নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিশ্চিত গন্তব্য

ভণ্ড সাধক

আমি কেউ না

ভণ্ড সাধক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভোরের পাতা সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মাস্তানির গুরুতর অভিযোগ

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:০৮





দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার সম্পাদক কাজী এরতেজা হাসানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন পত্রিকাটি থেকে প্রতারিত সংবাদকর্মীরা।

বুধবার ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) উভয় অংশে এরতেজা হাসানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতারিত সংবাদকর্মীরা এ অভিযোগ করেন।

প্রতারিত সংবাদকর্মীরা বলেন, ভোরের পাতা সম্পাদক কাজী এরতেজা হাসানের ন্যক্কারজনক প্রতারণা সংবাদপত্র শিল্পকে কলুষিত করেছে। অনেক সংবাদকর্মীকে বেতনের খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে তাদের বেতন না দিয়ে অফিস থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি ও তার পালিত সন্ত্রাসীরা।

এরতেজা হাসানকে মুখোশধারী ভণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে প্রতারিতরা জানান, বেতন চাইতে গেলে এরতেজা হাসান অস্ত্রের মুখে শারীরিক নির্যাতন করেন। অনেককে বকেয়া বেতনের জন্য অফিসে ডেকে নিয়ে খাতায় স্বাক্ষর দিতে বলা হয়। স্বাক্ষর দেওয়ার পরই এরতেজা হাসান ও তার সন্ত্রাসীরা বেতন না দিয়ে জোরপূর্বক অফিস ত্যাগে বাধ্য করেন।

সম্প্রতি দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার রিপোর্টার, সাব এডিটর ও কম্পিউটার অপারেটরসহ প্রায় ৩০ জন সংবাদকর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তারা সবাই এরতেজা হাসানের প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

এরতেজা কথিত ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন কমিশন’ এর চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও ভোরের পাতায় দেড় থেকে দুই বছর ধরে কর্মরত সংবাদকর্মীদের কোনো সাপ্তাহিক ছুটি দেননি। এ অতিরিক্ত কাজের জন্য তারা কোনো ওভারটাইমও দেয়নি। ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী সব সুবিধা ভোগ করার পরও সে অনুযায়ী কাউকেই বেতন দেওয়া হয়নি পত্রিকাটিতে। কখনো দেওয়া হয়নি উৎসব ভাতা। এর উপর আছে কোনো বিশেষ প্রয়োজনে বা যানজটে পড়ে কোনো সংবাদকর্মী যদি আধঘন্টা বা একঘন্টা দেরি করে অফিসে আসে, তাহলে তার ওই একদিনের বেতন কেটে নেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে দৈনিক ভোরের পাতায়।

দৈনিক ভোরের পাতার সংবাদকর্মীদের প্রতিমাসের বেতন অন্তত দুইমাস পরে দেওয়া হয়। নিয়মানুযায়ী কেউ প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করতে চাইলে ওই দুইমাসের বেতনের মায়া ত্যাগ করেই তাকে চাকরি ছাড়তে হচ্ছে।

পাশাপাশি কাজী এরতেজা হাসানের বিরুদ্ধে নিজেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের লোক দাবি করে সবসময়ই প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের ভয়ভীতি দেখানো এবং ভোরের পাতায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে দূর্ব্যবহার ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগও আনা হয়েছে।

এরতেজা হাসানের এসব অন্যায়ের প্রতিকার পাওয়ার লক্ষ্যে প্রতারিত সংবাদকর্মীরা ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) এর উভয় অংশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এখন তারা মামলা দায়েরসহ অন্য কর্মসূচির প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।

ভোরের পাতা'র সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৩২

রাশেদ রাহাত বলেছেন: খরবটি লুল ছাড়া অন্য কিছুই মনে হয়না। একদম কোন মামলা করা দলিলের মতো। যে খানে মিথ্যার ফূলঝুড়ি ভরা থাকে।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৪৬

পাকাচুল বলেছেন: এইসব পত্রিকা তো কেউ পড়ে না, তাদের ব্যবসাটা হয় কিভাবে? সরকারী টেন্ডারের বিজ্ঞাপন দিয়ে?

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:২৮

কালনী নদী বলেছেন: পাকাচুল ভাই আপনার কমেন্টে আমার লাইক রইল!

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

ভণ্ড সাধক বলেছেন: ১০ হাজার পত্রিকা ছায়িয়ে কোনোমতে সরকারী অফিস আর মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়। অসৎ লোকদের যোগসাজশে সরকারকে হিসাব দেখায় ১ লাখ বিশ হাজার ছাপা। সেই অনুযায়ী পায় কাগজ বরাদ্দ, যেগুলো পরে ব্ল্যক মার্কেটে বিক্রি হয়। এর ছাড়া সর্বোচ্চ কমশিন দিয়ে সরকারী বিজ্ঞাপন লুটপাটের বিষয়টাও আছে। মনে রাখতে হবে এরা সাংবাদিক না, নানারকম অবৈধ ফন্দিফিকিরের মাধ্যমে কালো টাকা হাতিয়ে নিতেই এইসব লুটেরা সংবাদপত্রকে ব্যানার করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.