![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কপটতার প্লাবনে হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে, হারিয়েছি অনুভূতির সাথে আলিঙ্গনের স্বাদটুকু
আমার দুটো ছোট বোন ছিলো, আমার ছোট বোনগুলো পর্দা করেই চলাফেরা করতো কিন্তু সেই পর্দা পারেনি এলাকার বখাটেদের উত্যক্ত হাত থেকে রক্ষা করতে। বাবা থানায় দু একটি জিডি করার পরও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। অতঃপর বাধ্য হয়েছিলাম নিজের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে, বাধ্য হয়েছিলাম রাত দুটো পর্যন্ত ওঁতপেতে ছোটবোনের উত্যক্তকারীকে ধরে মাথায় অস্ত্র ঠেকাতে। আমার অনেক বন্ধুরাও আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। হ্যা এমন একটি উগ্র ভাই থাকলে বোনদের আর আর রাস্তাঘাটে ইভ-টিজিং এর শিকার হতে হয় না। আমার বোনেরা না হয় সেদিক থেকে রক্ষা পেল। প্রশাসন নয় প্রত্যেকটা মেয়ের দরকার একটি ভাই কিন্তু যাদের ভাই নেই তাদের কি হবে?।
গতকাল টিএসসির ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দেয়া কয়েকজনের স্ট্যাটাসের কিছু কিছু মানুষ নামের জানোয়ারের কমেন্টস পড়ে মনে হলো তাদের চোখে সেদিনের টিএসসিতে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি জায়েজ ছিলো। হিজাবহীন, উগ্র পোশাক পরিধান করে সেদিন টিএসসি তে যাওয়া তরুণীরা (নির্যাতনকারী জানোয়ারদের চোখে যারা মাল) নির্যাতনের শিকার হোন। দুঃখিত শুধু নির্যাতন নয় যৌন নির্যাতনের শিকার হোন। ঘটনাটিকে জায়েজ করতে একটি কথাই শুধু বলা হচ্ছে "পর্দাহীনতা" এই ঘটনার মূল কারণ যদি পর্দাহীনতাই হয় তাহলে শিশুরা কেন নির্যাতিত হচ্ছে? প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছে যৌন নির্যাতনের? যাদের বক্ষ এখনো উন্মীলিত হয়নি, শরীরে এখনো কোনো যৌনতার আবেদন নেই তারা কেন নির্যাতিত হচ্ছে? ধর্ষিত হচ্ছে? শিশু নির্যাতনের খবর প্রকাশিত হয়নি এমন কোনো দিন কি রয়েছে?
হিজাব বলতে শুধু পোশাক বোঝায় না। বরং মানুষের আচার-আচরণ,ব্যবহার, দৃষ্টিভঙ্গি এমনকি অভিপ্রায়কেও বোঝায়। পোশাকের পাশাপাশি চোখ, মন, চিন্তা এমনকি হৃদয়েরও হিজাব থাকতে হবে। পর্দাহীনতার দোহাই দিয়ে যারা সেদিনের ঘটনাটি জায়েজ করতে চাইছে তাদের এবং সেদিনের পুরুষ নামের জানোয়ারদের মাঝে কোনো পার্থক্য দেখছি না। নিজেও একজন পুরুষ তার জন্য আজ নিজেরই লজ্জা হচ্ছে, লজ্জাটা আরো বেড়ে যায় যখন সেদিনের ঘটনার স্বপক্ষে কেউ যুক্তিস্থাপন করতে আসে। তাদের ভাষ্যমতে পুরুষদণ্ড এতোই সংবেদনশীল যে, "হালকা বসনে নারীকে দেখলেই দণ্ড খাড়া হইয়া যায়, টেম্পার বাইড়া গেলে কি আর ঠিক রাখোন যায়!" আর তখনোই তারা ঝাপিয়ে পরে। ঠিক এমনটি যারা মনে করেন যে নারীর উগ্র পোশাকের জন্য সেদিন তরুণীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের উদ্দেশ্য করে কিছুই বলার নেই শুধু বলতে চাই তাদের টেম্পার বেড়ে গেলে কেউ নিরাপদ নয় এমনকি তার নিজের মা বোনেরাও।
