![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রফেসর আলতাফ হোসেন সরকার, একজন শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষক, ব্যাকপেইন বিশেষজ্ঞ, সমাজকর্মী, স্বাস্থ বিষয়ক কলাম লেখক, বাংলাদেশ ফিজিেথেরাপি এসোসিয়েশন এর প্রতিষ্ঠাতা উপদ্রেষ্টা, বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি প্রতিষ্ঠাতার প্রধান সম্পাদক, ব্যাকপেইন চিকিৎসায় উন্মোচন করেছেন এক নতুন দিগন্ত, সরবপরি আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা।
জীবন চলতে চলতে আমরা এক সময় বার্ধক্য নিয়ে কষ্ট পাই আর সেই বার্ধক্যের সঙ্গে যদি যুক্ত হয় ব্যথা বা এমন সমস্যা যা জীবন চলতে বা হাঁটা বন্ধ করে দিতে চায়। কষ্ট যাই হোক না কেন আজকের এই আধুনিক যুগে ফিজিওথেরাপি বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে আমরা অনেক সমাধানও পেয়েছি। সুপ্রিয় পাঠক, আজকের আমার এই ছোট লেখার মধ্যে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করব কোন অসুস্থতাই যেন আমাদের মবিলিটি বন্ধ করে দিতে না পারে।
জনাব সাইফুল ইসলাম সিকদার। বয়স ৫৯ বছর। তার কোমরের ডান পাশে অনেক ব্যথা। ২-৩ মিনিট হাঁটলেই মাজার ডান পাশ থেকে ডান পা পর্যন্ত ব্যথা হয়। পা ভারী হয়ে যায় এবং পা ঝিমঝিম করে। বসে কয়েক মিনিট থাকলে কষ্ট চলে যায় এবং আগের মত হাঁটা যায়। কিন্তু গত কয়েক বছর ডায়াবেটিক রোগে ভোগার কারণে নিয়মিত তাকে হাঁটতে হবে।
তার এমআরআই রিপোর্টে দেখা গেছে এল৪-৫ লেভেলে স্পাইনাল ক্যানাল স্টেনোসিস অর্থাৎ ঐ কেনেলের মধ্যে যে ফাঁকা থাকে ঐ ফাঁকা অসুস্থতার কারণে সরু হয়ে গেছে। এক্স-রে রিপোর্ট-এ দেখা গেছে- মাসেল ইমব্যালেন্স, ফ্ল্যাট বেক। ব্লাড রিপোর্ট-এ দেখা গেছে-ডায়বেডিকস বেড়ে গেছে।
ফিজিক্যাল পরীক্ষা করে দেখা গেল- যে মাংস পেশী হিপ জয়েন্ট কে ৯০ ডিগী থেকে ফ্লেকশন বা বাঁকা করে তার নাম সোয়াস মাসেল। এই সোয়াস মাসেলেও ইঞ্জুরী আছে। পা সোজা করে উঠাতেও কষ্ট। কোমরে পেছন দিকে এল৪-৫ এস১ পর্যন্ত চাপ দিলে ব্যথা পায় বা টেন্টার। স্পাইনের দুইপাশের মাংস দূর্বল এবং টেন্ডার।
এই রোগীর জন্য চিকিৎসা পরিকল্পনা হলো- তার কেনেল যে অংশ চেপে গেছে তা যেন ফাঁকা হয় এবং বেশি সময় হাঁটতে পারে। তার এমআরআই ও ফিজিক্যাল ইক্সেমিনেশন অনুযায়ী যে কষ্ট আছে সে অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা হবে। যেমন- ইঞ্জুরী বা অসুস্থ মাংসের জন্যে সফ্ট টিস্যু মোবালাইজেশন, অবশ্যই লো-লেভেল লেজার থেরাপি, সঠিকভাবে তৈরী ওয়াক্সপ্যাক থেরাপি, চিৎ হয়ে শুয়া অবস্থায় এল৪-৫ লেভেলে ফ্লেকশন এক্সারসাইজ এবং তার সাথে বিভিন্ন পোশ্চারে বা ভঙ্গিতে স্ট্রেসিং ও স্ট্রেন্দেনিং এক্সারসাইজ করতে হবে। নিয়মিত হাঁটা চলাকালীন অবস্থায় তার হাঁটার সময় বাড়াতে হবে। যেমন- গতকাল ৩ মিনিট হাঁটার পর কষ্ট শুরু হয়েছে, আগামী কাল যেন ৪-৫ মিনিট হাঁটতে পারে সেভাবে চিকিৎসা করতে হবে। আশা করি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিনি ভাল বোধ করবেন।
