নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কপটতার প্লাবনে হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে, হারিয়েছি অনুভূতির সাথে আলিঙ্গনের স্বাদটুকু

লীন প্রহেলিকা

কপটতার প্লাবনে হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে, হারিয়েছি অনুভূতির সাথে আলিঙ্গনের স্বাদটুকু

লীন প্রহেলিকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাইকুর গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কিত প্রশ্ন

১৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:০৪

''তাংকা'' কাব্যের হাত ধরে জাপানি রাজ দরবারে আসে হোক্কু বা উদ্বোধনী কবিতা যা বর্তমানে হাইকু নাম প্রচলিত। সমগ্র জাপানে এখনো প্রায় এক কোটি কবি আজও হাইকু লিখে যাচ্ছেন, জাপানীদের এই জজবা ছড়িয়ে পরেছে সমগ্র বিশ্বেই। ছোট কবিতা হিসেবে বাংলাদেশেও হাইকুর জনপ্রিয়তা রয়েছে রবীন্দ্রনাথ যাকে তিন লাইনের কবিতা বলে আখ্যায়িত করেছেন। হাইকু আমার নিজেরও অনেক পছন্দের, আর তাই চোখের সামনে হাইকু পরলে এড়িয়ে যেতে পারি না।

হাইকু'র গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে যতদূর জানি, মূলত তিনটি পঙক্তিতে যথাক্রমে (৫+৭+৫) ১৭টি সিলেবল (Syllables) বা মাত্রা নিয়ে গঠিত। তবে এ গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে মনে দ্বিধা সৃষ্টি হয় যখন কোনো ইংরেজী বা অনুবাদকৃত হাইকুগুলোর দিকে দৃষ্টি পরে। প্রশ্ন জাগে ১৭টি সিলেবলে বা মাত্রায় হাইকু লেখা হলেও মাত্র গণনার ক্ষেত্রে কোনটি শ্রেয় ''অক্ষরবৃত্ত'' না'কি ''স্বরবৃত্ত'' ? এটি সম্পর্কেই একটি সুপষ্ট ধারণা চাই।

Butterflies are cool
In the big huge, green forest.
They fly up so high.

উপরে বর্ণিত হাইকুটির যদি সিলেবল যদি গণনা করি তাহলেঃ
But / ter / flies / are / cool = 5
In / the / big / huge / green / for / est = 7
They / fly / up / so / high = 5

৫+৭+৫=১৭ টি সিলেবল যা হাইকুর মূল বৈশিষ্টের একটি। মা্যৎসুয়ো বাশো'র একটি হাইকু অনুবাদ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ এভাবে

পুরোনো পুকুর
ব্যাঙের লাফ
জলের শব্দ।

যেহেতু এটি একটি আক্ষরিক অনুবাদ ছিলো সেখানে হাইকুর মাত্রারীতি রক্ষা করা হয়নি। তবে বেগম জাহান আরা'র অনুবাদ করা ইয়োসা বুসনের একটি হাইকুতে অক্ষরবৃত্ত ছন্দের ব্যবহার করে থাকেন। যেমনঃ
মৌসুমী বৃষ্টি
অনামিকা প্রবাহী
শব্দেই তুষ্টি।

অথবা মাত্রার মৌলনীতি মেনে আবিদ আনোয়ার লিখেনঃ
বিরান বিল
হতাশ মাছরাঙা
ভাবুক চিল।

উপরের উল্লেখিত দুটি হাইকু অক্ষরবৃত্তের আদর্শ উদাহরণ হলেও স্বরবৃত্ত ছন্দেও অনুবাদ / রচিত হয়েছে হাইকু।

শিরোর একটি হাইকুর অনুবাদ করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ
কিছুই ঘটছে না
তবুও বসন্ত আজ
ভোর থেকে শুরু

অথবা ono komachi হাইকু অনুবাদেঃ
কর্তব্যবিমূঢ়
স্তনের উল্লাসে দীর্ঘ
পামবনে বৃষ্টি।

প্রয়াত কবি ও ব্লগার ইমন জুবায়ের কতৃক ফরাসী কবি পল এলুয়ার্দের একটি হাইকুর অনুবাদেও স্বরবৃত্ত ছন্দের ব্যবহার লক্ষনীয়। যেমনঃ
ইতস্তত
বাতাস
বাতাস ভরা সিগারেট গড়িয়ে নেই।

হাইকু অক্ষরবৃত্ত এবং স্বরবৃত্ত উভয় ছন্দেই প্রচলিত হবার কারণেই এই দ্বিধার সৃষ্টি। সুস্পষ্ট একটি ধারণার অনুসন্ধান করছি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:১০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: যান, লিখেই ফেলবো একটা না একটা হাইকু। লেখা শেষ হইলে খেলতে বসবো সুডোকু। :)

পোস্ট ভাল্লাগছে। আপনি দেখি কবিতা নিয়া গবেষনা করেন রীতিমত।

++

২৬ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:১৮

লীন প্রহেলিকা বলেছেন: আহা কি যে বলেন আপনি ভাইয়া। কেমন আছেন?

২| ১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৪১

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনুসন্ধিচ্ছায় ভালো লাগা অনেক।

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

২৬ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:২০

লীন প্রহেলিকা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকুন সতত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.