![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়
যাকাজিক স্টেশনে ট্রেন আসার সময় ঘনিয়ে আসছে। জাহসা সিগারেটের বাক্স নিয়ে প্রস্তুত হয় ধীরে ধীরে। ট্রেন এসে থামতেই স্টেশনটা ভোল পাল্টে আস্ত এক বাজার হয়ে যাবে। মানুষ ঘুরেফিরে কিনবে এটা সেটা। জাহসা তার ক্ষুদে কিন্তু অভিজ্ঞ চোখে সম্ভাব্য খদ্দের খুঁজতে শুরু করল।
সিগারেট বেচার কাজটা যে তার পছন্দ, তা না। এমনিতে কেউ তার পেশা জানতে চাইলে জাহসা উলটো প্রশ্নকারীকেই অভিশাপ দেয়। ভীষণ মন খারাপ হয়ে যায় ওর। তারপর আরেকবার অভিশাপ দেয় নিজের কপালকে। শালার কি জীবন! যদি ইচ্ছেমতন চাকরি করার স্বাধীনতা থাকত ওর, জাহসা নিশ্চিত ধনী কোন লোকের গাড়ির ড্রাইভার হোতো। তাহলে পাওয়া যেত চকচকে পরিষ্কার কাপড়, খাওয়া যেত অভিজাত লোকেদের মত খাবার। কি শীত, কি গ্রীষ্ম- ঘুরতে যাওয়া যেত কত জায়গায়! পেটের ভাত জোগাড় করতে এত ঝক্কি পোহাতে হত না ওকে আর। কচুর এই জীবনে না আছে শান্তি, না আছে কোন আনন্দ।
অবশ্য ড্রাইভার হতে চাওয়ার পেছনে আরেকটা বিশেষ কারণও আছে। সেদিন ও দেখেছিল- কোন এক আমলার গাড়ি চালায়- ড্রাইভার আলগুর, সে ব্যাটা বিপুল আত্মবিশ্বাসের সাথে সুন্দরী যুবতী নুবওয়া-র কাছে প্রেম নিবেদন করছে। জাহসা শুনেছিল- আলগুর হাত নেড়ে নেড়ে বলছে- 'নুবওয়া, খুদার কসম, তোমার জন্য আংটি নিয়ে আসব শিগগিরি, আমি নিজে তোমার আঙুলে পরিয়ে দেব।' নুবওয়া লজ্জা পেয়েছিল, ভুবন ভোলানো হাসি হেসে ওড়নাতে মাথা ঢেকেছিল। তার ঘন কালো চুলের মাঝে ঢেউ খেলছিল তখন। ওদের সেই প্রেমের দৃশ্য, মেয়েটার সেই হাসি যেন তীর হয়ে বিঁধছিল জাহসার বুকে। আলগুরের ভাগ্য দেখে ভীষণ হিংসা লাগছিল ওর। নুবওয়ার ওই বড় বড় চোখের ভেতরে তাকিয়ে কেমন যন্ত্রণা হচ্ছিল বুকের ভেতর।
এরপর জাহসা নুবওয়ার পিছনে ঘুরতে শুরু করে। মেয়েটা যে পথে চলাফেরা করে, সারাদিন সেই পথেই বসে থাকে সে বাক্স নিয়ে। তৃষিত নয়নে এদিক ওদিক খুঁজে ফেরে। একদিন নুবওয়াকে সামনে পেয়ে যায় ও, আর ফস করে বলে ফেলে- 'নুবওয়া, আমি তোমার জন্য আংটি নিয়ে আসব!' কিন্তু নুবওয়া লজ্জা পেয়ে ওড়নায় মাথা ঢাকে না, বরঞ্চ এক নজর জাহসার দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্যভরা কণ্ঠে বলে- 'আগে নিজের জন্য একপাটি জুতো কিনে নিও, ভাল হবে।' কথাটা শুনে ও নিজের দিকে তাকায়। দেখে সারা পায়ে এত পুরু হয়ে ময়লা জমেছে যে- মনে হচ্ছে দুই পায়ে উটের চামড়ার খসখসে মোজা পরে আছে। দেখে ওর জুতোর আদ্ধেকটা নেই, ওর কাপড় নোংরা, ওর টুপি ছেঁড়া, পুরনো। দীর্ঘশ্বাস ফেলে জাহসা ভাবে- কি কপাল আমার!
