নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রফেসর আলতাফ সরকার

প্রফেসর আলতাফ হোসেন সরকার, একজন শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষক, ব্যাকপেইন বিশেষজ্ঞ, সমাজকর্মী, স্বাস্থ বিষয়ক কলাম লেখক, বাংলাদেশ ফিজিেথেরাপি এসোসিয়েশন এর প্রতিষ্ঠাতা উপদ্রেষ্টা, বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি প্রতিষ্ঠাতার প্রধান সম্পাদক, ব্যাকপেইন চিকিৎসায় উন্মোচন করেছেন এক নতুন দিগন্ত, সরবপরি আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা।

প্রফেসর আলতাফ সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোমর ব্যথায় ফিজিওথেরাপি

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

ব্যথা নেই বা জীবনে একবার কোমর ব্যথা হয় নাই এমন লোক খুঁজে পাওয়া যায় না। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, সারাবিশ্বের দশ ভাগ প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের মধ্যে আট ভাগ লোক জীবনের কোন না কোন সময় কোমর ব্যথায় ভুগে থাকেন। শিরদাঁড়া এমনভাবে তৈরী যাহা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্ব পূর্ণ। শিক্ষায় যেমন জাতির মেরুদন্ড ঠিক তেমনই আমাদের দেহের সুস্থতার জন্য সুস্থ্য শিরদাঁড়া অতি প্রয়োজন। শিরদাঁড়া ছাড়া আমরা দাড়াতে পারবোনা। শিরদাঁড়ার মধ্যে গুরুত্ব পূর্ন স্পাইনাল কর্ড এবং নার্ভ থাকে। শিরদাঁড়া অনেক গুরুত্ব বহন করে যেমন আমাদের শরীরের ওজন বহন করে এবং দৈনন্দিন কাজ করতে সাহায্য করে।