যেই সব জানোয়ারগুলো মনে করে শুধুমাত্র পোশাকের জন্য সেদিন এভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিলো তরুনীদের, তাদের ধিক্কার দেয়ার ভাষা আমার জানা নেই আর ধিক্কার দিয়েইবা কি হবে যাদের কোনো বোধই নেই! সেদিন ঘটনার সময় সেই স্থানে শুধু নারীর শরীর দেখলেই দণ্ড খাড়া হয়ে যায় এমন পুরুষ ছিলো না, সেখানে আরো লিটন নন্দী, সুজন সেনগুপ্ত, অমিত দে'র মতো পুরুষরাও ছিলো, কিন্তু কই তারাতো তরুণীদের উপর ঝাপিয়ে পরেনি বরং নিজ দায়বোধ থেকে পাশে দাঁড়িয়েছে তরুণীদের। যার কারণে নিজেরাও হামলার শিকার হয়েছেন। প্রশাসন সেখানেও নিরব ছিলো। হায়রে আমার দেশের প্রশাসন!
আপনারা যারা মনে করছেন সেদিন টিএসসিতে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য শুধু তরুণীদের পোশাক দায়ী তাদেরকেই বলছি শুনুন দেশে বৈধ অবৈধ মিলিয়ে পতিতালয়ের সংখ্যা কয়েক হাজার, নিজেকে যদি সংযত করে রাখতে নাই পারেন তাহলে ভদ্রতার মুখোস পরে টিএসসিতে গিয়ে নিকৃষ্ট ও জঘন্যতম এমন কাজ করার চেয়ে বরং পতিতালয়ে যাওয়াই উত্তম। তবে হে সংবেদনশীল পুরুষ সাবধান ঘরে বসে উগ্র পোশাক পরিধান করা অভিনেত্রীর কোনো মুভি দেইখেন না তাহলে কিন্তু.................
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:০৮
লীন প্রহেলিকা বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপনি। তারা মানুষ নামের পশু।
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:০০
রেজা সিদ্দিক বলেছেন: Click This Link
এটা পড়ুন। ধর্মীয় স্থানেও মেয়েরা নিরাপদ নয়।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:১১
লীন প্রহেলিকা বলেছেন: ধন্যবাদ লিংকটি দেয়ার জন্য। ধর্মীয় স্থানেই তারা নিরাপদ নয় সেখানে পর্দার দোহাই কেন দেয়া হবে!
৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১৩
নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: পোশাকের দোহাই দিয়ে আর কতদিন। পোশাক কে ওরা একটি ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নিজেদের কাপুরুষতা, পশুত্ব ঢাকা দেবার জন্য।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:১১
লীন প্রহেলিকা বলেছেন: একদম সঠিক বলেছেন, এরা আসলেই কাপূরুষ।
৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
সাইলেন্ট পেইন বলেছেন: পর্দার দোহাই দিয়ে আর কত নিরব থাকা হবে…
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
লীন প্রহেলিকা বলেছেন: প্রসাশন কর্মীরাও কিভাবে নিরব থাকে? তাদেরতো দেখার বিষয় নয় পর্দা না বেপর্দা! জানি না এ কখন শেষ হবে।
৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। পূর্ণ সহমত।
পর্দাহীনতার দোহাই দিয়ে যারা সেদিনের ঘটনাটি জায়েজ করতে চাইছে তাদের এবং সেদিনের পুরুষ নামের জানোয়ারদের মাঝে কোনো পার্থক্য দেখছি না। নিজেও একজন পুরুষ তার জন্য আজ নিজেরই লজ্জা হচ্ছে, লজ্জাটা আরো বেড়ে যায় যখন সেদিনের ঘটনার স্বপক্ষে কেউ যুক্তিস্থাপন করতে আসে।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৪
লীন প্রহেলিকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬
বিজয় আবাবিল বলেছেন: টিএস সি তে নিশ্চই সেদিন হুজুর রা যায় নি যারা কিনা পর্দার কথা বলে।তো আসলে করল কারা? আর আপনার কাছে কী মনে হয় যে, কেন এই ঘটনাটা ঘটল? এসব প্রতিকারের জন্য আমরা ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ নিতে পারি?(আশা করি নিরপেক্ষ মন মস্তিস্ক নিয়ে উত্তর দিবেন)