সিগারেটের বাক্স আঁকড়ে ধরে বসে ও ভাবে- যদি আলগুরের মতো ড্রাইভার হওয়া যেত! কিন্তু চাইলেই কি সব পাওয়া যায়? গরিবের স্বপ্ন স্বপ্নই থাকে। তাই নিজের হতাশা ছেঁড়া পকেটে পুরে রেখে জাহসা বাস্তবে ফিরে আসে। অপেক্ষা করতে থাকে ট্রেনের।
অনেক দূরে ধোঁয়াটে একটা আকৃতি দেখা দেয়। ক্রমশ সেটা কাছিয়ে আসে, ট্রেন আসছে! বগিগুলো আস্তে আস্তে স্পষ্ট হয়, একসময় কর্কশ শব্দ তুলে ট্রেনটা স্টেশনে এসে থামে। জাহসা দৌড়ে বগির কাছে গিয়ে অবাক হয়ে দেখল, সবগুলো দরজার সামনে একজন করে সশস্ত্র সিপাহি পাহারা দিচ্ছে। জানালা দিয়ে উঁকি মারছে ভিনদেশি কিছু চেহারা আর উদ্বিগ্ন ক'জোড়া চোখ। কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করে ও জানতে পারল- এরা যুদ্ধবন্দী, ইতালীয় সৈনিক সবাই। এদেরকে এখন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কিছুক্ষণ বন্দী সৈনিকদের পর্যবেক্ষণ করে জাহসা হতাশ হয়ে পড়ল। এরা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, হতাশায় ভেঙে পড়েছে সবাই। এদের কেউ সিগারেট কিনবে না; কিংবা বলা ভাল এদের কারো কাছে কেনার মত পয়সা নেই। জাহসা সিগারেটের বাক্সটা উঁচু করে এই বগি ওই বগির সামনে হেঁটে এল কয়েকবার, যদি সিপাহিদের কেউ কিনতে চায়। কিন্তু তাদের কারুর ওর দিকে চোখ নেই, নিজেদের মাঝে গল্প করছে। খালি কয়েকজন বন্দী ক্ষুধার্ত চোখে তাকিয়ে রইল ওর হাতের দিকে, পারলে যেন বাক্সসুদ্ধ গিলে খাবে।
বিরক্ত জাহসা ঘুরে চলে আসবে, এমন সময় পেছন থেকে এক বন্দীর কণ্ঠে শুনতে পেল ভাঙাচোরা আরবি টানের ডাক।
-'সিগারেৎ?'
বিস্ময় লুকিয়ে সন্দেহভরা চোখে জাহসা তাকাল বন্দীর দিকে, তারপর ইঙ্গিত করল- পয়সা চাই। বন্দী তার ইঙ্গিত বুঝে মাথা নাড়ল। মানে পয়সা আছে। জাহসা বগির জানালার কাছে সাবধানে এগোল, বন্দী যেন ছোঁ মেরে সিগারেট না মারতে পারে সে বিষয়ে সতর্ক। ইতালিয়ান সৈনিক শান্তভাবে গায়ের জ্যাকেটটা খুলল, তারপর এগিয়ে দিল জাহসার দিকে।
-'এই নাও আমার পয়সা।'
জাহসা ব্যাপারটা আশা করেনি। লোভাতুর দৃষ্টিতে ও জ্যাকেটটা খুঁটিয়ে দেখতে লাগল। সোনালি রঙের বড় গোল গোল বোতাম লাগানো খাকি রঙের নিখুঁত একটা পোশাক। জিনিসটা ওর পছন্দ হয়েছে। কিন্তু বন্দীকে সেটা বুঝতে দিল না পাছে ঠকিয়ে নেয়, 'নিতান্ত সাধারণ জিনিস এটা'- এরকম ভাব দেখিয়ে সিগারেটের একটা প্যাকেট বের করে জ্যাকেটটা টান দিল ও। ভ্রু কুঁচকে সৈনিক চেঁচিয়ে উঠল।
-'মাত্র এক প্যাকেট? না না, দশ প্যাকেট চাই, দশ প্যাকেট সিগারেৎ!'
জাহসা মাথা নেড়ে পিছিয়ে এলো, যেন চলে যাবে।
-'আচ্ছা আচ্ছা, নয় প্যাকেট!'
ও নির্বিকার, উদাসি মুখে অন্যদিকে হাঁটা শুরু করল।
-'আরে দাঁড়াও, আট প্যাকেট দিও!'
