নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ একজন মানুষ। বলার মতো বিশেষ কিছু নেই। মনের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চাই। ভালো লাগে কবিতা, লিখা-লিখি আর ছবি তোলা, এইতো! https://prokashoni.net

ইফতেখার ভূইয়া

গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক

ইফতেখার ভূইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রিকস - এ বাংলাদেশের স্বপ্ন ভঙ্গ

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪


আর্ন্তজাতি অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় পশ্চিমাদের প্রভাব তথা লেনদেনে ডলারের একচ্ছত্র আধিপত্য ইউরোপ-আমেরিকার অনুকূলে থাকলেও তা এশীয় এবং আফ্রিকা মহাদেশের জন্য বেশ দুঃশ্চিন্তার কারন বেশ অনেক আগে থেকেই। বিশেষ করে ডলার আমেরিকার মুদ্রা হওয়ায়, দেশটি তার ইচ্ছে অনুযাীয় যে কোন দেশের উপর অর্থনৈতিক স্যাংশন আরোপ করতে পারে। আমেরিকা আগেও বহুবার ডলার-কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে আর এখনো করছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া কর্তৃক ঘোষিত ইউক্রেনে "স্পেশাল মিলিটারী অপারেশন" শুরু হওয়ার পর থেকেই আমেরিকা রাশিয়ার উপর একের পর এক স্যাংশন আরোপ করে যাচ্ছে। আর এ কারণেই বিশ্ব-বাজারে ডলার নিয়ে যে সংশয় তৈরী হয়েছে তা মূলত "ব্রিকস" উদ্যোগের গতিকে আরো তরান্বিত করেছে এবং করছে।

ঊদীয়মান অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে রাশিয়া, ব্রাজিল, চীন, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে প্রাথমিকভাবে যাত্রা শুরু হলেও এ বছর আরো কিছু (৬ টি) নতুন দেশের নাম যোগ হয়েছে সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে। যাদিও ব্রিকসে যোগ দেয়ার জন্য আবেদন করা দেশগুলোর তালিকায় আরো অনেকগুলো দেশ রয়েছে। সেই তালিকায় বাংলাদেশ থাকায় এবং এ বছর সদস্য পদ লাভ না করায় ঢাকা কিছুটা উদ্বিগ্ন বটে। তবে আমার ধারনা প্রশাসন পুরো বিষয়টিকে কিছু হালকা ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। প্রশাসনের মতো আমিও মনে করি ব্রিকসে যোগ দেয়াটা বাংলাদেশের জন্য অনেকটাই জরুরী। তাহলে বাংলাদেশ কেন এ বছর সদস্যপদ লাভ করতে পারে নি? বিষয়টি ভাববার মতো।

তার আগে কিছু বিষয় খোলাসা করা যাক। প্রাথমিকভাবে পাঁচটি দেশ নিয়ে ব্রিকসের যাত্রা শুরু হলেও ব্রিকস ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ২০২১ সালে উরুগুয়ে, আরব আমিরাত ও বাংলাদেশকে তাদের সম্ভাব্য নতুন সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছিলো (সূত্র)। ধারনা করা হয়েছিলো ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিতব্য সামিটে এই দেশগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম পর্যায়ে নতুন সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ব্রিকসে যোগদান করবে। বাস্তবে তেমনটা হয় নি। কিন্তু কেন?

রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক গভীর ও পুরোনো। বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে রাশিয়া বাংলাদেশকে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে সমর্থন দিয়ে এসেছে। নিজস্ব স্বার্থের কারনে হলেও রাশিয়া বাংলাদেশকে ব্রিকসে দেখতে চাইবে এমনটাই আশা করা হয়েছিলো। অন্যদিকে ২০১৬ সালে চীন প্রথমবারের মতো বাংলাদশকে তাদের কৌশলগত মিত্র ঘোষণা করে (সূত্র)। সেই থেকে চীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্ম-কান্ডের অংশীদার হিসেবে সুবিধা দিয়ে এসেছে। ব্রিকসে বাংলাদেশের যোগদানের ব্যাপারে বরাবরই সবুজ সংকেত দিয়ে এলেও শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশকে সদস্যপদ দেয়া হয়নি।

