নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিশ্চিত গন্তব্য

ভণ্ড সাধক

আমি কেউ না

ভণ্ড সাধক › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘অভিনেত্রী হওয়ার বাড়তি সুবিধা এখন নেত্রী হয়েও পাচ্ছি’

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩



দেশজুড়ে রোকেয়া প্রাচীকে মানুষ প্রথমে চেনে একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবেই। এমনই এক সফল অভিনেত্রী তিনি পারফরর্মিং মিডিয়ার সবচেয়ে বড় প্লাটফর্মে চলচ্চিত্রে পা রেখেই জিতে নেন জাতীয় পুরস্কার। মঞ্চ-টেলিভিশন-চলচ্চিত্র, সর্বত্রই ছড়িয়েছেন মেধার দ্যুতি। পুরস্কৃত হয়েছেন দেশ-বিদেশে ।নির্মাতা হিসেবেও পেয়েছেন পরিচিতি। সৃজনশীল এসব কাজের মাঝেই তাকে দেখা গেছে, প্রতিবন্ধী শিশুদের কল্যাণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে; খুঁজে পাওয়া গেছে নাগরিক অধিকার আদায়ের মিছিলে প্রথম সারিতে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে তিনি হয়েছেন সোচ্চার, আবার গণ-আন্দোলনের ফসল পকেটবন্দি করার পাঁয়তারার বিরুদ্ধে করেছেন প্রতিবাদ। শ্রমিকের ন্যায়সঙ্গত দাবিতেও হাতে তুলে নিয়েছেন প্ল্যাকার্ড-ব্যানার।
এভাবেই শিল্পীজীবনের গণ্ডি ডিঙিয়ে বার বার গণমানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, এভাবেই একজন অভিনেত্রী থেকে গণমানুষের নেত্রীতে রূপান্তর রোকেয়া প্রাচীর। দেশের কল্যাণে আরো বড় পরিসরে কাজ করবেন বলে নিবেদিত হয়েছেন রাজনীতিতে। প্রস্ততি নিচ্ছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আদি-বাসভূমি ফেনী-৩ আসন থেকে প্রার্খী হওয়ার, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি। অভিনয়ে বিরতি টেনে সপ্তাহের সিংহভাগ সময়ই এখন দিচ্ছেন নিজ এলাকায় জনসংযোগে। প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে নবীন হলেও এরই মধ্যে তৃণমূলের সমর্থন বাড়িয়ে দিয়েছে তার আত্মবিশ্বাস। অভিনেত্রী থেকে নেত্রীতে রূপন্তরের গল্প শুনতে নতুন কাগজ হিম হিম মাঘের মেঘলা বিকেলে মুখোমুখি হয়েছিল রোকেয়া প্রাচীর। মন খুলে তিনি বলেছেন নিজের চিন্তা-চেতনা, নিজ এলাকা আর দেশ নিয়ে একান্ত ভাবনা-পরিকল্পনা।
সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিপুল হাসান।


হঠাৎ রাজনীতিতে কেন?

রাজনীতিতে হঠাৎ করে আসিনি। দীর্ঘদিন ধরেই আমি রাজনীতির সঙ্গে আছি। নাগরিক অধিকার আদায়ে রাজপথে নামাটা কী রাজনীতি নয়। জঙ্গিবাদ আর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা গড়ে তোলার উদ্দেশে, নতুন প্রজন্মের সংকট উত্তরণে যে কার্যক্রমগুলো করেছি অবশ্যই সেগুলি রাজনৈতিক কাজ। দেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে গড়ে ওঠা আন্দোলনে বরাবরই সক্রিয় ছিলাম। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে তাদের পাশে রাজপথে ছিলাম। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ওই সময়টাতেও আমি গণজাগরণ মঞ্চে সক্রিয় ছিলাম। যখন সেখানে ব্যক্তি স্বার্থ বড় হয়ে ওঠে, তা প্রত্যাখান করে সরে আসি। তবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি থেকে পিছু হটিনি। তাদের বিচারের দাবিতে ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা আন্দালন’ নামে যে সংগঠনটি দেশজুড়ে গণমত গঠনে কাজ করেছে, আমি সেটির সদস্য সচিব। শুধু যুদ্ধাপরাধের বিষয়টা ফোকাস করা নয়, বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস, তাদের দুর্নীতি, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে রাজাকার-আল-বদরদেরকেই আবার ক্ষমতায় আনা হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের অপশাসনের রাজনীতি, দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি, এগুলোকে নিষিদ্ধ করার জন্য কাজ করছিলাম। এসব অবশ্যই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। এরপরও আমার রাজনীতিতে যুক্ত হওয়াটাকে কী ‘হঠাৎ’ বলা যায়।