তার খাবার তালিকা অনুযায়ী খাবার খেতে হবে। যাতে তার ডায়বেটিকস বেড়ে না যায়। আবার সুগার লেভেল কমে যেন হাইপো না হয়।
এই রোগীর মবিলিটি বা চলাফেরা করা বন্ধ হলে বা কমে গেলে অনেক কষ্ট বেড়ে যাবে। যেমন- সুগার লেভেল বেড়ে যাবে যা শরীরের অন্যান্য সিস্টেম এ অসুবিধা করবে। জয়েন্ট মবিলিটি কমে যাবে এবং জয়েন্টগুলো শক্ত হয়ে যাবে এবং অনেক দৈনন্দিন কার্যক্ষমতা কমে যাবে।
উপরোক্ত অসুবিধাগুলো সাধারণত ঔষুধ চিকিৎসায় ফল পাওয়া যায় না। সুতরাং জনাব সাইফুল ইসলামের জন্য আমার উপরোক্ত এবং মাসেল এনাজির্, মায়োস্কেলিটাল এলান্গমেন্ট ও জয়েন্ট মোবালাইজেশন টেকনিক দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। সর্বপরি তার জন্য ভাল রিহ্যাবেলিটেশনও করতে হবে।
আামার ম্যানুয়াল থেরাপি চিকিৎসা এবং ইলেকট্রো থেরাপির সঠিক ব্যবহার তাকে সুস্থ করবেই ইনশাল্লাহ। আমার চিকিৎসা প্ল্যান এবং প্রয়োগ অনেক বেটার এবং এ্যাডভান্স। আমার চিকিৎসা নির্ভর করে সঠিক রোগ নির্ণয় অর্থাৎ কোন টিস্যু অসুস্থ তার উপর এবং এ্যাভিডেন্স বেজড অনুযায়ী চিকিৎসা করে থাকি যাতে সঠিক স্ট্যাবেলাইজেশন হয় এবং পরবর্তীতে যেন আর ব্যথা না হয়। সেজন্য আমার চিকিৎসা সর্বাধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা বলে মনে করি। আমি আমার এই ছোট লেখার মাধ্যেমে ধারণা দিতে চেষ্টা করেছি যে, আপনি আপনার মেরুদন্ডেন কষ্টের জন্যে কি ধরনের চিকিৎসা করবেন। আপনার মেরুদন্ডের অসুস্থতার জন্য প্রশ্ন করবেন আপনি, উত্তর দিব আমি। মেরুদন্ডের সঠিক চিকিৎসা নিন, সুস্থ জীবন-যাপন করুন।
জীবন চলতে চলতে আমরা এক সময় বার্ধক্য নিয়ে কষ্ট পাই আর সেই বার্ধক্যের সঙ্গে যদি যুক্ত হয় ব্যথা বা এমন সমস্যা যা জীবন চলতে বা হাঁটা বন্ধ করে দিতে চায়। কষ্ট যাই হোক না কেন আজকের এই আধুনিক যুগে ফিজিওথেরাপি বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে আমরা অনেক সমাধানও পেয়েছি। সুপ্রিয় পাঠক, আজকের আমার এই ছোট লেখার মধ্যে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করব কোন অসুস্থতাই যেন আমাদের মবিলিটি বন্ধ করে দিতে না পারে।
জনাব সাইফুল ইসলাম সিকদার। বয়স ৫৯ বছর। তার কোমরের ডান পাশে অনেক ব্যথা। ২-৩ মিনিট হাঁটলেই মাজার ডান পাশ থেকে ডান পা পর্যন্ত ব্যথা হয়। পা ভারী হয়ে যায় এবং পা ঝিমঝিম করে। বসে কয়েক মিনিট থাকলে কষ্ট চলে যায় এবং আগের মত হাঁটা যায়। কিন্তু গত কয়েক বছর ডায়াবেটিক রোগে ভোগার কারণে নিয়মিত তাকে হাঁটতে হবে।
তার এমআরআই রিপোর্টে দেখা গেছে এল৪-৫ লেভেলে স্পাইনাল ক্যানাল স্টেনোসিস অর্থাৎ ঐ কেনেলের মধ্যে যে ফাঁকা থাকে ঐ ফাঁকা অসুস্থতার কারণে সরু হয়ে গেছে। এক্স-রে রিপোর্ট-এ দেখা গেছে- মাসেল ইমব্যালেন্স, ফ্ল্যাট বেক। ব্লাড রিপোর্ট-এ দেখা গেছে-ডায়বেডিকস বেড়ে গেছে।
