নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

..।

প্রত্যাবর্তন@

০০০০

প্রত্যাবর্তন@ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিষয়টা জানেন এমন ব্যক্তিদের কাছে প্রশ্ন ঃ একজন মুসলমানের ইস্লামি প্রতিষ্ঠানে চাকরি না করে সুদী ব্যাঙ্কে চাকরি করে যাওয়া হারাম কিনা?

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

একটি কথোপকথনঃ

ক ঃ “ আপ্নে বলতেছেন আপনি নাস্তিক । তাহলে আপনি যে চাকরি বা অন্য কোন ফর্মে ইসলাম ধর্মে টিক দেন সেইটা কি ভন্ডামি না । এই ভন্ডামির কারণ কি ?”

খঃ “ আপ্নেরা ধার্মিকেরা আমার এই ছোট ভন্ডামির চাইতে আরো বড় বড় ভন্ডামি করেন মিয়া । তাছাড়া ফর্মে কি নাস্তিক নামে ঘর থাকে নাকি । আর যদি আপ্নেরা ধার্মিকেরা নিশ্চয়তা দেন ফর্মের অন্যান্য অংশে নাস্তিক লেখলে আপ্নারা আমার চাকরি বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়া হ্যারাস করবেন না তাইলে লিখতে কোন অসুবিধা ছিল না । “

কঃ “ আপ্নে আর ধর্ম নিয়া আজেবাজে প্রশ্ন তুলবেন না । আমার ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে “

খঃ “ রাখেন মিয়া । এত ইসলাম বুকের মধ্যে থাকলে তাইলে উপার্জন সুদী টাকায় খান কেন ? চাকরি তো করেন সুদী ব্যাঙ্কে ‘

কঃ কী বল্লেন ? কী বল্লেন আপনি ?

এরপর উপস্থিত অন্যান্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি ওইখানেই শক্তভাবে থামানো হয়, যাতে বাকবিন্ডতা আরো খারাপের দিকে মোড় নিতে না পারে ।

তো, ব্লগে এই বিষয়টা উল্লেখের কারণ হল যেহেতু পবিত্র কোরানে সুদ না খাবার আদেশ সঙ্ক্রান্ত বেশ কিছু আয়াত রয়েছে , সেহেতু ব্লগের ইসলাম বিষয়ে জানেন এমন ব্যক্তিদের মতামত কাম্য যে একজন মুসলমানের ইস্লামি প্রতিষ্ঠানে চাকরি না করে সুদী ব্যাঙ্কে চাকরি করে যাওয়া হারাম কিনা?

** রিবা বা সুদ সঙ্ক্রান্ত আয়াতসমূহ ( পরে সংযোজিত) ঃ

O ye who believe! Fear Allah and give up what remains of interest, if you are truly believers. But if you do it not, then beware of war from Allah and His Messenger; and if you repent, then you shall have your principal; thus you shall not wrong nor shall you be wronged.
Chapter 2, Al Baqara, Verses 278-279

So, because of the transgression of the Jews, We forbade them pure things which had been allowed to them, and also because of their hindering many men from Allah’s way. And because of their taking interest although they had been forbidden it, and because of their devouring peoples wealth wrongfully. And We have prepared for those of them, who disbelieve, a painful punishment.
Chapter 4, An-Nisa, Verses 160-161

O ye who believe! Devour not interest involving multiple additions, and fear Allah that you may prosper.
Chapter 3, Aal-Imran, verse 130

Those who devour interest do not rise except as rises one whom devil has smitten with insanity. That is because they say, ‘Trade also is like interest’ whereas Allah has made trade lawful and has made interest unlawful. So He to whom an admonition comes from his Lord and he desist, then will that which he received in the pass be his; and his affair rests with Allah. And those who revert to it they are the companions of the Fire; therein shall they abide.
Chapter 2, Al Baqara, Verse 275

Whatever you lay out at interest that it may increase the wealth of the people, it does not increase in the sight of Allah; but whatever you give in Zakat, seeking the pleasure of Allah – it is these who will increase their wealth manifold.
Chapter 30, Ar Rum, Verse 39

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

দি সুফি বলেছেন: সুদে যেমন হারাম, সুদের টাকায় ব্যবসা করলে, সেটাও হারাম হবে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫১

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: আমার বিবেচনায় নাস্তিকের উত্থাপিত সুদ সঙ্ক্রান্ত অভিযোগ ঠিকই আছে ।
আপনার সাথে একমত । সুদী ব্যাঙ্কে বেতন তো তার সুদী ব্যবসার প্রফিট থেকেই দেওয়া হয়

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: আপনি যে প্রশ্ন করেছেন , তার উত্তর দেওয়ার আগে কিছু বিষয় আপনি জানেন কিনা তা জানা প্রয়োজন।
১, সুদ কি?
২, ইসলামী প্রতিষ্টান কাকে বলে?
৩, সুদী ব্যাংক কাকে বলে?

..
আচ্ছা , যেহেতু বাংলায় ব্লগ লিখেছেন, তাহলে ধরে দিলাম , আপনি বাংলাদেশে থাকেন। বাংলাদেশ কি ইসলামী রাষ্ট্র?
বাংলাদেশ কি ইসলামী আইনে চলে?
....

তাহলে আপনার এই দেশে বাস করা হালাল না হারাম!!!
..
আচ্ছা বর্তমানে কোন দেশ ইসলামী আইনে চলে, একটা উদাহরণ দেন??