চীন, রাশিয়ার ও দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থনের পর, মূলত ভারত আর ব্রাজিলের কারনেই বাংলাদেশের সদস্যপদ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরিষ্কার ভাষায় ভারত-কে উল্লেখ না করা হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সামিটের আগে উল্লেখ করেন যে ব্রিকসের বর্তমান সদস্য রাষ্ট্রগুলো কিছু বিষয়ে মতৈক্যে পৌছাতে পারেন নি। ধারনা করা হয় মূলত আমেরিকা কর্তৃক আরোপিত স্যাংশনের কারনে ভারত ও ব্রাজিল বাংলাদেশকে এখনই সদস্যপদ দেয়ার ব্যাপারে সমর্থন দিয়ে আমেরিকার বিরাগভাজন হতে চায় নি। বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়ে উঠে সামিটে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে (সূত্র)। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে তার অভিযোগও তুলে ধরেছেন।

লক্ষ্য করলে দেখবেন, নতুন সদস্য রাষ্ট হিসেবে ইথিওপিয়াকে-ও গ্রহণ করা হয়েছে যাদের নমিনাল জি.ডি.পি (১৫৬ বিলিয়ন, ২০২৩) বাংলাদেশ (৪২১ বিলিয়ন, ২০২৩) থেকেও অনেক কম। অর্থনৈতিক অগ্রগতির বিভিন্ন মাপ-কাঠিতেও বাংলাদেশ ইথিওপিয়া থেকে অনেকটাই এগিয়ে। তার পরেও বাংলাদেশের সদস্যপদ না পাওয়ার তেমন কোন যৌক্তিক কারণ খুঁজে বের করা বেশ কঠিন ব্যাপার।

এখানে মনে রাখা প্রয়োজন ভারত এবং ব্রাজিল উভয়ই আমেরিকার অন্যতম বানিজ্যিক অংশীদার। আমেরিকা প্রদত্ত তথ্যানুযাীয় ২০১৯ সালে ভারত ৫৭.৭ (সূত্র) ও ব্রাজিল ৩০.৮ (সূত্র) বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমেরিকায় রপ্তানি করেছে। স্বাভাবিকভাবেই দেশদুটো আমাদের সমর্থন দিতে রাজি হয় নি। আর ব্রাজিলের তুলনায় ভারতের আমেরিকায় রপ্তানি বাণিজ্যের আর্থিক মূল্য অনেক বেশী তাই দাদারা বাংলাদেশকে সমর্থন দেয় নি।

এক রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমেরিকা ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২ বিলিয়ন ডলারের (সূত্র) আর্থিক সহায়তা বাংলাদেশকে দিলেও দেশটির সাথে সম্পর্ক অনেকটাই তেঁতো হয়ে আছে বিভিন্ন কারনে। বিশেষ করে বাংলাদেশের চীন ও রাশিয়া প্রীতি বা নির্ভরতা আমেরিকাকে আরো বেশী উদ্বিগ্ন করে তুলেছে সন্দেহ নেই। সম্পর্ককে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা চললেও বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে আমেরিকা অনেকটাই নাখোশ। সেই সাথে বাংলাদেশের সাথে চীনের তুলনামূলকভাবে বেশী মাখামাখিকেও ভারত সুনজরে দেখছেনা। অনেকেরই মনে থাকার কথা যে চীন বাংলাদেশের কাছে দুটো সাবমেরিন বিক্রয়ের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী নাখোশ ছিলো ভারত। পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারত মায়ানমারকে দুটো ভারতীয় সাবমেরিন দিয়েছিলো।

যাইহোক, কিছুদিন আগেই নরেন্দ্র মোদী আমেরিকা সফর করে এসেছেন, কিন্তু তার সফরের আগেই আমাদের মোমেন সাহেব ভারত সফর করে এসেছেন ভারতের মাধ্যমে আমেরিকাকে বাংলাদেশের ব্যাপারে বার্তা দেয়ার জন্য। যদিও এ ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি "নো কমেন্টস" বলে এড়িয়ে যান (সূত্র)। ধারনা করা হয় বাংলাদেশের উপর আরোপিত আমেরিকার ভিসা সংক্রান্ত ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনকে নমনীয় হওয়ার ব্যাপারে মোদীর মাধ্যমে কোন মেসেজ দেয়া হয়ে থাকতে পারে, যদিও এধরনের কোন বিষয়ে ভারত প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করে নি (সূত্র)।

ছবি কপিরাইটঃ দ্যা বিজনেস স্ট্যানডার্ড।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে। স্বপ্ন আর কি ভঙ্গ হবে?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: তা যা বলেছেন। ধন্যবাদ।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬

রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলার মানুষ ঘুমায় না। তারা অনেক ব্যাস্ত। আকাশ্চুম্বী দেয়াল গড়ার কাজে। শুনবেন দেয়াল টা কিসের? মানুষ আর বড়লোকের মধ্যে সীমা রেখা তৈরীর দেয়াল। তাই তারা স্বপ্ন দেখে না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: মুক্ত বাজার অর্থনীতি পৃথিবীর সব প্রান্তেই এই একই দেয়াল তৈরী করেছে বা করছে। বিষয়টি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো বিশ্বের জন্যই ভাবনার বিষয়। ধন্যবাদ।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা বাংলাদেশের জন্য শাপে বর হয়েছে মনে হয়। কারণ এই মুহূর্তে অ্যামেরিকার বিরাগভাজন হওয়া বাংলাদেশের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। আমাদের রপ্তানি আয় বা বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থ বেশীর ভাগ আসে ইউরোপ, অ্যামেরিকা আর মধ্যপ্রাচ্য থেকে। রাশিয়া, চীনের সাথে ঋণের সম্পর্ক আছে। ভারতের সাথে সব সম্পর্কই আছে। আমাদের দেশের রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে পশ্চিমের প্রভাব বেশী। আর ব্রিকসের কোমর সোজা হতে আরও অনেক সময় লাগবে। আদৌ পারবে কি না সন্দেহ আছে। সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে অনেক সমস্যা আছে। এদের গতিও খুব শ্লথ। প্রায় ১৫ বছর হয়ে গেছে তেমন কোন দৃশ্যমান কিছু দেখা যাচ্ছে না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: প্রথমদিক কার বেশ কিছু কথা সত্য। তবে ডলার নির্ভরশীল অর্থনীতি একটা সময়ে আরো প্রকট সমস্যার মুখোমুখি হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যা সেটার কিছু আঁচ আমাদের সবাইকেই কম-বেশী দিয়েছে বলে আমার মনে হয়। ধন্যবাদ।

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৩

শাহ আজিজ বলেছেন: খুব ভাল উপস্থাপনা । আমি অপেক্ষা করছি শেষমেষ কি ঘটে বাংলাদেশের কপালে । বাংলাদেশ এখন ঝুলন্ত রশির ওপর হাঁটছে ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বাংলাদশে আমেরিকার স্যাংশন থেকে মুক্তি না পাওয়ার আগ পর্যন্ত সদস্যপদ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই আমার মনে হয়। দেখা যাক। ধন্যবাদ।

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশটা স্বাধীন। ৭১ এ যুদ্ধ করতে হয়েছিলো। আমেরিকা এসে দেশটাকে স্বাধীন করে দিয়ে যায়নি। আমেরিকার সব কথা মেনে নিলে আমাদের দেশ হবে আরেক ইউক্রেন। ভারত আমাদের বন্ধু। আমাদের জন্য যা ভালো, তাই করবে ভারত।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমেরিকার কথা না মানলেও বিপদ আরো বাড়তে পারে। মনে রাখা জরুরী, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে তা রক্ষা করা আরো বেশী কঠিন। পররাষ্ট্রনীতিতে "বন্ধু" শব্দটি বেশ আপেক্ষিক। নিজের ক্ষতি করে কেউই আপনার উপকার করবে না তা সে যত ভালো "বন্ধু" রাষ্ট্রই হোক। ভারত-ও তার ব্যতিক্রম নয়, আমার মতে এ ব্যাপারে আমাদের খুব বেশী আবেগ প্রবণ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। ধন্যবাদ।

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণমূলক লেখা। মানে হচ্ছে ভবিষ্যতে ব্যবসা বাণিজ্যে বাংলাদেশ মেলায় পতিত হবে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, প্রথমত ব্রিকসে যাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তার মধ্যে সবগুলো দেশই অর্থনৈতিকভাবে সামনের দিকে অগ্রসরমান দেশ এবং এদের সবার অর্থনৈতিক অবস্থাই বাংলাদেশের তুলনায় ভাল। “আমরা তো এখনো এলডিসিভূক্ত দেশ হিসেবেই আছি। আর ব্রিকসে যারা আছে তাদের লেভেলটা তো আরেকটু উপরে।” সুত্র ঃ বিবিসি বাংলা

