![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার অবস্থান ডানপন্থিদের বামে, বাম পন্থিদের ডানে
১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসের প্রেক্ষাপটের সঙ্গে মিল রেখেই যেন সবকিছু অগ্রসর হচ্ছে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নেতার হাত দিয়ে হয়তো সুনিপন সিদ্ধান্ত বেরিয়ে আসেনি। তবে কন্যা হিসেবে বাবার ভুলগুলো মাথায় রেখে যেন অগ্রসর হচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের বর্জনের মধ্য দিয়ে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। এরপর ধারাবাহিক কিছু সিদ্ধান্ত জাতি হিসেবে প্রকৃত গণতন্ত্রের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত না করে পারে না। যেমন:
(১) প্রথমে বিরোধী দলের আন্দোলন দমনে কঠোর মনোভাব নিয়ে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অভিযান চলে। সেই অভিযানে সাফল্যও আসে বেশ। বিরোধী দল মাঠ ছেড়ে গর্তে ঢুকে পড়ে। সেই সুযোগে এমন একটি নির্বাচনের পরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা ভাবতে থাকে সরকার। তবে সেটি একদলীয় ব্যানারে নয়, বহুদলীয় গণতন্ত্রের মোড়কেই।
(২)আগের মতো গণমাধ্যম একবারে বন্ধ না করে নিয়ন্ত্রণ করার নীতি গ্রহণ করা হয়। তাই সেসব দিক মাথঅয় রেখেই একে একে সম্প্রচার, অনলাইন ও সংবাদপত্রের জন্য পৃথক নিয়ন্ত্রণমূলক নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ নেয় সরকার।
(৩) এবার পালা বিচার বিভাগ। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতির অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাত থেকে রাষ্ট্রপতির হাতে দেয়া হয়। এবার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাত থেকে বিচারপতির অপসারণের (ইমপিচম্যান্ট) ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে সংসদের হাতে। কাগজে-কলমে জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে বিচারপতির জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। যে সংসদে অধিকাংস সদস্য নির্বাচন ছাড়াই হয়ে যান সেই সংসদের হাতে বিচারপতির অপসারণের ক্ষমতা দেয়া নিয়ণ্ত্রিত সংসদের নিয়ন্ত্রকের হাতেই ক্ষমতা দেয়ার নামান্তর।
সব মিলিয়ে অনেকটা গুছিয়ে পরিপাটি আকারে ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিই ফিরে আসছে। সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীতে বহুদলের স্বীকৃতি ছিল না। কিন্তু এবার বহুদলের স্বীকৃতি থাকবে। থাকবে গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান, শুধু থাকবে না গণতন্ত্র। সব মিলিয়ে গণতন্ত্রের আড়ালে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পথই প্রশস্ত করছে ক্ষমতাসীনরা। এখন সেই পথ কতটা দীর্ঘ হয় তাই দেখার বিষয়।
২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৬
মুকতোআকাশ বলেছেন: এই পথ যত দীর্ঘ হবে ,জাতি হিসেবে তত কলঙ্কিত হতে থাকব আমরা। সে কলংক থেকে নিজেদের বাঁচাতে হলে -সেই পথ কতটা দীর্ঘ হয় সেটা দেখার বিষয়, বলে বসে থাকলে চলবে না । সবাই কে তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। আপনার সাথে আছি। গণতন্ত্র ফেরত চাই।
৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৯
প্রগ্রেসিভ বলেছেন: আমরা যারা সরাসরি রাজনীতির করি না তাদেরকে বিশেষ একটা পদ্ধতিতে এগুতে হবে। গণতন্ত্র রক্ষায় ক্ষমতার পট পরিবর্তনের চেয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়ে এগুতে হবে। আর যাই হওক নাগরিকদের অধিকার সমূহের সুরক্ষা যাতে হয় সেই প্রচেষ্টা চালাতে হবে। সেজন্য হঠাৎ করে কিছু করা সম্ভব নয়। তবে একটা কাজ করা যায়, বাংলাদেশে আদর্শ গণতন্ত্রের মডেল কেমন হতে পারে তার একটা রূপরেখা তৈরির চেষ্টা করা যায়। এজন্য বুদ্ধিভিত্তিক প্রচেষ্টা লাগবে। ভালো একটা মডেল দাড় করিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে পারলে সবচেয়ে ভালো ফল আসবে। এজেন্ডা বিহীন আন্দোলন আসলে সমস্যা সমাধান না করে এক ধরনের সমস্যাকে অন্য ধরনের সমস্যায় রূপ দেয়। তাই আপনার (মুকতোআকাশ) সদিচ্ছাকে স্বাগত জানাই। বিশেষ কোনো চিন্তা থাকলে শেয়ার করবেন। ক্ষুদ্র থেকেই বৃহৎ কিছু হবে। আজকের চিন্তা আগামীর জন্য বড় একটা সমাধান হতে পারে। যোগাযোগের সুবিধার্থে ইমেইল আইডিটা দিচ্ছি---- [email protected]
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেই পথ কতটা দীর্ঘ হয় তাই দেখার বিষয়।
++