![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
--- : শর্ত প্রযোজ্য : ---
খুব বেশী ছোটবেলার কথা না। এখনও মনে পড়ে যেদিন প্রথম চা-এর সাথে পিপড়া খেয়ে ফেলি সেদিন কি কান্না কেঁদেছিলাম, এই ভয়ে যদি পিপড়েটা আমার পেটের ভিতর চলাফেরা করে আর কুটুস কুটুস করে কামড় দেয়। জগৎজয়ী সে এমন কান্না একই ফ্লাটের উপর নীচ মিলিয়ে ৪ ফ্লাটের বাসিন্দাকে এক করেছিলাম।
সত্যিই হোক আর কান্না থামানোর জন্যই হোক, সবাই একই সুরে কি সুন্দর গড়গড় করে বলেছিল “বাবা ! একটা দুটো পিপড়ে খেলে তেমন কিছু হয়না, বরঞ্চ পিপড়ে না খেলে তুমি সাতাঁর কাটা শিখতে পারবেনা !” স্বান্তনা বা আশ্বস্ত এ শব্দগুলো তখনও অন্তস্থ হয়নি তব্ওু কি বুঝে সেদিন কান্না থামিয়েছিলাম।
পিলে চমকে দেয়ার মত খবর ! যখন বাবা অফিস থেকে ফিরেই তিনি শুনলেন, সেদিন আমি গুণে গুণে ২০টা জ্যান্ত পিপড়ে খেয়েছি, শুধু সাতার কাটা শেখার জন্য। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল বাবার, মা তাকে সাহস দিয়েছিলেন “বাবা ! কেন তুমি এ কাজ করতে গিয়েছ? এভাবে পিপড়ে খেলে কি সাতার শেখা যাবে, হঠাৎ দু-একটা পিপড়ে খেতে হবে আবার জলেও হাত পা ছাড়তে হবে, তবেই না সাতার কাটতে পারবে !” বাবার এমন সরল উক্তি আমাকে ভাবনায় ফেলালেও পরে মা-কেই ভোগান্তিতে ফেলেছিলাম। চা-এর নেশা ছিল, তাই যতবারই চা খেতাম মা-এর কাছে ততবারই আবদার, আমার অজান্তে চা-এ দু-একটি পিপড়ে ছেড়ে দিতে হবে, আর আমি সেটা চা-পান এর সাতে খেয়ে ফেলব।
আজ বড় হয়েছি, বাবা মা দুজনেরই বয়স হয়েছে, আজও চায়ের পেয়ালা হাতে বাবা-মা-এর সাথে কিছু একান্ত সময়ের কথাবার্তায় উঠে আসে সে ছোটবেলার পিপড়ে খাওয়ার স্মৃতিকথা। হঠাৎ করেই মুহূর্তের মধ্যে ছুটে যাই মা-এর আচল ধরে কাদার বয়সে গোমড়া মুখে বাবার কাছে আবদারের বয়সে, ছোট ভাইয়ের কাছে মার খেয়ে হেরে যাওয়া এই ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদার বয়সে, বড়ই রোমাঞ্চকর সে মুহুর্তগুলো।
আজ মা-এর মনটা বেশ ভারাক্রান্ত, উদ্বেগ, উৎকন্ঠা তাকে ভর করেছে, তার চেহারাই বলে দিচ্ছে কারণ আজ তাকে ছেড়ে আমাকে একলা একটি ট্যুরে যেতে হবে, মাঝপথে নদী পার হতে হবে। মা একলা ছাড়তে ভয় পাচ্ছেন, বারবার বাবা আর একবার আমার মুখপানে তাকাচ্ছেন,
“শোন, প্রচেত্যর মা ! বুঝলে ছোট বয়সে ওর পিপড়ে খাওয়ানো কম হয়ে গিয়েছে, ওই যা একটু খেয়েছে, আমরা যদি একটু বেশী করে খাইয়ে দিতাম তাহলে আজ তোমাকে এত ভয় পেতে হতনা ! যাই হোক সাথে ওকে একটা পাত্রে কিছু পিপড়ে দিয়ে দাও, যেতে যেতে খেয়ে নেবে, দেখ! যদি এতেও কিছু কাজ হয়! এতদিন যা পারেনি এখন পারবে তো?”
মা-এর সমস্ত উৎকন্ঠা আর বন্ধু বাবার ঠাট্টার একটাই কারণ “আজও আমি সাঁতার কাটতে পারিনা, শিখতে পারিনি, পানিকে খুব ভয় পেতাম, পানিতে কখনও নামেনি, তাই শেখাটাও আর হয়ে উঠেনি”
পিপড়ে খেলেও আমার আর সাতার শেখা হয়নি, আর কবে হবে তাও জানিনা, হবে কিনা তাই সন্দেহ !