জাহসা মাথা নেড়ে জানালো ও পারবে না।
-'তাহলে সাত প্যাকেট দাও।'
জাহসা এবার বগির কাছ থেকে সরে এলো। প্লাটফরমের কাছে যেতে যেতে সৈনিক নেমে এলো পাঁচে, টুলটার ওপরে বসতে বসতে নামল চারে। জাহসা ভান ধরল ও যেন শুনতেই পাচ্ছে না লোকটার কথা। আরামসে একটা সিগারেট বের করে আগুন ধরাল ও, তারপর সৈনিকের দিকে তাকিয়ে মজা করে ধোঁয়া ছাড়তে লাগল। সৈনিক এবারে যেন পাগল হয়ে যাবে, হাত কামড়ে সে ছটফট করতে লাগল বগির ভেতর। বোঝা যাচ্ছে সিগারেট খেতে না পারলে তার চলবে না। এরপর সে অনুনয় করতে শুরু করল।
-'তিন প্যাকেট দিলেই জ্যাকেট তোমার। এই যে, এই!'
জাহসা নির্বিকার। এমন ভাব- জ্যাকেটের প্রতি তার কোন আগ্রহই নেই, মনে হচ্ছে সিগারেট টানাই যেন তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। সৈনিক এবার পরাজিত কণ্ঠে দাবি নামিয়ে আনল দুই প্যাকেটে। জাহসা অনিচ্ছাসত্ত্বেও যেন একটু নড়ে উঠল। সৈনিক জ্যাকেট বাড়িয়ে দিয়ে হাত পাতল অস্থিরভাবে।
-'এবার তো দাও।'
জাহসা বগির কাছে গিয়ে দুই প্যাকেট সিগারেট ধরিয়ে দিল সৈনিকের হাতে, তারপর জ্যাকেটটা বগলদাবা করে ফিরে এলো প্লাটফরমে। বিজয়ের আনন্দে এবার তার মুখে ফুটে উঠল মুচকি হাসি।
সিগারেটের বাক্স টুলের ওপর রেখে ও পরে নিল জ্যাকেটটা। একটু বড়, ঢিলেঢালা। তাতে কিছু যায় আসে না। দুই প্যাকেটের বদলে সে এমন জিনিস পেয়েছে- কে বিশ্বাস করবে! এবার বাক্সটা কাঁধে ঝুলিয়ে ও বেশ বুক চেতিয়ে হাঁটতে শুরু করল। চোখের সামনে সুন্দরী নুবওয়ার চেহারা ভেসে উঠছে বার বার। মনে মনে ও ভাবতে লাগল- হ্যাঁ, এবার আর নুবওয়া আমাকে ফিরিয়ে দিতে পারবে না, আমার কাপড় নিয়ে হাসাহাসি করবে না। এমন জিনিস কি আলগুরের আছে? ছ্যাঃ! ওর চোদ্দগুষ্টি এমন জ্যাকেট দেখেনি।
ওহ হো- জাহসার হঠাৎ মনে পড়ে- আলগুর হতভাগাটা তো প্যান্টও পড়ে জ্যাকেটের সাথে। আমি একটা প্যান্ট কিভাবে জোগাড় করি? কিছুক্ষণ ভেবে ও ট্রেনের বন্দীদের ওপর নজর বুলাতে লাগল। জ্যাকেট পেয়ে যে আনন্দ হচ্ছিল সেটা যেন পুরো উধাও হয়ে গেছে, সেখানে জায়গা করে নিয়েছে প্যান্টের চিন্তা। হঠাৎ ওর মাথায় বুদ্ধি খেলল, ট্রেনের কাছে গিয়ে জোরে জোরে চিল্লাতে লাগল।
-'সিগারেট, সিগারেট-- আছেন কেউ--পয়সা না থাকলে প্যান্ট দিলেও নেব--সিগারেট সিগারেট--প্যান্টের বদলে সিগারেট!'
কয়েকবার আওয়াজ দেবার পর কোন সাড়া মিলল না, জাহসার মনে হল হয়তো এরা ওর কথা বুঝতে পারছে না। তাই সে সিগারেট আর প্যান্টের দিকে আঙুল তাক করে করে আবার চিল্লাতে লাগল। এরকম সাংকেতিক বিজ্ঞাপনের সুফল মিলল তাড়াতাড়িই, এক সৈনিক লাফাতে লাফাতে জ্যাকেট খুলতে লাগল। জাহসা আঙুল দিয়ে দেখাল, জ্যাকেট না, ওর প্যান্ট চাই। লোকটা কিছুক্ষণ বিরক্ত হয়ে চেয়ে রইল ওর দিকে, তারপর 'কি-ই আর হবে' এরকম একটা ভঙ্গি করে প্যান্ট খুলে ধরিয়ে দিল জাহসার হাতে।
আর কি লাগে! জাহসা খুশিতে নেচে নিল কিছুক্ষণ, তারপর প্লাটফরমে দাঁড়িয়ে মিনিটেরও কম সময়ে পরে নিল প্যান্টটা। এখন ওকে দেখতে পুরো ইতালীয় সৈনিকদের মতো লাগছে। আর কি নেওয়া যায়? টুপি...কিন্তু দুঃখের ব্যাপার, এরা তো ফেজ টুপি পরে না। মাথা খালি। অবশ্য পায়ে জুতো পরে। জুতো! আলগুর হারামজাদাকে ডিঙোতে গেলে জাহসার এক জোড়া জুতো দরকার! ও আবার সিগারেটের বাক্স হাতে বগির কাছে গিয়ে চ্যাঁচাতে লাগল, আর পায়ের দিকে ইঙ্গিত করতে লাগল।
-'সিগারেট--জুতোর বদলে সিগারেট--চাই কারো জুতার বদলে সিগারেট?'