আপনি কি জানেন ইসলামে রাষ্ট্র ব্যবস্থা কেমন হবে?

,,
আপনি তো বিরক্ত হচ্ছেন? তাই না। উত্তর না দিয়ে এতো প্রশ্ন করছি বিরক্ত হওয়ায় স্বাভাবিক!!!
আচ্ছা আপনি যে ব্লগ এ লিখছেন, সেটা হালাল না হারাম??
কিছু দিন আগেও কিন্তু ব্লগারদের নাস্তিক বলে ফতোয়া দেওয়া হয়েছে!!!

আচ্ছা , নাস্তিক হলে ইসলামে তার কি শাস্তির কথা বলা হয়েছে!!!
অনেক গুলো প্রশ্ন করেছি। আশা করি উত্তর গুলো জানলে আপনার প্রশ্নের উত্তর ডেয়ে যাবেন!!




২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩১

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: প্রথমেই যে কথাটা বলে নেয়া প্রয়োজন আমি আস্তিকতা বা নাস্তিকতার প্রতি বায়াসড না । আমার পক্ষপাতিত্ব যুক্তির দিকে । যিনি ইসলাম ভালভাবে মানতে চান বা নিজের ইসলাম প্রেম প্রখর আছে বলে মনে করেন তিনি ইস্লামের নিয়মনীতি যথাসম্ভব মেনে চলার চেস্টা করবেন

বাংলাদেশ ইস্লামিক শাসন ব্যবস্থা নেই । তো ইসলামে এই ধরণের রাষ্ট্রে মুসলমানরা যদি নির্বিকারভাবে জীবন কাটিয়ে দেয় তাদের করণীয় সমন্ধে ইসলাম কী বলে ?

১, সুদ কি? এটা তো ইসলাম কর্তৃক ডিফাইন করা আছে । তাই না ? আমার আপনার যুক্তি খন্ডনে বা মানা না মানায় তো এই সংঙ্গা চেইঞ্জ হবে না ।

মুশরিকদের শাস্তির ব্যাপারে কোরান কী বলে আমার ধারণা আপনি বেশ ভালভাবেই জানেন ।

আরেকটা কথা বলেন, বাংলাদেশের কত জন মুসলমান পবিত্র কোরানের অর্থ জেনে পড়ার তাগিদ বোধ করেছে ?

পোস্টে এই কথোপকথন উদ্ধৃত করার ব্যাপারে আমার উদ্দেশ্যটুকু আমি লিখিনাই বিধায় বুঝাতে পারি নাই, এইটা আমারি ব্যর্থতা । সেটা হল - ধর্মীয় ইস্যুতে আমরা এত বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে নিজেকে এত ধার্মিক প্রমাণ করতে যাই যে নিজের খুঁতগুলো তখন খেয়ালে থাকে না বা নিজেরা যে কাস্টোমাইজ করে ধর্ম পালন করি সেটাও অবচেতনের হিমঘরে পাঠিয়ে দিই ।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: আমি ভাই বেশ জানিনা।
তবে যতটুকু জানি, তা হলো। জীবিকা অর্জনের জন্য যদি আরো কোনো উপায়ই আর না থাকে , এই ব্যাংকে কাজ করাই একেবারে শেষ অবলম্বন ।তবেই এই সমস্ত ব্যাংকে কাজ করা যাবে।

আর অন্যথায় অবশ্যই সুফী ভাইয়ের সাথে একমত।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: জীবিকা অর্জনের জন্য যদি আরো কোনো উপায়ই আর না থাকে , এই ব্যাংকে কাজ করাই একেবারে শেষ অবলম্বন ।

# কিন্তু ওই ব্যক্তিকে আমি ভাল ভাবে চিনি । উনি ইস্লামি ব্যাঙ্কে কোনদিন চেস্টা করেননি ।

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০০

রাজীব বলেছেন: সুদ বিহিন একটি প্রতিস্ঠানের নাম বলুন তো দেখি???

যেকোন টেলিকম কম্পানি ব্যাংক থেকে সুদে লোন নেয় মানে সুদ দেয়
যেকোন মাল্টিন্যাশনাল কম্পানিও তাই।
সরকারী কোন অফিস, ব্যাংকে টাকা রাখে ও সুদ নেয় ও বন্ড বেচে জনগনকে সুদ দেয়, প্রবিডেন্ট ফান্ডের নামে সুদ দেয়।
...
...

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: রাজীব বলেছেন: সুদ বিহিন একটি প্রতিস্ঠানের নাম বলুন তো দেখি???

# চারপাশে এই সুদের (ইস্লামি পরিভাষায়) রাজত্বে তাহলে ইস্লামি সুদবিহীন ব্যবস্থা একটা অচল সিস্টেম কী বলেন ?

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২

রেনেসা বলেছেন: আমি এমন একজনকে জানি, যে ব্যাংকে চাকুরী পাওযা সত্ব্বেও স্ ি চা্কুরিতে যোগ দেনি নি। কারন সুদের টাকা তিনি খাবেন না্ । ব্যাংক সুদের ব্যবসা করে তা থেকে বেতন দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে তার পরিবারের সাথে তার মনমালিন্য।


পরিবারের যুক্তি হলো কে কি করলো তাতে কার কি? আমি সত ভাবে চাকুরী করব। সকাল থেকে সন্ধ্্যা পর্যন্ত কামলা দিব। মাসে শেষে তার মজুরী নিব। সে টাকা হারাম হতে্ পারে না।

মসজিদ মন্দিরে কত সুদখোর টাকা পয়সা দান করে। তা হলেতো সে মসজিদেও নামাজ পড়া যাবে না!