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:১৬
মনের কথা বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ প্রচেত্য ভাই মায়ের কথা বাবার কথা মনে পড়ে গেল তাই ৫। মজার কথা হলো ৫-৬ দিন আগে একজনের সাথে বাজী ধরে পিঁপড়া খেয়ে ২ টা সিগারেট জিতেছি।
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:২১
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: জীবনে কিছু স্মৃতি থাকে যা কখনো ভুলা যায় না।
ছোট শিশু বড় হওয়ার সাথে সাথে তার অনেক কিছু বদলে যায়।
৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:২৩
অনুমান বলেছেন: সাঁতারে আমার ২০০ এর মত প্রাইজ আছে। (রাজাদার সাঁতার কাহিনী) সাঁতার শেখার জন্য আমিও পিঁপড়ে খেতাম। ভাল লাগলো।
৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:২৪
প্রচেত্য বলেছেন: ভাই আমি কখনো নিজেকে উচু মার্কের পোষ্টদাতা মনে করিনি, তাই খুব সাধারণ একটি বিষয়কে স্মৃতিচারণ করেছি মাত্র, সবার ভাল লাগবে এই ভাবাটা অযৌক্তিক এবং সে বিবেচনায় কখনো লিখিনা, কারণ বিশ্বাস করি কোন লেখারই সমালোচনা, আলোচনা হতে পারে, আপনার মন্তব্য তারই কোন অংশ।
ধন্যবাদ আপনাকে এবং অনুরোধ আমাকে উচু মার্কের তালিকায় স্থান দিয়ে জেনেশুনে ভূল করবেন না !
@আলেকজান্ডার
৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:২৭
মনের কথা বলেছেন: "সত্য সেলুকাস কি বিচিত্র এই আলেকজান্ডার"। ভাই ওর কথায় মাইন্ড খাইয়েন না। ওরে সুন্দর কইর্যা এভয়েড করেন।
৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:২৯
শাওন বলেছেন: আর বলেন না । আমি নিজেও ছোটবেলায় দুধ দিয়ে ভাত খাওয়ার সময় পিপড়া খেয়েছি । পিপড়া খেলে সাতার শেকাহ যায় । কি মহানন্দ !!! আর যাবি কই , যতগুলা ছিলো সব খেয়েছিলাম
তবে সাতারও শিখেছি
৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৩৪
সালাহউদ্দীন মুহম্মদ সুমন বলেছেন: আমিও ছোটবেলায় শুনেছিলাম। এই পিঁপড়ে খাওয়া নিয়ে ছোটবেলার একটা মজার দুঃখজনক স্মৃতি আছে। আপনার পোস্টটি পড়ে সেটি আবারো মরন পড়লো।
৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৪৫
বকলম বলেছেন: হা হা হা। আহা পিঁপড়া গুলোর জন্য মায়া হচ্ছে।
১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৪৭
এই আমি মীরা বলেছেন: আমিও সাঁতার জানিনা... তবে পিপড়েও খাইনি কোনদিন। তবে বোঝা যাচ্ছে এই থ্যারাপি কাজ করে না... বাঁচালেন!
১১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৫৬
মুক্তপাখী বলেছেন: আমি আরেকটু অ্যাড করতে পারি...আমি ছোটবেলায় শুনেছিলাম পোকাধরা আম খেলে সাতার শিখা যায়...কত পোকাধরা আম যে খাইছিলাম....হাহাহা....
১২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৪৪
নিপা বলেছেন: পিঁপড়ে খাওয়া নিয়ে ছোটবেলার অনেক স্মুতির কথা মনে পড়ে গেলো।
১৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৪৯
কালপুরুষ বলেছেন: যে সাঁতার জানেনা তাকে বেশ কিছু পিপড়াঁ খাইয়ে মাঝ নদীতে ছেড়ে দিতে হয়। তারপর কুলে বসে তার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। সাঁতার শিখে সে নিশ্চয়ই নদীর পাড়ে এসে উঠবে। অগত্যা দেখা গেল তার লাশ ভেসে উঠলো। পিপড়াঁগুলো সাঁতরে নিরাপদে বাড়ী ফিরে গেল। এতো বড় মানুষের শরীর তারা ভাসিয়ে রাখতে অক্ষম।
১৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৫৩
কালপুরুষ বলেছেন: সাঁতার শেখার জন্য খাদ্য পিপড়াঁর আবার প্রকারভেদ আছে। লাল পিপড়াঁ বা ডাউয়া পিপড়াঁ হলে চলবে না। কালো পিপড়াঁ হতে হবে। ওরা বেশ হালকা পাতলা হয়। ভেসে থাকার জন্য উপযুক্ত।
১৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:০১
আমি বলেছেন: চমৎকার লেখা। ছোটবেলার স্মৃতিগুলো মজার হয়। ৫ দিলাম
১৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৫১
প্রচেত্য বলেছেন: আসলে এরকম বহু বিষয় আছে ছোটবেলার কিছু না কিছু মজার স্মৃতি থাকে, প্রত্যেককে ধন্যবাদ, স্মৃতির ঘটে যাওয়া ঘটনা শেয়ার করার জন্য।
১৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:১৫
মদন বলেছেন: চমতকার স্মৃতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
১৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১২:৫৯
মৈথুনানন্দ বলেছেন: পিমড়ে খাইনি...এইট্রিয়মে ( দ্য পার্ক ) এক বার escamoles খেয়েছিলাম...মন্দ লাগেনি।
১৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৩৬
প্রচেত্য বলেছেন: কালপুরুষের দেখি "পিপড়ে খাও ও সাতার শেখ" বিষয়ক বিশ্লেষণধর্মী লেখা দিতে পরেন, অনুরোধ রইল @কালপুরুষ
ধন্যবাদ মদন ও মৈথুননন্দ
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:১১
আলেকজান্ডার ডেনড্রাইট বলেছেন: ভাই আপনার মত উচ্চ মার্গের লেখকের কাছে এমন ফালতু পোস্ট আশা করিনা।