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৫
লীন প্রহেলিকা বলেছেন:
এখানে হুজুর শব্দটিইবা আসলো কেন? সেদিনের ঘটনাটিকে জায়েজ করার জন্য মানুষের ফতোয়ার কোনো অভাব হচ্ছে না।
৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১২
তপ্ত সীসা বলেছেন: সরকারের পদক্ষেপ কাম্য। নাইলে জনতা কিন্তু আছে আপ্নের মতও।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৭
লীন প্রহেলিকা বলেছেন:
সরকার বা প্রশাসনের কতটুকু করতে পেরেছে সেদিন তা দেখেছি। আশাহত
৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এইসবই বহুকাল আগে থেকেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে আমাদের দেশে এবং সারা পৃথিবীতেই আছে। অনেক অনেককাল ধরেই। ২৫ বছর আগের, বখাটে ছেলের ভীড়ে ললনাদের রেখাই নাই, লাইনটাই এর প্রমান।
কিন্তু এইসব বিচ্ছিন্ন ঘটনার হিসেবে থাকার জন্যও একটা মাত্রা থাকে। এবার যা হইলো, এইটা মাত্রার অনেক বাইরে। কস্টের ব্যাপার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের মধ্যে এমন হইছে। অনেকে হয়তো মজাও নিছে। এইটা নৈতিকমুল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রমান দেয়।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৯
লীন প্রহেলিকা বলেছেন:
আপনি ঠিকই বলেছেন, এই নির্যাতন এখন কি তাহলে সংস্কৃতিতে যুক্ত হলো! দিন দিন এর পরিধি কেবল বেড়েই যাচ্ছে। এখনি যদি যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়া হয়ে তাহলে প্রস্তুত থাকতে হবে আরো বড় আকার ধারণের।
৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮
পলক শাহরিয়ার বলেছেন: এসব ফালতু বিতর্ক পরে করেন। আগে এইসব জানোয়ারদের বিচার/শাস্তির দাবিতে এক হোন।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২০
লীন প্রহেলিকা বলেছেন: এখনি যদি যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়া হয়ে তাহলে প্রস্তুত থাকতে হবে আরো বড় আকার ধারণের।
১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৫৫
শায়মা বলেছেন: পহেলা বৈশাখে নিশ্চয় সবাই শাড়ি পরেই ছিলো। শাড়ি কি অশালীন পোষাক?
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২০
লীন প্রহেলিকা বলেছেন: সেদিনের ঘটনাটিকে জায়েজ করার জন্য মানুষের ফতোয়ার কোনো অভাব হচ্ছে না।
১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৮
ওয়ালী আশরাফ বলেছেন: এখন যদি আপনি হাতে ভিক্ষার থালা (মানে বস্ত্রহরণকারীদের শাস্তি চাই সম্বলিত প্লেকার্ড)নিয়ে শাহবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকেন (মানব বন্ধন করেন) তাহলে আপনি একজন মানবতাবাদী সুশীল।
আর যদি আপনি বলেন, মেয়েদের পর্দা করতে হবে, শরিয়া আইনে এইসব অপরাধের শাস্তি হতে হবে তাহলে আপনি একজন মৌলবাদী জঙ্গি যে কিনা দেশকে ১৪০০ বছর পিছিয়ে নিতে চায়।
আর তখন দেখবেন যেই মেয়ে দিনে দুপুরে হাজারো মানুষের সামনে বস্ত্র হারাইছে সেই মেয়েও “দেশটাকে আফগানিস্তান বা সৌদি হতে দেব না, মৌলবাদীদের রক্ষা নাই” সম্বলিত প্লেকার্ড, ব্যানার নিয়ে আপনার বিরুদ্ধে শাহাবাগের মোড়ে মানব বন্ধনে দাড়াইছে!!