কিন্তু এবারে নতুন খদ্দের পাবার আগেই কর্কশ শব্দে ট্রেন হর্ন বাজাল। এখনই ছেড়ে দেবে। সিপাহিরাও গল্প ছেড়ে সজাগ হল। ততক্ষণে চারিদিকে আঁধার হয়ে এসেছে। আকাশে পাখির ঝাঁক কিচিরমিচির করছে, বাড়ি ফিরছে সব। জাহসা মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে রইল প্লাটফরমে। ওর আর জুতো পাওয়া হল না। ট্রেন চলতে শুরু করেছে, ঠিক এমন সময়ে সামনের বগির সিপাহি জাহসাকে দেখল। সাথে সাথেই রেগেমেগে প্রথমে ইংরেজি তারপর ইতালীয় ভাষায় খিস্তি করে উঠল।
-'এই শালা, ট্রেনে ওঠ! তাড়াতাড়ি ওঠ বলছি!'
সিপাহি কি বলছে জাহসা বুঝতে পারল না। ও দাঁড়িয়ে আছে লোকটার নাগালের বাইরে, চাইলেও ধরতে পারবে না, আর কেনই বা ওকে ধরবে! একথা ভেবে ও সিপাহির অঙ্গভঙ্গি নকল করে তাকে ভ্যাংচাতে লাগল। ট্রেন ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে আরও দূরে। সিপাহি রেগে আরও জোরে চেঁচিয়ে উঠল।
-'হারামজাদা ট্রেনে ওঠ, নইলে খবর আছে তোর বলে দিলাম!'
জাহসা ঠোঁট উল্টে আরেকবার ভ্যাংচাল সিপাহিকে, তারপর ট্রেনের দিকে পিঠ দিয়ে চলে যেতে উদ্যত হল। সাথে সাথে সিপাহি বন্দুক উঁচিয়ে গুলি করল ওর পিঠে। বন্দুকের কান ফাটানো 'গুড়ুমম' শব্দের নিচে চাপা পড়ে গেল জাহসার বিস্ময়মাখা আর্তনাদ। প্লাটফরমে ঢলে পড়ল ও। হাত থেকে সিগারেটের বাক্স গড়িয়ে পড়ল মেঝেতে, দেশলাই আর সিগারেটের প্যাকেট ছড়িয়ে গেল চারপাশে।
কিছুক্ষণের মধ্যে নিথর লাশ হয়ে গেল জাহসা।
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নেটে তার লেখার লিংক খুঁজে পাওয়াটা কষ্টকর, আপাততঃ উইকি লিঙ্ক--
http://en.wikipedia.org/wiki/Naguib_Mahfouz
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু ,
জাহসার প্যান্ট চাওয়ার অংশটুকুতে আসতেই এই রকম একটি পরিনতি হবে বুঝতে পারছিলুম ।
ভালো একটি কাহিনী বেছে নিয়েছেন অনুবাদের জন্যে । ভালো লাগলো ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল প্রিয় ব্লগার।
শুভেচ্ছা রইল।
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৯
আবু জাকারিয়া বলেছেন: যখন জ্যাকেট পেয়েছিল, তখন থেকেই অনুমান করেছিলাম কাহিনী প্রেমিকা পর্যন্ত গড়াবে এবং প্রেমিকা কোন খুত ধরে তার প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করবে । কিন্তু গুলি খেয়ে মরারও সম্ভাবনা ছিল, তা ধারনায় আসেনি। এটাই গল্পের মজা!
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ আবু জাকারিয়া পড়ার জন্য।
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৭
যুগল শব্দ বলেছেন:
এমন করুণ পরিণতি আশা করিনি!