ফিজিক্যাল পরীক্ষা করে দেখা গেল- যে মাংস পেশী হিপ জয়েন্ট কে ৯০ ডিগী থেকে ফ্লেকশন বা বাঁকা করে তার নাম সোয়াস মাসেল। এই সোয়াস মাসেলেও ইঞ্জুরী আছে। পা সোজা করে উঠাতেও কষ্ট। কোমরে পেছন দিকে এল৪-৫ এস১ পর্যন্ত চাপ দিলে ব্যথা পায় বা টেন্টার। স্পাইনের দুইপাশের মাংস দূর্বল এবং টেন্ডার।
এই রোগীর জন্য চিকিৎসা পরিকল্পনা হলো- তার কেনেল যে অংশ চেপে গেছে তা যেন ফাঁকা হয় এবং বেশি সময় হাঁটতে পারে। তার এমআরআই ও ফিজিক্যাল ইক্সেমিনেশন অনুযায়ী যে কষ্ট আছে সে অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা হবে। যেমন- ইঞ্জুরী বা অসুস্থ মাংসের জন্যে সফ্ট টিস্যু মোবালাইজেশন, অবশ্যই লো-লেভেল লেজার থেরাপি, সঠিকভাবে তৈরী ওয়াক্সপ্যাক থেরাপি, চিৎ হয়ে শুয়া অবস্থায় এল৪-৫ লেভেলে ফ্লেকশন এক্সারসাইজ এবং তার সাথে বিভিন্ন পোশ্চারে বা ভঙ্গিতে স্ট্রেসিং ও স্ট্রেন্দেনিং এক্সারসাইজ করতে হবে। নিয়মিত হাঁটা চলাকালীন অবস্থায় তার হাঁটার সময় বাড়াতে হবে। যেমন- গতকাল ৩ মিনিট হাঁটার পর কষ্ট শুরু হয়েছে, আগামী কাল যেন ৪-৫ মিনিট হাঁটতে পারে সেভাবে চিকিৎসা করতে হবে। আশা করি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিনি ভাল বোধ করবেন।
তার খাবার তালিকা অনুযায়ী খাবার খেতে হবে। যাতে তার ডায়বেটিকস বেড়ে না যায়। আবার সুগার লেভেল কমে যেন হাইপো না হয়।
এই রোগীর মবিলিটি বা চলাফেরা করা বন্ধ হলে বা কমে গেলে অনেক কষ্ট বেড়ে যাবে। যেমন- সুগার লেভেল বেড়ে যাবে যা শরীরের অন্যান্য সিস্টেম এ অসুবিধা করবে। জয়েন্ট মবিলিটি কমে যাবে এবং জয়েন্টগুলো শক্ত হয়ে যাবে এবং অনেক দৈনন্দিন কার্যক্ষমতা কমে যাবে।
উপরোক্ত অসুবিধাগুলো সাধারণত ঔষুধ চিকিৎসায় ফল পাওয়া যায় না। সুতরাং জনাব সাইফুল ইসলামের জন্য আমার উপরোক্ত এবং মাসেল এনাজির্, মায়োস্কেলিটাল এলান্গমেন্ট ও জয়েন্ট মোবালাইজেশন টেকনিক দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। সর্বপরি তার জন্য ভাল রিহ্যাবেলিটেশনও করতে হবে।
আামার ম্যানুয়াল থেরাপি চিকিৎসা এবং ইলেকট্রো থেরাপির সঠিক ব্যবহার তাকে সুস্থ করবেই ইনশাল্লাহ। আমার চিকিৎসা প্ল্যান এবং প্রয়োগ অনেক বেটার এবং এ্যাডভান্স। আমার চিকিৎসা নির্ভর করে সঠিক রোগ নির্ণয় অর্থাৎ কোন টিস্যু অসুস্থ তার উপর এবং এ্যাভিডেন্স বেজড অনুযায়ী চিকিৎসা করে থাকি যাতে সঠিক স্ট্যাবেলাইজেশন হয় এবং পরবর্তীতে যেন আর ব্যথা না হয়। সেজন্য আমার চিকিৎসা সর্বাধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা বলে মনে করি। আমি আমার এই ছোট লেখার মাধ্যেমে ধারণা দিতে চেষ্টা করেছি যে, আপনি আপনার মেরুদন্ডেন কষ্টের জন্যে কি ধরনের চিকিৎসা করবেন। আপনার মেরুদন্ডের অসুস্থতার জন্য প্রশ্ন করবেন আপনি, উত্তর দিব আমি। মেরুদন্ডের সঠিক চিকিৎসা নিন, সুস্থ জীবন-যাপন করুন।
©somewhere in net ltd.