নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের চেহারার দিকে তাকিয়ে কিছুই দেখি না। তবে, মানুষ হয়ে মানুষকে ভুল বোঝা আমার স্বভাবে নেই, আপনার পেশা যাই হোক না কেন।

প্রসেনজিৎ হালদার

প্রসেনজিৎ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের রাজনীতি

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

রাজনীতি নিয়ে অনেক আগে থেকেই আমার তেমন আগ্রহ নেই। তবু গণতান্ত্রিক দেশে বসবাস করায় এর বাইরে থাকার সুযোগ নেই। আমিও শামিল হই রাজনীতির মাঠে। কখনো মিছিল, কখনো মিটিংয়ে। কোন দল করবো তা ভেবে ভেবে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। দলটি আর করা হয় না। আর জীবনের টানাপোড়েনে রাজনীতির হিসাব আর মেলাতে পারিনি। তাই প্রত্যক্ষ রাজনীতি কখনো করা হয়ে ওঠে নি।

চোখের সামনে বেশ কয়েকটি নির্বাচন দেখার সুবাদে সামান্য ধারণা হয়েছে রাজনীতি নিয়ে। অনেক বিশেষজ্ঞ রাজনীতিকে কোন কাজ মনে না করলেও, এর থেকে মহৎ যে আর কোন কিছু হয় না তা আমি বুঝি। কারণ, একসঙ্গে এতো মানুষের সেবা করার সৌভাগ্য মন্ত্রী-এমপি-চেয়ারম্যানেরই হয়। আপনার আমার মতো সাধারণের জন্য নয়। তাও দেখুন, এই কাঁদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতির ময়দানে সাধারণই সকল ক্ষমতা উর্ধ্বে। কারণ, আমরাই একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা তুলে দিই। তারপর সকলেই জানে কি হয়।

কিন্তু, ভবিষ্যতের কথা কেউ বলতে পারে না। তা ধারণা করা গেলেও সেটি অন্ধকারে গুলি ছোড়ার মতো ঘটনা হয়। কিন্তু, হাতের আঙুল গুনেও অনেক কিছুর পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া সম্ভব। বর্তমান সময়ের রাজনীতি নিয়ে হাতের আঙুল গুনলে ফলটা মন্দ আসে না। যদিও তা আমারই হিসাব। অনেকে অন্য রকমও হিসাব করতে পারেন।

রাজনীতিতে এসে ক্ষমতা দখল করে এখন আর কাজ না করার সুযোগ নেই। কেননা এ আমলে তরুণ-যুবক সবাই কাজের ব্যাপারে অতি সংবেদনশীল। হোন না সে সামাজিক যোগাযোগে বিচরণ। আমি সেটিকেও একটি কাজের মধ্যে ফেলি। যখনই কোন রাজনীতিক অনৈতিক কাজ করবে, তখনই কেউ না কেউ সরাসরি না বলতে পারলেও সেখানে (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) বলতে পারবে, আকারে-ইঙ্গিতে।

ভোট তরুণ-যুবকদেরই এখন বেশি। আগে দেখেছি, নির্বাচনের অনেক আগে থেকে দল করে এমন লোক ঠিক নির্বাচনের আগের দিন অল্প সার্থের বিনিময়ে তার ভোটটি স্থানান্তর করে। আশা করি, সুদূর ভবিষ্যতে এমনটি আর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কেননা, এখন সবার পকেটেই ৫০০-১০০০ টাকা থাকে।

ইদানিং সাধারণ মানুষের কাজের চাঁপ এতো বেড়েছে তা ভাবাই যায় না। কারো হাতে সময় নেই। যেহেতু ভোট সবার হাতেই আছে। তাই না ভেবেও উপায় নেই। সবাই চায় আসল মজাটা নিতে। জানতে বুঝতে চেষ্টা করে কি হতে চলেছে। আর এতেই আগ্রহ বাড়তে থাকে। ভালো মানুষের প্রতি সাধারণ জণগন ভালো দৃষ্টিতেই তাকায়। আর খারাপদের গালি দেয়। আগে জনসম্মুখে দিতে সাহস না পেলেও এখন মানুষ দ্বিধা করে না। সুতরাং পালানোর কোন সুযোগ নেই।

আপন বুঝ সবাই বুঝে, সে পাগল হলেও। রাজনীতিকদের সেই প্রবণতারও কমতে শুরু করেছে। রাজনীতি করে ধনী হলে, পরে যে তা কোন উপায় উন্মোচিত হয় এও নতুন নয়। তত্ত্বাবধায়কের আমলের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। এরপর থেকে যে কেউ হয়তো দুর্নীতি দমন কমিশনের হটলাইনে ফোন দিয়ে বলবে, ‘ওমুকে টিন খেলো, তমুকে রাস্তা’। ব্যাস, আগুন লেগে যাবে দোষীর মাথায়। কাজেই সাবধান না হয়ে উপায় আছে!

সম্পত্তির লোভ কার নেই। তাই বলে যদি কেউ চিন্তা করে সীমানা ছাড়া সম্পদের তাহলে কিভাবে চলে। সম্পত্তি বানাতে বানাতে সারা পৃথিবী তার সম্পত্তি হলেও লোভ কখনো শেষ হয় না। এরপর সে চিন্তা করে চাঁদ-মঙ্গলকেউ তার সম্পত্তি বানানোর জন্য। ভবিষ্যতের জন্য কতো সম্পত্তি দরকার সে হিসাব থাকে না লোভীদের কাছে। এরই মাঝে সৃষ্টিকর্তার নির্দেশে যদি তার ঘরে একটি স্বচ্ছ শিশু বেড়ে উঠে। তবে সে সম্পত্তির তোয়াক্কা করবে না। কিন্তু, তা তো বাস্তবে হতে দেখা যায় না। চোরের বেটা হয় চোর, ইদানিং সাধুর ব্যাটাও চোর। মানে চোরের খেলা। তবে ভালো যে নেই তা নয়। এখানে তাদেরেই কথা বলা হচ্ছে।

যুক্তি তর্কের সমাপ্তি খুব কম সময়ই হয়। কাওকে না কাওকে হার মানতেই হয়। রাজনীতির ময়দানেও তেমনি অবস্থা। একদল জিতলে করে ফুর্তি, আরেকদল কেঁদেই পাড় করে দীর্ঘ সময়। জিতলে লাভ হতো এর জন্যই কান্না। হেরে গিয়ে দুর্নীতির জাল থেকে রক্ষা পেল সে হিসাব কারো নেই। যে ক্ষমতায় আসে সেই দুর্নীতি করে। এর ব্যাতিক্রম হয় খুব কম সময়। তবুও আশায় দিনগুনি। একদিন হয়তো এ মাঠে কেউ নামবে যে সত্যিকারের হাল ধরবে। মুখে ভালো মানুষের মুখোষ না এঁটে গায়ে ময়লা নিয়েও হবে পরিস্কার মানুষ। আঁশা বাচিয়ে রাখে আমাদের রাজনীতি ফেলে বিপদে। কখনো দলের লোকদের, কখনো বিরোধীদের, কখনো সাধারণের- এই-ই আমাদের রাজনীতি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

হাবিব বলেছেন: আমাদের রাজনীতি কি ঠিক আছে?

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

প্রসেনজিৎ হালদার বলেছেন: ভাবার বিষয়...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.