যাইহোক দারুণ গল্প, ভালো লাগলো। ++
নাগিব মাহফুজ এর বিখ্যাত উপন্যাস "খোঁজ"
পড়েছিলাম অনেকদিন আগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: উপভোগ করেছিলেন আশা করি।
শুভরাত্রি।
৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধারালো অনুবাদ| সহজ| মনে হল না অনুবাদ, যেন মৌলিক কোন গল্প পড়ছি| অনবদ্য
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:০৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪৩
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: গল্পের পরিণতি একটা সময় পর আঁচ করা গেলেও কেউ হতে ভাবেনি এতোটা নির্মম হবে। বড় জোড় পুলিশ জাহসাকে ইতালিয় সৈনিক ভেবে ধরে নিয়ে যেতে পারে এবং পরে প্রকৃত রহস্য উদ্ধার হলে তাকে আবার ছেড়ে দেয়া হবে, এই ধরণের ভাবনাই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল।
গল্পে লেখক জাহসার মৃত্যুর নির্মম পরিণতির মাধ্যমে কিছু বার্তা দিতে চেয়েছেন হয়তো। প্রেমে পড়লে মানুষ অন্ধ হয়ে যায় এটা কথা আছে। জাহসা নুবওয়ার প্রেমে পরে মনে হয় কিছুটা অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার পোশাক নিয়ে নুবওয়া তাচ্ছিল্য করেছিল, সেটা তার মাথাতে গেঁথে ছিল। তাই কয়েদির পোশাক পড়লে কী বিপদ হতে পারে সেটা সে ভুলে গিয়েছিল। আবার প্রেম ভালোবাসা যে পোশাকের গুণে হয় না, সেটাও জাহসার পরিণতির মাধ্যমে উঠে এসেছে। উপরে উঠতে হলে যোগ্যতা দিয়ে উঠা উচিৎ। কোন শর্ট কাট রাস্তা বেছে নেয়া উচিৎ না, কোন ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়া উচিৎ। আবার কয়েদি অবস্থায় পালানোর চেষ্টা করা উচিৎ না। আইন ভঙ্গের দায়ে পরিণতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
এলোমেলো কিছু বার্তা মাথায় ঘুরপাক খেলো, তাই আপনার সাথে শেয়ার করলাম।
তবে অনুবাদ খুব ভালো হয়েছে। সাবলীলতা অনুবাদকে বেশ সুখপাঠ্য করে তুলেছেন। তাছাড়া অনুবাদ করার জন্য আপনার গল্প নির্বাচনও বেশ পছন্দ হল। সব মিলিয়ে ভালো লাগলো প্রোফেসর। শুভ কামনা নিরন্তর।
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:০৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কথা গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। এলোমেলো নয়, যথাযথ ছিল
শুভ সকাল!
৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গল্পটা দারুন অনুবাদ করেছেন। লেখা খুবই প্রাঞ্জল। অনুবাদ এমনই হওয়া চাই। কাঠখোট্টা না।
আশা করি ভালো আছেন প্রিয় ব্লগার!
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:০৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ভাল আছি কা_ভা। আপনার কি খবর
৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৩
সুমন কর বলেছেন: নাজিব মাহফুজের লেখা পড়িনি কিংবা বলতে পারেন অাজই নাম শুনলাম।
অনুবাদ পড়লাম বলে মনেই হয়নি। সুন্দর অনুবাদ হয়েছে। ধন্যবাদ।
গল্পের শেষটা অনুমান করা যায়নি। ভেবেছিলাম আরো একটু বড় হবে।
ভাল লাগা রইলো।
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পটা একটু ছোট, তবে নাগিবের অধিকাংশ গল্প খুব একটা বড় হয় না। মাঝারি আকারের।
ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুপ্রিয়।
৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৫
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: সংশোধনঃ কোন ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়া উচিৎ >> কোন ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়া উচিৎ না।
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ব্যাপার না
১০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এই মিঃ নাজিব কি মিশরীয় নাজিব?? যদি হয়ে থাকেন,তাহলে শুনেছি তার কথা। কিছুদিন আগে বোধহয় মারা গেছেন-তাই না??
জাহসা নিজ রোজগারে বড় হতে চেয়েছিল আর আমরা করি পরের ধনে পোদ্দারী!! গল্পের সাথে বাস্তবে এটুকুই পার্থক্য।। ভুল হলে শুধরে দেবেন বলে আশা করছি।।
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হুম, মিশরীয়। দুই হাজার পাঁচ কি ছয়ে মারা গেছেন মনে হয়।
ভুল হয়নি, ভাল ধরেছেন। আর পাঠক যেভাবে গল্পের অর্থোদ্ধার করেন, সেটাই তখন ঠিক
শুভেচ্ছা।
১১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩০
এম এম করিম বলেছেন: সুন্দর গল্পের সুন্দর অনুবাদ।
+++
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্লাসের জন্য ধন্যবাদ
১২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৭
চটপট ক বলেছেন: অনুবাদ টা পড়ে ভাল লেগেছে
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
১৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০৭
হাইপারসনিক বলেছেন: বাড়ির পাশেই ষ্টেসন...খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছিলাম। মনে হচ্ছে আমার চোখের সামনেই ঘটে গেল.....ধন্যবাদ!
