![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার অবস্থান ডানপন্থিদের বামে, বাম পন্থিদের ডানে
Click This Link
২০১৪ ডিসেম্বর ০৩ ১৮:০১:২১
বর্তমান পত্রিকার সাংবাদিকদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বন্ধ হয়ে যাওয়া ‘দৈনিক বর্তমান’ পত্রিকার কার্যক্রম পুনরায় চালু অথবা নিয়মানুযায়ী সাংবাদিকদের সকল পাওনা পরিশোধে মালিকপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন পত্রিকাটির সাংবাদিকরা।
দাবি পরিশোধ না হলে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) থেকে অফিসের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা।
মতিঝিলের দিলকুশায় বর্তমান কার্যালয়ের সামনে বুধবার বিকেলে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিকরা এ আল্টিমেটাম দেন। আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ বলেন, ‘মালিকপক্ষ ভেবেছেন যখন তখন ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকদের বের করে দেওয়া যাবে। কিন্তু সাংবাদিকদের সকল পাওনা পরিশোধ না করে কোনোরূপ ছলচাতুরি চলবে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি খুলে দিতে হবে, নয়ত আইনানুযায়ী সকলের পাওনা পরিশোধ করতে হবে।’
‘সাংবাদিকদের আন্দোলনের ইতিহাস বিজয় আর বিজয়’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে কোনো কিছু দিয়েই সাংবাদিকদের আটকানো যাবে না। আজ আমরা সকল পাওনা সম্পর্কে একটি স্টেটমেন্ট (দাবিনামা) তৈরি করব এবং এই স্টেটমেন্ট অনুযায়ী পাওনা পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ১২টায় এই অফিসের সামনেই সমাবেশ করা হবে এবং সেখান থেকেই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলবে।’
বর্তমানের মালিক মিজানুর রহমানকে উদ্দেশ করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, ‘আপনার প্রতিষ্ঠান আপনি বন্ধ করবেন বা চালাবেন সেটা আপনার ব্যাপার। কিন্তু প্রতিষ্ঠান চালুর সময় যেমন আপনি আইন মেনে চালু করেছেন, তেমনি বন্ধ করতে হলে আইন মেনেই করতে হবে। আজ থেকেই বর্তমান অফিস খুলে দিতে হবে, পত্রিকাটির প্রকাশনা চালু রাখতে হবে অথবা সাংবাদিকদের সকল পাওনা পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় এর পরিণতি ভালো হবে না। দয়া করে রুটি-রুজির পথ বন্ধ করে সাংবাদিকদের রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য করবেন না।’
সমাবেশে বর্তমানের সিনিয়র সাব এডিটর মুশফিক আহমেদ বলেন, ‘দেড় বছর ধরে আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে নিজেদের মতো করে আগলে রেখেছি। কোনো প্রকার ছুটি এমনকি সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়াও কাজ করেছি। গত ৩০ তারিখ রাতে কাজ করে বাসায় যাই। কিন্তু ১ তারিখ অফিসে এসে দেখি তালা ঝুলানো আর একটা অফিস বন্ধের নোটিশ। মালিক জেলে থাকুক আর যেখানেই থাকুক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হলে নিয়ম মেনেই করতে হবে। আজকের মধ্যেই সমোঝতায় না এলে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
পত্রিকাটির নিজস্ব প্রতিবেদক খাদেমুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আমাদের তিন মাসের বেতন ও একটা ঈদ বোনাস বাকি ছিল। মালিক জেলে থাকায় তিনি জানান, যখন জামিনে বের হবেন তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সকল পাওনা পরিশোধ করবেন। আমরা তা মেনে নিয়েছি। তিনি বলেছিলেন ১ ডিসেম্বর থেকে আমাদের অফিসে ইকবাল সোবহান চৌধুরী জয়েন করবেন, আমরাও নিয়মিত বেতন বোনাস পাব আর কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু ১ তারিখে অফিসে এসে দেখি অফিস বন্ধ।’
খাদেমুল আরও বলেন, ‘ডিইউজের সভাপতি আলতাফ মাহমুদের উপস্থিতিতে গতকাল আমাদের এক মাসের বেতন দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আব্দুস ছালাম। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, আজ (বুধবার) দুপুর ২টার মধ্যে অফিস খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু দুপুরে অফিসে এসে বন্ধই দেখি। এখন অফিস বন্ধ করতে হলে আমাদের দুই মাসের বেতন, একটা বোনাস এবং নিয়মানুযায়ী সকল পাওনা পরিশোধ করতে হবে।’
(দ্য রিপোর্ট/পিএম/একে/শাহ/ডিসেম্বর ০৩, ২০১৪)
- See more at: Click This Link
©somewhere in net ltd.