নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক
বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে হতাশ আমি দীর্ঘদিন ধরেই। খেলা দেখাও বন্ধ করেছি অনেকদিন হলো। এর হাজারো কারন থাকলেও সেগুলো নিয়ে আমি আলোচনা করতে ইচ্ছুক নই। সম্প্রতি বাংলাদেশ পাকিস্তান সফরে গিয়ে টেস্ট সিরিজ জয় করেছে। খবরটি অত্যন্ত খুশির হলেও সেটা নিয়ে আমি খুব বেশী উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো তেমন কিছু দেখি না। একটি দেশের জাতীয় দল হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে খেলছে দীর্ঘদিন ধরে, সে অনুপাতে আমাদের এই দলটির অর্জন খুবই কম। যদিও তাদের পেছনে বছরে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়।
আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে একটার পর একটা বাজে পারফরম্যান্সের পরও হঠাৎ করেই কোন ম্যাচ বা সিরিজ জিতলেই এই নাটক শুরু হয়ে যায়। আমার প্রশ্ন হলো কেন তাদের এই অতিরিক্ত তৈল মর্দন? আজ দেখলাম বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকটে দলকে সর্বমোট ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বোনাস হিসেবে দেয়া হচ্ছে (সূত্র)। দলকে জেতানোর জন্যই বছর জুড়ে তাদের পেছনে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করা হয় এমনিতেই, তার উপর জনগণের টাকা দিয়ে এই ধরনের অর্থ বিলাস এর হেতু কি? জাতীয় দলে এসে নিজেকে ঝাঁলাই করার কোন সুযোগ নেই এখানে পারফর্ম করতে হবে। তাহলে এই খরচ কেন যখন দেশে রিজার্ভ এত কম, যখন ব্যাংকিং খাতে সংস্কার চলছে?
বাঙালী আবেগী জাতি বুঝতে পারি, এদের কাছে নীতি-নৈতিকতার চেয়ে তেলে মাথায় তেল ঢালাও ক্ষেত্র বিশেষে যৌক্তিক মনে হলেও আমার কাছে সেটা কখনোই মনে হয় না। এ ধরনের লো সেল্ফ এস্টিম মানসিকতা থেকে আমাদের বের হয়ে আসা উচিত। খেলোয়াড়দের-কে কেবলই খেলোয়াড় হিসেবেই দেখুন, মনে রাখবেন এরা কেউই ফ্রীতে খেলছে না বা খেলে জাতিকে উদ্ধারও করছে না। আর সবার মতোই খেলাটাও তাদের চাকুরী। এর চেয়ে কম বা বেশী মনে করা হবে বোকামি। ধন্যবাদ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ভাবখানা এমন যেন বিশ্বকাপ জিতে গিয়েছি আমরা। বিশ্বকাপ জিতে গেলেও আমাদের পেশাদারিত্ব ধরে রাখা উচিত। জমি/ফ্ল্যাট দেয়া কিংবা টাকা বিলানোর মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। এগুলো এক ধরনের ছোটলোকিপনা কিংবা অপেশাদারী আচরণে বলে আমার মনে হয়। ধন্যবাদ।
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: শুধু খেলোয়াড় কেন? কেউই ফ্রীতে কিছু করে না।
কিছু দিন আগে একজন ক্যাপ্টেনকে সেনা পদক দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র ফালতু মহিলার উগ্রতা হজম করার জন্য। অথচ এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারছে না কেউ ভয়ে।
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একমত। সব জায়গাতেই রাজনীতি এবং বাণিজ্য ঢুকে গেছে। খেলাধুলা সংক্রান্ত যে বোর্ডগুলি আছে সেগুলিকে রাজনীতি মুক্ত করতে হবে এবং পেশাদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভালো পরিকল্পনারও দরকার আছে। দেশে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে দেশের আনাচে কানাচে। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এদেরকে তুলে আনতে হবে। একই খেলোয়াড় খারাপ করা সত্ত্বেও বছরের পর বছর খেলে যাচ্ছে। কারণ পাইপ লাইনে খেলোয়াড় আমরা তৈরি করতে পারিনি। আবেগ বাদ দিয়ে নীতি নৈতিকতা প্রয়োগ করতে হবে জাতির স্বার্থে।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: একটা দুটো ম্যাচে খারাপ করলেই তাকে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখা উচিত। কোন এক কালে একদিন বা দুদিন ম্যাচে ভালো করেছিলো সেটা ধরে বছরের পর বছর এদের পালার কোন কারন দেখি না। ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খারাপ হলে খয়রাতির থালা ধরিয়ে সোজা বিদেয় না দিলে তারা ধরেই নিবে তাদের জায়গা পাকাপোক্ত হয়ে গেছে, এটা করতে দেয়া যাবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৬
আ. স. ম. জিয়াউদ্দিন বলেছেন: একমত - যদি জিতলে পুরষ্কার - তাইলে কেন হারলে তিরষ্কার হবে না?