নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবারও অশুভ ১৩, আহা সংখ্যাটির কী দারুণ মহত্ব। আজকের বন্দনা আমার প্রাণের দেশকে নিয়ে। ট্রান্সপারান্সি ইন্টারন্যাশ্যানালের সদ্য প্রকাশিত দুর্নীতি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩ নম্বরে ।
শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্থ দেশগুলোর তালিকায় গতবছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৭, চলতি বছরের প্রকাশিত তালিকায় ১৩ নম্বরে নেমে এসেছে বাংলাদেশ। সূচক অনুযায়ী দেশে দূর্নীতি বেড়েছে।
জার্মানির বার্লিনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টিআইয়ের প্রকাশ করা দুর্নীতির ধারণাসূচকে বাংলাদেশের স্কোর হল ২৬, গতবছর এই স্কোর ছিল ২৮। সমান স্কোর পেয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ১৩ নম্বরে রয়েছে আফিকার উগান্ডা ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্বীকৃত এই সূচকে যেসব দেশ ৪৩ বা তার বেশি স্কোর পায় সেসব দেশদুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু এই সূচকে দেখা যাাচ্ছে, ৬২ শতাংশের বেশি দেশের স্কোর ৪৩ বা তার নিচে। বিশ্বব্যাপী দুর্নীতির বিস্তারে লাগাম পড়ানো যায়নি।
১০০ মার্কের পরীক্ষায় পাশ করতে হলে লাগে ৪৩। গত তিন দশকে পাশ মার্কের অর্ধেকও পেল না আমার দেশ। আর কত চলবে এই ডাহা ফেল!
২০০১ সাল থেকে টানা পাঁচবছর বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে দেশ দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, অর্থাৎ বিশ্বের দূর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলো তালিকায় বাংলাদেশ ছিল একনম্বরে।দেশের অন্যতম বড় দলটিকে মূলত তাদের শাসনামলে দুর্নীতি রুখতে না পারার মাশুল গত দেড়দশক ধরে দিতে হচ্ছে। ২০০৬ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১৪ নম্বরে ঘুরপাক খেয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়, দূর্নীতিগ্রস্থ দেশের তালিকায় ১৭ তম অবস্থানে নেমে আসে বাংলাদেশ। কিন্তু ২০১৮ সালের তালিকায় সেই পুরনো বৃত্ত ১৩ নম্বরে ফিরে গেলাম আমরা।।
একাদশ নির্বাচনের আগে তরুণদের মুখোমুখি হয় এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছিলেন সরকার গঠন করতে পারলে জঙ্গি আর মাদকের মতোই দুর্নীতির বিরদ্ধেও জিরো টলারেন্স ঘোষণা করবেন। আ' লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারেও এর উল্লেখ ছিল। কিন্তু ভালো কিছু কি আশা করা যায়? যারা নৈতিকতা বর্জিত এক 'ডাকাতিয়া' নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আরোহন করে, তাদের দেখানো দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার স্বপ্নে কীভাবে আমরা আস্থা রাখি!
বিগতদিনের ইতিহাস বলে জনতার রায় জবরদখল করে যারা ক্ষমতায় থাকে, জনগণের কাছে তারা জবাবদিহিতার প্রয়োজন বোধ করে না। বেপরোয়া লুণ্ঠনে মেতে ওঠে। তাই জোর দিয়ে ভাবতে পারি না, অদূর ভবিষ্যতে সুদিন ফিরছে দেশে।
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের তো দূর্নীতিতে ১ম থাকার কথা। ওরা মনে হয় কোনো ভুল করেছে।
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫৬
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: প্রতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে দূর্নীতি।
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৮
মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন: কি বলছেন’ আপনার চেতনায় ভুল আছে!
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:১৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
তের নাম্বার সংখ্যাটি একটি "কুফা" হিসেবে আমাদের সমাজে প্রচলিত। এজন্য ডিজিটাল দেশের, ডিজিটাল উন্নতির, ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশের জন্য তা মোটেও মঙ্গলজনক নয়। এজন্য আগামী বছর সংখ্যাটি সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে আসবে আশা করি।