-সো কার জন্যে কাঁদবেন??কার দুঃখে ব্যথিত হবেন??দিনশেষে এরা যেই লাউ সেই কদু!!
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৪
লীন প্রহেলিকা বলেছেন:
দারুন চমত্কার করে বলেছেন আপনি। সম্পূর্ণ সহমত, বোধ কোনো পণ্য নয় যে বাজার থেকে খরিদ করে এনে দান করা যাবে।
১২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৯
নতুন বলেছেন: পহেলা বৈশাখে নিশ্চয় সবাই শাড়ি পরেই ছিলো।
যাদের শাড়ী পড়া মেয়েদের অশালীন বলে মনে হয় তাদের মাথার চিকিতসা করা দরকার...
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৬
লীন প্রহেলিকা বলেছেন:
তাদেরকে জুতাপেটাও করা দরকার যারা সেই ঘটনাকে সমর্থন জানাতে অশালীনতার দোহাই দিচ্ছে।
১৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৫
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: যারা পর্দার কথা বলছে তারা খুব বেশী খারাপ বলেনি, আমাদের নারীদের পর্দা করা একান্ত দরকার। আর পর্দা করলে দেশ পিছেয়ে যাবে এমনটি যারা ভাবেন তাদের নারীদের এগিয়ে যাবার ভাবনাটা কী তা তারাই জানেন।
আর যে সকল ঈমানী মানুষ পর্দার উপর দিয়ে সব ঝেড়ে যাচ্ছেন তারা কী আল-কুরআনের শুধু নারীবিষয়ক লেখাটাই পড়েছে? সেখানেতো পুরুষদেরও নিজ চোখকে নত রাখার কথা বলে আছে, তাও পড়ার কথা। আর যদি নিজেদের নারী/পুরুষ মনে করে তবে মাঝামাঝিদের জন্য মানব সভ্যতা বিষয়েও বলা আছে।
তবে আমি নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশাকে কিছুটা দায় দিব, কারণ টিএসসি, শহীদ মিনারসহ দেশের বন-জঙ্গলে যা হচ্ছে তা শুধু এরই ফল। তবে সবাই নিজ জায়গায় ঠিক থাকলে আর কোন কথায় হবে না।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩২
লীন প্রহেলিকা বলেছেন:
বার বার সেই একই কথাই বলছেন, পর্দার কথা! আরে ভাই তারা যদি উলঙ্গও যায় তাহেল কি তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়তে হবে? নিজের পুরুষদণ্ড কি নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে পারে না পুরুষরা? সেদিন নারীরা উলঙ্গ যায়নি বরং শাড়ি পড়েই গিয়েছিলো সেখানে।
আল্লাহ তায়ালা নিজেই সুরা আনকাবুত এর ২ নং আয়াতে বলেছেন , “মানুষ কি মনে করে, তারা একথা বললেই পার পেয়ে যাবে যে আমরা বিশ্বাস করি(ইমানদার) আর তাদেরকে পরীক্ষা করা হবেনা?"