কিন্তু সম্রাটকে মানানো যায়নি। সে এখন তিন মাসের চিল্লায় আছে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪১

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: আপ্নি যেই একজনের কথা জানেন তাদের সংখ্যা অল্প ।

পরিবারের যে যুক্তি বললেন তা কি ধর্মের নিয়মনীতি দ্বারা সিদ্ধ হয়েছে বলে আপনি মনে করেন ? যদি হয়ে থাকে রেফারেন্স দিবেন প্লিজ ।

""মসজিদ মন্দিরে কত সুদখোর টাকা পয়সা দান করে। তা হলেতো সে মসজিদেও নামাজ পড়া যাবে না!""

@ যদি ইস্লামে সুদখোরদের টাকা নেয়া হারাম হয় তাহলে মসজিদের নির্মাণে সেই টাকা নেয়া হল কেন ?

৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

দি সুফি বলেছেন: @নিঃশব্দ শিশির!: বাংলাদেশ ইসলামী রাষ্ট্র নয়। বাস্তবিক পক্ষে কোন দেশই পুরোপুরি ইসলামী আইন মোতাবেক চলে না। তাই বলে মদ খাওয়া, সুদ খাওয়া, জুয়া খেলা হালাল হয়ে যাবে? আপনি আমেরিকায় থাকলেও সুদ খাওয়া আপনার জন্য হারাম, বাংলাদেশে থাকলেও, সৌদিতে থাকলেও।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: হুম , আপনি বেশ উদাহরণ দিয়ে বলেছেন । আমি সংক্ষেপে বলেছি যে যিনি ইসলামকে বুকে ধারণ করবেন তাকে কস্ট করে হলেও ইস্লামের হুকুম আহকাম মানতে হবে ।

৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৯

রবিনহুড বলেছেন: আপনার আলোচনা ভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে.... এটা যে যার মত করে প‌্যচাচ্ছে....

আপনার মূল প্রশ্ন ছিল (একজন মুসলমানের ইস্লামি প্রতিষ্ঠানে চাকরি না করে সুদী ব্যাঙ্কে চাকরি করে যাওয়া হারাম কিনা? )

এটার ব্যপারে আমি একটা হাদিসে শুনেছিলাম, যদিও হাদিসটা হুবহু বলতে পারছি না... (যদি ভূল থাকে কেউ সঠিকটা বলে দিবেন...)

হাদিসটা এমন... ("সূদ খাওয়া সূদ দেওয়া ও যিনি সূদের হিসাব রাখেন এরা সকলেই সমান অপরাধী...)

এখানে ৩টা পয়েন্টেই স্পষ্ট করে বলা আছে..
১. যিনি সূদ খাবেন তিনিও অপরাধী হবেন।
২. যিনি সূদ দিবেন তিনিও অপরাধী
৩. যিনি এই সকল সূদের হিসাব রাখবেন তিনিও সমান অপরাধী।


এই কারনে আলেমরা বলে থাকেন যে, যে সকল ব্যাংকে সূদ গ্রহন করে থাকে সেই সকল ব্যাংকে চাকুরী করা হলে পাপী হবেন.... তাই এটাকে হারাম বলে অভিমত দিয়ে থাকেন।

এখন প্রশ্ন হল... অনেকই বলেন যে, চাকুরী পাই না.... এই সূদী ব্যাংক ছাড়া তো আর কোথাও চাকুরী হচ্ছে না... তাই সূদী ব্যাংকে চাকুরী করতে বাধ্য হচ্ছি.... সুতরাং এটা জায়েজ... (যেহেতু আর কোন চাকরী নেই)

প্রকৃত পক্ষে উক্ত ব্যাংকে চাকুরী না করলে উনি না খেয়ে মারা যাবেন না.... তিনি চাইলে অন্য কোথাও সামান্য একটা পিয়নের চাকুরী করেও কি জীবন নির্বাহ করতে পারবে না?
অবশ্যই পারবেন... কথা হল উনার ষ্ট্যাষ্টাস অনুসারে তো উনি পিয়নের চাকুরী করা মানায় না.... তাই উনি পিয়নের চাকুরী না করে সূদী ব্যাংকেই চাকরী করতে ইচ্ছা প্রকাশ করছেন .... আর বলছেন এ ছাড়া আর কোন উপায নেই......

কিন্তু আল্লাহর কাছে এই সব স্ট্যষ্টাস রক্ষা করার যুক্তি গ্রহন যোহ্য হবে না.... যে ষ্ট্যটাসের কারনে ছোট চাকুরী না করে সূদী ব্যাংকে চাকরী করে পাপ থেকে মুক্ত থাকবেন... অবশ্যই উনি পাপী বলে সাব্যস্থ হবেন।

তাই সূদী ব্যাংকে চাকুরী না করাই উচিৎ....

