলাম! আমি ভাবলাম এই রে ও বুঝি ভুলেই গেছে।!!!
তোমার কাছ থেকে একটা ফটোব্লগ আশা করি।