![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার অবস্থান ডানপন্থিদের বামে, বাম পন্থিদের ডানে
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় চলমান আন্দোলন ব্যর্থ হবে
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪ |
শেয়ারঃ
0 0
কোনো একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়ার জন্য যেসব শর্ত পূরণ করতে হয় তার কোনোটিই বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনে নেই। তাই এই আন্দোলন ব্যর্থ হতে বাধ্য। তবে বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ অথবা সামরিক হস্তক্ষেপ হলে ভিন্ন কথা।
যেসব কারণে ব্যর্থ হবে:
১. সহিংসতা:
একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়টা হতে হবে শান্তিপূর্ণ ধরনের। কয়েকটি ককটেল ফুটিয়ে আর গাড়িতে আগুন দিয়ে কোনো সময় সরকারেরর পতন হয় না। গণ-অভুত্থান চুড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার আগে শাসক গোষ্ঠীর নির্যাতনে কিছু প্রাণহানি হতে পারে। তারপরও জনগণের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন হবে।
২. বৃহত্তর প্লাটফর্ম না থাকা:
অনেকেই প্রহসনের গণতন্ত্র চান না। এর মধ্যে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও রয়েছে। কিন্তু চলমান আন্দোলনে নির্বাচন বর্জনকারী সব রাজনৈতিক দল এক প্লাটফর্মে নেই। সুশীল সমাজতো আরও দূরেরর কথা। এর মধ্যে অনেক রাজনৈতিক দল বিরোধী দলেরও বিরুদ্ধে। তাই ক্ষমতাসীনরা বিচ্ছিন্নভাবে প্রত্যেককে দমন করছে। কেউ কাউকে রক্ষায় এগিয়ে আসছে না।
৩. যুদ্ধাপরাধ প্রশ্ন:
বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনে একটি কারণে সবার সমন্বয় হচ্ছে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নে বিরোধী দলের অবস্থান পরিস্কার নয়। তারা ক্ষমতায় গেলে এই বিচার চালিয়ে যাবে না বন্ধ করে দেবে কিছুই বলছে না। গণতান্ত্রিক শক্তি এই ব্যাপারে প্রধান বিরোধী দলের সুষ্পষ্ট অবস্থান চাইছে।
৪. তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ নেই:
গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সাধারণত তরুণ সমাজ ভুমিকা রাখে। যাদের কোনো পিছুটান নেই। কিন্তু চলমান আন্দোলনে ছাত্র ও তরুণ সমাজের অংশগ্রহণের বিশেষ কোনো প্লাটফর্ম নেই। সরকার বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর স্বতন্ত্র কোনো কর্মসূচিও নেই।
৫. নেপখ্যে নেতৃত্বে পুরনো রাজনৈতিক শক্তি:
বর্তমানে যারা রাজনীতি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্যক্তি ও দল হিসেবে তারা সবাই ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু জনগণের সামনে ইতিবাচক কোনো ভাবমূর্তি তুলে ধরতে পারেনি।তাই বড় কোনো ঝুকি নিয়ে পুরনো বোতলে নতুন মদ নিতে কেউ রাজি হচ্ছেন না।
৬. আন্দোলনে বিশেষত্ব না থাকা:
সরকার বিরোধী আন্দোলনে তেমন কোনো বিশেষত্ব নেই। একই ধরনের কর্মসূচি দীর্ঘদিন পালন করতে থাকায় জনগণের মধ্যে বিরক্তির ভাব এসে যায়। তাই ক্রমেই এসব কর্মসূচির প্রতি জনসমর্থন কমতে থাকে।
৭. প্রবাসে আন্দোলন তীব্র না হওয়া:
দেশের ভিতরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর হলেও বিদেশে তেমন অবস্থা না। তাই প্রবাসে জনমত তৈরির জন্য বিশেষ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে না। তাই বাইরে থেকে মানুষ আন্দোলনের গুরুত্ব বুঝতে পারছে না।
৮. আন্দোলন সফল করতে নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয়তা:
চলমান আন্দোলন সফল করা বাদ দিয়ে দলের নেতারা গাঁ বাচিয়ে চলছেন। অনেকে সরকারের সঙ্গে গোপন সম্পর্কও রাখছেন। অথচ মাঠে কর্মীদের মনোবল ধরে রাখতে নেতাদের পাশে থাকাটা জরুরি। চলমান আন্দোলনে এ পর্যন্ত মাঠে কোনো নেতা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানা যায় না। মাঠ পর্যায়ে নেতাদের উপস্থিতি থাকলেও রাজধানীতে তেমনটা চোখে পড়ে না।
এই আন্দোলনকে সফল করতে যেভাবে এগুনো যেতে পারে
১. গতানুগতিক হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির পরিবর্তে জনগণকে সম্পৃক্ত করা যায় এমন কর্মসূচি গ্রহণ।
২. সব গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে মতবিনিময় করে সবাইকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করতে হবে।
৩. এমন প্লাটফর্ম গড়তে হবে যেখানে নির্বাচন বর্জনকারী সব রাজনৈতিক দল সম্পৃক্ত হবে।
৪. ছাত্র ও যুব সমাজের নেতৃত্বে বিকল্প কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে হবে।
৫. আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর হলে প্রয়োজনে স্বেচ্ছায় কারাবরণ বা স্বেচ্ছায় জীবন দেয়ার মতো কর্মসূচি দিতে হবে।
৬. যে কোনো মূল্যে কোনো একটি জায়গাকে কেন্দ্র করে আন্দোলন জমানোর চেষ্টা করতে হবে। রাজধানীতে না পারলে রাজধানীর পার্শ্ববর্তী কোনো জেলা বা কোনো বিভাগীয় শহর থেকেও শুরু করা যেতে পারে।
৭. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নে প্রধান বিরোধী দলকে যে কোনো একটি সুষ্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে।
৯. প্রবাসী শাখাগুলোকে আরও সক্রিয় হতে হবে।
১০. প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জনগণকে রাজধানীতে জমায়েত করার উদ্যোগ নিতে হবে। কাজটি কঠিন হলেও এর কোনো বিকল্প নেই।
এ ধরনের আন্দোলন গড়তে না পারার ফল যা হবে?
১. তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে চাইবে।
২. সরকার বিরোধী একেকটি পক্ষকে একেক ইস্যুতে দমন করে ফেলবে।
৩. জনগণ বেঁচে থাকার তাগিদে বের হবে। সহিংসতা হলে দায় নিতে হবে বিরোধী দলকে। সহিংসতা না হলে ধীরে ধীরে জনজীবনে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।
৪. সরকার যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক বাকিদের রায় কার্যকর করার মাধ্যেমে নির্বাচন থেকে মানুষের দৃষ্টি সেদিকে ফিরিয়ে দেবে।
৫. রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে দলবাজদের প্রভাব আরও বেড়ে যাবে।
৬. ক্রমেই এলাকাভিত্তিক আন্দোলনও দুর্বল হয়ে পড়বে।
৭. কর্মীরা নিষ্ফল আন্দোলনের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বে।
৮. বিরোধী জোট ছাড়া বাকিরা সরকারের সঙ্গে গোপন আতাত করে ফেলবে।
১০. সুশীল সমাজ ও মিডিয়া নতুন করে নির্বাচন বাদ দিয়ে সুশাসনের দিকে মনযোগ দিতেতশুরুকরবে।
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৯
আহলান বলেছেন: খারাপ বলেন নাই। তবে আরো কিছু ব্যপার আছে।যেমন মানুষ এখন নিজের জন্যও চিন্তা করে। যারা মরে সভা সেমিনারে হয়তো তাদের নাম একবার কি দুবার উচ্চারিত হয়। এর বেশী কিছু তার পরিবার পায় না। বরং সমাজে তাদেরকে অন্যের দয়ার উপর থাকতে হয়। এটা এখন সবাই বোঝে। সুতরাঙ আলীগ বা বিএনপি যেই দলের কর্মিই হোক সবাই গা বাচিয়েই রাজনীতি করে। আর মানুষ এখন দেখে যে বড় মাপের কোন নেতাই তাদের জীবন উতসর্গ করে না, সবাই ওবওচ থেকে বেনিফিসিয়ারি হতেই আগ্রহী। মোদ্দা কথি হলো মওর ফায়দা টা কি ..... সুতরাং ....
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০২
মি. ফেসবুকিস্ট বলেছেন: খারাপ বলেন নাই ভাই.........
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩১
মিতক্ষরা বলেছেন: গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এই আন্দোলন সফল করা ব্যতিরেকে কোন বিকল্প নেই। সারা দেশে সরকার, তার পোষা ক্যাডার বাহিনী নির্বিচারে লুটপাট করছে।
নীচে ইনকিলাবের রিপোর্ট।
দিনাজপুর সদর উপজেলার ৪টি গ্রাম কর্ণাই, মহাদেবপুর শাহপাড়া, বকরীপাড়া এবং সুবরায় সংগঠিত নির্বাচনী সহিংসতায় ২ শতাধিক বাড়ীঘরে ভাংচুর ও লুটপাট করে ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা। এসময় পুলিশ ও বিজিবি সন্ত্রাসীদের সহায়তা করেছে। জেলা বিএনপি গতকাল বুধবার এক সাংবাদিক সম্বেলনে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দায়ীদের শাস্তি দাবী করেছে।বুধবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে ১৮ দলের ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও জেলা ১৮ দলের আহ্বায়ক লুৎফর রহমান মিন্টু উপরোক্ত অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ৬ ও ৭ জানুয়ারী সদর উপজেলার ৪টি গ্রামে যে ব্যাপক তান্ডব ও লুটপাট হয়েছে তার সাথে কোন ভাবেই ১৮ দলের নেতাকর্মীরা জড়িত নয়। বরং গভীর রাতে পুলিশ ও বিজিবি’র সহায়তায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডারদের আক্রমনে এই সহিংসতা ঘটানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে ১৮ দলের নিরপরাধ ও নিরীহ নেতাকর্মীদের ফাঁসানোর অপচেষ্টা করেছেন। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয় যে, ভাংচুরের হাত থেকে পবিত্র মসজিদও রেহাই পায়নি। হামলার হাত থেকে বাঁচার জন্য পুরুষেরা পালিয়ে গেলেও মহিলারা হয়েছেন শারীরিকভাবে নির্যাতিত ও লাঞ্চিত। ২ শতাধিক বাড়ী ভাংচুর ও হামলা করে প্রায় ২ কোটি টাকার স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ও মালামাল লুটেছে সরকারী দলের ক্যাডাররা। - See more at: Click This Link