নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক
জন্মসূত্রে বাংলাদেশী হওয়ার সুবাদে বাংলাদেশে ভোটার হয়েছিলাম এবং ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার সুযোগ হয়েছিলো। অনেক আকঙ্খা নিয়ে ভোট দিতে গিয়েও ভোট দিতে পারিনি। রুমে প্রবেশ করার আগেই কেউ একজন আমার নাম লিস্ট থেকে বের করে দেখে বললেন তোমার ভোট দেয়া হয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি বাসায় চলে যাও নয়তো পুলিশ এ্যারেস্ট করবে। আকাশ থেকে পরার মতো অবস্থা। অনেকটাই মন খারাপ করে বাসায় ফিরেছিলাম। ব্যাপারটা এতটাই কষ্ট দিয়েছিলো যে তারপর থেকে ভোট দেয়ার ইচ্ছেটাই মরে গিয়েছিলো। আর কখনো ভোট দেয়া হয়নি বাংলাদেশে। খুব সম্ভবত এই জীবনেও আর সেটা দেয়া হবে না।
দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর পরেও বার বারই একই বাংলাদেশের চিত্র দেখছি। এটা লজ্জা আর ঘৃণার। দেশের অবস্থা এই পর্যায়ে এসে দাঁড়াবে জানলে খুব সম্ভব বাংলাদেশের জন্য কোন মুক্তিযোদ্ধাই অস্ত্র হাতে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তেন না। তবুও তারাতো তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। আসলে দোষতো আমাদের, বাংলাদেশী প্রতিটি নাগরিকের। পত্রিকার পাতায় ছাপা ভোট চোরগুলোদের মুখ দেখে যা ইচ্ছে করে, তাতো বাস্তবে করা সম্ভব না, তাই আফসোস হয়। তবে মাঝে মাঝে মনে হয়, বাংলাদেশে আরো একটা যুদ্ধের প্রয়োজন আছে। এই যুদ্ধ হতে হবে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, পরিবারতন্ত্র এইসবের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে দেখুন, মার্কিন নাগরিক হওয়ার সুবাদে যুক্তরাষ্ট্রে ভোট দেয়ার অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। ব্যবধানটা ঘুরে ফিরে ঐ মানুষগুলোই।
আসলে গণতন্ত্র সব দেশের জন্য নয়।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৪৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: পদ্ধতি মানুষ তৈরী করে, আর বুথে ঢুকে অন্যের ভোট নিজে বোতাম চেপে দিলে বা দিতে বাধ্য করলেও সেটা ঐ জালিয়াতির মধ্যেই পড়ে।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০৪
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: চাটুকারিতা মোটেই ভালো নয় | কোনো দলের সমর্থনের মানে এই নয় যে নিজের বিবেক বন্ধক দিয়ে তার অন্যায় কর্মকান্ডকে সমর্থন করতে হবে | বাংলাদেশে অনেকেরই মানষিকতার এমনি দৈন্যদশা হয়েছে যে তার দল যদি বলে সূর্য্য উত্তর দিকে উঠেছে তারাও সমস্বরে বলে উঠে "হ্যা হ্যা ...সূর্য আসলেই উত্তর দিক দিয়ে উঠে |
বাংলাদেশে অধিকাংশ সময়ই ভোট নিয়ে তামাশা হয়, এবারও তার ব্যতিক্রম নয় | তাই ভোট নিয়ে দলকানাদের কাছ থেকে এর চেয়ে আর বেশি কি আশা করা যেতে পারে |
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার মতামতের সাথে পুরোপুরি একমত।
আমেরিকায়ও এই রকম কিছু চাটুকারি বা অন্ধ দল সমর্থক রয়েছে। যে কারণেই আমি নিজেকে বরাবরই "ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভোটার" বা নিরপেক্ষ ভোটার হিসেবে দাবী করি। শুধু ভোটের আগে প্রার্থীর যোগ্যতা, প্রতিশ্রুতি এবং পূর্ব ট্র্যাক রেকর্ড দেখেই ভোট দিই।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত বেশীরভাগ আমেরিকানরাই চোখ বন্ধ করে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে ভোট দেন এবং তারা এখনো দেশ থেকে নিয়ে আসা "দলকানা" অসুখ থেকে এখনো সুস্থতা লাভ করেন নি। তাদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২০
রাজীব নুর বলেছেন: একটা দুইটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে পুরো দেশের ভোট সম্পর্কে ধারনা করা ঠিক না।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বিগত ২০ বছরের অভিজ্ঞতা/জানা যদি যদি খারাপ হয়, তাহলে বিষয়টা ভেবে দেখার মতো। এ ব্যাপারে আমি দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কারোর মন্তব্যকেও চোখ বন্ধ করে এড়িয়ে যাবো। ধন্যবাদ।
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
যদি ভোট দিতে পারতেন তাহলে কি আজ একটি গল্প লিখেতে পারতেন? দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ দিন। ( আর কিছু করার নেই)
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৬
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: এ ধরনের গল্প বা মতামত লিখাটাকে আমি আমার দুর্ভাগ্য বলে মনে করি। ধন্যবাদ।
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে যে ধারা সৃষ্টি করেছে, তা ভবিষ্যতে বিএনপি যদি কোন রকমে ক্ষমতায় আসে একই কান্ড করবে। আলটিমেটলি সাধারণ জনগণেরই কষ্ট হবে...
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৭
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার মতো যদি দেশের বাকি দলকানা লোকগুলো বুঝতে পারতো......
৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই রক্ত, এই দেশ বাংলাদেশ, মাতৃভূমি সালাম তোমাকে ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: শুধু মৌখিক দেশভক্তিই যথেষ্ট নয়। সেটা আমাদের কাজেও প্রতিফলন ঘটতে বা ঘটাতে হবে। দেশটা কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৪০
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এবার ভোট দেবার পদ্ধতি ভিন্ন , তাই
জালিয়াতির সম্ভাবনা নাই ।