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ হাইপারসনিক।
১৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২১
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: পড়লাম।
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাঙ্কস
১৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:০৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভেবেছিলাম জাহসাকে ইতালীয় সৈনিক ভেবে গ্রেফতার করবে। একেবারে মেরেই ফেলবে-এটা আশা করিনি।
চমতকার গল্প। অনুবাদের ঢং টাও চমতকার। ভাল লেগেছে।
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১৯
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কল্পনার জগতে উড়তে উড়তে ধুপ করে বাস্তবে ফিরে এসে আছাড় খাওয়া- এই জিনিসটা নাগিবের গল্পে বারবার আসে।
পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।
১৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:৩৭
জাফরুল মবীন বলেছেন: অনুবাদ এতটাই নিখুঁত হয়েছে যে একটি বারের জন্যও মনে হয়নি কোন বিদেশি গল্পের অনুবাদ পড়ছি।এজন্য অভিনন্দন আপনাকে।
অার অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই নোবেল বিজয়ী এই সাহিত্যিকের সাহিত্য কর্মকে বাংলায় অনুবাদ করে সে সাহিত্য রস আস্বাদনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
শুভকামনা জানবেন।
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:২১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: খুশি হলুম
আরও কিছু অনুবাদ করার ইচ্ছে আছে। আশা করি ভাল লাগবে আপনার।
শুভেচ্ছা।
১৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৪৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক সুন্দর অনুবাদ হয়েছে। গল্পটির প্রধান আকর্ষণ হলো, নতুন এবং ভিনদেশি প্লট। ভালো লেগেছে।
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:২১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ মইনুল। ভাল আছেন আশা করি।
১৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২০
একলা চলো রে বলেছেন: কি জীবন্ত আপনার লেখনী, অনুবাদ এতটা জীবন্ত হতে পারে ধারণা ছিল না! সাধুবাদ!
লেখাটা কি আরবী থেকে বাংলা করেছেন? না আরবীর ইংরেজি অনুবাদ থেকে?
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:২৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ!
আরবির ইংরেজি অনুবাদ থেকে। লিঙ্কটা দিতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু যেখানে আপলোড করা ছিল, সেটা সাইট থেকে রিমুভ করে দেওয়া হয়েছে দেখলাম। আর মূল আরবি কিছুটা অনুবাদ করে পড়েছি গুগল ট্রান্সলেটর দিয়ে
১৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:২৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার অনুবাদ
কি টুইস্ট রে বাবা..
খুব ভাল লেগেছে...
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৩২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা।
২০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪১
কলমের কালি শেষ বলেছেন: বিস্বাদময় কাহিনী । অনুবাদ ভাল লেগেছে মিঃ প্রোফেসর ।
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় পাঠক।
২১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩
ডি মুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: কল্পনার জগতে উড়তে উড়তে ধুপ
করে বাস্তবে ফিরে এসে আছাড় খাওয়া- এই
জিনিসটা নাগিবের গল্পে বারবার আসে।
------ একদম! সমাপ্তিটা অসাধারণ। অনুবাদ সাবলীল। ভীষণ আনন্দ পেয়েছি গল্প পাঠে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
ভালো থাকুন
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনিও ভাল থাকুন মুন।
শুভরাত্রি।
২২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
ভাল শেয়ার ৷ আরো পাব নিশ্চয় ৷
১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অবশ্যই। ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
২৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:০৩
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: নাগিব মাহফুযের কিছু চমৎকার গল্প পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। এই গল্পটাও দারুণ। অনুবাদ একদম ঝরঝরে। কোথাও খটকা লাগে নি। একটানে পড়ে গিয়েছি। সাধুবাদ রইল
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল
১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ
২৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৮
পার্থ তালুকদার বলেছেন: গল্পের করূণ সমাপ্তি । খুবই ভাল লেগেছে ।
আপনার অনুবাদও চমৎকার হয়েছে।
শুভকামনা।
১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ পার্থ। শুভেচ্ছা রইল।
২৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১৪
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
সাবলীল অনুবাদে গল্পের করুণ সমাপ্তি।
দারুণ লাগল।