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪২

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: দীর্ঘ মন্তব্যের মাধ্যমে পাঠককে বুঝানোর আপনার এ প্রয়াসে ধন্যবাদ জানুন । আমিও আপনার মতই একই মতানুসারী । দেখা যাক, কোন বিজ্ঞজন রেফারেন্স সহ ভিন্ন কোন বক্তব্য নিয়ে আসেন কী না ।

আসলে আমাদের মধ্যে অনেকেই নিজেরা যে কাস্টোমাইজ করে ধর্ম পালন করি সেটা ভুলে গিয়ে নিজেকে ধার্মিক জাহির করতে পিছপা হই না ।

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৮

কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: হুজুর (সা) এমনটা বলেছিলেন যে, একটা সময় আসবে যখন মানুষের উপার্জিত প্রতিটি অর্থে সুদের গন্ধ থাকবে, বর্তমানে অবস্থা তাই। সরকার সুদী অর্থনীতিতে চললে প্রতিটি টাকাতেই সুদের গন্ধ থাকবে।


ব্যাংকে চাকরী করা কি হারাম হবে?
: সুদী ব্যাংক হলে হারাম হবে।


জনৈক নাস্তিক যে প্রশ্নটি করেছেন তা যথার্থ। আমরা মনে করি, কে নাস্তিক তা মুমীনদের বিবেচ্য নয়। ব্যক্তিগতভাবে স্রষ্ঠা, নবী, ফেরেশতা বা কিতাবে কারো বিশ্বাস নাও থাকতে পারে।

তবে, স্রষ্টা, নবী, ফেরেশতা বা কিতাবের ব্যাপারে অশোভন, আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রকাশ অনুচিত। ঠিক যেমন, আমি বিএনপি করি, জাসদ বা বামদল, বঙ্গবন্ধু বা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অশোভন, আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেয়াটা ঠিক নয় তেমনি।


৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৪

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: কর্ণেল সামুরাই বলেছেন


আমরা মনে করি, কে নাস্তিক তা মুমীনদের বিবেচ্য নয়যক্তিগতভাবে স্রষ্ঠা, নবী, ফেরেশতা বা কিতাবে কারো বিশ্বাস নাও থাকতে পারে।

তবে, স্রষ্টা, নবী, ফেরেশতা বা কিতাবের ব্যাপারে অশোভন, আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রকাশ অনুচিত।

@ খুব সুন্দর কথা বলেছেন । এখানে খ নামক ব্যক্তিটি কোন বাজে শব্দ ব্যবহার করেননি এবং মহানবীর নাম সুন্দরভাবে বলেছেন। উনি শুধু মহানবীর দুটো কাজের ব্যাপারে কোরানের আলোকে উত্তর চেয়েছিলেন । তাও ক এর কাছে নয় , পাশের অন্য ব্যক্তির কাছে । তাতেই ক তার ধর্মানুভুতিতে আঘাত লেগেছে বলে প্রশ্নকর্তাকে চুপ থাকতে বলেন ।

বাকি অংশে আমারো একই মত ।

১০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১০

কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আপনি খ এর প্রশ্নগুলো বলুন আমি জবাব দিয়ে দিচ্ছি আর খ কে আমার জবাবগুলো পৌছে দেবেন তাতে যেন জবাবের জন্য তার ছোটাছুটি করতে না হয়।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৭

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ভাই, আপনার আন্তরিকতার জন্য অনেক ধন্যবাদ । খ এর প্রশ্ন গুলো এমন টাইপের যে ব্লগে এগুলো লিখলে এই পোস্টে ক্যাচাল বেধে যেতে পারে । আপনার যদি এমন কোন মেইল আইডি থাকে যা ব্লগে দিলে অসুবিধা নাই, তাহলে সেই মেইল আইডিতে আমি প্রশ্ন গুলো টাইপ করে পাঠিয়ে দিব ।

১১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

অদৃশ্য বলেছেন:
প্রিয় প্রত্যাবর্তন

লিখাটি পাঠের পড় আসলে কি বলবো ভেবেই পাচ্ছিলাম না... এই বিষয়ে ডিটেইলটা আমার জানা নেই তবে এটুকু জানি যে সুদ খাওয়া ও সম্ভবত দেওয়াও হারাম...

পরের কথা হলো এই যে, চারিদিক তাকিয়ে দেখেন... অধিকাংশ মানুষদেরই ব্যাংকে একাউন্ট আছে বা থাকে... আর ব্যাংক মানেই হলো সেখানে সুদের প্রচলন... এছাড়াও আরো অনেক রাস্তাতেই এই সুদ দেওয়া নেওয়া হচ্ছে... সমাজে সুদ গ্রহোনযোগ্যতা পেয়েছে... ধার্মিক অধার্মিক আস্তিক নাস্তিক সবাইকেই এর মাঝে পেয়ে যাবেন... ব্যপারটা বিষ্ময়ের

আমরা সময়ের কোন এক ব্লাকহলো সম্ভবত প্রবেশ করে ফেলেছি... সৃষ্টিকর্তা আমাদের রক্ষা করুন...

শুভকামনা...

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: আমরা সময়ের কোন এক ব্লাকহোলে সম্ভবত প্রবেশ করে ফেলেছি - তাই তো মনে হচ্ছে । সুন্দর উপমা ।

১২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: বস্তবতা হল বর্তমানে সুদ বিহিন প্রতিষ্ঠান নেই তবে যেসব প্রতিষ্ঠান সরাসরি সুদের কারবার করে তাদের চকরি করা হারাম বলে গণ্য হবে ।
বিস্তারিত জানতে darulifta -deoband.org//

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: আপ্নি সঠিক বাস্তবতার কথাই বলছেন ।

১৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: For details alkawsar.com দেখতে পারেন

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ধন্যবাদ । সময় করে দেখে নেব অবশ্যই ।

১৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: allah subhana taala knows the best

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: আমাদেরকেও জানার সর্বোচ্চ চেস্টা চালিয়ে যেতে হবে ।

১৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: http://facebook.com/cl.samurai

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই । বাসায় অবসরে প্রশ্ন পাঠিয়ে দেব ।

১৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: আমি অনেক গুলো প্রশ্ন করেছিলাম, তার উত্তর না দিয়ে আপনি আমার পোস্টে গিয়ে বলেছেন, আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য যথার্থ নই। এটা নিচু মনের পরিচয়। যা ইসলাম সমর্থন করে না।
সুদী ব্যাংক শব্দ টা আপনি ব্যবহার করেছেন, জনাব আপনাকে একটা কথা বলি!!! সুদী ব্যাংক শব্দটা আমাদের দেশের ইসলামী ব্যাংক গুলির চাপিয়ে দেওয়া একটা শব্দ!!!!!
ইসলামি প্রতিষ্ঠান কি , আপনি জানেন না।।
আচ্ছা ইসলামে ব্যাংক ব্যবস্থা কেমন হবে?
আমাদের দেশের যে ইসলামী ব্যাংক আছে তা কি কোরআন সুন্নাহ অনুসরন করে।।।।
আপনি অনেক গুলো আয়াত দিয়েছন? অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ এই সব আয়াতে সুদ খেতে বারণ এবং তার শাস্তি সম্পর্কে বলা আছে। কিন্তু সুদ কাকে বলে তা বলা নাই।

আপনার ভাষ্য মতে সুদী ব্যাংক, তারা যে সুদি কারবার করছে তা কুরআন , হাদিসে ব্যাখ্যায় পুরোপরি বোঝা যায় না!!!!
অবাক হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের যে ৮ টি ইসলামী ব্যাংক রয়েছে , তারাও ইসলামী শরিয়াতে পরিচালিত হচ্ছে বলা হলেও ইসলামের কোন ব্যাখ্যায় তা আছে তা বলা হয় না।
বাংলাদেশ বাংকের বেধে দেওয়া ইসলামী ব্যাংকের গাইড লাইন থাকলেও কোন শরিয়াহ কাউন্সিলর বা বোর্ড নেই!!!!!!!

তাই অন্যকে সুদি ব্যাংক বলার অবকাশ নেই!!!যদিও আমরা হরহামেশাই কা বলে গর্ব বোধ করছি!!!

বিশ্বের কোন দেশই ইসলামী রাষ্ট না। ইসলাম রাষ্ট ব্যস্থাতেই সমর্থন করে না!!!( সময়ের অভাবে ব্যাখা করলাম না, ) তারমানে কি সব রাষ্ট্র অবৈধ হয়ে গেছে!!!

অনেক কথা বললাম, যার বেশির ভাগই আপনি বুঝবেন না। আর আপনি আমাকে বলেছেন, আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার যোগ্যতা আমার নেই!!! যথার্থই বলেছেন হয়তো।
দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর সাংবাদিকতা করেছি।
আর এখন একটা ইসলামি ব্যাংকে কর্মরত !!!!!
দেশে বিদেশে এতো সভা সেমিনারে অংশ নিয়েছি, তার হিসাব আমার নিজেরও জানা নেই। তারপরও সুদ কাকে বলে, এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করে কাউকে ব্যাখ্যা করতে দেখি নাই।
এক আলেম একভাবে বললে , অরেক জন আরেক ভাবে বলে!!!!! আর হাদিসে যে ব্যাখ্যা দেওয়া আছে, তা আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষিতে অনেক কিছুই আমরা সুদ মনে করলেও তাতে তা স্পষ্ট নয়।

আর জনাব, আপনি মুসলমান!!! আমি নিজেকেও তাই দাবি করি, তাই যদি হয়, মানুষকে না জেনে কিছু বলাটাও কিন্তু গীবত!!! আশা করছি বুঝতে পারছেন!! ধন্যবাদ!!!



২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৪

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ইসলামি ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার বেসিক মূলনীতিটা - সুদের লেনদেন থেকে বিরত থাকা ।

একটা প্রতিষ্ঠান ইস্লামিক কোন ব্যাঙ্কের সাথে ব্যবসায়িক লেনদেন করে কিংবা প্রচলিত রিবার ডেফিনিশন মেনে তার ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারে । সেইটাকে কি আমরা ইসলামি (ভাবধারায় পরিচালিত) প্রতিষ্ঠান বলতে পারি না ?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২০

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ১৬. ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: আমি অনেক গুলো প্রশ্ন করেছিলাম, তার উত্তর না দিয়ে আপনি আমার পোস্টে গিয়ে বলেছেন, আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য যথার্থ নই। এটা নিচু মনের পরিচয়।

@ এবার দেখা যাক, আপনার পোস্টটি কি ছিল আর আমি কি মন্তব্য করেছি ঃ
এর নাম কি গণতন্ত্র.......! এর নাম কি আস্তিকতা...!
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৮ |

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৩
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: এই পোস্ট পড়তে এসে যা ভেবেছিলাম তাই । শিরোনামের প্রশ্নের উত্তর আপনার পাবার কথা না ।

# তো এই মন্তব্যে আমি কি লিখেছি ? আপনার পোস্টে এর নাম কি আস্তিকতা প্রশ্নটি করেছেন । এই ধরণের প্রশ্নে বা অভিযোগে আস্তিকেরা বলে থাকেন কেউ ধর্মকে মিসইন্টারপ্রিট করে ব্যবহার করলে ধর্ম দায়ী নয় বা অনেক সময় এ ধরণের প্রশ্নে তারা চুপ থাকেন । আমি তো সেই ব্যাপারটাই বুঝিয়েছি ।

আমার মনে হয় " পাবার কথা না" শব্দগুলো আপনি পড়েছেন "পারবার কথা না " ।
তাই বুঝি ওমন ভেবেছেন ?

নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: অনেক কথা বললাম, যার বেশির ভাগই আপনি বুঝবেন না।

# অফেন্সিভ কথা তো আপনি বল্লেন । কী এমন কেউকেটা হয়ে গেছেন । বাকি যারা মন্তব্যের উত্তর দিয়েছে তাদের বেশির ভাগই তো একই রকম উত্তর দিয়েছেন । আপনি বেশি জ্ঞানী তাই না ?

নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: আর আপনি আমাকে বলেছেন, আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার যোগ্যতা আমার নেই!!! যথার্থই বলেছেন হয়তো।

# স্ক্রীন শট দেখাবেন প্লিজ ?

নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন মানুষকে না জেনে কিছু বলাটাও কিন্তু গীবত!!!

@ কোনটা গীবত বুঝবার পারলাম না ।

বাই দ্য ওয়ে, অহংকার করা বা অহংকারী ব্যক্তি সমন্ধে ইসলাম কি বলে , আপনার কাছ থেকে জানার ইচ্ছে আছে ।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২২

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: সুদের প্রকৃত ডেফিনিশন আপনার মতে কি ?

আপনি বলতেছেন বহু আলেম সুদের ব্যাখ্যা স্পষ্ট করে দিতে পারেন নাই । আবার কোরানেও সুদ খেতে বারণ এবং তার শাস্তির ব্যাপারে বলা হলেও সুদ ডিফাইন করা নাই ।

তাহলে আমরা প্রচলিত সুদের সংজ্ঞা যা জানি তা যদি সঠিক না হয় তাইলে ডেফিনিশন স্পষ্ট না করে এর শাস্তির বিধিবিধান আরোপ করার ব্যাপারটা অচল একটা সিস্টেমের মত হয়ে গেল না ?

ইসলামি ব্যাঙ্ক বাংলাদেশ লিমিটেড রিবা বা সুদের বেসিক কনসেপ্ট হিসেবে তাদের ওয়েব সাইটে এটা দিয়েছে । এই ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি ?ঃ
Muslim scholars equate interest with Riba. In the Shariah, Riba technically refers to the premium that must be paid by the borrower to the lender along with the principal amount as a condition for the loan or for an extension in its maturity (Chapra 1985, p.64). In other words, Riba is the predetermined return on the use of money. In the past there has been dispute about whether Riba refers to interest or usury, but there is now consensus among Muslim scholars that the term covers all forms of interest and not only "excessive" interest (Khan 1985, p.52).

In the era of Ignorance (Jahiliah) moneylenders in Arabia charged a prefixed extra amount on their money lent out. Some of them lent goods or crops and took back prefixed extra amount on and above the principal amount. In those days the extra amount charged on the principal amount of money or goods was also termed as Riba. The term Riba in the Quran has been used in the same sense.

Imam al Rajhi describes, "During the era of Jahiliah people invested their money and charged Riba on a monthly basis, though the invested amount remained unchanged. Money so invested was called back at the time of repayment. In case of the borrower being unable to pay back, the lender extended the period of repayment enhancing the amount to be paid on and above the principal amount." Abu Bakr al Jasas writes, "During the period of Ignorance the lender and borrower came to an agreement that the borrower would pay back within a specified period the principal amount along with the agreed upon excess." Ibne Hajar Askalani says, "Excess goods or money charged on and above principal amount is Riba."

Thus, any prefixed extra amount charged on a specific amount of money or goods lent out is called Riba.

The most important characteristic of Riba is that it is the positive and definite result of money when changed. In other words, when money begets money, without being exchanged for goods or services, it is called Riba. Its basic characteristics are:
It must be related to loan;
A prefixed amount of money to be paid when due;
A time is fixed for the repayment; and
All these elements for repayment are taken as conditions for loan.

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৫

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: আপনার ভাষ্য মতে সুদী ব্যাংক, তারা যে সুদি কারবার করছে তা কুরআন , হাদিসে ব্যাখ্যায় পুরোপরি বোঝা যায় না!!!!


@ বস, অনেকক্ষণ ধরে খুঁজলাম , কিন্তু পেলাম না । আমার কোন ভাষ্যটার এরূপ অর্থ দাঁড়াইল, অনুগ্রহ করিয়া স্পেসিফিক দেখাইয়া দিবেন কি ?

১৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন: দি সুফি বলেছেন: @নিঃশব্দ শিশির!: বাংলাদেশ ইসলামী রাষ্ট্র নয়। বাস্তবিক পক্ষে কোন দেশই পুরোপুরি ইসলামী আইন মোতাবেক চলে না। তাই বলে মদ খাওয়া, সুদ খাওয়া, জুয়া খেলা হালাল হয়ে যাবে? আপনি আমেরিকায় থাকলেও সুদ খাওয়া আপনার জন্য হারাম, বাংলাদেশে থাকলেও, সৌদিতে থাকলেও।
জজনাব সুফি সাহেব আমি বলিনি, তা!!! সব দেশেই সুদ হারাম!!!
কোন দেশ যদি ইলামী আইন না মেনে চলে, তাহলে সেই দেশে বাস করা কি হারাম হবে!! আমার প্রশ্ন সেটা!!!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৫

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: @ দি সুফি

১৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৯

দি সুফি বলেছেন: নিঃশব্দ শিশির! বলেছেন:
জজনাব সুফি সাহেব আমি বলিনি, তা!!! সব দেশেই সুদ হারাম!!!
কোন দেশ যদি ইলামী আইন না মেনে চলে, তাহলে সেই দেশে বাস করা কি হারাম হবে!! আমার প্রশ্ন সেটা!!!