অবশ্যই না। তবে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে মানে অাওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তুলনামূলক নবীন?

সেটাও পুরোপুরি ঠিক নয়। দলীয় পদে নবীন বলতে পারেন, দলীয় রাজনীতিতে নয়। বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছি গতবছর। স্বাভাবিকভাবেই কোনো দায়িত্ব পেলে যে কেউ আরো বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে, কাজেই দায়িত্ব পালনে দলীয় রাজনীতিতে আমার ব্যস্ততা বেড়েছে। আসলে পারিবারিক সূত্রেই সেই শৈশব থেকে বঙ্গবন্ধু আর আওয়ামী লীগের প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা। আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, মিরপুরে শ্রমিক লীগের সভাপতিও ছিলেন তিনি। বলা যায় তার রাজনৈতিক চেতনা উত্তরাধিকার সূত্রে আমার মধ্যে চলে এসেছে। আর স্বাধীনতার কথা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির কথা বলেন, রক্তে কেনা সংবিধান সমুন্নত রাখার কথা যদি বলেন কিংবা মানুষের অধিকার পূরণ বা দেশের উন্নয়ন- সবই আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই এসেছে। আর বোঝার বয়স থেকে এইসব আন্দোলন-কর্মকাণ্ডের সঙ্গেই জড়িত। সেই হিসেবে রাজনীতিতে নিজেকে নতুন বলে মনে করি না।


প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ হোক রাজনীতির সঙ্গে আগেও ছিলাম. এখনও আছি এবং আগামীতেও থাকবো। কারণ রাজনীতিবিদদের ছাড়া দেশ চলতে পারে না। রাজনীতিকরাই আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। তারাই দেশকে ‘তলাহীন ঝুড়ি’ থেকে আজকে ‘ইমেজিং টাইগার’ হিসেবে উন্নিত করেছে। দেশের যা কিছু অর্জন তার সবই এসেছে রাজনীতিকদের মাধ্যমে। আর রাজনীতির মধ্য দিয়েই দেশ ও দেশের মানুষের সেবা বা কল্যাণ করা সম্ভব। মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, দেশের উন্নয়নের চাকা বেগবান করতে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে এগিয়ে নিতে সর্বোপরি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ এগিয়ে যাবে।

মহিলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বটাকে কিভাবে দেখছেন?[/si

নিজেকে প্রমাণ করার জন্য আমার এটা অবশ্যই বড় সুযোগ। আমরা যদি দায়িত্ব নিয়ে কাজ না করি তাহলে দল আগাবে কি করে! বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি হচ্ছে রাজনীতির সংস্কৃতি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মীরা যেভাবে কাজ করে অন্য কোনো দলের কর্মীরা কিন্তু সেরকম না। বঙ্গবন্ধু মাঠের রাজনীতির আদর্শ মানুষ। টুঙ্গিপাড়া থেকে এসে রাজনীতির মাধ্যমেই আজকের বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি এদেশের মানুষকে উপহার দিয়েছেন। কিন্তু তাঁকেই সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। আর সেই দলের একজন কর্মী হিসেবে আমার তো জাতির পিতার আদর্শেই কাজ করা উচিত এবং আমি বিশ্বস্ততার সঙ্গে তাই করছি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে আপনি আগ্রহী হলেন কেন? দলীয় মনোনয়ন পাবেন, এমন কোনো গ্রিন সিগন্যাল কী পেয়েছেন?

