![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রুশ সুন্দরী জুলিয়া ভিনস। অষ্টাদশী এই তরুণী সারা বিশ্বের কাছে রাশিয়ান প্রিটি পাওয়ার লিফটার (ভারত্তোলনকারী) হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। জুলিয়ার হাত-পায়ের পেশি আর দেহের প্রতিটি খাঁজে ভারত্তোলনের ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু চেহারাটা রয়ে গেছে অবিকল বার্বি পুতুলের মতোই।
২০১২ সালে ১৫ বছর বয়সে মাসল বার্বি জুলিয়া ভারত্তোলনে তালিম নেন। একজন পেশাদার পাওয়ার লিফটার হওয়ার জন্য শুরু করেন প্র্যাকটিস। ধীরে ধীরে তার কোমল পেশিগুলো হয়ে ওঠে দৃঢ এবং সবল। হালকাপাতলা গড়ন পাল্টে গিয়ে দেহ হয়ে ওঠে পেশিবহুল। কিন্তু মুখাবয়ব থাকে আগের মতোই ফুটফুটে।
ফুলের মতো চেহার আর পেশীবহুল দেহ, এই দুইয়ের অস্বাভাবিক মিশ্রন তাকে নিজ দেশ রাশিয়ায় করে তোলে তুমুল জনপ্রিয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে জুলিয়ার ফলোয়ার লক্ষাধিক, আর ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার ৩০ হাজারের কাছাকাছি।
যুক্তরাজ্যের ডেইলি মিররে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জুলিয়া বলেছেন, নিজের পাল্টে যাওয়ার গল্প। জুলিয়া ভিনস বলেন, ছোটবেলা থেকেই সবাই আমাকে বলতো আমি নাকি দেখতে হুবহু পুতুল মতো। আমাকে সবাই পুতুলই ভাবতো। কিন্ত নিজেকে পুতুল ভাবতে আমার মোটেও ভালো লাগতো না। আমি সবসময় চেয়েছি, নিজের আলাদা পরিচয় আর অর্থপূর্ণ জীবন।
রাশিয়ার এই বার্বি মাসল বলেন, বাবা-মা থেকে শুরু করে পরিবারের সবাই চাইতেন গান-বাজনা বা শোবিজে আমি ক্যারিয়ার গড়ে তুলি। কিন্তু আমার উৎসাহ ছিল খেলাধূলায়। এজন্য নিজেকে শারীরিকভাবে তৈরি করতে হাইস্কুলের জিমে যাওয়া শুরু করি।
তিনি জানান, সেখানে পরিচয় হয় সের্গেই নামের এক তরুণের সঙ্গে। বয়সে তার চেয়ে ১১ বছর বড় ওই তরুণ তাকে দেয় নতুন জীবনের সন্ধান। বয়ফ্রেন্ডের উৎসাহেই ভারত্তোলনে ক্যরিয়ার গড়তে মনোযোগ দেন এবং সাফল্য পান।
জুলিয়া আরো জানান, বয়ফ্রেন্ড সের্গেই কাছে টানা একবছর তিনি প্রশিক্ষণ নেন। সপ্তাহে চার দিন তিন থেকে পাঁচ ঘন্টা জিমে শরীরচর্চা করেন এবং ভারত্তোলনের ব্যকরণগুলো আয়ত্তে নিয়ে আসেন।
২০১৪ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো ভারোত্তলন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন জুলিয়া ভিনস এবং সাফল্য পান। মস্কোর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১৮০ কেজি ভারোত্তলন করে রেকর্ড গড়েন। এরপর অসংখ্য প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতেন।
নিজের চেহারা এবং শরীর, দুটোকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন এই প্রিটি পাওয়ার লিফটার। তিনি বলেন, নিজেকে ফিট রাখার জন্য আমি শরীর চর্চা করার পাশাপাশি চেহারার প্রতিও যথেষ্ট যত্ন নেই। চেহারাকে আকর্ষণীয় রাখার জন্য অবশ্য কড়া মেক-আপ আমাকে নিতে হয় না। বরং মেক-আপে কখনো কখনো আমাকে বিশ্রি লাগে। ত্বকের পরিচ্ছন্নতার প্রতিই আমি বেশি মনোযোগী।
মাসল বার্বি জুলিয়া ভিনস বর্তমানে প্রস্তুতি নিচ্ছেন আগামী অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
লিংক দেখুন : মাসল বার্বি জুলিয়ার রূপান্তরের গল্প
©somewhere in net ltd.