কিছু স্পেসিফিক হারাম বিষয় আছে, যেগুলো সম্পর্কে ইসলামে খুব ভালোভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সুদ খাওয়া, মদ খাওয়া, যিনা ইত্যাদি ইত্যাদি (আরো অনেক আছে, উল্লেখ করছি না, যেহেতু বিষয়টা সুদ সংক্রান্ত)।
পুরো পৃথীবির সবগুলো দেশের আইন আমি জানি না। তবে আমার মনে হয় না এমন কোন দেশ আছে, যেখানে ইসলামিক হারাম কাজগুলো করতে আপনাকে বাধ্য করবে। আমেরিকা কোন ইসলামিক দেশ নয়। আমেরিকায় বসবাস করতে হলে তাদের আইন-কানুন মেনেই আপনাকে চলতে হবে। এখন আমেরিকায় যদি কোন আইন থাকত যে, "প্রতি অমুক দিনে আপনাকে মদ পান করতেই হবে, অন্যথায় আপনি আমেরিকায় থাকতে পারবেন না"।
যদি এমনটা হত, তাহলে আপনার জন্য আমেরিকা ত্যাগ করে অন্য কোন দেশে চলে যাওয়া ফরজ। যেটাকে হিজরত বলে।
আপনার প্রশ্ন ছিলঃ কোন দেশ যদি ইলামী আইন না মেনে চলে, তাহলে সেই দেশে বাস করা কি হারাম হবে!!
এটা ততক্ষণ পর্যন্ত হারাম হবেনা, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি ঐ দেশে থেকে ইসলামিক হালাল-হারাম মেনে চলতে পারবেন।
আমার মনে হয়না পৃথীবিতে এমন কোন দেশ আছে, যেখানে আপনাকে সুদ খেতে, মদ খেতে বাধ্য করবে; বা নামাজ পড়তে নিষধ করবে!

আপনি যদি কাউকে ১০ টাকা ধার দিয়ে বিনিময়ে ১০ টাকার বেশি নেন সেটা হবে সুদ। পণ্য ধার দেয়ার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আপনি যদি ১কেজি মিনিকেট চাল ধার দিয়ে বিনিময়ে এর চেয়ে বেশি পরিমান মিনিকেট চাল গ্রহন করেন, সেটাও সুদ। তবে আপনি যদি ১ কেজি মিনিকেট চালের পরিবর্তে ১ কেজির বেশি পরিমান মোটা চাল (কম দামি) গ্রহন করেন তবে সেটা সুদ হবে না, সেটা বিনিময়।
টাকার ক্ষেত্রেও যতক্ষন পর্যন্ত একই মুদ্রা থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সমান-সমান হারে বিনিময় করতে হবে, অন্যথায় সুদ হবে। অর্থাৎ ১০ ডলারের বিনিময়ে ১০ ডলারের বেশি নেয়া যাবে না, ১০ টাকার বিনিময়ে ১০ টাকার বেশি নেয়া যাবে না।
সুদ যেকোন অবস্থাতেই হারাম। সুতরাং ব্যাঙ্কের চাকরী করে সুদের টাকায় বেতন নেয়াও হারাম। উল্লেখ্য ব্যাংক সুদের টাকা থেকেই বেতন প্রদান করে।
এই সহজ জিনসটা যদি মাথায় না ঢুকে, তাহলে আমার করার কিছু নেই।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩১

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: আপনার মূল্যবান সময় দেবার জন্য অজস্র ধন্যবাদ ।

১৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪০

রাজীব বলেছেন: উপরে একটি মন্তব্যে রবিনহুড বলেছেন:
এখানে ৩টা পয়েন্টেই স্পষ্ট করে বলা আছে..
১. যিনি সূদ খাবেন তিনিও অপরাধী হবেন।
২. যিনি সূদ দিবেন তিনিও অপরাধী
৩. যিনি এই সকল সূদের হিসাব রাখবেন তিনিও সমান অপরাধী।


এখন আমার দুটি প্রশ্ন,
১। এক লোক সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ে চাকুরী করে। তাকে বদলী করে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক করে দেয়া হলো। সে কি দোষী হবে। সে কিন্তু সরকারী চাকুরী করে ও সরকার নিজের ফান্ড (রাজস্ব) থেকে সোজা কথায় জনগনের করের টাকা থেকে তার বেতন দেয়। এখন সুদী প্রতিষ্ঠনা পরিচালনা করার দায়ে কি সে দোষি হবে। তাহলে সে এখন কি করবে। সরকারী চাকুরী ছেড়ে দিবে???

