![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার অবস্থান ডানপন্থিদের বামে, বাম পন্থিদের ডানে
ক্ষমতা গ্রহণের পদ্ধতি অনৈতিক ছিল। তবে সামরিক উর্দি পড়ে এসেও দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন একটা আশার সঞ্চার করেছিলেন। তার অধীনে নির্বাচনে আওয়ামীলীগও গিয়েছিল। জাতীয়তাবাদের নতুন ব্যাখ্যা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারণা, উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতির ইশতিহার ১৯ দফা ঘোষণা, বহির্বিশ্ব বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য-চীন-পাশ্চাত্য বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন তিনি। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান থেকে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হিসেবেই জায়গা করে নিয়েছিলেন কোটি মানুষের মনে। তার প্রতিষ্ঠিত দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে ডান-বামের দারুণ সমন্বয় ঘটেছিল। যে কারণে ১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পরও একাধিকবার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি।
অথচ ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সেই বিএনপি অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে। ক্ষমতায় থাকাকালে নেতাকর্মীদের একাংশের সীমাহীন দুর্নীতি, রাজনীতিবদদের তুলনায় দলে পেশাজীবীদের প্রাধান্য, নেতাদের সুবিধাবাদী অবস্থান, নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী না করে জামায়াত ও বিদেশ নির্ভরতা, দলে অতি মাত্রায় পারিবারিকীকরণ, জনমুখি কর্মসূচির পরিবর্তে ব্যক্তি ও গোষ্ঠী নির্ভর কর্মসূচি বিএনপিকে জনগণ থেকে অনেকটা দূরে নিয়ে গেছে। এসব কিছু দলটির ভিত্তিমূলে চরমভাবে আঘাত হেনেছে।
অথচ দেশের গণতন্ত্রের ভিত মজবুত করণের জন্য আওয়ামীলীগের পাশাপাশি একটি শক্তিশালী বিএনপির উপস্থিতি প্রয়োজন ছিল।
এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে বিএনপিকে শুধু ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির দিকে না তাকিয়ে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগুতে হবে। পুনর্গঠনের মাধ্যমে ত্যাগী নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি করে জনবান্ধব কর্মসূচি নিয়ে সামনে অগ্রসর হলে হয়তো পূর্বের শক্তিশালী বিএনপির আবারো প্রত্যাবর্তন হবে। অন্যথায় কালের গর্বে ইতিহাস হয়ে যাবে দলটি। হযতো নতুন কোনো শক্তি সেই জায়গায় দখল করে নেবে। সেটি ডান-বাম যাই হওক তা দেশের জন্য খুব বেশি কল্যাণকর নাও হতে পারে।
©somewhere in net ltd.