ধণ্যবাদ আপনাকে গল্পটি অনুবাদ করে শেয়ার করার জন্য।
১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
২৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১১
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: অনুবাদ অসাধারণ হয়েছে। শেষটা অনুমানে আসে নি। জ্যাকেট নেওয়ার পর ভেবেছিলাম গ্রেফতার হতে পারে। বাট পরিণতি যে এমন হবে তা কখনই অনুমেয় ছিল না। ভালো থাকবেন।
১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হুম, আসলেই শেষটা নির্মম।
ধন্যবাদ
২৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুবই মন খারাপ করা একটা গল্প। মনে থাকবে অনেকদিন।
১৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পটা সত্যি ছুঁয়ে যাবার মত।
শুভরাত্রি।
২৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২
ঢাকাবাসী বলেছেন: অপুর্ব অনুবাদ। খুব ভাল লাগল, আবার জাহসার পরিণতি পড়ে কষ্ট পেলুম।
১৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৯
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।
২৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৫
জেন রসি বলেছেন: গল্পের ভিতরে গল্প আছে।
চমৎকার অনুবাদ।
২০ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হুম, ঠিক তাই।
শুভেচ্ছা রইল।
৩০| ২০ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৩২
শঙ্খচিল_শঙ্খচিল বলেছেন: গল্পের একটা পর্যায়ে এসে-শেষটা অনুমান করতে পারলেও, মনে মনে একটু ক্ষীণ আশা ছিল- হয়ত পরিণতি এতটা মর্মান্তিক হবে না!
মন খারাপ করা গল্প।
অনুবাদ মন ছুয়ে গেছে। ভাল থাকুন, সবসময়।
২০ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ শঙ্খচিল।
৩১| ২০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
এহসান সাবির বলেছেন: জাহসা এই ভাবে লাশ হয়ে যাবে ভাবিনি আমি...
এক গুচ্ছ ভালো লাগা.....
২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান।
৩২| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১১
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অসাধারণ সাবলীলতা একবারের জন্যও মনে করতে দেয়নি একটি অনুবাদের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি!!!
মুগ্ধতা!
অনিঃশেষ শুভকামনা।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনিও ভাল থাকুন দীপংকর। শুভেচ্ছা।
৩৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৩
অক্টোপাস পল বলেছেন: সেদিন গল্পটা পড়ে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। দুর্দান্ত ছোটগল্প। তেমনি তুখোড় অনুবাদ।
কলম চলুক।
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চলবে আশা করি
৩৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২০
বৃতি বলেছেন: বেশ ভাল লাগলো মন-খারাপ-করা গল্পটা। আপনার অনুবাদও চমৎকার হয়েছে।
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি। মাস হয়ে এলো, নতুন লেখা দিন
৩৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: কী অদ্ভুত একটা একটা গল্প! আর অনুবাদ তো বরাবরের মত দারুণ!
এরকম আরো গল্প চাই প্রোফেসর!
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দেবার আশা রাখি, কবি। অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে। এবছর তো কোন লেখাই দেন নি। কবিতা চাই।
৩৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০২
তুষার কাব্য বলেছেন: চমৎকার অনুবাদ । খুব ভালো লেগেছে পড়তে ।
অনেক শুভকামনা জানবেন।
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ তুষার।
৩৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫৮
শবদাহ বলেছেন: ছোটগল্প মানেই কি মর্মান্তিক হতে হবে???
হৈমন্তী, ছুটি, মহেশ সবারই করুণ পরিণতি হয়ে থাকে।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শক ফ্যাক্টর বলে একটা কথা আছে, এটা ছোটগল্পে খুব ভাল চলে। একারণেই হয়তো।
৩৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮
দীপান্বিতা বলেছেন: ভাল লাগল অনুবাদ ......
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাঙ্কস!
৩৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বেশ অনেকক্ষন থমকে ছিলাম!
লেখার সাবলীলতা, গল্পের প্লট! ফিনিশিং, বাস্তবে সেই হৃদয়ের কষ্ট!
লেখকের অনুভবের গভীরতা! সব মিলিয়ে একেবারে জমে যাওয়া যাকে বলে!
অবশেষে লগিন করলাম ধন্যবাদ টুকু না দিলে অন্যায় হয়ে যাবে যে!
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লগিন করার জন্যে অনেক থাঙ্কু !
৪০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:১৯
জুন বলেছেন: সাবলীল অনুবাদ প্রফেসর , ভালোলাগলো অনেক ।
+
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুন।
৪১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫
নক্ষত্রচারী বলেছেন: আপনার অনুবাদগুলা সব সময়ই ভালো হয়! এটাও ব্যাতিক্রম নয় ।
ভালো থাকবেন প্রফেসর
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ নক্ষত্রচারী!
