![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কপটতার প্লাবনে হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে, হারিয়েছি অনুভূতির সাথে আলিঙ্গনের স্বাদটুকু
প্রেমের গল্প পাঠককে আর কত খাওয়াবেন দাদা শুনি? মুখ থেকে বের হতেই শামানের কপালে বিরক্তির ছাপ যেন স্পষ্ট দেখতে পেলেন দীপক বাবু। "কিছুই যে করার নেই, পাঠক যে প্রেমের গল্প ছাড়া খেতেই চায় না। লিখে দে রে শামান; পাঠক এটা খুব ভালো খায়, পত্রিকাও বিক্রি হবে। তা না হলে শেষে ব্যবসাতো লাটে উঠবে।" মুখের উপর না করে দিতে গিয়েও থেমে গেলো শামান। ভেবেছিল ছন্দেবন্ধে এবার দীপক বাবুর বাসা থেকে বের হতে পারলেই হলো।
সপ্তাহে দুদিন ছুটির পর রবিবার সকালে আড়মোড়া কেই'বা দিতে চায়! শামানও গত দু'দিনে গড়ে তোলা অভ্যাসে চায়ের কাপ হাতে জানালার সামনে দাঁড়ায়। উপরে থেকে নীচে তাকালে যতটুকু দেখা যায় হনহন করে সকলের ছুটে চলা। সবুজের সাথে ধূসরের অযাচিত সঙ্গম। রাস্তার দু'পাশেই ফাঁকবিহীন দোকানের সারি। ময়লা ড্রেনের পাশে মাদী কুকুরটি বাচ্চা দিয়েছে। সারাদিন মিনিস্বরে ঘ্যাউ ঘ্যাউ। কেউ কেউ উচ্ছিষ্ট হাড় ছুঁড়ে দিলেও; কুকুরের প্রতি শামানের বড্ড ঘেন্না। পথের কুকুর হলেতো আর কথাই নেই।
জানালার পাশে দাঁড়িয়েই পূর্বাকে ডেকে বলল" আজ আর বের না হই। ছুটির দিনের রেষ কাটেনি। বাজারের থলে দাও আজো বরং ভালোমন্দ কিছু খাই"। থলে হাতে ধরিয়ে দেবার পর সরে আসবে আসবে মুহূর্তেই ফের জানালা দিয়ে শামানের চোখ ছুটে গেলো নিচের দিকে। আরেকটা রাস্তার ওপারে ঘোরাঘুরি করছে। লালের ছোপ ছোপ দাগ। সাহসটা মনে হয় একটু বেশিই; হয়তো মা বলেই। হঠাৎ থামানো গাড়ির ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দ হবার সাথে সাথেই হনহন করে চলা মানুষের ভিড়ে, দ্রুত গতিতে চলা গাড়ির সামনে দিয়েই পার হলে এলো এপারে। বাচ্চাটি মৃদুস্বরে ঘ্যাউ করে উঠার পর বের করে দিলো কম্পিত জিভ।
জানালা থেকে সরে টেবিলে বসে পড়ল শামান। "আজ কেবল ডাল দিয়েই চালাব"। একহাত কি-বোর্ডে রেখে অন্যহাতে তুলে নিলেন মোবাইল ফোনটি। "দীপক দাদা, আপনারতো প্রেমের গল্প চাই তাই না! আমি আসছি প্রেমের গল্প নিয়েই"।
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬
ইমরান নিলয় বলেছেন: ভালো ছিল
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধোঁয়াশে লাগলো।