মানুষের জন্য কাজ করতে চাই আমি সবসময়। যখনই সুযোগ পাই, কারও জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি। তবে বিচ্ছিন্নভাবে বড় কিছু করা কঠিন। তাই বড় প্লাটফর্মে মানুষের জন্য কাজ করার উদ্দেশ্যে জাতীয় রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি। সংসদীয় ব্যবস্থায় অামাদের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হলো সংসদ। একজন সংসদ সদস্য যেভাবে মানুষের জন্য কথা বলতে পারেন, যেভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারেন; তা অন্যদের পক্ষে সেভাবে সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেই ভাবনা থেকেই সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছা। ক্ষমতাকে মানুষের কল্যাণে লাগিয়ে ভালো কিছু করতে চাই আমি। আর এজন্য আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার জন্মস্থান ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভুঞা) আসন থেকে মনোনয়ন চাইবো। আর গ্রিন সিগন্যাল বা রেড সিগন্যাল, এসব নিয়ে ভাবছি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দলের সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন যার যার এলাকায় কাজ করতে। আমি যেহেতু আওয়ামী লীগের একজন কর্মী সেহেতু সে নির্দেশমতই কাজ করছি। মানুষকে বলছি. উন্নয়নের চাকা বেগবান রাখতে হলে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বজায় রাখাতে হলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে একজোট থাকতে হবে, আগামী নির্বাচনে ‘নৌকা প্রতীক’কে বিজয়ী করতে সব ভেদাভেদ ভুলে নির্বিশেষে সবাইকে কাজ করতে হবে। এ কয়েকদিনে জনসংযোগের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটারদের স্বতস্ফুর্ত সমর্থন আমি পাচ্ছি। এরপর আমাদের দল যদি আমাকে যোগ্য মনে করে তাহলে মনোনয়ন দেবে। অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে তা মেনে নিতে প্রস্তুত আছি।

স্বতস্ফুর্ত সমর্থনের বিষয়টা যদি আরেকটু খুলে বলতেন?

গতকয়েক মাস ধরে যেখানেই গেছি মানুষ আমাকে দারুণভাবে নিয়েছে। একজন রাজনীতিবিদের রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত সাধারণ মানুষের মন বোঝা। ছাত্রলীগ, যুবলীগ বা আওয়ামী লীগের লোকজন তাদের দলের একজন কর্মী যেভাবে গ্রহণ করবে, সাধারণ মানুষের বেলায় বিষয়টা একরকম নয়। আমার বড় সুবিধা হলো, আমি প্রতিটি পরিবারের ঘরে যেতে পারছি। অভিনেত্রী হওয়ার বাড়তি সুবিধা এখন নেত্রী হয়েও পাচ্ছি, এটা আমার সৌভাগ্য। আমি মুরব্বিদের সঙ্গে কথা বলেছি, এতিমখানার ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেছি, মসজিদের আলেমদের সঙ্গে কথা বলেছি, সবাই সবার জায়গা থেকে আমাকে সহযোগিতা করছে। আনন্দের বিষয় হলো, ফেনী-২ এর এমপি নিজাম হাজারীও আমাকে বড় ভাইয়ের মতো সহযোগিতা করছেন। তিনি আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। এই ভালোবাসাটা অমূল্য। ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান বিক্রম ভাই, আলাউদ্দিন নাসিম ভাই। কাদের ভাইতো আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক। তার কথা আমি আলাদা করে নাই বা বললাম। আমি সহযোগিতা পাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই ভাগ্যবান। আমি নিজাম হাজারী ভাইকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি ফেনী আওয়ামী লীগকে এতো সুন্দরভাবে গুছিয়েছেন। আমাদেরকে সাপোর্ট করেছেন। আমি যদি ইলেকশন নাও করি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করব। আমি আমার অঞ্চলের মানুষের পাশে সব সময় থাকব।

যতদূর জানি, আপনি বড় হয়ে ওঠেছেন ঢাকার মিরপুরে। আপনার সাংস্কৃতিক বা রাজনৈতিক সব কর্মকাণ্ডই রাজধানীকেন্দ্রিক। এ অবস্থায় কেবল সংসদ নির্বাচনের টিকিট পেতেই কী প্রতি সপ্তাহেই সোনাগাজী-দাগনভুঞা (ফেনী-৩) এলাকায় লম্বা সময় জনসংযোগ করছেন?