৪২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:০৯
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
নাজিব মাহফুযের এক সাক্ষাৎকারে ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন নিয়া জটিল কথা হইছিলো। এছাড়া হিরোদের মরাল ফাউন্ডেশন নিয়াও চমৎকার কথা শুনছি। ওইতে অনেকখানি পরিচয়। গল্পটা পড়ার সুযোগ করে দিলেন, প্রোফেসর শঙ্কু। ধন্যবাদ জানাই। আপনের অনুবাদ মচ্ মচা কইলাম; ভালো লাগে পাঠ প্রক্রিয়া চালাইতে। ভালো থাকন চাই, পাঠকের লেইগাই ! হাহ হা।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: উনার কিছু প্রবন্ধ অনুবাদের ইচ্ছা ছিল। আপসোস, সময় সুযোগ হয়ে উঠতাছে না। মচমচা কওনের জন্য খুশি হইলাম!
আপনেও ভাল থাকেন। শুভ নববর্ষ।
৪৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:২৭
এহসান সাবির বলেছেন: বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল!!
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপনাকেও!!
৪৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩
সুমন কর বলেছেন: শুভ নববর্ষ !!
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয়। আপনাকেও জানাই শুভেচ্ছা।
৪৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪৮
ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ভালো লাগলো এবং প্রিয়তে +++++++++
২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৪৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুদ। শুভেচ্ছা রইল।
৪৬| ২৬ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৭
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেল । দায়ভার আপনার !!
শুভকামনা প্রফেসর ।
০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ। শুভকামনা।
৪৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৭
ইমরান নিলয় বলেছেন: চমৎকার গল্প।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নিঃসন্দেহে।
৪৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩১
বিজন রয় বলেছেন: অনুবাদ গল্পটি ভাল লেগেছে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: 'বাযলা আল আছির' বা 'কয়েদির কাপড়' নামক এই গল্পটি ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত হয়। নাজিব মাহফুযের প্রথম গল্পগ্রন্থ 'হামস আল যূনুন' (পাগলের প্রলাপ) এর সর্বপ্রথম গল্পও এটি। গল্পে আরবি ভাষার স্বভাবসুলভ রোমান্টিসিজম এবং রচনাশৈলী উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও, সমাপ্তি-টি সম্পূর্ণই নাজিবের একান্ত লেখনি-ভঙ্গির সাথে একাকার হয়ে গেছে, এখানে তার চেকভ-পাঠের প্রভাবও লক্ষ্যণীয়।
নাজিবের ছোটগল্প লেখার বিষয় ও ভঙ্গিমা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়েছে, এই কারণে তার লেখনি এখনও অভিনব। সত্তুর বছরের সাহিত্যজীবনে প্রায় সাড়ে তিনশর মতো গল্প লিখেছেন, খলিল জিব্রানের পর তাকেই ধরা হয় আরব্য ছোটগল্পের পোস্টারবয় হিসেবে। তার গল্পে এসেছে প্রেম, অশ্লীলতা, যৌনাচার, সৃষ্টিরহস্য, মৃত্যুর পরের জীবন, দার্শনিক বিভিন্ন অনুভূতি, সমাজব্যবস্থার ত্রুটি, স্বৈরাচারের শাসন, যুদ্ধ, ধর্মীয় বিশ্বাস- ইত্যাদি অসংখ্য বিষয়। নিরীক্ষাধর্মী গল্প লেখার জন্যেও তিনি বিখ্যাত।
নাজিব মাহফুয অবশ্য বিখ্যাত তার উপন্যাসের জন্য। ১৯৩২ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মোট ৩৩টি উপন্যাস লিখে গেছেন, প্রত্যেকটিই বিষয়ের দিক থেকে অনন্য, এবং তাদের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হচ্ছে 'দ্য কায়রো ট্রিলজি'। 'বাইন আল কাছরাইন', 'কসর আশ শওক' এবং 'আস-সুকারিয়া'- এই ত্রয়ী উপন্যাসে উঠে এসেছে কায়রোর একটি পরিবারের তিনটি প্রজন্মের কাহিনী, তাদের উত্থান পতন, এবং সেই সাথে পুরো আরব জাতির পরিবর্তন। ১৯৮৮ সালে এই ট্রিলজির জন্যে নাজিব সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। এখনও পর্যন্ত আরব দেশগুলোর মাঝে একমাত্র নোবেলপ্রাপ্ত সাহিত্যিক তিনি।