নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রত্যুশ্যা

যতই অন্ধকার হউক, ভোর হবেই........

প্রত্যুশ্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেমন হওয়া উচিত কোটা পদ্ধতি

২২ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

কোটা পদ্ধতি হতে হবে শক্তিশালী, বাস্তবমুখী এবং সময়োপযোগী। এটা মূলত দেশের সকল মানুষকে অংশগ্রহনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়।শিক্ষার সমতা সৃষ্টির প্রয়াসে কোটা পদ্ধতি খুবই অর্থবহ।আর এ জন্যই একটি শক্তিশালী সাংবিধানিক ভিত্তি দরকার যা কোটা পদ্ধতিকে অর্থবহ করে তুলবে। তবে এর সমন্ধে সকল মানুষকে একটা স্বচ্ছ ধারনা দেওয়া প্রয়োজন যা অন্য সকল মানুষ (কোটা বিহীন) কোটাধারীকে শত্রু বলে গণ্য করবে না। এখন প্রশ্ন হল কোটা কেন প্রয়োজনঃ
১। শিক্ষায় সমতা (দেশের সর্বস্তরের জনগণকে শিক্ষিত করার প্রয়াসে এলাকাভিত্তিক/জাতিগত/গোত্রভিত্তিক/*পরিবার ভিত্তিক কোটা ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে)
(*যে সকল পরিবারে কেউই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত নয়, কেবল তারাই এর অর্ন্তভুক্ত হতে পারে।)
২।চাকুরী কিংবা প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে সমতা আনার লক্ষে এলাকাভিত্তিক/জাতিগত/গোত্রভিত্তিক/*পরিবার ভিত্তিক কোটা ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। তবে প্রতিনিধিত্বেরক্ষেত্রে পরিবার ভিত্তিক কোটা প্রযোজ্য নয়।
কারা এই কোটায় অর্ন্তভুক্তি পেতে পারেঃ
১।পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজ তথা রাষ্ট্রের মূলস্রোতে আনার জন্য ।
২।বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী যারা অনুন্নত জীবন ধারায় অভ্যস্ত।
৩। বিভিন্ন এলাকা/গ্রাম/মহল্লা/এমনকি পরিবার(অনগ্রসর ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত)।
কি অনুপাতে হতে পারেঃ
১। কোটার অনুপাত জনসংখ্যার অনুপাতে বন্টন করা যেতে পারে। ধরুন, নৃগোষ্ঠীর অনুপাত মোট জনসংখ্যার ২%। সুতরাং, তাদের কোটা ২% এর বেশী হতে পারে না।
২।মাতৃভাষায় শিক্ষা প্রদানের লক্ষে ওই একই ভাষাভাষীদের অতিরিক্ত কোটা প্রদান করা যেতে পারে।**
(** কোটাধারী শিক্ষকগণকে অবশ্যই ট্রেনিং এর মাধ্যমে যোগ্য করে তুলতে হবে।)
কোটাব্যবস্থার মেয়াদ কি তাহলে অসীম???? না। সরকার কোটা নির্ধারণের সময় অবশ্যই সময়সীমা উল্লেখ করবে। যেমন, সিলেটের খাসীয়াদের জন্য ০.১% কোটা নির্ধারন করল। এই দশ বছরে যাতে ওখানকার জনগন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে তৎজন্য বৃত্তি প্রদান, ভাল শিক্ষক নিয়োগ, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন, বিদ্যুৎ সরবরাহ সহ জীবনযাত্রারমান উন্নয়নে বলিষ্ট ভুমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় হাজার বছর ধরে এই পদ্ধতি চালু থাকলে ও কোন কাজ হবে না। যেমন, নৃগোষ্ঠীর কোটা তুলনামূলকভাবে চাকমারাই এককভাবে ভোগ করছে। অন্য কোন গোষ্ঠীর উন্নয়ন চোখে পরে না।
চাকরির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থার অর্থ হল, কোটাধারীর শিক্ষা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত নয়। তার শিক্ষায় গলদ রয়েছে। একজন কোটাধারী যখন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সুবিধায় আসন লাভ করে, তখন তাকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত গড়ে তুলতে কর্ত্তৃপক্ষকে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তবে এটা ভাল হবে যদি রাষ্ট্র ঠিক করে দেয় যে, কোটাধারী তার জীবনে একবারই কোটা প্রয়োগ করতে পারবেন।
রাহুল রাজ

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার ধরণায় সমস্যা আছে; স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর, কোটা মোটা লোটা কোন কিছুরই দরকার নেই, দরকার চাকুরী সৃষ্টির।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

এ.এস বাশার বলেছেন: আমিও চাঁদগাজী ভাইয়ের সাথে একমত......

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার ধরণায় সমস্যা আছে; স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর, কোটা মোটা লোটা কোন কিছুরই দরকার নেই, দরকার চাকুরী সৃষ্টির।

এর উপরে আর কোনো কথা নাই।

৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

কাইকর বলেছেন: চাকুরী সৃষ্টি হবে আর কোটা ওয়ালারা চাকরিগুলো নিয়ে নিবে মেধা ছাড়া, জ্ঞান ছাড়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.