নিজের বোধ যদি ঠিক থাকে তাহলে পোশাক কোনো সমস্যাই না। বোধ কোনো পণ্য নয় যে বাজার থেকে খরিদ করে এনে দান করা যাবে। ভালো থাকুন।ধন্যবাদ।
১৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২৪
রেজওয়ান26 বলেছেন: আপনার লেখা দেখে মনে হয় আপনি পর্দাকে ছোট করার চেষ্টা করেছেন। পর্দাকে অযথায় সমালোচনা করা হচ্ছে। পর্দা একটা পথ নিরাপদ থাকার জন্য। তবে পুরুষদের মন-মানষিকতার উন্নয়ন জরুরী।
হেফাজতের তেতুল তত্ত্বে নারী নেতৃরা সহ অনেকে এর কঠোর প্রতিবাদ করেছেন কিন্তু এখন কেন দেখা যাচ্ছেনা কাউকে? (কিছু সচেতন ব্লগার ছাড়া)
লিটন নন্দীর বক্তব্য থেকে জান যায় কয়েকজনকে স্পট থেকে ধরলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে!-এটা থেকে আসলে কি বোঝা যায়?
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩৭
লীন প্রহেলিকা বলেছেন:
আপনি তাহলে লেখার মূল বিষয়টি ধরতে পারেননি, পর্দাকে ছোট করে নয় বরং পর্দার দোহাই দিয়ে ঘটনাটিকে জায়েজ করার বিপক্ষে আমি। আমার লেখার কোন অংশটি পর্দার বিপক্ষে প্রতিনিধিত্ব করে গিয়েছে? সবাই দেখি ঘটনাটিকে জায়েজ করতেই মত্ত।
ঘটনার সংস্লিষ্ট যেসব পুরুষ নামের কুলাঙ্গার রয়েছে তাদেরকে ঘৃণা করি। হয়তো সঠিক বিচার সেই নির্যাতিত নারীরা পাবে না তাই বলে কি মুখ বন্ধ করে বসে থাকতে হবে?
১৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:২২
ওয়ালী আশরাফ বলেছেন: এ ঘটনার প্রতিবাদে-
এখন যদি আপনি হাতে ভিক্ষার থালা (মানে বস্ত্রহরণকারীদের শাস্তি চাই সম্বলিত প্লেকার্ড)নিয়ে শাহবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকেন (মানব বন্ধন করেন) তাহলে আপনি একজন মানবতাবাদী সুশীল।
আর যদি আপনি বলেন, মেয়েদের পর্দা করতে হবে, শরিয়া আইনে এইসব অপরাধের শাস্তি হতে হবে তাহলে আপনি একজন মৌলবাদী জঙ্গি যে কিনা দেশকে ১৪০০ বছর পিছিয়ে নিতে চায়।
আর তখন দেখবেন যেই মেয়ে দিনে দুপুরে হাজারো মানুষের সামনে বস্ত্র হারাইছে সেই মেয়েও “দেশটাকে আফগানিস্তান বা সৌদি হতে দেব না, মৌলবাদীদের রক্ষা নাই” সম্বলিত প্লেকার্ড, ব্যানার নিয়ে আপনার বিরুদ্ধে শাহাবাগের মোড়ে মানব বন্ধনে দাড়াইছে!!
-সো কার জন্যে কাঁদবেন??কার দুঃখে ব্যথিত হবেন??দিনশেষে এরা যেই লাউ সেই কদু!!
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৫৫
লীন প্রহেলিকা বলেছেন: দারুন চমত্কার করে বলেছেন আপনি। সম্পূর্ণ সহমত, বোধ কোনো পণ্য নয় যে বাজার থেকে খরিদ করে এনে দান করা যাবে।
১৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৪৩
মাসূদ রানা বলেছেন: ঘটনাটিকে জায়েজ করতে একটি কথাই শুধু বলা হচ্ছে "পর্দাহীনতা" এই ঘটনার মূল কারণ যদি পর্দাহীনতাই হয় তাহলে শিশুরা কেন নির্যাতিত হচ্ছে? প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছে যৌন নির্যাতনের? যাদের বক্ষ এখনো উন্মীলিত হয়নি, শরীরে এখনো কোনো যৌনতার আবেদন নেই তারা কেন নির্যাতিত হচ্ছে?