অধিকাংশ মাজার ব্যথার কারণ অসঠিক ভঙ্গির জন্য মাস্লের অসুস্থ্যতা। শিরদাঁড়ার গঠন অনুযায়ী প্রথমে মাস্লই বেশী ইনজুরী হয়। অসঠিক ভঙ্গির জন্য ব্যকপেইন হওয়ার প্রধান কারন বেশী সময় বসে বসে কাজ করা, বসে এবং সামনে ঝুকে কাজ করা ও বসে-সামনে ঝুঁকে ডান বা বাম দিক থেকে কোন কিছু নেওয়া কিংবা হটাৎ করে নীচু হয়ে ভারী বস্তু উঠানো। এছাড়াও ডিক্স এর অসুস্থতা, শিরদাঁড়ার টিউমার, ইনফেকশন এবং হাড়ভাংগার জন্যও মাজার ব্যথা হতে পারে। তবে এই কারন সমুহের জন্য যে ব্যথা হয়- সে রকম রুগীর সংখ্যা খুবই কম । মাজার ব্যথা সাধারনত শুধু মাজায় থাকে আবার কখনো কখনো ব্যথা মাজা থেকে হাঁটু বা পায়ের দিকে যায়। কোন কোন রুগীর বসে থাকলে বেশী ব্যথা হয় আবার কখনো কখনো হাঁটলে বেশী হয় এবং কখনো কখনো হাটলে কমেও যায়। মাজার ব্যথার রুগীদের অপারেশনের দরকার হয় খুব কম।
ফিজিওথেরাপি শুরুর পূর্বেই রুগীকে সঠিকভাবে শারীরিক এ্যাসেসমেন্ট এবং ল্যাবরেটরী পরীা করা দরকার। ফিজিওথেরাপি এ্যাসেসমেন্ট অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই এ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে আমরা বের করতে পারব রুগী কোন অসুবিধায় ভুগছে। কারন সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা একমাত্র সঠিক এ্যাসেসমেন্ট এবং অন্যান্য পরীার উপরই অধিকাংস সময় নির্ভর করে। সঠিক শারীরিক পরীাই বের করে দেয় রোগীর কি কি অসুবিধা আছে বা কোন মাস্ল, লিগামেন্ট, ডিক্স বা কোন কোন স্ট্রাকচারে অসুবিধা। আমার চৌত্রিশ বৎসরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি সঠিক সমস্যা নির্ণয়ের মাধ্যমেই, প্রকৃত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা করা দরকার।
চিকিৎসার প্রয়োজনে রোগীর সমস্যাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন- অল্পদিনের অসুস্থতা এবং বেশী দিনের অসুস্থতা। আর ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার জন্য আমি সম্পুর্ণ শীরদাঁরাকে কয়েক ভাগে ভাগ করি। ১ম ভাগে স্পাইনাল কলাম (ভারটিব্রা এবং ডিস্ক), ২য় ভাগে নিউরাল ইলিমেন্ট (স্পাইনাল কর্ড- ও নার্ভ রূট), ৩য় ভাগে সাপটিং ট্রাকচার (লিগামেন্ট ও মাংস)। আমার ফিজিও এসেসমেন্ট বা পরীক্ষা বের করবে আপনার কোন টিস্যুতে অসুবিধা। অল্পদিনের অসুস্থ্যতা বা কস্টের জন্যে অল্প বিশ্রাম, প্রাথমিকভাবে ব্যথা নাশক ঔষধ, মাংসপেশী শিথিল করার জন্য মাস্ল রিলাকজেন্ট এবং এর সঙ্গে ভিটামিন সিডেটিভ ও ক্যালসিয়াম জাতীয় ঔষধ খাওয়া যেতে পারে। বিশ্রাম এবং ঔষুধের সাথে সাথে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা অত্যাবশ্যক। অনেকেই বলে থাকেন ব্যথা থাকা অবস্থায় ব্যায়াম করবেন না। কিন্তুু আমি বলবো, সঠিক ব্যায়াম ব্যথানাশক হিসাবে কাজ করে। শুধু সঠিক ব্যায়ামই খুব দ্রুত মাজার ব্যথা কমাতে তাৎনিক ভাবে সাহায্য করে এবং তা প্রমানিত।
বেশী দিনের মাজা ব্যথার জন্য চিকিৎসা ভিন্নতর। এ অবস্থায় বিশ্রাম নেয়ার প্রয়োজনই হয় না। অনেক রোগীর েেত্র দেখা গেছে বিশ্রাম অন্য অসুস্থ্যতা বাড়ায়। যাদের অনেক দিনের মাজা ব্যথা, তাদের েেত্র ভিন্নতর এ্যাসেসমেন্ট বা পরীা-নিরীা করা প্রয়োজন। যে সমস্ত মাজার বা শিরদাঁড়ার ব্যথা মাস্লের অসুস্থ্যতা বা ইমব্যালেন্স এর জন্য হয় সে সমস্ত মাজার ব্যথা রুগীর জন্য ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার কোন বিকল্প নাই। ব্যথা মুক্ত হবার সাথে সাথে মাংসের শক্তি বাড়ানোর ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা করতে হবে। এই চিকিৎসার উপকারিতা অনেক। অর্থ্যাৎ আপনার মাংসের ইমব্যালান্স থাকবে না। ব্যায়াম করার সময় সঠিক মাংসের ব্যায়াম করতে হবে। অর্থ্যাৎ যে যে মাংস পেশী অসুস্থ-ঠিক সেই মাংস পেশীর অরিজিন-ইনসারশন অনুযায়ী কাইনিসিওলজি বেজ্ড ব্যায়াম করতে হবে। যেমন রুগীর যদি ইরেক্টো স্পাইনী মাংসের অসুবিধা হয় তা হলে ঐ মাংসের জন্য সঠিক ব্যয়াম করতে হবে। এই ব্যয়াম শুরু করার পূর্বেই জানতে হবে ঐ গ্রুপের মাংসের অরিজিন ও ইনসারশন। এর সাথে সাথে বায়োমেকানীক্স সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকতে হবেই। উপুর হয়ে শুয়ে ব্যয়াম শুরু করার পর ভিন্ন ভিন্ন ধাপে ধাপে সঠিক ভাবে অগ্রসর হতে হবে। এই চিকিৎসার সাথে লো-লেভেল লেজার থেরাপি আরও কার্যকর। লেজার থেরাপি সঠিক ক্ষত জায়গায় ব্যবহার করতে হবে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের দ্রুত প্রসারের সাথে সাথে ব্যাকপেইন এর জন্য ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা সঠিক জায়গায় স্থান করে নিয়েছে তার নিজস্ব প্রযুক্তি ও আঙ্গিকে। কোমর ব্যথার সঠিক চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতন হন। আমার সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা আপনাকে ব্যথা মুক্ত করবে এবং কোমর ব্যথা প্রতিরোধ করবে। সঠিক ব্যায়াম নিয়মিত করুন। ব্যথা মানেই সব সময় অপারেশন নয়। কোমর ব্যাথার চিকিৎসার জন্য অবশ্যই অভিজ্ঞ ব্যাকপেইন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট এর নিকট থেকে চিকিৎসা নিবেন। কোমর ব্যথার কষ্ঠ থেকে মুক্ত থাকুন।

প্রফেসর আলতাফ হোসেন সরকার
বিএসপিটি. এসআরপি. এমএস ফিজিও.পি এইচডি
ম্যাকানজি-স্পাইন
মোবালাইজেশন-স্পাইন
বাওয়ান-স্পাইন
এ্যাপলাইড জেনারেল মেডিসিন
আর্থোপেডিক মেডিসিন সিরিয়াক্স
ব্যাক পেইন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিষ্ট

লেজার ফিজিওথেরাপি সেন্টার৪৪/৮, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা। ফোন: ০২-৯১৩৯০৫১.০১৭৬৫৬৬৮৮৪৬

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.