ইথোপিয়া সম্পর্কে Click This Link এই লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: উনার বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করছি। ইথিওপিয়া-ও এল.ডি.সি ভুক্ত দেশ এবং তাদের অবস্থান বাংলাদেশের চেয়ে ভালো কিভাবে তা আমার বোধগম্য নয়। আপনি এ ব্যাপারে ইউ.এন. -এর তৈরী বাংলাদেশইথিওপিয়ার কান্ট্রি প্রোফাইল দেখলে আরো পরিষ্কার বুঝতে পারবেন। আমি স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের প্রশাসনের বা কোন ব্যক্তির বক্তব্য যাচাই না করে বিশ্বাস করি না।

৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ভারত ব্রিকসে আমেরিকার পারপাস সার্ভ করে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমি বিষয়টিকে ঠিক ওভাবে দেখছি না। ভারত আমেরিকা এবং রাশিয়া দুটোকে-ই ব্যালেন্স করে চলার চেষ্টা করছে। রাশিয়া-কে নাখোশ করা যাবে না তেল আমদানির কারনে। আর আমেরিকাকে নাখোশ করা যাবে না রপ্তানি বাণিজ্যের কারনে। ধন্যবাদ।

৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৬

ডার্ক ম্যান বলেছেন: Click This Link

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমেরিকা ভারতের ব্যাপারে যে ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি রাখে তা নিতান্তই স্ট্র্যাটেজিক। আঞ্চলিক পরিমন্ডলে মূলত চীন-কে চেকে রাখার একটি উপায়। প্রকৃত অর্থে আমেরিকা খুব বেশী কেয়ার করে না যে ভারতে মোদী আছে না অন্য কেউ। পুরো বিষয়টিই পররাষ্ট্রনীতির একটি অংশ। ধন্যবাদ।

১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: আবার এলাম।
কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
ধন্যবাদ আপনাকে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: রাজীব ভাই, আপনি মজার লোক :`> ধন্যবাদ আপনাকেও।

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০২

জুন বলেছেন: আগামীকাল থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লীতে শুরু হচ্ছে জি ২০ সন্মেলন। বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতারা আসবেন, মোলাকাত করবেন, যৌথ বৈঠক করবেন, দুনিয়া উদ্ধারের জন্য বক্তৃতা করবেন, বানী দিবেন তারপর তারা খাবেন। আর তার জন্য সরবরাহ করা হয়েছে সোনা রূপার থালা বাসন যা নাকি ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রতীক। এই উপমহাদেশের কারা সোনা রূপার থালা বাসনে খেতো খুব জানতে ইচ্ছে করে। হয়তো রাজা বাদশাহরা খেয়েছে, কিন্ত সাধারণ মানুষ! তারা! তারা তো শুনেছি কলাপাতা নয়তো মাটি। ধনী জমিদার পরিবারে কাসা পিতল। যাক নেতারা জি ২০ সম্মেলনে সোনা রূপায় খাবে কিন্ত সারা দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষ যে অনাহারে অর্ধাহারে আছে সেই খবর কি তাদের কাছে আছে?
আমার মন্তব্যে বেহুদা কেউ যেন ক্যাচাল করতে না আসে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে আমিও পূর্ণ সহমত পোষণ করি। এই অঞ্চলের মানুষগুলো এখনো প্রশাসনকে রাজা আর জনগণকে প্রজার মতো ভাবে বলে আমি মনে করি। তথাকথিত নেতা-নেত্রীরা গণতন্ত্রের বুলি মুখে আওড়ালেও বাস্তবে তারা জনগণ থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। কেবল ভোটের আগে নিজের চেহারা দেখিয়ে যায় কিছু মিথ্যে বুলি আওড়ায়ে। আর জনগণও কেবল প্রতীক দেখে ভোট দেয়ার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে নিজের কাজ-কর্ম বাদ দিয়ে। শাসন-শোষণের আর অন্যায়-অত্যাচারের প্রেক্ষাপট বদলালেও তাদের স্বরূপ বদলায় নি বলেই আমি মনে করি। আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

না, কেউ ক্যাচাল করতে আসবে না। আমার ব্লগে "ক্যাচালকারী" সোজা ব্লক তালিকায় যাবে। আমি ক্ষমায় বিশ্বাস করলেও কাউকে ব্লক করলে এই জীবনে সেই ব্লক সরানোর কোন সুযোগ নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.