ঢাকায় আসি তো অনেক বড় হয়ে ওঠার পর। ফেনীর সোনাগাজীতে আমার জন্ম, সেখানেই বেড়ে ওঠা। কাজেই আমি ফেনীরই মেয়ে। আর আমাদের পূর্বপুরুষের মাঝেও রাজনৈতিক প্রাধান্য ছিল। আমার বাবা ফেনী থেকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি শ্রমিক লীগের নেতা ছিলেন। পরে বাবার কর্মসূত্রে পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসলেও গ্রামে আমাদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। ছাত্রজীবনে ছুটির দিনগুলো সোনাগাজীতে কাটাতাম। সেখানে এখনও আমাদের বাড়িঘর আছে, জমিজমা আছে। বেশিরভাগ আত্মীয়-স্বজনও ফেনীতে থাকেন। আর কেবল সংসদ নির্বাচনের টিকিট পেতেই সেখানে যাওয়া-আসা শুরু নয়। কয়েক বছর আগেই বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে আমি ফেনীতে কাজ শুরু করি।

এরকম কিছু কার্যক্রমের কথা যদি বলতেন…।

‘স্বপ্ন সাজাই’ নামে নিজ উদ্যোগে একটা কার্যক্রম পরিচালনা করছি গত দুবছর ধরে। আর এ কাজটা শুরু করি জন্মস্থান নিজের এলাকা সোনাগাজী উপজেলাতেই। নিজ এলাকাকে মডেল ধরে একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে জরিপ চালাই। ওইসব এলাকার স্কুল-কলেজ আর মাদ্রাসার শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে শনাক্ত করার চেষ্টা করি, তরুণ প্রজন্মের ঘাটতি কোথায় কোথায়? পরে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমরা একমত হই যে, নতুন প্রজন্মের মধ্যে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ কিংবা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সঠিক ধারণার অপর্যাপ্ততা রয়েছে। এই জায়গাটা নিয়ে ‘স্বপ্ন সাজাই’ প্রকল্পের আওতায় কাউন্সিলিং করানো শুরু করি। এজন্য প্রায় বছর খানেক ধরেই সপ্তাহে তিনদিন সোনাগাজী-দাগনভুঞার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমি সময় কাটাচ্ছি। আমার লক্ষ্যটা শিশু-কিশোরদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়া। সেটা হতে পারে চিত্রাঙ্কন, প্রবন্ধ লিখন প্রতিযোগিতা কিংবা অন্যকোনো আয়োজনে। ফেনীর অসংখ্য তরুণ-তরুণী আমার সঙ্গে আছে। তাদের নিয়ে নিয়মিত বিভিন্ন পরিকল্পনা করছি। যখন যে আইডিয়া আসছে সেটা শেয়ার করছি। আবার তাদের দেয়া আইডিয়াগুলো আমি গ্রহণ করছি। আমার কাছে এটা বড় একটা চ্যালেঞ্জ। এ কার্যক্রম সোনাগাজী বা ফেনীতে সীমিত রাখার পক্ষপাতি আমি নয়। আগামী সারা দেশজুড়ে ‘স্বপ্ন সাজাই’ কার্যক্রম বিস্তৃত করার ইচ্ছে আছে।

আগামী নির্বাচন কেমন হবে বলে মনে করছেন?

অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন আশা করছি। আমাদের নেত্রী সব সমসময়ই সবদলের অংশগ্রহণমূলক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চান। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য যা যা প্রযোজন, সব উদ্যোগ তিনি আন্তরিকভাবেই নিতে চান। তার সদিচ্ছায় কোনো ঘটতি নেই। তবে সংবিধানের বাইরে তিনি যেতে রাজি নন। আমাদের সাধারণ সম্পাদকও বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো খালি মাঠে গোল দিতে চায় না।খালি মাঠে গোল দেয়াতে তো কোন আনন্দ নেই। আমরা ভরা মাঠ চাই। হারার ভয়ে গত নির্বাচনে বিএনপি নিজেরাই নিজেদের নির্বাচন থেকে বাদ দিয়েছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। নয়তো দলটি পুরোপুরিই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

অভিনেত্রী থেকে নেত্রী হয়ে পরে অভিনয়কে ভুলে গেছেন পাশের দেশের তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জয়ললিতা। একই উদাহরণ আমাদের দেশের নায়িকা সারাহ বেগম কবরীর ক্ষেত্রেও। একইভাবে আসাদুজ্জামান নূরের মতো একজন দক্ষ অভিনেতাকে আমরা হারিয়েছি তার রাজনৈতিক সম্পৃক্ততায়, আপনার ক্ষেত্রে কী সেরকমই হতে চলেছে?

অাসলে কারও পক্ষেই সব দিক ঠিক রেখে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। একটার জন্য অন্যটাতে ছাড় দিতে হয়। যে কারণে গত বছর মার্চ মাস থেকে আমার পক্ষে অভিনয়ে সময় দেওয়া আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সব তো এক সঙ্গে হয় না। তাই অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীকে রাজনীতির জন্য কিছুটা ছাড় দিতেই হবে। আর এটা মেনেই রাজনীতিতে এসেছি। তাছাড়া শিল্পীজীবনের শুরু থেকেই অনেক স্মরণীয় চরিত্রে অভিনয় করেছি। অভিনেত্রী হিসেবে আমার প্রাপ্তি নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। হয়তো অভিনয় চালিয়ে গেলে আরও কিছু পুরস্কার পেতাম। কিন্তু সেটা ব্যক্তিগত অর্জন হয়ে থাকতো। আমি সামষ্টিক স্বার্থের কথা চিন্তা করেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছি। একজন সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষদের স্বার্থে আমি নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই। আওয়ামী লীগ সংস্কৃতিবান্ধব একটি দল। আমি সেই দলের কর্মী। দলীয় কর্মকাণ্ডের মাঝে যদি সময় করে ওঠতে পারি আর সেরকম কোনো চরিত্র হয়, কে জানে হয়তো এক-আধবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতেও পারি। কিছু্ই আগেভাগে বলতে পারছি না।#

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিছুটা দক্ষতা আছে, মনে হচ্ছে; পার্লামেন্টে এমপি'দের কাজ কি বুঝেন বলে মনে হয় না।

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

আবু তালেব শেখ বলেছেন: মমতাজ বেগম এমপি হলে ইনিও পারবেন

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ ভরসা।

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সব কাজেই উনি মেধার সাক্ষর আশাকরি রাজনীতিতেও ভাল করবে ন।

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চমৎকার একজন অভিনেত্রী। রাজনীতিতেও ভালো করবেন আশা করা যায়।

৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩২

জাহিদ হাসান রানা বলেছেন: রাজনীতিতে অভিনেতাদের আসলেই আসা উচিৎ।এখনকার রাজনীতিবিদরা ঠিক জায়গায় ঠিক অভিনয় করতে পারে না। :#)

৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমার পাশের গ্রামের মানুষ। ‘স্বপ্ন সাজাই’ নামে কোন সংগঠনের নাম আগে শুনিনি।

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:৫১

সোহানী বলেছেন: অভিনন্দন! সচেতন মানুষগুলো রাজনীতিতে আসলে দেশের চিত্র একদিন বদলাবে আশা করি।

৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৮

হাঙ্গামা বলেছেন: এই দেশেই শুধু মমতাজ, কবরী আর রোকেয়ার মত বা***ছালেরা যখন এমপি হইয়া সংসদে আসে।
রোকেয়া প্রাচী একজন খ্যাতনামা অভিনেত্রী =p~ =p~
উনি অভিনয় জগতকে করেছেন প্রসিদ্ধ....এজাতিকে দিয়েছেন অভিনয়ের অনেক রসগুল্লা।
এখন উনি এমপি/মন্ত্রী হইয়া দেশ ও জাতিরে বুড়িগঙ্গায় ডুবাইয়া মারতে উদ্দ্যত। হেহ !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.