২।একজন লোক কোন ব্যাংকে আইটি তে জব করে। সে কিন্তু সূদ দেয় না, নেয় না, সূদের হিসেবও করে না, শুধু কম্পিউটার গুলো চালু রাখে। সে কি দোষী হবে?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩১

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: @ রবিনহুড ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।

এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য শেয়ার করছি -

পরিচালকদের সভায় ব্যাঙ্কের বিজনেস প্রপোজালগুলো পরিচালকদের সম্মতিতে পাস হয় । সোনালি ব্যাঙ্কের বিজনেস প্রপোজাল সুদকেন্দ্রিক হবে । সুতরাং সুদী উপার্জনের ব্যবসায়িক প্রস্তাব পাশ করানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার জন্য সেই পরিচালক অপরাধী হবেন বলেই আমার মনে হয় ।

দ্বিতীয় প্রশ্নে প্রথম লাইন গুগল ক্রোমে বক্স বক্স দেখাচ্ছে । ধারণা করছি আপনি এখানে কোন আই।টি কর্মকর্তার কথা উল্লেখ করেছেন । শুধু কম্পিউটার গুলো চালু রাখলে সে কি দোষী হবে কীনা এ ব্যাপারে আমিও জানতে চাই । তবে সুদী ব্যাংক হবার কারণে তার বেতন হারাম হবে ।

২০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সবার আলোচনাই পড়লাম ।
আসলে ইসলাম সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছু জানতে হবে আরো ।
আমি নিজেই কত কম জানি ।

আচ্ছা ভাই আপনি কি স্পেসিফিক এই প্রস্নটা কোন আলেমকে জিজ্ঞেস করেছিলেন
? যদি জিজ্ঞেস করে থাকেন উনি কি বলল ?


আমরা সময়ের কোন এক ব্লাকহলো সম্ভবত প্রবেশ করে ফেলেছি... সৃষ্টিকর্তা আমাদের রক্ষা করুন
অদৃশ্য ভাইয়ের এই কথাটাই মনে বাজতেছে ।

ভাল থাকুন ভাই । শুভকামনা রইল । ...

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: না ভাই, এখনো জিজ্ঞেস করি নাই । তবে ইন্টারনেটে বহু আর্টিকেল পড়ে বুঝলাম যে সুদী উৎস থেকে কোন সুবিধা বা বেতন নেয়া হারাম ।

অদৃশ্য ভাইয়ের কথাটা আসলেই নান্দনিক ।

২১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৪

রাজীব বলেছেন: সরকারী ব্যাংকের লাভের টাকা কোথায় যায়, সরকারের কোষাগারে যায়। তাহলে সেই টাকা দিয়ে যখন সরকার তার কর্মচারী বা কর্মকর্তাদেরকে বেতন দেয় সটি কি হবে?????

যেই সরকারী কোষাগারে সোনালী, অগ্রনী ব্যাংকের সুদের টাকা যায় সেই কোষাগার থেকেই ইসলামী ফাউন্ডেশনের বেতনের টাকাও যায়। তাহলে কি বলবেন????

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ইসলামি রাষ্ট্রের সরকার হয়ে থাকলে দায়ভার তার ওপরই বর্তায় ।

কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: হুজুর (সা) এমনটা বলেছিলেন যে, একটা সময় আসবে যখন মানুষের উপার্জিত প্রতিটি অর্থে সুদের গন্ধ থাকবে, বর্তমানে অবস্থা তাই। সরকার সুদী অর্থনীতিতে চললে প্রতিটি টাকাতেই সুদের গন্ধ থাকবে।

আসলেই বিষয়টা হয়ে গেছে তাই । একটি ইস্লামিক রাষ্ট্রের পুরো ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা ইসলামিক শরীয়াহ অনুযায়ী হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু বাস্তব তো তা নয় । তাই এখন সবকিছু একাকার হয়ে গিয়েছে ।

ইস্লামি রাষ্ট্রের সরকার সুদী সরকারি ব্যাঙ্কগুলোকে ইস্লামি ব্যবস্থায় কনভার্ট করার উদ্যোগ নিতে পারত ।

বাংলাদেশে বেসরকারি ব্যাঙ্ক গুলোর মধ্যে এক্সিম ব্যাঙ্ক প্রচলিত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা থেকে ইসলামি ব্যাঙ্কে রূপান্তরিত হয়েছে

২২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: আমার জন্য (মনে হয় সবার জন্য) সময়পোযোগি একটি পোস্ট......
কি যে টেনশনে আছি ...হালাল রুজি কোনটা ...তা নিয়া।।
অবস্থাদৃস্টে যা দেখতাছি ....বাপ দাদার থেকে পাওয়া সম্পত্তিতে গিয়া শুধু নিজের জন্য চাষবাস করতে হইবো....!!

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৫

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: খেয়া ঘাট বলেছেন: আমি ভাই বেশ জানিনা।
তবে যতটুকু জানি, তা হলো। জীবিকা অর্জনের জন্য যদি আরো কোনো উপায়ই আর না থাকে , এই ব্যাংকে কাজ করাই একেবারে শেষ অবলম্বন ।তবেই এই সমস্ত ব্যাংকে কাজ করা যাবে।

আমার আরো দু একজন কলিগ খেয়াঘাট ভাইয়ের মতই একই মত দিয়েছেন । আমি এই ব্যাপারে রেফারেন্স খুঁজে যাচ্ছি । পেলে অবশ্যই শেয়ার করব ।

জানার চেস্টার শেষ নাই ।

২৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০২

দুঃখী__ বন্ধু বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে পোস্ট । জানা দরকার ।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।

২৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: ভাই আলোচনার কোন ফলাফল তো পাইলাম না...... যা করি তাতেই তো
সুদের ছোয়া..................আল্লাহ মাফ কর আমাদের!!! :(

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: হুম । /:) /:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.