@লীন প্র্রহেলিকা,
বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও অপরাধবিদ সিজার ব্যাকেরিয়া বলেছেন : সমাজে ধর্ষনের মত ঘটনাগুলো ঘটার পেছনে মুল কারন হচ্ছে সমাজের "যৌনবিকৃত" ছেলে মেয়েরা ....... আবার ঐ সব যৌনবিকৃত ছেলেমেয়েদের যৌনবিকৃত হয়ে ওঠার পেছনে মুল কারন হচ্ছে সমাজে যৌনতার উন্মুক্ত প্রচারনা, অশ্লীলতা ...........যে সমাজে যৌনতার আবেদন যত বেশী বিকশিত, সে সমাজে ধর্ষনের প্রবনতা তত বেশী সম্ভাবনাময় ...........
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে অশ্লীলতা ধর্ষক তৈরীর গুরুত্বপূর্ন নিয়ামক ......
সুতরাং পর্দাহীনতা যে ধর্ষক উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন নিয়ামক ....... তা বাংগালীরা যত দ্রুত উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে, ততই তা তাদের জন্য মংগলজনক হবে ।
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে উত্তম বুঝ দান করুন .....
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৫৫
লীন প্রহেলিকা বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুদ রানা, পর্দার বিরোধিতা কিংবা অশ্লীলতাকে উস্কে দেয়ার জন্য আমার এই লেখা নয়। আপনি নারীর আকর্ষণ সম্পর্কে যুক্তি তুলে ধরেছেন একটিবারও মুখ থেকে আপনার সেদিনের ঘটনার জন্য কোনো ক্ষোভ দেখা গেলো না। যাইহোক নারীকে মানুষ হিসেবেই দেখা হোক। নারীদের প্রতি আকর্ষণ রয়েছে যা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। শুধু নারীর পোশাকের কথাই সবাই বললেন কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা সুরা নুর এর ৩০ নং আয়াতে পুরুষকেও বলেছেন, “হে নবী আপনি ইমানদার পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে আর লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এটাই তাদের জন্য উত্তম, তারা কি করছে আল্লাহ্ এ ব্যাপারে জানেন”
উগ্রতা কখনই সুফসল বয়ে আনতে পারে না, হোক তা নারী অথবা পুরুষের চলাফেরা।
১৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:১৮
মাসূদ রানা বলেছেন: দেখেন লীন প্রহেলিকা, পবিত্র কোরানে নারী-পুরুষ উভয়কে সমভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, যারা সতর্ক থাকবেন তারা কল্যানপ্রাপ্ত হবেন । যারা থাকবেন না তারা বিপর্যিত হবেন, তাদের নিয়ে দু;খিত কিংবা ক্ষুব্ধ হবার কোন কারন নেই
টিএসসিতে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে ইসলামী শারিয়াহ মোতাবেক ওগুলোর জন্য প্রত্যেকটা বখাটের শাস্তি হবার কথা ১০০ করে বেত্রাঘাত থেকে ক্ষেত্রবিশেষে পাথর নিক্ষেপপূর্বক মৃত্যুদন্ড ........ বাংলাদেশ সরকার কি এই আইন কার্যকর করবে ? বাংলাদেশ সরকারের আইনগুলোই যখন ধর্ষক বান্ধব ও আপনাদের দারা সমাদৃত, তখন আর আমাদের ব্যাথিত কিংবা ক্ষুব্ধ হবার কিইবা তাৎপর্য রয়েছে ........
১৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:০১
আবু জাকারিয়া বলেছেন: পুলিশ তো এদেশের মানুষের কোন উপকারেই আসেনা।
১৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
কলমের কালি শেষ বলেছেন: এদেরকে ঘৃণা করতেও ঘৃনা হয় । এরা ঘৃণারও উপরের লেভেলে ।
২০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
Arif Shahriar বলেছেন: লীন প্রহেলিকা ঠিক বললেও পর্দাপ্রথা ছোট করে ঠিক করেননি
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: যারা এসব বলে তাদের সাথে উত্যক্তকারীদের কোন পার্থক্য নেই।